Logo
শিরোনাম

বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে সারা দেশ থেকে পণ্য ঢাকায় ঢুকতে ভাড়া বেড়েছে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে গেছে। বেড়েছে দামও। এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে ভোক্তাদের ওপরে।

অবরোধের আগে এক ট্রাক সবজি বা অন্য খাদ্য পণ্য বাইরে থেকে ঢাকায় আনতে যেখানে খরচ হতো দূরত্ব ভেদে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এখন একই পণ্য একই স্থান থেকে ঢাকায় পরিবহনে খরচ গুনতে হচ্ছে ১৯ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

তারপরও সব ট্রাক ঢাকায় আসতে চায় না; অবরোধকারীদের অগ্নিসংযোগের আতঙ্কে থাকেন। যারা আসছেন তাদের বাড়তি টাকা দেওয়া লাগছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

অবরোধের জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি কয়েক হাজার ট্রাক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্যবোঝেই করে রাজধানীতে প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে কারওয়ানবাজারে কথা হয় ট্রাক ড্রাইভার গিয়াস উদ্দিনের (২৮) সঙ্গে। তিনি যশোরের গদখালি থেকে মিষ্টিকুমড়া নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, অবরোধের সময় তিনি ট্রাক ভাড়া পাবেন ১৯ হাজার টাকায়। অবরোধের আগে একই ওজনের একই পণ্য এনেছিলেন ১৬ হাজার টাকা ভাড়ায়।

তিনি বলেন, অবরোধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক চালাতে হয়। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন কোন দিকে থেকে অবরোধকারীরা ট্রাকে হামলা করে! গ্লাসে একটি ঢিল মারলে যে ক্ষতি হবে তা এক মাসের ভাড়া দিয়েও উঠবে না। আর আগুন দিলে পুরো ট্রাক শেষ, এমনকি জীবনও যেতে পারে। এই ঝুঁকি নিয়েই আসছি, ভাড়া তো একটু বেশি নেবই। এমন অভিযোগ সুজন মাদবরের। তিনি ফুলকপি নিয়ে এসেছে চুয়াডাঙ্গা থেকে।

তিনি বলেন, তারা আমিরুল ইসলাম নামে এক মহাজনের পুরোনো ট্রাকচালক। অনেক দিন থেকেই আমিরুলের পণ্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। তিনিও বেশি ভাড়া পাচ্ছেন। অন্য সময়ের থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা বেশি ভাড়া পাচ্ছেন হরতাল-অবরোধের সময়।

তিনি বলেন, অবরোধে ছেলেমেয়েরা ট্রাক চালাতে নিষেধ করে কিন্তু সংসার তো আছে। আতঙ্ক নিয়ে ট্রাক চালাই, কখন কি হয়। কিছু হলে কেউ না দেখলেও পরিবার-পরিজনের কথা চিন্তা করে ট্রাক নিয়ে বের হই।

একই আশঙ্কার কথা জানালেন কুষ্টিয়া থেকে চাল নিয়ে আসা ড্রাইভার আনছার আলী। তিনি মোহাম্মদপুর বাজারে আড়তে চাল নামিয়েছেন। তিনি বলেন, সপ্তাহের শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার অবরোধ দিচ্ছে না। এই কয়দিনই ট্রাক চালাই। অবরোধে বসে থাকি। এরপরও ভয় পিছু ছাড়ছে না।

অবরোধের কারণে ঢাকার বাইরে থেকে আসা পণ্যের খরচ বেড়ে গেছে। এর ফলে শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দাম কমার কথা ছিল, কমছেও। কিন্তু যে হারে কমার কথা ছিল সে হারে কমছে না। বাড়তি পরিবহন ভাড়ার কারণে পণ্যের দামও বাড়ছে।

কারওয়ান বাজারে মুলা নিয়ে আসা হাফিজুর রহমান জানান, তিনি সংবাদপত্রের ফিরতি গাড়িতে করে মুলা নিয়ে এসেছে। রাত তখন সাড়ে ১১টা। বাস থেকে মল সড়কে মুলা নামিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের সামনে ফাঁকা জায়গা মুলার বস্তা রাখছেন। তিনি আরো বলেন, অবরোধের আগে যে বস্তা ৯০ টাকা ভাড়া দিয়ে এনেছিলাম, অবরোধের সময় একই বস্তার ভাড়া গুনতে হয়েছে ১৩০ টাকা। এর ফলে প্রতি কেজি মুলাতে খরচ বেড়েছে এক থেকে এক টাকা ৫০ পয়সা।

তারপরও আগের মতো ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যের চেয়ে বেশি ভাড়া দিলেই কেবল ট্রাক ঢাকায় আসে বলে জানান তিনি। অন্য সবজি, ফল বা পণ্যেও এভাবে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।

অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীদের যাতায়াত কমে গেছে। আগে ঢাকা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে সবজি ঢাকার আনার জন্য ব্যবসায়ীরা মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার পাশাপাশি সশরীরে এসব পণ্যের উৎপাদন স্থলে যেতেন। এখন অনেকেই আর এলাকায় যাচ্ছেন না। প্রয়োজনে ফোনে ফোনে কথা বলে পণ্য আনছেন। খুব প্রয়োজনে দুয়েকজন যাচ্ছেন বা কর্মচারী পাঠাচ্ছেন। এতে পণ্যটি ঢাকায় এলেও দাম বা মানের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় প্রত্যাশার মতো কাজটি হচ্ছে না।

কারওয়ানবাজারের আড়তদার ফারুক হোসেন বলেন, অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। আর ব্যবসায়ীদের জায়গা দখল করেছে কৃষকরা। ব্যবসায়ী কম পাওয়ার কারণে কৃষকরা নিজেরাই কয়েকজন মিলে ট্রাকবোঝাই করে পণ্য ঢাকায় আনছেন। সবজি এখন বিক্রি করতে না পারলে পরে দাম পড়ে যাবে। আবার মাঠে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তো আছেই। এজন্য কৃষকেরা নিজেরাই ঢাকায় চলে আসছেন। অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীর জায়গা কৃষক দখল করেছেন বলে জানান তিনি। যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর মার্কেটে খোঁজ নিয়ে একই খবর মিলল।

অবরোধ-হরতালের প্রভাবের দেখা মিলেছে বাজারে। শীতকালীন শাকসবজির দাম উলে­খযোগ্য হারে কমেনি। মাছের বাজারও চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর মেরাদিয়া হাট, গোড়ান বাজার, খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজারসহ বেশ এলাকার বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে মেরাদিয়া হাটের মাছ বিক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকার বাজারগুলোতে মাছ কম আসছে। পরিবহন সংকটে গাড়ি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। এ কারণে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে।

পণ্য পরিবহনে পুলিশ প্রহরা সাহস জোগাচ্ছে: অবরোধ চললে ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের গাড়ি পাহারা দিয়ে নিজ নিজ এলাকা পার করে দিচ্ছে বলে জানালেন যশোরের গদখালি থেকে আসা গিয়াস উদ্দিন।

তিনি বলেন, মাঠ বা ছোট বাজার থেকে ট্রাকবোঝাই করে সড়কে উঠলেই দাঁড় করিয়ে পুলিশ অনেকগুলো ট্রাক এক সঙ্গে করে নিজ জেলা পার করে দিচ্ছে। পরের জেলায় ওই জেলার পুলিশ পাহারা দিয়ে পার করে দিচ্ছে।

রাজশাহী থেকে আসা ব্যবসায়ীও এমন কথা জানালেন। তবে চুয়াডাঙ্গা বা ঝিনাইদহ থেকে আসা ট্রাক পুলিশ প্রহরা ছাড়াই এসেছেন বলে জানালেন ব্যবসায়ী এখলাছ হোসেন ও ড্রাইভার সুজন মাদবর। ফলে জীবন ও ট্রাক সম্পত্তির ঝুঁকি নিয়ে পণ্য আনা নেওয়া করতে হচ্ছে। বাড়তি ভাড়া দেওয়ার পরও ব্যবসায়ী বা চালক-হেলপারের জানমালের নিরাপত্তা নেই।

প্রসঙ্গত, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ও তফসিল প্রত্যাখ্যান করে দেশজুড়ে টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বেশ কয়েকটি দল। আগামীকাল রবিবার থেকে এ হরতাল পালন হবে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেয় তারা।

এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। তারপর ৭ নভেম্বর একদিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ দেওয়া হয়। পরে শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে আবার চতুর্থ অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। এর আগে ১৫ ও ১৬ নভেম্বর পঞ্চম দফায় অবরোধ পালন করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল।

 


আরও খবর

স্বস্তি ফেরেনি নিত্যপণ্যের বাজারে

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রাজধানীতে বেপরোয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে দুঃসহ যানজট সারাদেশে বিদ্যুৎ সঙ্কট দেশের প্রধান এই দুই সমস্যার নেপথ্যে প্রায় ৫৫ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক ব্যাটারির মাধ্যমে পরিচালিত হয় বলে এসব যানের ব্যাটারি কয়েক ঘণ্টা পরপর চার্জ দিতে হয় হাসিনা সরকারের আমলে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সব যানের চার্জিং ব্যবসা করতো আওয়ামী লীগ এর অঙ্গ সংগঠনের প্রভাবশালী নেতারা বর্তমানে তাদের অধিকাংশ পলাতক থাকলেও ব্যবসা চলছে আগের মতোই ৫৫ লাখ অবৈধ যান প্রতিদিন প্রায় ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত গিলে খাচ্ছে এর মধ্যে ৫০০ ওয়াটের টাকাও বিদ্যুৎ বিভাগ পাচ্ছে না

হাসিনা সরকারের আমলে অবৈধ এসব যান চলাচল নিষিদ্ধের জোড়ালো দাবি উঠলেও সরকার রাজনৈতিক কারণে এগুলো বন্ধ না করে অবাধে চলাচলের সুযোগ করে দেয় এসব যান নিষিদ্ধ করার দাবিতে সবচেয়ে বেশি সরব ছিল সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি শ্রমিক ইউনিয়ন সেই সময় আন্দোলনরত শ্রমিক ইউনিয়নের একজন নেতা জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়ে একবার সভা ডেকেছিলেন সেই সভায় তিনি ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে বিদ্যুত চুরির বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন

 তখন সভায় উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী চৌধুরী ওই নেতাকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে আপনার এত ভাবনা কেন? বিদ্যুৎ আমি দেবো ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পদাক মো. হানিফ খোকন সেদিনের কথা স্মরণ করে বলেন, মূলত তারা বিদ্যুৎ চুরিসহ উল্টাপাল্টা পলিসি নিয়ে রাষ্ট্রের চরম ক্ষতি করেছেন দলের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের প্রকল্প নিয়ে দেশকে ফতুর করেছেন যেটা এখন সবাই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যানজটে স্থবির রাজধানী ঢাকা। অলিগলিসহ ভিআইপি রাস্তাগুলোতে যানবাহন আটকে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এর কারণ নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক অবাধে চলছে রাজধানীর ভিআইপি সড়কসহ সকল সড়কে। এগুলো ভিড়ে যানবাহনের চাপ এতটাই বেড়েছে যে কোন গাড়িই আর ঠিকমতো চলতে পারছে না। বাস, সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে এখন কমপক্ষে লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রবেশ করেছে ঢাকা এর আশপাশের এলাকা থেকে প্রবেশ করেছে আরও কমপক্ষে এক লাখ ইজিবাইক। ঢাকায় মোটরসাইকেল চলাচল করছে প্রায় ১২ লাখ।

এর সাথে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত ২৫ লাখ যানবাহন তো আছেই। সব মিলে ঢাকার রাস্তা এখন যানবাহনের দখলে। এতে করে স্বাভাবিক নিয়মেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকায় যে চার হাজার ট্রাফিক পুলিশ আছে, তারা মূলত নিস্ক্রিয়। কারণে দিনের শুরুতে একবার যানজট সৃষ্টি হলে তা ক্রমে বাড়তে বাড়তে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ভাদ্রের দাবদাহে মানুষ হয়ে উঠছে অতিষ্ট

 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, প্রতিটি রিকশা গ্যারেজেই নিষিদ্ধ এসব অটোবাইক রিকশার ব্যাটারি চার্জ করা হয় সবগুলোতেই ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন ফলে প্রতিদিন উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে প্রায় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গিলে খাচ্ছে এই ব্যাটারিচালিত রিকশা তিন চাকার ইজিবাইক বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে তার মানে এসব যান নিয়ন্ত্রণ করা গেলে উৎপাদিত বিদ্যুত দিয়েই সারাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব


জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা তিন চাকার ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। সাধারণত একটি ইজিবাইক চালানোর জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ইউনিট (দিনে বা রাতে কমপক্ষে থেকে ঘণ্টা) বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে হিসেবে ৫৫ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং তিন চাকার ইজিবাইক চার্জের জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। কিন্তু এর বেশির ভাগ বিদ্যুৎ গ্যারেজ মালিকরা অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন।

বিষয়ে ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খোকন বলেন, ৫৫ লাখের কম-বেশি ইজিবাইক ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। যদিও এর কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। আর সরকারও এর সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না। এগুলো শুধু বিদ্যুৎ খরচ করছে না, এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা ইজিবাইক সড়ক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। একই সঙ্গে সড়কে যানজটের সৃষ্টি করছে। এসব যানের ব্রেক সাসপেনশন সিস্টেম মোটেও ভালো নয়। যাত্রীর তুলনায় হালকা হওয়ায় এগুলো সহসাই উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। সরকারের উচিত মফস্বলে এগুলো রেশনিং সিস্টেমে চলাচলের ব্যবস্থা করা। আর দীর্ঘমেয়াদী সুরাহার জন্য বিকল্প উন্নতমানের যানবাহন আমদানি করে যারা এসব যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। সেই সাথে রাজধানীতে এসব যান চলাচল একেবারে নিষিদ্ধ করা

জানা যায়, ২০১৪ সালে ঢাকা চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। এরপর ২০১৭ সালে এসব পরিবহন বন্ধে আরেক দফা নির্দেশনা আসে হাই কোর্টের। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর অটোরিকশা বন্ধ আমদানি নিষিদ্ধ করে আবারও নির্দেশনা দেন হাই কোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ২০ জুন এসব রিকশা-ভ্যান বন্ধের নির্দেশ দেন। বিভিন্ন সময়ে সিটি করপোরেশনও এগুলো বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু এসবের সংখ্যা না কমে বরং বাড়তে থাকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু রাজধানী নয়; দেশের জেলা, উপজেলা, গ্রাম পাড়া-মহল্লায় চলছে এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা তিন চাকার ইজিবাইক।

  অবৈধ বাহনের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। সারা দেশে জেলা-উপজেলা শহরগুলোতে বিদ্যুৎ চুরির অন্যতম প্রধান কারণ নিষিদ্ধ ইজিবাইক বা অটোরিকশা। দেশের ৯০ শতাংশ গ্যারেজেই নিষিদ্ধ এসব অটোবাইকের ব্যাটারি চার্জ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন। অনেক স্থানে চলছে মিটার টেম্পারিংয়ের মতো ঘটনাও। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কোনো সংস্থা

 


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সুনামগঞ্জে জলবায়ু বিষয়ক স্টেকহোল্ডার পরামর্শ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::


সুনামগঞ্জে জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো বিষয়ক স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে দিনব্যাপী পরামর্শ বিষয়ক  কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


বুধবার সকাল থেকে জার্মান সরকারের অর্থায়নে, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ক্লাইম এক্মচেইজ্ঞ এর আয়োজনে,  বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলে টেকসই জনগোষ্ঠীর জীবনমানের লক্ষ্যে  জলবায়ূ স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো বিষয়ক "স্টেকহোল্ডার পরামর্শ বিষয়ক সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার এফআইভিডিবি ট্রেনিং সেন্টারের হলরুমে এ কর্মশালা" অনুষ্ঠিত হয়েছে।


এফআইভিডিবি'র নির্বাহী পরিচালক বজলে মোস্তফা রাজীর সভাপতিত্বে ও এফআইভিডিবি'র ইঞ্জিনিয়ার সদানন্দ ভট্টাচার্য'র সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন আল-মুজাহিদ।



কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,পিকেএসএফ'র মহাব্যবস্থাপক (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) ড. একেএম নুরুজ্জামান, কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন, জার্মান সরকারের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিআইজেড বাংলাদেশের ইমপ্লিমেন্টেশন ম্যানেজার শানিন মুনতাহা, এনজিও সংস্থা পদক্ষেপ এর মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক মনিরুজ্জামান, সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টেলিািভশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস, শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ,সাধারন সম্পাদক সোহেল তালুকদার,সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমদ ও অর্থ সম্পাদক ইয়াকুব শাহারিয়ার,দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, পিকেএসএফ-এর সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দরা। কর্মশালায় সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন, আইএফএসপি'র রিজিওনাল ম্যানেজার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। 


প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব হোসাইন মোহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের পূর্বে স্থানীয় অংশীজনের সাথে আলোচনা করে কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে এবং বাস্তবায়নের সময় সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হলে প্রকল্প নিশ্চিতভাবে সফল হয়। তিনি কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ওয়াক্ত সদস্য এবং তিনটি হাটির প্রতিনিখেদের উপস্থিতি দেখে প্রকল্পের সফলতার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



 সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, টিএমএমএস এর সেক্টর প্রধান (আইসিটি ও পরিবেশ) ঢাকার ড. নিগার সুলতানা। ড. নিগার সুলতানা বলেন, জার্মান সরকারের অর্থায়নে মরুু এর সার্বিক তত্বাবধানে প্রকল্পটি সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলে বাস্তবায়নের জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।


পিকেএসএফ-এর মহাব্যবস্থাপক ড. একেএম নুরুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন, পিকেএসএফ তিনটি সহযোগী সংস্থা টিএমএসএস, এফআইডিডিক্রি এবং পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র-এর মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হলো জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে হাওর এলাকায় তীর ও আকস্মিক বন্যার ঢেউয়ের ফলে সৃষ্ট ভাঙন থেকে হার্টিসূহকে রক্ষা করা এবং হাটিতে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করা। এ লক্ষ্যে সিসি বøক রিভেটমেন্ট এবং রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, নির্মিত রিটেইনিং ওয়ালের পাশে স্থানীয় প্রজাতির বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে সবুজায়ন, স্থাপনার টেকসহিতা বৃদ্ধি এবং কমিউনিটি স্পেস-এর উঠান উঁচুকরণ ইত্যাদি কর্মকান্ড বাস্তবায়ন। এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকার প্রায় ৪৫০০ পরিবার উপকৃত হবেন, এলাকার জীববৈচিত্র সংরক্ষণ হবে এবং জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার মানের ক্রমোন্নয়ন উন্নয়ন ঘটবে। 


তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ূ পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা সফলতা লাভ করতে পারবো।


অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বজলে মোস্তাফা রাজী বলেন, উল্লেখ করেন যে, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগসমূহ জলবায়ূ পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় অবদান রাখছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পিকেএসএফ ভবিষ্যতে এ এলাকায় আরও বড় ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। পাইলট প্রকল্প হিসাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ জেলাকে নির্বাচন করার জন্য তিনি পিকেএসএফসহ উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ##



আরও খবর



বন্যার পানি নামলেও ফুরাচ্ছে না দুর্ভোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখেছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের ৯ জেলার মানুষ। যদিও বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে, নেমে গেছে অধিকাংশ এলাকার পানি, তবুও মানুষের দুর্ভোগ ফুরানোর যেন নাম নেই। বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে এখনও দিনযাপন করছেন হাজারো মানুষ। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু নদীপাড়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতের চিহ্ন। নষ্ট হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার সড়ক, ভেঙে গেছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সাম্প্রতিক বন্যার প্রথম ধাক্কাটা এসে লাগে ফেনীতে। এখন পর্যন্ত বন্যায় জেলাটিতে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বজন হারানোর শোক কাটিয়ে এখন নতুন এক জীবনযুদ্ধে ব্যস্ত জেলার বন্যার্ত মানুষগুলো। ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মোমারিজপুর গ্রামের বাসিন্দা তাহেরা বেগম। মেয়ে, নাতিসহ আরও চার সদস্য নিয়ে ছনের ছাদ দেওয়া মাটির একটা ঘরে থাকতেন সত্তরোর্ধ্ব এই নারী। এবারের বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তার একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁইটি। দুর্ভোগের কথা বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাহেরা বেগম; বলতে থাকেন, ‘ঘরে একটু চাল নাই, চাল যে পাকাবো ওই হাড়ি চুলা কিছুই নাই। আমার ঘরের সব ভাসায় নিয়া গেছে।

এবারের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী। দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও এখানকার ৫টি উপজেলা জলমগ্ন এখনও। আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর জীবন কাটছে ঘরহারা মানুষগুলোর। বন্যার কারণে নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। অনেক মুরগির খামার বানে ভেসে গেছে। বন্যার পানির কারণে গবাদি পশুর খুরা রোগ দেখা দিতে শুরু করেছে। বন্যার পানি যতো নামছে ততোই স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির অসংখ্য চিহ্ন। এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক রূপে ফিরবে সেই সদুত্তর নেই কারও কাছে। তবে, জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় কিছু স্থানে খাল পরিষ্কারের কাজ করছেন স্থানীয়রা

এদিকে আরেক ক্ষতিগ্রস্ত জেলা কুমিল্লায় এখনও পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। পুনর্বাসন সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। জেলার অধিকাংশ সড়কে কংক্রিটের স্তর ভেঙে গেছে। পরিস্থিতি এমন যে সেখানে কোনও অটোরিকশা চলার অবস্থা নেই। আরো খারাপ অবস্থা গ্রামের ভেতরে ছোট অলিগলি ও কাঁচা সড়কগুলোতে। এমন অবস্থায় কুমিল্লার বন্যাপীড়িত অনেক গ্রাম এখনও বলতে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে

আরিফুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, রাস্তাঘাট একদমই ব্যবহার উপযোগী নাই। তার মধ্যে সন্ধ্যা হলেই রাস্তায় চলতেও ভয় হয়। বন্যায় ছোট-বড় সড়কগুলো যে ক্ষতির মুখে পড়েছে সেগুলো মেরামতে সরকারি, বেসরকারি প্রতিটি পর্যায় থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় আছেন মাছের ব্যবসায়ীরাও। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বহু মাছ চাষি ও খামারি একদম নিঃস্ব হয়ে গেছেন এবারের বন্যায়

লক্ষ্মীপুরেও অনেক এলাকা এখনও পানির নিচে। বহু বছরের দখলে খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায়, বন্যার পানি নামতে সময় লাগছে। চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান বলেন, তারা বিগত ৪০ বছরে এরকম বন্যা দেখেননি। এবারে বন্যা প্রলম্বিত হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। পানি যখন নামতে থাকে তখন অবকাঠামো নষ্ট হওয়া, রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। তবে, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। সবার আগে সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী করাই প্রধান লক্ষ্য

এদিকে চলতি মাসের শেষদিকে আরেকটি বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি এ বন্যা গ্রাস করতে পারে উত্তরাঞ্চলকেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতির পাশাপাশি প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামোগত উন্নয়ন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানিসমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী, সাঙ্গু, মাতামুহুরি ইত্যাদি নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে

অন্যদিকে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল কমতে দেখা যাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কমছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের সারিগোয়াইন, মনু, খোয়াই এবং পূর্বাঞ্চলের মুহুরি ও গোমতী নদীর পানি সমতল


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় দূর্বৃত্তের হামলায় উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি'র মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

দূর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহিল কাফির মৃত্যু হয়েছে।

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহিল কাফি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

গতরাতে সাংগঠনিক প্রোগ্রাম শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার মানিকুড়া নামক স্থানে পৌঁছলে ৭-৮ জনের দূর্বৃত্তের দল পথরোধ করে অতর্কিত হামলা শুরু করে এতে গুরুতর আহত হন জামায়াত নেতা কাফি, স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে  প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ প্রদান করেন। আজ দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহিল কাফির উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় সাধারণ জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী -পেশার মানুষ। শহীদ আব্দুল্লাহিল কাফির জানাজা আগামীকাল সকাল ৯টায় সাপাহার উপজেলার কাওয়াভাষা গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক ও দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

''জেলা আমিরের শোক ও তীব্র প্রতিবাদ''

দূর্বৃত্তের হামলায় নিহত আব্দুল্লাহিল কাফির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নওগাঁ জেলা পশ্চিম এর আমির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ এনামুল হক, সেক্রেটারী নাজমুল হোসাইন, নওগাঁ জেলা পূর্ব জামায়াতের আমির খম আব্দুর রাকিব, সেক্রেটারি এ্যাডঃ আসম সায়েম । তারা  আজ এক শোকবার্তায় বলেন  আব্দুল্লাহিল কাফি বরেন্দ্র জনপদে ইসলামী আন্দোলনের একজন অন্যতম বীর সিপাহী ছিলেন, তার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তাই হামলার অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করেন জেলা আমীর। তিনি এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ এবং এরসাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। শোকবার্তায় জেলা আমীর জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহিল কাফির শাহাদাত কামনা করে আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া  এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি ধৈর্য ধারণের তাওফীক ও গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।


আরও খবর



জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

সুশান্ত দাস,পাটগ্রাম, লালমনিরহাট: 

ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারি খুনি হাসিনা সহ তাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপি অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজার রহমান মিলন,জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক, হাবিবুর রহমান মন্টু, উপজেলা ছাত্রনেতা সজিব সহ  বিএনপি'র সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।এ সময় বক্তব্য রাখেন জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো মাহফুজার রহমান মিলন. তিনি সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি আরো, হুঁশিয়ারি দেন ১৫ আগস্ট ঘিরে যারা নাসকতা সৃষ্টি করবে এবং কোন আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী বাহিনী যদি কোন প্রকার অরাজকতা সৃষ্টি করেন তাহলে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।এই বিএনপি নেতা আরো বলেন সংখ্যালঘুদের মন্দির কিংবা বাড়িতে যেন কেউ নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে বলেন। পরিশেষে আগামী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।


আরও খবর