রোকসানা মনোয়ার :বিশ্বের দূষিত বায়ুর
শহরগুলোর মধ্যে ঘুরে ফিরেই শীর্ষে ঢাকা। দুই দিন বিরতি দিয়ে আবারও দূষণের চূড়ায়
রাজধানীর বাতাস। এর আগে গত সোমবারও শীর্ষে ছিল ঢাকার অবস্থান। এমন অবস্থায়
প্রতিদিন বাড়ছে জ্বর,
সর্দি-কাশিসহ নানা ধরনের রোগব্যাধি। বিশেষ প্রভাব পড়ছে
শিশু-স্বাস্থ্যের ওপর।
মাত্র দুই দিন
বিরতির পর গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বায়ুদূষণের শীর্ষ আছে ঢাকা। আর কয়েকদিন আগে টানা
সপ্তাহজুড়ে বায়ুদূষণে শীর্ষে ছিল রাজধানীর অবস্থান।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫ ছিল। আর শুক্রবার ১৯৫। বায়ুর মান বিচারে এ পরিস্থিতি অস্বাস্থ্যকর। চলতি মাসে মোট ৯ দিন রাজধানীর
বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে
বেশি দূষিত।
যত্রতত্র
রাস্তা খোঁড়া, গাড়ির কালো ধোঁয়া আর ইটভাটার মাধ্যেমে সবচেয়ে বেশি দূষিত হচ্ছে ঢাকা।
সড়কে একটি গাড়ি গেলেই পুরো এলাকা ধুলোয় ধোঁয়াশা হয়ে উঠে। সাধারণ মানুষ বলছেন, প্রতিনিয়ত নানা রোগে আক্রন্ত
হতে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে।
এক ট্রাফিক
পুলিশ বলেন, ‘ধূলাবালির কারণে সর্দি কাশি ভালো হয়না। ওষুধ খাই, কমে আবার হয়।’
এক পথচারী বলেন, একটা মাস্ক পরলে সেটি
কিছুক্ষণের মধ্যেই কালো হয়ে যায় ধূলায়। যে ধূলা আমরা চোখে দেখিনা সেটাই নিশ্বাসে
ঢুকে যায়। আর হাত ধুলে তো মনেহয় ড্রেনের পানি।
শুক্রবার
ছুটির দিনে ঢাকা শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় রোগীদের দীর্ঘ সারি। অভিভাবকরা
জানান, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-কিশোররা। একজন
অভিভাবক বলেন, স্কুলে যায় সেসময় ধূলাবালির কারণে বুকে এজমার
মতো শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।
হাসপাতালের
দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান,
আগের থেকে রোগী বাড়ছে। ধুলো-ময়লার পাশাপাশি আবহাওয়া পরিবর্তনের
কারণে নানান রোগের বিস্তার ঘটছে।