Logo
শিরোনাম

বিশ্ব বাজারে ফের বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় দুই সরবরাহকারী দেশ সৌদি আরব ও রাশিয়া তেলের দৈনিক উত্তোলন হ্রাসের পর থেকে বিশ্ব বাজারে বাড়তে শুরু করেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম।

আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে সরবরাহের সংকট ও পরিকল্পিত কৌশলের কারণেই।

আন্তর্জাতিক বাজারে যে দামে তেল বিক্রি হয়েছে, তা ছিল চলতি ২০২৩ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দুই বেঞ্চমার্ক ক্রুড এবং ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারন্যাশনাল (ডব্লিউটিআই) উভয়ের দামই বেড়েছে। প্রতি ব্যারেল (১৫৯ লিটার) ব্রেন্ট ক্রুড এইদিন বিক্রি হয়েছে ৯৩ দশমিক ৭০ ডলারে এবং প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই এদিন বিক্রি হয়েছে ৯০ ডলারে।

বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে বেড়েছে ১ দশমিক ৮২ ডলার বা শতকরা হিসেবে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

আর ডব্লিউটিআইয়ের দাম প্রতি ব্যারেলে বেড়েছে ১ দশমিক ৬৪ ডলার বা শতকরা হিসেবে ১ দশমকি ৮৫ শতাংশ।

বিশ্ব বাজারে তেলের এই চাঙ্গাভাবে পশ্চিমা বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলের এই দাম বেড়েছে সৌদি ও রাশিয়ার পরিকল্পিত কৌশলের কারণে।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা পিভিএমের কর্মকর্তা তামাস ভারগা রয়টার্সকে বলেন, বাজারের এই চাঙ্গাভাব স্বাভাবিক নয়। এটা একটি পরিকল্পিত কৌশলের অংশ এবং যারা এই কৌশল করছে, তারা আসলে বাজারের মানসিকতা নিয়ে খেলছে।

বাজার বিশ্লেষণকারী অপর সংস্থা অ্যাগেইন ক্যাপিটালের কর্মকর্তা জন কিলডাফ রয়টার্সকে বলেন, অর্থনীতির প্রাণচাঞ্চল্যের কারণে তেলের বাজারে এই চাঙ্গাভাব আসেনি, বরং যেটাকে চাঙ্গাভাব বলা হচ্ছে, সেটা আসলে সরবরাহের সংকট।

কিলডাফ আরও বলেন, আর এই সংকটের জন্য দায়ী রাশিয়া ও সৌদি। এমন এক সময়ে তারা তেলের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যখন শীতের কারণে আর কিছুদিনের মধ্যেই পশ্চিমা দেশগুলোতে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ২০২২ সালের শুরুর দিকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে উর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছিল। কিন্তু অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে চীন, ডলার সাশ্রয়ের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো তেল কেনা কমিয়ে দেওয়ায় গত বছর জুন মাস থেকে অপরিশোধিত তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হয়।

কয়েক মাস ধরে এই মন্দাভাব চলায় আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে তেল উত্তোলন ও রপ্তানিকারী দেশগুলো। তবে চলতি সপ্তাহে ফের বাড়তে শুরু করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম।


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




স্পর্ধাই এখন ভরসা তাদের, ক্ষমতার লাগাম পরানোর কাজ আমাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মেজর জিল্লুর রহমান অবঃ

আমেরিকার  পত্রিকার সম্পাদক  বেন  ব্রেডলির উক্তি দিয়ে শুরু করলাম  বুঝার সুবিধার্তে।   হায়রে সেই  উৎসবের ভোটের দিনের আমেজ ! বড় নেতা মেঝ নেতা সেঝ নেতা নোয়া নেতা ,  চ্যালা চামুন্ডারা কি যতনে সম্মানে ঘাড়ের  উপর হাত সযত্নে রেখে কানের কাছে মুখ  লাগিয়ে ভোটের মাঠে সমার্থন ভিক্ষা করছে । সাথে নিশ্চয়তা দিচ্ছে আপনার জমির আইল নিয়ে যে ঝামেলা আছে নেতার নলেজে আছে আগামীকালই আপনার কষ্ট বিসমিল্লাহ বলে শেষ করে আপনার সাথে বাড়িতে ডাল ভাতের  নাস্তা খাব। 

 ভোটের মাঠে কত  কদর কত জামাই আদর । ১৪ সালে এক ধাক্কায়  সে মালিকানার  স্বত্ব  অক্কা পেয়ে  শ্মশানে  শুব্র  বস্ত্র উরাচ্ছে। সেই যে ভোটারের  কপাল পুড়ল সে কপাল আর ভাল হল না। এখন ভোটেরদিন কেন্দ্রে যেতে বাধা।  কেউ  বলে কষ্ট করে আপনার যাওয়া লাগবে  না আপনার দায়িত্ব আমরা সেরে ফেলেছি কাকা। 

 আগে রাতে ঘুম ভাঙ্গায় ঘরে ঢুকে চরন ধরে বলত ক্ষমা করেন আমার বাবা নাই আপনি আমার আব্বা কথা দেন  এতিমকে সন্তানের স্নেহ দিবেন কথা দেন ভোট আমায়  দিবেন। সেই ছেলে এখন আমারে দেখে ষাঁড়ের মত কুন্দায়,  আর কয় আমি নৌকা মার্কা কিনে আনছি ভোট না দিলেও আমি নির্বাচিত। দেশের মালিক হওয়ার গৌরবের  সেইদিন  খুশি আর অপমানের সাগরে ফেলে গেলি কই । 

  সেবার নির্বাচনে  প্রার্থিদের বাড়িতে ঘন ঘন  রাতবেরাত হানা দেওয়ায়   বিরক্ত হয়ে  রজব ভাই ভাবী  হাতের খড়ের তৈরি কাথার  নিচে ডুব মেরেছে অতিস্ট হয়ে। জির্ন কাঠের দরজায়  উপরের চৌকাতে  জং ধরা লোহার  শিকল ঝুলন্ত  ছিল। পালাক্রমে  কয়েকজন প্রার্থি  সজরে  ঝাকিয়ে ডেকে তাদের সাড়া না পেয়ে চলে যায়। শেষবার নাছোড়বান্দা  ক্যান্ডিডেট  ইয়াহিয়া  শিকল ঝাকাতে লাগল  ও  কাকি  ও কাকা দরদের সুরে মায়াবী ডাক শিকল আছড়ানো তালে তালে বেশ সঙ্গিত উপভোগ করলাম । হায়রে !! মিনিট দশেক পর খড়াত করে আমার সেকল ছিড়ে গেলে বুঝতে পারলাম । ছেড়া শিকল ইয়াহিয়া  হাতে নিয়ে সে কেটে পড়ে। সকালে আমার কাছে বিচার আনে।  ইয়াহিয়াকে বল আমার শিকল গুতাতে গুতাতে ছিড়ে নিয়ে গেছে গত রাতে । ইয়াহিয়া নতুন শিকল কিনে মিস্ত্রি দিয়ে লাগিয়ে দিল। রজব মিয়া বলল তোমারে ভোট দেব , তুমি জিতবা যে মানুষ বাইশ মিনিট বিরামহীন শিকল ঝাকাতে পারে  ভোটের  জন্য সে ভোট পাওয়ার যোগ্য তোমার অসীম  ধৈর্য  ।  এই  ছিল  ভোটার আর  নেতার   সম্পর্কের  কেমিস্ট্রি । 

  প্রতিবার ভোটের আগে  উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দাঙ্গা।  অবস্থা দিষ্টে  প্রমান করে লুটপাটের অংশী হতে ভাগ বাটোয়ারায় ভাগ বসাতে  দল গুলো  মরনপণ  লড়াই  চালায় । এবার অবস্থা বেগতিক।  রাজনৈতিক সংঘাত দিব্যি ছড়িয়ে পড়ছে দু ধারায় । নির্দলিয় সরকারের অধিন নির্বাচন চায় সকল বিরোধী দল  এক ধারা । শুধু সরকারী ধারা সংবিধান নিদেন রক্ষা কবচ কামড়ে তাদের কমান্ডে  রথ পাড়ি দিতে চায় । ক্ষমতা হারা দলের নিরাপদ প্রস্থান তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত্তের গ্যারান্টি দিতে পারলে গনতান্ত্রিক সকল প্রক্রিয়া সমাধান সহজ হবে। 

  ভোট বড়  সকলের বালাই কাকে ভোট দিয়া উচিৎ  ভোটারের ভাবনায় কুলায়  উঠে না। তারা মিডিয়া দ্বারা,  দলের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। জনজীবনে  কে নেতা হবে না হবে জনগণ আজ  গ্রাহ্য করে না ।  এখন মাইকে ডেকে কেন্দ্রে ভোটার  ভিড়ানো  যাচ্ছে না । ভোট সে তো  দেশের খাজাঞ্চি  নিয়ন্ত্রণ এবং  প্রভাব-প্রতিপত্তি  জাহির  করার  স্বার্থে  ক্ষমতা  দখলই  ভোটের রাজনীতির  প্রধান  আদি কথা। 

 জনহিতের  কথা  নিছক ভাঁওতাবাজি  কেতাবি বুলি। গায়ের জোরে  অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোট  কেটে  আখের গোছাতে গিয়ে  যদি  জন কল্যাণ  হয়ে যায়, তাই প্রকৃতির  দয়ায় মানুষের লাভ।  বেহুদা উন্নয়নের  কাজগুলো ভোটের আগে ভাগে  করতে পারলে সব  দিক  দিয়ে লাভ হয় ।  যে প্রকল্প না  করলে  কর্মির, নেতার  দলের  লাভ  নেই  তা  চড়া গলায়  বক্তৃতায়  পুষিয়ে  দেওয়া হয়। ধাপ্পা বাজীর রাজনীতি জনগণ  বুঝে । কিন্তু  প্রশ্ন হল  এর প্রতিরোধ করার উদ্যোগ কে করবে?  প্রার্থী  একটু এ দিক-ও দিক করতে পারলে  জিতে  যাওয়ার  সম্ভাবনা নিশ্চিত । প্রশাসন,  কমিশন, পুলিশ  সেভাবে  সাজানো  থাকে । এমনই  মন মেজাজ  থেকে প্রার্থীরা  ও তাঁদের দলবল  লাঠিয়াল মাঠে  অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে।  এই   ভোটের  পরিণাম   মৃত্যু  পর্যন্ত গড়ায় তাতে কি । 

 গত দুই টার্ম ইলেকশনের কারিশমা  নিয়ে অভিজ্ঞ রাজনিতিক দির্ঘকাল মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন  মঞ্জু এক স্বাক্ষাতকারে লজ্জিত হয়ে বললেন আমার এলাকার মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি নাকি এম পি হয়েছেন? যারা  আমাকে ভোট  দিয়ে এম পি নির্বাচিত  করবে  খোদ  তারাই জানে না কিভাবে এম পি হলাম  ।  তিনি ক্ষেদের সাথে বললেন জনগণের সমর্থন এড়িয়ে এম পি হব  এই  জন্য দেশ স্বাধীন করা হয়নি। 

 অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে ছলে বলে  কলে কৌশলে বিচিত্র আবরনে যুক্ত। ফলে তাঁরা প্রার্থীদের সরাসরি প্রশ্ন করে,  “আপনাকে ভোট দিলে আমি কী পাব?”  ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য আজগুবি প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ব্র্যান্ড নিউ  প্রার্থীরা। একটা পরিবারের যত সদস্য আছে, সবাইকে কিছু না কিছু দিতে হবে। তাঁর সত্যিই চাকরি পদোন্নতি  সাহায্য  পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে কি না, তা নিয়ে কথা বলতে গেলেই বিপদ। এমন জোড়াতালি দিয়ে  ক্ষমতায় এসে প্রত্যাশা  আর  প্রাপ্তির  বিস্তর  ফারাগ ফেরাস্তাও  সীমাহীন চাহিদা   মিটাতে পারবে না তাই সরকার তাদের  দলীয়  প্রার্থির  আকাম কুকর্ম  অন্ধ হয়ে না দেখার ভান করে  ।  

 আমরা আর কত দিন ভোটের নামে এই  প্রহসন  সন্ত্রাস,  ক্ষমতায় যেয়ে  দুর্নিতি, অর্থ  পাচার,  ব্যাংক লুট দেখব ।  মেগা প্রজেক্টে হরিলুট মুখ বুজে   সহ্য করে যাব?  বিকল্পের রাস্তা আমাদেরই  খুঁজে বের  করতে হবে। এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে, সৎ প্রার্থি দরকার।  দলীয় প্রতিক বাতিল সহ ভোটগ্রহণ পদ্ধতির অবিলম্বে পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। দু’টি আধুনিক ও অভিনব পদ্ধতির শরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে। অনলাইনে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত  পোর্টালে লগ ইন করে ভোট প্রদান করা যেতে পারে। বর্তমানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ স্মার্টফোন ব্যবহারে পারদর্শী। নির্ভয়ে তাঁরা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে সক্ষম হবে। নির্দলিয় সারকার ভোট পরিচালনা করবে। 

 চিরাচরিত ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় যে বিপুল  পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়, তার থেকেও অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে । এ  ব্যবস্থায়  মাস্তানি গুণ্ডামি লোপ পাবে ।  

গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল ভোটাধিকার এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ। কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগ যদি শেষ পর্যন্ত  নির্বোধ  জনগণের  সামনে  খেল  তামাশা হয়ে দাঁড়ায়, তা হলে আর গণতন্ত্রের থাকে কী! নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত চলে লাগামহীন সন্ত্রাস। এমনকি ভোটের পরেও সে সন্ত্রাসের অবসান হয় না। যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে, পুলিশ-প্রশাসনকে কব্জা করে ভিন্ন মত বা দলকে আটকাতে সব রকম অগণতান্ত্রিক কলাকৌশল প্রয়োগ করে। তাই আমাদের   দেশে   সন্ত্রাস, রক্তপাত আর মৃত্যু নির্বাচনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে।  সর্বশক্তি খাটিয়ে  জনবিচ্ছিন্ন  দলের অথর্ব লোকটির   নামে সিল মেরে বাক্স  ভরে পেশি শক্তিধারীরা তাই ভোট নামক  জনপ্রিয়তার পরিক্ষায় মানুষ  ঘৃণায় মুখ  ফিরিয়ে নিয়েছে  । এখন আমরা  নিয়ন্ত্রিত  মিডিয়ার মাধ্যমে, বিশেষ  করে  ডিজিটাল  সামাজিক  মাধ্যমের দৌলতে ‘গণতন্ত্র নিধনের মহোৎসব’ ঘরে বসে প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি।

  নির্বাচন কমিশনের আশ্বাস, কোর্টের কড়া নির্দেশ, এ সব উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের হত্যালীলা চলতেই থাকে। ভোটে সন্ত্রাস, বেনিয়ম এ সব নিয়ে কিছু দিন আলোচনা, তর্কবিতর্ক, এক সময় তা থিতিয়ে যায়। ভোট ‘লুট’ করে  ছিন্তাই করে  জেতা প্রার্থীরাও ‘নির্বাচিত’ শংসাপত্র নিয়ে দিব্যি কোনও না কোনও পদ আলোকিত  করে  বেসরমের  মত  বসে পড়েন। সব দেখে-শুনেও ঠুঁটো জগন্নাত  নির্বাচন কমিশন বা আদালতকে আর তেমন টু শব্দ করতে  দেখা যায় না। এ ভাবেই চলছে আমাদের আবিষ্কৃত  গণতন্ত্র এবং চলবেও।

একজনের বংশীর সুরে হেলা দুলা চলছে  দেশের শব কাঠামো।  

 সরকার ও তাদের চেলা চামুণ্ডারা   ধরাকে সরা জ্ঞান করে কি হনু রে তত্তে ভর করে চলছে!!  ক্ষমতার উত্তাপে দিশেহারা দলবাজরা  যেদিক তাকায়  একান্ত  অনুগত প্রজারা  জি হুজুর শব্দ উচ্চারণের উদগ্র বাসনায় গলা খাকড়া দিয়ে  আওয়াজ  দিতে সদা প্রস্তুত দেখে । সন্ত্রাসীরা দখল বানিজ্যের বণিক নেতা,  চাঁদাবাজ নেতা, দুর্নিতিবাজ নেতার ইশারায় দিন শেষে পকেটে  ভাগ পায়।

  বিনা পরিশ্রমে পকেটে   টাকা আমদানি হলে সেই জাত পায়ে দাড়াতে পারে না। আশা  জাগায় ভরসা জাগায় এমন কথা  শুনা যায় না। দম্ভের গনতন্ত্র অসীম ক্ষমতার  বিরামহীন আস্ফালন উদ্বেগের বার্তা মনে ঘুরপাক খাচ্ছে আমজনতার । জনগনের  শাসনই গনতন্ত্র সে কথা জাতি ভুলে যেতে বাধ্য হয়েছে। ক্ষমতায় আসিনরা এক এক জন  প্রাচীন  সম্ম্রাজ্জের রাজতন্ত্রের বহুদা ক্ষমতার সম্রাট  ভয়ঙ্কর প্রতীক। তাদের চাটুকারিরা  নির্লজ্জ আবিজাবি সুত্র ধরে নেতাদের তাদের পোষ্যদের পর্যন্ত  শুভেচ্ছে বাণীর  প্লাবনে ভাসিয়ে দেয় নেট দুনিয়া। ঘুনে ধরা সমাজ দাড়াতে পারবে না ঘুনের লেশমাত্র অবশিষ্ট থাকতে। আপাদামস্তক সংস্কার আমাদের এখন দরকার।  

 সরকার সত্যের মুখমুখি হতে ডরায় । তাই সত্য প্রকাশের উদ্দত হলে গলাটিপে শ্বাস রোধ করে ধরে। শাসকের বিরোধিতা  করাকে অনুগত মিডিয়া দিয়ে  রাষ্ট্রদ্রোহ  বলে  নির্বিচারে  প্রচার চালাচ্ছে । কয়েদ খানায় ভরছে প্রতিবাদি কন্ঠ  । কতদিন কতদূর  এক পরিবার কেন্দ্রিক শাসন পদ্ধতি চালান যায় । দুর্নিতি  গনতন্ত্র, দেশের মানুষের পছন্দমত   ভোটোধিকার, মানব্ধিকার,  অর্থ পাচার নিয়ে দেশে  বিদেশে এখন বাংলাদেশ নিয়ে   প্রবল  দুর্নামের আলোড়ন । জাতি সঙ্গের ডেমোক্রাসি কাউন্সিল থেকে  বাংলাদেশকে বহিষ্কারের  চিঠি বিশ্ব মিডিয়ায় । 

 বিরোধিরা এককাট্টা  নির্দলিয়  সরকারের অধিন নির্বাচনের দাবীতে। দু দলের মুখমুখি সমরে গন মাধ্যম নিরব, সুশীল সমাজ মুখে কুলুব এঁটেছে। উচ্ছিষ্ট ভোগী  স্বঘোসিত বুদ্ধিজীবী চাপা চালিয়ে যাচ্ছে  যার যার  দলের পক্ষে ।  এফ বি  সি  আই  এর সভায়  তাজা তাজা বণিক নেতারা যা  বললেন তাতে মনে হল তারা সকলে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য , তৃপ্তির সাথে  প্রধানমন্ত্রীর   স্থুতি  গাইলেন। প্রশ্নাতীত ভক্তি  প্রতিযোগীতা করে কে  কার আগে   স্তুতির ছোপে  প্রধানমন্ত্রীর  নেক নজরে  আসন সংরক্ষিত করতে পারে তার মহড়া দেখাল। 

 চ্যানেল  গুলি আছে সরকারের বন্দনা ডালি সাজিয়ে।  বিরোধীদের প্রতিবাদ সমাবেশর  তীব্রতা ঘোমটা  পরাতে  ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায় । বিরোধীদের শক্তি মত্তা জাহিরের  জানালা খিড়কি  দিতে মোলায়েম কন্ঠে সকল কূটপন্থা  জারি থাকে বিলম্ব অনুমতি হাজার শর্ত  । পত্রিকা টি ভি  চ্যানেল সরকারের অধিনস্থ একান্ত  বাধ্যগত ছাত্র  বুঝাই যায়। প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়া করেছে এক নেতা ঘোষনা দিলেন কি আর বাকি আছে সর্বনাশের।  

 সংবাদ মাধ্যম  নিজেদের ভুমিকা পালন না করে জনতার অনাস্থার সৃস্টি করছে এখন তারা টোপা শ্যালারমত জনতার অবিশ্বাসের দিঘীতে ভাসছে । সরকারের  সত্যি ভাল ভাল  কাজ  প্রচার করলেও  এখন তা   বিশ্বাস করাতে তাদের বেগ  পেতে হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের  দোষ ত্রুটি দুর্নিতি লুটপাট স্বজনপ্রীতিসহ  সকল অপকর্ম  চোখের  আড়াল করতে সংবাদ মাধ্যম  মায়ের আচঁলে  ঢেকে রাখছে এমন ধারনা উৎপাদন  করে যাচ্ছে । বাংলার বানী, দিনকাল, জঙ্কন্ঠ  মানুষ  ছুয়ে দেখে না পড়েও না। অতি তোষামোদির ফলে পত্রিকা  চলার শক্তি হারিয়েছে  মনে রাখতে হবে।  

 নেতারা কর্মিরা  চাটুকাররা  অনেক পেয়েছে  আর কত নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া।  শাসকের জিগির গাইতে বড় বড় পত্রিকার সম্পাদক  সরকার বসিয়েছে। তাদের হাল চাল কর্ম সব ক্ষমতাসিন্দের  তোয়াস করা  তাদের কর্মে  প্রকাশ পায়। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে  ঘোড়ার মত হটাত উলটা লম্পপ দিয়ে সোস ফেলে দিবে। ঘোড়া বেশী দুরত্তে দেখতে পায় না তাই  দ্রুত গতিতে চলার সময় সামনে খানা খন্দক খাল বিল যখন  হঠাত  চোখে পড়ে তখন আর ব্রেক করে নিজের দেহ সাম্লাতে পারে না তাই উলটা পিছনে ডিগবাজী খায় । 

 অবস্থা এমনি হবে জনগণের জানার অধিকার কার্পেটের নীচে চেপে রাখলে  ঘোড়ারমত ডিগবাজী সরকারকে দিতে হবে । নির্লজ্জ তেল মর্দন  এমন পরিস্থিতি করবে।  সাগরিকা সিনেমায় কেদার দা  অনেক আগেই বলে গেছে তেল মারা  যার অভভাস সে চরকা পেলেই তেল মারে আপন পর দেখেনা। এরা বাতাশের গতিবিধি দেখে পাল তোলে । তেল চরকায় মারা শুরু করে। গলার সুর অনেকের পরিবর্তন হওয়া শুরু হয়েছে। 

সরকার সহি  চেস্টা করলে  কষ্ট  জনগণ  মেনে নেয়।   কিন্তু নেতা কর্মিদের লুটপাট  দলীয় দাপট মানুষের  প্রতিহিংসার ক্ষোভ তৈরি করে।  

টক শোর  উপস্থাপক অনেকে সরকারী দলের নয়া কাডারদেরমত   বাকবাকুম রবে  দলীয় প্রপাগান্ডা চালান যা শ্রুতি কটু।   

সংবাদ  মাধ্যম নেতাদেরা  নৈতিক শিক্ষার ঘাটতি কেটে উঠতে  অনুকরন করতে পারেন  অনেক  বিশ্বনন্দিত প্রবাদ পুরুষ সম্পাদকের নীতি। অনেক  প্রাতঃ   সরণীয় সম্পাদক   লোভ মোহ ভয় উপেক্ষা করে  পৃথিবিতে  অনুকরণীয় নজির তৈরি করে রেখেছে। আমেরিকার কথাই ধরুন ।  

ভিয়েতনাম  যুদ্ধ সংক্রান্ত  গোপন নথি  যা পেন্টাগন পেপারস নামে পরিচিত । ঐ গোপন নথী  প্রকাশ করার দায়ে ওয়াশিংটন পোস্টকে সুপ্রিম কোর্টে  নিয়ে যায় তৎকালিন আমেরিকার সরকার । রিপোর্ট  আলোয়  আসবে কি না  তা নিয়ে  সংবাদপত্রের সম্পাদকের মধ্যে বিতর্ক  চলে।  

দি পোস্টের   প্রবাদ প্রতিম সম্পাদক বেন ব্রাডলি ঐ নাজুক পরিস্থিতে  মেরুদণ্ড সোজা রেখে  সরকারকে  ছবক দিয়ে বলেছিলেন ,”  ওদের  ক্ষমতার লাগাম পরানোর  কাজটা তো আমাদের” আমাদের সংবিধানে গণতন্ত্রে আমাদের নিজেদের  ভুমিকা যথাযথ পালনের  ক্ষমতা  দেওয়া আছে  সংবাদ মাধ্যমকে । গন মাধ্যমের  কাজ শাসকের গুনাগুন করা আর দোষ ত্রুটি ঢেকে চলা নয়  বরং দোষ গুলি যথাযথ প্রচারের আলোতে আনা চাই, যাতে গণতন্ত্র সঠিক পথে চলে । 

  গণতন্ত্রে সংবাদ পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম , সংবাদ মাধ্যমের কাছে  প্রত্তাশাও  অনেক বেশী। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে ডাকা হয় চিহ্নিত তোসামোধকারি সুবিধাবাদীদের  । তারা মাইক্রোফোন হাতে প্রশংসায় বলে ফেলেন এত উন্নতি কি করে করলেন কি ম্যাজিক বাক্স আপনার আছে । এসব বলবে তো দলীয় নেতারা তেলমারা  সাংবাদিকের কাজ না। সংবাসদ সম্মেলন না বলে  প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা সভা বললে সঠিক হবে। কি বিপরীত নিতি দুই দেশের  সাংবাদিকদের মধ্যে। 

পছন্দমত  নেতা নির্বাচন করার সুজগ দিতে আমেরিকা মাজায় গামছা বেঁধে নেমেছে। মানব ধিকার ভটাধিকার গণতন্ত্র নামে এবার খেল তামাশা কেউ করতে পারবে না । জনতার ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে পারলে ভাল। পশ্চিমারা  আমেরিকা জাতিসংগ  গুস্রা প্রকাশ করছে । কৌশলে এদের অভিযোগ অনুযোগ সুরাহা করতে হবে দেশের স্বার্থে। এদের যত দূরে রাখা যায় ততই ভাল।   

। আমাদের সংবাদ  মাধ্যম কি সেই পথে  হাটতে  পারছে চাইলেও কি পারে ? ঠ্যাঙ ভেঙ্গে দিবে গুঙ্কির্তন  ছাড়া বেসুরা কির্তন ছাপালে। জেনে শুনে এই ঝুকি নিতে পারলেই একজন নন্দিত বেন ব্রাডলি বাংলাদেশ পাবে।    


লেখক, মেজর জিল্লুর রহমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক 

[email protected]


আরও খবর



জামালপুর-১ আসনে নৌকার হাল ধরতে চান নূর মোহাম্মদ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন জামালপুর-১। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নৌকার হাল ধরতে চান বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক নূর মোহাম্মদ। তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি। নূর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সমাজসেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। 

জানা যায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরেশোরে প্রচার প্রচারনায় নেমেছেন নৌকা প্রত্যাশী নূর মোহাম্মদ। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি। দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ দুই উপজেলাতেই প্রচারনা চালাচ্ছেন। গণসংযোগ,পথসভা এবং ব্যাপক শোডাউন করছেন জেলা আওয়ামীলীগের এই নেতা। 

সোমবার বিকালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা,পাথরেরচর,ডিগ্রিরচর,কাউনিয়ারচর এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন তিনি। গণসংযোগ কালে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন চিত্র জনগনের মাঝে তুলে ধরছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন  ধনাঢ্য ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ। 

গণসংযোগ কালে অন্যান্যের মধ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিটলার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়,সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালাল, আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুর রহমান খুদু,মনিরুজ্জামান মনির, নজরুল ইসলাম, কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান জুবায়ের হিটলার,সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ,নিলক্ষিয়া ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জাল হোসেন মিস্টার, বগারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, যুবলীগ নেতা মারুফ সিদ্দিকী,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সাইদুর রহমান লাল,সাবেক সাধারন সম্পাদক হাছানুজ্জামান সজিব,উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজন মিয়া,যুগ্ন আহবায়ক শোয়েব আল হাসান স্বজল ,কিয়ামত উল্লাহ কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান আরিফসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় বলেন,জামালপুর-১ আসন তথা দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জে জনপ্রিয় নেতা হচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ। এই আসনে তার জনপ্রিয়তার ধারের কাছেও নেই কেউ। তৃনমূল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের আশা ভরসার প্রতীক জননেতা নূর মোহাম্মদ। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নূর মোহাম্মদকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি তৃনমুলের। আমরা আশাবাদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাছাই বাছাই করে এই আসনে জনপ্রিয় মুখ নূর মোহাম্মদকে নৌকা দিয়ে আমাদের মাঝে পাঠাবেন। নৌকার পালে হাওয়া লাগাতে নূর মোহাম্মদের বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।  

এ ব্যাপারে মনোনয়ন প্রত্যাশী নূর মোহাম্মদ বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। চাওয়া পাওয়ার আশায় রাজনীতি করি না। মানুষের বিপদে আপদে সামর্থ্যনুযায়ী পাশে থাকি সব সময়। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। একাধিবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষেই মাঠে থেকেছি,দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নৌকার জয় নিশ্চিত করেছি। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই,একটাই চাওয়া নৌকার জয়,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয়। নৌকার জয় নিশ্চিত করতে ও উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আমি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে তৃনমূল আওয়ামীলীগ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নৌকার জয় নিশ্চিত করে এই আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারবো বলে মনে করি।


আরও খবর



রাজ-পরী: প্রেম, পরিণয় ও বিচ্ছেদের গল্প

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

‘গুণিন’ ছবির শুটিংয়ে নববধূ সেজেছিলেন পরীমণি। বর শরিফুল রাজ। এই নবদম্পতিকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করেছিলেন পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম। সেদিন এই নির্মাতা নিজেও হয়তো কল্পনা করেননি, তাঁর ছবির বর-বধূ বাস্তবেও গাঁটছড়া বাঁধবেন।


গিয়াসউদ্দিন সেলিম মজা করেই পরীকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কী বর পছন্দ হয়েছে?’ জবাবে পরী এক চিলতে মিষ্টি হাসি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মনের কথা। এরপর ক্যামেরার একেকটি ফ্রেমে নিজেদের বন্দি করতে গিয়ে কখন যে মন-দেওয়া নেওয়া হয়ে গেছে, সেটা রাজ-পরী নিজেরাও বুঝতে পারেননি। ছবির কলাকুশলীরা ঠিকই আন্দাজ করেছিলেন। তাই কানাঘুষাও থেমে ছিল না। কারণ একটাই, প্রেমের খবর গোপন করা কারও জন্য সহজ নয়।


২০২১ সালে শুরু হয়েছিল ‘গুণিন’ ছবির শুটিং। মাঝে কেটে গেছে একটি বছর। ততদিনে রাজ-পরীর প্রেমের খবর অনেকের জানা হয়ে গেছে। অনুরাগীরা তাই অপেক্ষায় ছিলেন পরিণয়ের ঘোষণা শোনার। অবশ্য সেই শুভ সংবাদ শোনার জন্য অবশ্য বেশিদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। গুঞ্জনের সমাপ্তি ঘটিয়ে গত বছরের ২২ জানুয়ারি রাতে পরিণয় সম্পন্ন হয় দুই তারকার। আগের দিন ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় হলুদসন্ধ্যা। বিয়ের আয়োজনও একেবারে সাদামাটা ছিল না। তাদের বিয়েতে অতিথিও হয়েছিলেন বিনোদন অঙ্গনের তারকারা। ছিলেন রাজ-পরীর প্রেমের সূত্রধর নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী, রেদওয়ান রনিসহ ক্যামেরার পেছনের মানুষগুলো।


এতকিছু যখন হয়ে গেল, তখন হঠাৎ বেরিয়ে এলো আরেক গোপন খবর। ‘গুণিন’-এর শুটিং চলাকালেই বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। সেই তারিখটা হলো ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর। বিয়ে একবার হোক বা দু’বার, পাত্র-পাত্রী তো বদলে যাননি– তাহলে আর সমস্যা কোথায়? এ প্রশ্নই ছিল অনেকের। তাই এ নিয়ে আর জলঘোলাও হয়নি। এমনকি বিয়ের বছর পূর্ণ হতে না হতেই পরীর মা হতে খবরেও চমকে যাননি অনুরাগীরা। তাদের কাছে সবই স্বাভাবিক মনে হয়েছে।


এ পর্যন্ত রাজ-পরীর প্রেমের গল্পটা বহুপঠিত সাদামাটা গল্পের মতোই। কাহিনির বাঁকবদল মূলত বিয়ের কিছুদিন পর। এমনিতেও পরীমণির জীবন কাহিনিতে নাটকীয় ঘটনার কমতি ছিল না কোনোকালেই। কখনও তা হয়ে উঠেছে রোমহর্ষক, নয়তো করুণ রসের। প্রেম কিংবা প্রবঞ্চনার ঘটনাবহুল অধ্যায়ও যোগ হয়েছে সেই কাহিনিতে। তবু পেছনের বিষাদময় সব অধ্যায় ছুড়ে ফেলে নতুন করে পরীর স্বপ্ন বুনন শুরু হয়েছিল পুত্র শামীম মুহাম্মদ রাজ্যের পৃথিবীতে আগমনে। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামীকে ঘিরে তাঁর মনে জমতে থাকে সন্দেহের মেঘ। যে কারণে বেশ কয়েকবার রাজ-পরী দু’জনই সরে গেছেন দু’দিকে। সত্যি এটাই, ক’দিন পরপর রাজ-পরী বিচ্ছেদের আভাস, একে অপরকে ছেড়ে থাকার খবরে অনেকটাই বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন তাদের ভক্ত-অনুরাগীরাও।


এবার আর কোনো আভাস নয়, পরীমণি সরাসরি জানিয়ে দিলেন, ‘গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছেন। হয়তো তা কার্যকরও হয়ে যাবে শিগগিরই।’ পরীর কথায়, ‘যার সঙ্গে শারীরিক, মানসিক সম্পর্ক নেই, যে একরকম আমাকে ছেড়ে চলেই গেছে, তাঁর সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না।’ এই যখন খবর, তখন রাজ কথা বললেন ভিন্ন সুরে। বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, ‘পরী ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছে নাকি! কই, আমি তো কিছু জানি না। এই প্রথম শুনলাম। মাত্রই ঘুম ভেঙেছে আমার, তাই এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে পারছি না। তাছাড়া কোনো কিছু ঠিকভাবে জানিও না।’


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় বাড়ী ঘর রক্ষায় ভাঙ্গা বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ)  : নওগাঁর আত্রাইয়ে নদীর বেড়িবাঁধ কাম পাকা সড়ক ভেঙ্গে এখনো লোকালয়ে পানি ঢুকছে। শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়ে আরো দুই হাজার বিঘা জমির ধান তলে গেছে।এতে কয়েকদিনে উপজেলায় প্রায় ছয় হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেছে। এদিকে মাঠের ফসল ও বাড়ী ঘর রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ কাম সড়ক সংস্কার কাজ খুব তোরজোর ভাবে শুরু করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন,আবহাওয়া ভাল থাকলে দুই/একদিনের মধ্যেই ভেঙ্গে যাওয়া সবগুলো বাঁধ সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। ফলে ফসল ও বাড়ী ঘর রক্ষা পাবে। 

আত্রাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দীন আহম্মেদ বলেন,বুধবার রাতে আত্রাই নদীর দক্ষিন পারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই উপজেলা-সিংড়া পাকা সড়কের জগদাস বটতলি এবং তার একটু অদুরে শিকারপুর নামকস্থানে পাকা সড়ক ভেঙ্গে যায়। এতে উপজেলা সদরের সাথে পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় একই নদীর উত্তর পারে কাশিয়াবাড়ী বলরামচক-সমসপাড়া বেড়িবাঁধ কাম পাকা সড়কের বলরামচক শ্মশান ঘাট এলাকায় ভেঙ্গে যায়। এতে একদিকে যেমন যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে পরেছে অন্যদিকে প্রবল বেগে পানি মাঠে প্রবেশ করায় প্রতি মূহুর্তে মুহুর্তে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে। এতে বুধবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরে এবং প্রায় চার হাজার বিঘা জমির পাকা আউশ ও রোপনকৃত আমন ধান পানিতে তলে যায়। এছাড়া শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে মাঠে পানি প্রবেশ করে মনিয়ারী,বিশা,ভোঁপাড়া,সাহাগোলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিত কুমার কুন্ডু জানান,শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে আরো এক হাজার ৯৮৭বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেছে। এর আগে প্রায় চার হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলে যায়। এতে কয়েকদিনের বন্যায় মোট পাঁচ হাজার ৬২৫ বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেলো। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে আত্রাই নদীর উপজেলার নন্দনালী বেড়িবাঁধ বাধ ভেঙ্গে যায় এবং পানির তোরে আত্রাই-বান্দাইখাড়া পাকা সড়ক ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

জগদাস গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন,ভাঙ্গা বাঁধ বাঁধতে না পারলে মাঠের ফসল রক্ষা পাবেনা। কাশিয়াবড়ী বলরামচক চৌধুরী পাড়ার ওয়াশিম কুমার সরকার বলেন,বাঁধ ভেঙ্গে তার ১৯বিঘা জমির ধান পানিতে তলে গেছে। তিনি বলেন,বাঁধ সংস্কারের মাধ্যমে পানি আটকানো না গেলে আরো হাজার হাজার বিঘা জমির ধান তলে যাবে। এছাড়া বহু ঘরবাড়ী নষ্ট হয়ে যাবে।তাই যত দ্রæত বাঁধ সংস্কার করে পানি আটকানো যাবে তত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন,মাঠে যদি  পানি নতুন করে না ঢোকে এবং দ্রæত জমি থেকে পানি নেমে যায় তাহলে ডুবে যাওয়া ধান অনেকটায় স্বাভাবিক হতে পারে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ্যদের সরকারীভাবে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত আছে। আমরা সবার প্রতি সার্বিকভাবে খোঁজ খবর রাখছি। প্রয়োজনে আরো সহায়তা করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল বলেন,শুক্রবার থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। মাঠের ফসল রক্ষায় প্রতিটি ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের সংস্কার কাজ খুব তোরজোর ভাবেই শুরু করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি এবং সেচ্ছাসেবকরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে দুই/এক দিনের মধ্যেই সংস্কার কাজ শেষ হতে পারে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



আইনত বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই খালেদা জিয়ার

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে তার পরিবারের করা আবেদনের ব্যাপারে আজই আনুষ্ঠানিকভাবে মতামত জানাবে আইন মন্ত্রণালয়। তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটাই আইনের কথা। আইনগতভাবে খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগ নেই।

১ অক্টোবর দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আজই মন্ত্রণালয়ে গিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে কি না, এ বিষয়ে ফাইল দেখে মতামত দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মতামত দিয়েছেন তাই আইনের অবস্থান এবং সেটাই সঠিক। আইনগতভাবে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এ বিষয়ে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দুই দলের নেতাদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। গুঞ্জন রয়েছে, সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে পারে। গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, শর্তসাপেক্ষে বিদেশে যেতে দিতে চায় সরকার। তবে খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে বিদেশে যেতে রাজি নন।

বিএনপি নেত্রীর বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তিনি জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হলে তাকে আবার জেলে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন নেতাও একাধিকবার এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।

 


আরও খবর

শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩