Logo
শিরোনাম

বিভক্তি’ নিয়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাকিস্তানে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে পাকিস্তান ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু ভোটাররা জানান, পাকিস্তানের মানুষ এতটাই বিভক্ত যে তারা নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করছে। আমনা নামের লাহোরের এক শিক্ষার্থী বিবিসিকে বলেন, যখন পাকিস্তানের রাজনীতির বিষয় আসে, কারোরই স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার নাই। 

এ ছাড়া রাজনীতি এখন এতটাই মেরুকরণ হয়ে গেছে যে এ নিয়ে মতানৈক্যের ঘটনায় নিজের সন্তান আতা উর রেহমানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বাবার বিরুদ্ধে।

আতার ভাই আরিফ বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাঁর পুরো পরিবার শোকাহত। তাঁর ভাই কাতারে চাকরি করতেন। ছুটিতে এসে পেশোয়ারে বাবার সঙ্গে থাকছিলেন। আতা বাড়ির ছাদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআইয়) পতাকা টাঙাতে চাইলে দুজনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। যদিও তাঁর বাবা কোনো রাজনৈতিক দল সমর্থন করেন না, তিনি এটি পছন্দও করেন না।

 

২০২২ সালে বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা ভোটে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এখন তিনি দুর্নীতি ও গোপন নথি ফাঁসের অপরাধে কারাভোগ করছেন। তাঁর নির্বাচনে অংশগ্রহণের ওপরও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

আরিফ জানান, উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডার পর তাঁর বাবা আতাকে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ আতার মৃত্যু নিশ্চিত করেছে।

যদিও এটি একটি বিরল ঘটনা, তবে অনেক লোকজন বলেছে, নির্বাচনের সময় তারা পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে।

ইমরান খানের অন্ধ সমর্থক নিদা জিশান বলেন, আমার বোন ও আমি বাবার সঙ্গে তিন মাস কথা বলিনি।

ইমরান খানেকে জেতানোর জন্য নিদা ও তাঁর বোন ২০১৮ সালের নির্বাচনে পিটিআইকে ভোট দিয়েছিলেন।

কিন্তু এটি তাঁদের পরিবারে বিভক্তি সৃষ্টি করে। নিদা বলেন, আমার বাবা খানের নির্বাচনি ইশতেহারের সঙ্গে একমত নন এবং তাঁর মতে খান ভালো রাজনীতিবিদ নন।

 

অন্য যেসব তরুণের সঙ্গে বিবিসির প্রতিবেদক কথা বলেছেন, তাঁদের মতো নিজের মত প্রকাশে ভীত ছিলেন না নিদা। তিনি বলেন, আমি আমার বাবার সঙ্গে দ্বিমত করে বলতাম, আমি খানকে ও তাঁর ব্যক্তিত্বকে ভালোবাসি। আমি তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার পছন্দ করেছিলাম।

২০২৪ সালের নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে জানিয়ে নিদা বলেন, কেউ যদি তাঁর সঙ্গে দ্বিমত করে, তাহলে তিনি তাঁদের সঙ্গে দেখা করা বন্ধ করে দেবেন, নয়তো সে আলাপ ঝগড়া পর্যন্ত গড়াবে।

একমত না হলেও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা তাঁর মতামতকে শ্রদ্ধা করেন বলে জানিয়ে নিদা বলেন, আমার বন্ধুর স্বামী অন্য দল থেকে এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি খুব ভালো করেই জানেন, আমি তাঁকে ভোট দেব না, তাই তিনি আমার কাছে সমর্থন চাননি।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এনআইডির তথ্য ফাঁসে জড়িত পাঁচ প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তথ্যে ফাঁসের অভিযোগ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনআইডি তথ্য পাচারের অভিযোগে সেবা গ্রহণকারী অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। এটি ইচ্ছেকৃত কি না, তার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার সকালে রাজধানীল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা জানান তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিবি) থেকে নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় সারা দেশে। সেই সময় প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়ালেও পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নাসির উদ্দিন কমিশন।

নিবন্ধনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের চুক্তি লঙ্ঘন করার বিষয় প্রমাণ হলে ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। বিসিসির পর এবার পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পেল ইসি।

অভিযুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো— স্বাস্থ্য অধিদফতর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।

জানা যায়, ১৮২টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে তথ্য যাচাই করে থাকে। কোন প্রতিষ্ঠানের কতটুকু তথ্য প্রয়োজন, যতটুকু নিচ্ছে তা বেশি নিচ্ছে কি না তিন দিনব্যাপী এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান থেকে তা পর্যালোচনা করা হবে অংশীজনদের সঙ্গে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




কুবিতে ‘ইউর ক্যাম্পাস’-এর সেবা চালু; স্বয়ংক্রিয় লন্ড্রি সেবা দিয়ে যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রা সহজ ও সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রশাসন এবং ‘ইউর ক্যাম্পাস’-এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রথমে স্বয়ংক্রিয় লন্ড্রি সেবা চালু করা হবে এবং পরবর্তী পর্যায়ে অন্যান্য সেবা চালু করা হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রশাসনের সঙ্গে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। 

‘ইউর ক্যাম্পাস’ একটি উদ্ভাবনী স্টার্টআপ, যা শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে প্রযুক্তি-নির্ভর সেবা প্রদান করে। তাদের সেবার মধ্যে রয়েছে ইউর লন্ড্রি (ওয়াশিং মেশিন), ইউর শপ (ভেন্ডিং মেশিন), ইউর অফারস্ (ই- কমার্স) এবং সেইভ ইউর প্ল্যানেট (স্মার্ট বিন)।

চুক্তি অনুযায়ী, ‘ইউর লন্ড্রি’ সেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বল্প খরচে আধুনিক এবং স্বয়ংক্রিয় মেশিন ব্যবহার করে তাদের পোশাক ধোয়ার সুবিধা পাবেন। প্রতিবার ৩০-৫০ টাকায় ১৫-২০টি কাপড় পরিষ্কার করার সুযোগ থাকবে। সেই সাথে থাকবে স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি ই- কমার্স সাইট স্ন্যাকস ও বেভারেজের জন্য ভেন্ডিং মেশিন ইত্যাদি।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক মোঃ জিয়া উদ্দিন, বিজয় ২৪ হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান, কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক মোঃ হারুন, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া আফরিন সানি এবং ‘ইউর ক্যাম্পাস’ এর কো-ফাউন্ডার ও সিআরও মোঃ ইসতিয়াক উদ্দিন। এসময় সুনীতি শান্তি হলের পক্ষে স্বাক্ষর করেন নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রভোস্ট।

এ বিষয়ে প্রভোস্ট কমিটির আহবায়ক সহযোগী অধ্যাপক মোঃ জিয়া উদ্দিন বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের স্বতন্ত্র চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত হওয়ায়, নগর জীবনের সাধারণ সুবিধাগুলো শিক্ষার্থীরা তত দ্রুত উপভোগ করতে পারে না। শিক্ষার্থীদের এই সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে আমরা প্রভোস্ট কমিটির একটি মিটিংয়ে আলোচনা করে ‘ইউর ক্যাম্পাস’ নামক অর্গানাইজেশনের কার্যক্রম পর্যালোচনা করেছি এবং তাদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।”


তিনি আরও বলেন, “এই চুক্তির আওতায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হল ও একটি ডরমিটরিতে ওয়াশিং মেশিন, ভেন্ডিং মেশিনসহ ‘ইউর ক্যাম্পাস’ এর অন্যান্য সেবা সরবরাহ করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দুই ধরনের সুফল পাচ্ছে—একদিকে নতুন প্রযুক্তির সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, অন্যদিকে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলো সহজেই উপভোগ করছে।”

‘ইউর ক্যাম্পাস’-এর সিআরও মোঃ ইসতিয়াক উদ্দিন বলেন, “আমরা সবাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পেরেছি শিক্ষার্থীদের হলে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমরা "ইউর ক্যাম্পাস" উদ্যোগটি শুরু করি। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের বেসিক প্রয়োজনগুলোর সমাধান করা। তাই আমরা ভেন্ডিং মেশিন (ইউর শপ), ওয়াশিং মেশিন সার্ভিস (ইউর লন্ড্রি), ই-কমার্স, লকার সার্ভিস, এবং স্মার্ট বিনের মতো শিক্ষার্থী বান্ধব সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছি।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে, আমরা ইতিমধ্যে ২৬টি ক্যাম্পাসে পৌঁছে গেছি এবং আমাদের রেজিস্টার্ড অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭৬ হাজারের বেশি। তবে এখানেই থেমে নেই। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবর্তনে বিশ্বাসী এবং তাদের প্রতি দায়বদ্ধ। শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য আমরা সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

‘ইউর ক্যাম্পাস’ এর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এম্বাসেডর রুহিত পাল বলেন, “যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যাই তখন সর্বপ্রথম ‘ইউর ক্যাম্পাস’ এর সার্ভিসগুলো সম্পর্কে জানতে পারি। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল নিজের ক্যাম্পাসে এরকম প্রযুক্তি নির্ভর সুযোগ-সুবিধা সমূহ নিয়ে আসার। অনেক প্রচেষ্টার পর অবশেষে ‘ইউর ক্যাম্পাস’ এর সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”

আগামী মার্চ মাসের মাঝের দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইউর লন্ড্রি’ সেবাটি চালু হবে। ভবিষ্যতে ইউর শপ, ‘ইউর অফারস, লকার সার্ভিস এবং সেইভ ইউর প্ল্যানেট সেবাগুলোও পর্যায়ক্রমে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘ইউর ক্যাম্পাস’ বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের ২৬ টি ক্যাম্পাসে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


আরও খবর



জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির জন্য জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে নতুন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ধাবিত হচ্ছে অভিযোগ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, গঠনের পর থেকে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টারা। সরকারের মধ্যে পরিবর্তন এনে রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচন ডিসেম্বরে বা জুনে যখনই হউক; জাতীয় সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যে রাজনৈতিক দল জাতীয় সরকারে যাবে না, জনগণই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ আগস্টের পরেই জাতীয় বা সর্বদলীয় সরকার গঠন জরুরি ছিল। কিন্তু সেটা করা হয় নাই। অন্তবর্তীকালীন সরকার নাম দিয়েই সরকারকে দুর্বল করা হয়েছে। এখন সরকার ও রাজনৈতিক দল মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে। এখন এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তবে এই বিভাজনই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিবে।

আওয়ামী লীগকে নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি সুযোগ পায়, তাহলে কিন্তু কাউকে ছাড়বে না। আওয়ামী লীগকে কামব্যাক করানোর জন্য ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল অনেক এজেন্ট কাজ করবে, ফান্ড দেবে। কাজেই ছাত্রসহ সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করুন এবং করতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে কোনো ছাত্রকে আমরা শক্ত অবস্থানে দেখছি না। এ বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালানোর দরকার ছিল। কিন্তু বুঝতে পারছি না, তারা কেনো আওয়ামী লীগের প্রশ্নে একটা সুবিধাবাদী অবস্থায় আছে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রেখে নুর বলেন, নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা খরচ করে। তারা ধান্দা করার জন্যই টাকা খরচ করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংস্কারে যারা কাজ করছেন, তারা কালো টাকা আর পেশিশক্তি ব্যবহার বন্ধে কি কাজ করেছেন আমাদের সেটা জানা নাই। নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে নূন্যতম একটি শর্ত রাখতে হবে। আর নির্বাচন কমিশনকেই প্রার্থীর পোস্টারসহ নূন্যতম খরচ দিতে হবে। এ সময় তিনি উপদেষ্টাদের ভূমিদস্যু এবং লুটেরা দুইটি গ্রুপের বৈঠকের অভিযোগ তোলেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, কেন উপদেষ্টারা বিএনপিকে বলছে, তারা কি ১/১১ চায়? বিএনপি তো ১/১১ এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। বরং শোনা যাচ্ছে এই সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার আশপাশে এক-এগারোর কুশীলবরা ঘোরাফেরা করছে। বরং মানুষের মনে উদ্বেগ যে, এ সরকার ব্যর্থ হয়ে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টি করে কি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারকে বলবো, ব্যর্থ হবেন না। সব রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে নিয়ে বসুন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করার ফলাফল ভাল হবে না।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সরকার গত সাড়ে ৫ মাসে সফলতার মুখ দেখতে পারেনি। বরং পদে পদে ব্যর্থ হয়েছে। এখনো কেনো শেখ পরিবার, আওয়ামী হাইকমান্ড ও তৃণমূল থেকে আওয়ামী পান্ডাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না? কেনো শহীদ পরিবার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না; শহীদ ও আহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না? কেনো নিত্যপণ্যের দাম না কমিয়ে, ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো হলো? সরকারের এসব ব্যর্থতা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে উপদেষ্টারা।

এসময় পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য আবু হানিফ, অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ।


আরও খবর



১০ লাখ টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করবে সরকার। তবে বোরোর ফলন কম-বেশির ওপর আমদানি নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চালের দামে অস্থিরতা কমেছে দাবি করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাজারে চাল ও গমের মজুত পরিস্থিতি ভালো। এরপরও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে খাদ্য মজুত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তাহলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি।

১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুত রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ৮ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাল, আর গম ৩ লাখ ৪১ হাজার টন। এরপরও চাল ও গম মিলিয়ে ১০ লাখ টন আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে গম ৩ লাখ টন, যা রাশিয়া ও ভারত থেকে আমদানি হবে। এ ছাড়া ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকেও আমদানি করা হচ্ছে।

চালের দাম এখন কেজিপ্রতি ৬০ টাকার মতো, দাম আগের চেয়ে ক্রমান্বয়ে কমছে বলে দাবি আলী ইমাম মজুমদারের। তিনি বলেন, মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দাম কমানোর চেষ্টা করা হবে। এখন চালের যে দাম, তা আরও কমানো যেতে পারে বলে মনে করেন খাদ্য উপদেষ্টা।

এর আগে ১৬ জানুয়ারি সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার টন আতপ চাল জিটুজি পদ্ধতিতে পাকিস্তান থেকে আমদানির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান চাল সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে দুদেশ আলাপের মাধ্যমে প্রতি টন চাল ৪৯৯ ডলার নির্ধারণ করা হয়।

একই উদ্দেশ্যে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ছয়টি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতি টন ৪৫৪ দশমিক ১৪ ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ডলার সমপরিমাণ ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও চাল আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর আওতায় ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




গানে ফিরছেন সাবিনা ইয়াসমিন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শারীরিকভাবে এখন অনেকটাই সুস্থ কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। আর তাই ফিরছেন গানে।

আগামী ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুটি বড় অনুষ্ঠানে গাইবেন এই সংগীতশিল্পী। এরপর যাবেন চট্টগ্রামেও। সেখানের একটি স্টেজ শোতে অংশ নেবেন তিনি। এমনটাই জানালেন কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে গানে ফিরছি। আমি তো গানের মানুষ। ছয় দশক গানে গানে কাটছে। গান ছাড়া তো আর কিছু ভাবতে পারি না। এখানেই যত আনন্দ। সেই আনন্দের জায়গায় ফিরছি, খুবই ভালো লাগছে।’

তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যেই কয়েকজন সংগীত পরিচালকের সঙ্গে নতুন গান নিয়ে কথা বলেছেন। স্টেজ শোর ফাঁকেই নতুন গানগুলোর রেকর্ডিং করবেন। স্টেজ শোর প্রস্তুতি হিসেবে ২৬, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি তিন দিন যন্ত্রশিল্পীদের নিয়ে মহড়ায় অংশ নেবেন তিনি।


আরও খবর

আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫