Logo
শিরোনাম

ব্রতচারী চর্চা দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির অংশ...দীপু মনি

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

জ্ঞান, শ্রম, সত্য, ঐক্য আর আনন্দ—এই পঞ্চব্রত নিয়ে ব্রতচারীদের কাজ। ব্রতচারী শুধু নৃত্যগীতের চর্চা করে না, শ্রমসাধ্য কাজে যুক্ত হয়ে সমাজসেবায়ও নিয়োজিত হয়। সংস্কৃতিচর্চার সংকুচিত এই সময়ে ব্রতচারী চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম।

শনিবার ধানমণ্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন মিলনায়তনে ‘ব্রতচারী’ বাংলাদেশ-এর জাতীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন আলোচকেরা।

সম্মেলনে সাংগঠনিক পর্ব শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ব্রতচারীর প্রতিষ্ঠাতা গুরুসদয় দত্ত প্রবর্তিত নৃত্যগীত সহযোগে ব্রতচারী প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হয়।

সন্ধ্যার এই অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ব্রতচারী আন্দোলন ও চর্চা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপরই রেকর্ড করা ভিডিও বক্তব্যে ব্রতচারীর সভাপতি সন্জীদা খাতুন বলেন, গুরুসদয় দত্তের ব্রতচারী আন্দোলন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐক্যের ভেতর দিয়ে মানুষ হতে বলে। শাশ্বত বাঙালি হয়ে বাঁচার উপায় শিখিয়ে গেছেন তিনি।


ব্রতচারী চর্চার মধ্য দিয়ে যেন দেশের মানুষ সুগঠিত, সংগঠিত ও বাঙালি হতে পারে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সন্জীদা খাতুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ব্রতচারী চর্চা এ দেশের নিজস্ব মাটির ও সংস্কৃতির অংশ। শুধু শিক্ষানীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা নয়; প্রাত্যহিক জীবনে এর চর্চা করা উচিত। নতুন শিক্ষাক্রমে আনন্দের মধ্য দিয়ে শিক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

দীপু মনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া জরুরী বাংলার নৃত্যগীত, লোকসঙ্গীত, লোকগাথা, ছড়া, লোকখেলা সহযোগে। নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে শিকড়ের সাথে বন্ধন দৃঢ় হলেই একজন শিক্ষার্থী বিশ্বমানব হয়ে উঠতে পারে। মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন উদারমনস্ক বিশ্বমানব হয়ে ওঠার জন্য ব্রতচারীর বিকল্প নেই।


অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, সারা দেশ ব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্রতচারী কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালু করা যায়নি। অনতিবিলম্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর পরামর্শে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে ব্রতচারীর চর্চা জাতীয় শিক্ষানীতি ও পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করেছে। অনুষ্ঠানে জাতীয় পাঠ্যক্রমে ব্রতচারীর অন্তর্ভুক্তিকে আরো গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর করার বিষয়েও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি'র সাথে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং ব্রতচারীর পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।


আরও খবর



প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে জাটকা নিধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নদীর অভয়াশ্রম এলাকা মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স, জনপ্রতিনিধি, জেলে নেতা ও জেলেদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছেন জেলা প্রশাসক ও মৎস্য অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসন।

এছাড়া নদী উপকূলীয় জেলেপাড়া ও মৎস্য আড়তগুলোতে জাটকা না ধরার জন্য সচেতনতামূলক সভা, লিফলেট বিতরণ ও ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার। মাছ ধরা বন্ধে নদীর সীমানায় বসানো হয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা টাস্কফোর্স এবং কোস্টগার্ডের ক্যাম্প। তবে এতেও থামছে না জাটকা নিধন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে জাটকা মাছ নিধন। বিষয়টি শিকারও করেছেন জেলে ও মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরা। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলেছেন, অপপ্রচার চালাচ্ছেন জেলে ও আড়তদাররা।

দিনের আলোয় নদীতে মাছ ধরার দৃশ্য তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেলেও রাতের আঁধারে সরকার ঘোষিত অভয়াশ্রম থাকছে মৎস্য শিকারি জেলেদের দখলে। ভোরের আলোয় মেঘনা নদীর তীরে সারি সারি নৌকায় ভর্তি ভেজা জাল লক্ষ্য করা গেছে।

মেঘনা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক জেলে নৌকায় ভেজা জাল পরিষ্কার করছেন। দূরে কিছু নৌকা তখনও মাছ ধরায় ব্যস্ত। কিছু নৌকা থেকে পাইকাররা মাছ উঠাচ্ছেন বাজারে বিক্রির জন্য।

উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের মালোপাড়া-সংলগ্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। দুপুরে আমিরাবাদ মৎস্য আড়তে গিয়ে একই চিত্র দেখার মেলে। আড়তে অসংখ্য পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতার কোলাহল। মাছ বেচাকেনার দামদরের কাজে ব্যস্ত সবাই। খানিকটা দূরে অপেক্ষমাণ কয়েকটি পিকআপ ভ্যান। সেসব ভ্যানে করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাবে জাটকা ইলিশ।

মতলব উত্তরের জেলে ইসমাইল, মালেক বেপারী, আরশাদ প্রধান, রমিজ ছৈয়ালসহ একাধিক জেলে জানান, তারা মৎস্য অফিসে ইমান আলীর মাধ্যমে টোকেন নিয়েছেন। এ টোকেন দিয়ে তারা নদীতে মাছ ধরেন। টোকেন ছাড়া নদীতে মাছ ধরতে নামলে প্রশাসন তাদের জেল-জরিমানা করে।

উপজেলার ষাটনল এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা ফুলচান বর্মনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, জেলেদের পর্যাপ্ত সুবিধা ও বিকল্প কর্মসংস্থান দিতে না পারলে সরকারের উদ্দেশে বাস্তবায়ন হবে না।

উপজেলার এখলাসপুর, আমিরাবাদ, বাবুবাজার ও কালিরবাজার আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরা বলেন, মাছ না ধরলে মানুষ না খেয়ে মরবে। জেলেরা আছে খুবই অভাব অনটনে। জাল দিয়ে মাছ ধরে চলে তাদের সংসার। তাই আমরা সবকিছু ম্যানেজ করেই বাজার চালিয়ে যাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে ইমান আলী বলেন, টাকা নিয়ে টোকেন দেওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত জেলেদেরকে তাদের মতো করে নদীতে নামায় আড়তদাররা।

রাতে মেঘনা নদী জেলেদের দখলে থাকে আপনারা কি রাতে অভিযান করেন এমন প্রশ্নের জবাবে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, ফোর্স কম। তাই রাতে অভিযান পরিচালনা করতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।

মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, আমরা নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যারা আইন অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। জেলেদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের নামে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা সঠিক নয়।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে মৎস্য বিভাগকে আরো আন্তরিক হতে হবে।


আরও খবর



হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর শুক্রবার সারাদিন বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন লাগায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, আগুনের ফিলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শতাধিক ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

হিথ্রো কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগুনের কারণে বিমানবন্দরে ‘উল্লেখযোগ্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট’ চলছে। আমাদের যাত্রী এবং সহকর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য, হিথ্রো বিমানবন্দর ২১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের এই সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

হিথ্রো কর্তৃপক্ষ বলেছে, আরও তথ্যের জন্য যাত্রীদের বিমান সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা উচিত। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। উল্লেখ্য, হিথ্রো যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিমানবন্দর, যেখানে প্রতিদিন প্রায় ১,৩০০ বিমান ওঠানামা করে। গত বছর রেকর্ড ৮৩.৯ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দরের টার্মিনাল দিয়ে ভ্রমণ করেছেন।


আরও খবর



সংস্কার সংস্কারের মতো, নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার আর নির্বাচন আলাদা জিনিস নয়। সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে। নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে। এ ছাড়া সংস্কার প্রস্তাব যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই বিএনপি মতামত দিয়েছে বলেও জানান তিনি। ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

প্রধান উপদেষ্টার সদ্য সমাপ্ত চীন সফর প্রসঙ্গ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে চীন একতরফাভাবে একটা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। তবে এখন তারা চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন করে সব দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে। চীন বাংলাদেশে উৎপাদনে ও উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটা দেশের জন্য আশাবাদের কথা। ’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে বিষয়ে মতের ঐক্য হবে, সেগুলো মেনেই নির্বাচন হবে। যারাই নির্বাচিত হবে, সে-ই সংস্কার করবে’।

পরে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদ হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঈদুল ফিতরের নয়দিনের ছুটিতে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে এবার রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন না অনেকে। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করলেও বাস টার্মিনালে যাত্রীচাপ কম দেখা গেছে। তবে ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছে।

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির হিসাব অনুযায়ী, এবার ঈদে বৃহত্তর ঢাকা থেকে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ সড়কপথে এবং বাকি ৪০ শতাংশ নৌ ও রেলপথে যাতায়াত করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে যাত্রীচাপ অনেক কম। বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ভিড় নেই, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহনও দেখা যায়নি। তবে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, প্রতি ঈদের আগের চারদিনে গড়ে ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ে। কিন্তু এবার সে চিত্র ভিন্ন। শ্যামলী, কল্যাণপুর ও মহাখালী বাস কাউন্টারে যাত্রীদের উপস্থিতি কম। কল্যাণপুরে শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার নাসিম জানান, এবার যাত্রীর চাপ নেই। সড়কের অবস্থাও ভালো, গাড়ি সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভিড় ছাড়াই মানুষ যেতে পারছে।

অনেকে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ঢাকা ছাড়তে চাইছেন না। গাবতলী বাস টার্মিনালে আবুল বাশার নামে এক যাত্রী জানান, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুরবস্থার কারণে ফাঁকা বাসা রেখে গেলে ফিরে কিছু পাওয়া যাবে না। তাই স্ত্রী-সন্তানদের ঢাকায় রেখে একাই রংপুর যাচ্ছি। একইভাবে, মোশাররফ হোসেন নামে এক বেসরকারি কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। পাশের বাসায় চুরি হয়েছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ার পরিস্থিতি নেই।

ডিএমপি জানিয়েছে, ঈদের সময় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের বাজারে কড়া নজরদারি থাকবে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, থানা-পুলিশ, পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ মিলে ১৫ হাজার পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। আবাসিক এলাকায় টহল বাড়ানো হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হবে।

 


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




৩৬ টাকায় ধান, ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

গতবারের তুলনায় কেজি প্রতি চার টাকা করে বাড়িয়ে এবারের বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। নির্ধারণ করা হয়েছে গমের দামও। ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে চলতি বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ নিয়ে ব্রিফকালে খাদ্য ও ভূ‌মি উপ‌দেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এই তথ্য জানান। উপদেষ্টা বলেন, গতবারের তুলনায় কেজি প্রতি ৪ টাকা বেশিতে ধান ও সিদ্ধ চাল কেনা হবে।

তিনি বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ৩৬ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান কেনা হবে। আর ৪৯ টাকা কেজি দরে কেনা হবে ১৪ লাখ টন সেদ্ধ চাল।

এছাড়া সরকার ৩৬ টাকা কেজি দরে গম কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। গতবার বোরো মৌসুমে ৩২ টাকা কেজি দরে ধান ও ৪৫ টাকা কেজি দরে চাল কিনেছিল সরকার।


আরও খবর