Logo
শিরোনাম

বুধবার থেকে অফিস সকাল ৮টা-বিকেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

জ্বালানি সাশ্রয়ে বুধবার থেকে অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ‌্য জানান।

এর আগে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে যোগ দেন।

সচিব বলেন, আগামী ২৪ আগস্ট থেকে দেশের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করা হয়েছে। ব‌্যাংক খোলা থাকবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এছাড়া, সপ্তাহে ২ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের খাউলিয়ায় মারপিটে দিনমজুরের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ছেলে রাসেল মুন্সী বাদি হয়ে মো. কালাম গাজী, কবির হাওলাদারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৭, তারিখ-২৫.৪.২০২৪।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর নূর ইসলাম মুন্সী প্রতিবেশী মো. কালাম গাজী ও মোঃ কবির হাওলাদারের সাথে বসতবাড়ির ৪০ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে এর জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে বসতবাড়ির জমি দখলে বাধা দিলে হামলা মারপিটের গুরুত্বর আহত হয় দিনমজুর।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কতাব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকাকালিন অবস্থায় (২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার) দুপুরে নূর ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু হয়।

   বৃহস্পতিবার বিকেলে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ এজাহার নামীয় ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিরা হলেন, নিহতের বড় ভাই রহমান মুন্সি (৬৫) ছোট ভাই মোঃ দীন ইসলাম মুন্সী (৫০), ভাইজি কোকেলা বেগম (৪৮)। চাচাতো ভাই বেলায়েত মুন্সী (৬৫)। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। ওই দিনমজুরের ২ ছেলে ও  ৪ মেয়ে স্ত্রী রয়েছে।  

দিনমজুরের ছেলে মো. রাসেল মুন্সী, প্রতিবন্ধী বোন জনতা বেগম বলেন, আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের ফাঁসি চাই তা হলে আমার পিতার আত্মার শান্তি পাবে।  

   এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই জয়ন্ত কুমার বলেন, দিনমজুর নিহতের ঘটনায় ৪ জন আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



তীব্র তাবদাহে নওগাঁয় হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তীব্র তাবদাহে নওগাঁয় জনজীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে। বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে চেয়ে আছে প্রাণীকুল। ঘর থেকে বাহিরে বেরোনো অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মানুষের। কিন্তু তারপরও জীবিকার তাগিদে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষজন। 

গত কয়েক দিন থেকে নওগাঁ জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ঘরে। প্রচন্ড গরমে আক্রান্ত হচ্ছে, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরে। যার বেশির ভাগ বয়স্ক ও শিশু। হঠাৎ করে হাসপাতালে রোগীর ভীড় বাড়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, এক সপ্তাহে অন্তত ৩শ' রোগী ভর্তি হয়েছে। যার বেশির ভাগই বয়স্ক ও শিশু। আক্রান্ত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরে। হাসপাতালের ৫ম তলায় শিশু ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা ১৫টি হলেও সেখানে ভর্তি রয়েছে ৫৬ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ২৬ জন। তবে হাসপাতালে থেকে বাড়তি রোগীদের জন্য অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার অধিকাংশ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী।

নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিস এর তথ্যমতে, গত ৭ দিনে জেলার ১১টি উপজেলায় ডায়রিয়া চিকিৎসা নিয়েছে অন্তত ৭শ' ৯৮ জন এবং কলেরা (এআরআই) ২৪ জন। নওগাঁ জেলার বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোনিম্ন ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

প্রচন্ড তাবদাহে কর্মজীবি মানুষদের কষ্ট বেড়েছে। হাপিয়ে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষ। কর্মজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। রোদ থেকে বাঁচতে কেউ ছাতা ও কালো চমশা ব্যবহার করছেন।চিকিৎসকের পক্ষ থেকে প্রচন্ড গরমে ঘরের বাহিরের না যাওয়া, বিশুদ্ধ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার বরুনকান্দি গ্রামের গৃহবধু আয়েশা বলেন, বাচ্চার বয়স ৮ মাস। প্রচন্ড গরমে বাচ্চা কয়েক বার পাতলা পায়খানা করে। এরপর রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের বারান্দায় বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাচ্চা কিছুটা সুস্থতা বোধ করছে। তবে হাসপাতাল থেকে ঔষধ পাওয়া গেলে একটু ভাল হতো। হাসপাতলে প্রচুর রোগীর চাপ।

জেলার মান্দা উপজেলা থেকে আসা নুরুল ইসলাম বলেন, বাচ্চার বয়স এক বছর। হঠাৎ করেই বাচ্চা অসুস্থ হয়ে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু করলে স্থানীয় চিকিৎককে দেখানো হয়। পরবর্তীতে তার পরামর্শে হাসপাতালে গত রাতে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে খাওয়ার স্যালাইন দেয়া হয়েছে। তবে কলেরা স্যালাইন সহ অন্যান্য ঔষধ প্রায় ৫শ টাকা বাহির থেকে কিনতে হয়েছে। বাচ্চা এখন কিছুটা সুস্থ।

শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টার্ফ নাস সিমা খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই রোগীর চাপ। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগী। আমরা ৯ জন স্টার্ফ। পর্যায়ক্রমে ডিউটি করতে হচ্ছ। হঠাৎ রোগীর চাপ সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদেরকে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে যেসব ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে তা রোগীদের দেয়া হচ্ছে।

নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধূরী বলেন, রজমানে রোজায় ভাজা পোড়া সহ অনিয়মত খাওয়া এবং প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষের শরীরে একটা প্রভাব পড়েছে। এতে করে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বর হচ্ছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত ঔষধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রচন্ড গরমে প্রয়োজন ছাড়া রোদে বা ঘরের বাহিরে না যাওয়া। বাহিরের খাবার না খাওয়া। বিশুদ্ধ পানি খাওয়া ও বেশি করে তরল জাতীয় খাবারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে ১৯তম বিভাগ হিসেবে যন্ত্রকৌশল বিভাগটির যাত্রা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী মাভাবিপ্রবিতে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে।

৭ বছর মেয়াদি অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্ট প্রজেক্টে বাংলাদেশের মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব সম্প্রসারন, আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কাজ করে চলেছে। মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধীনে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অর্থায়ন করছে।

বিভাগটিতে দক্ষিণ কোরিয়ান অর্থায়নে ল্যাব উন্নয়নে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি যন্ত্রপাতি, ল্যাব সরঞ্জাম ও পুস্তক ক্রয় করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে দৃশ্যমান।

বিভাগটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যন্ত্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার সুপারভাইজার ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হ্যাং মুক চো। ২০১৬ সালে অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ ও তৎকালীন উপাচার্যের সাথে অধ্যাপক ড. হ্যাং মুক চো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ও বাংলাদেশের মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ও অটোমেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলার প্রস্তাবনা প্রদান করেন। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বরে মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। পরবর্তীতে প্রিলিমিনারি টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (পিট্যাপ) ক্রমান্বয়ে ইউজিসি, শিক্ষামন্ত্রণালয়, অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনামন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দেন।

মাভাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের জন্য একটি বড় অর্জন।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অংশ হিসেবে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডাস্ট্রির একটি সম্মিলিত যোগাযোগ নেটওয়ার্কের কনসেপ্ট বাস্তবায়নে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



নেত্রকোনায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় বৃষ্টি চেয়ে নেত্রকোনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে জেলার পৌর শহরের ঐতিহাতিক মোক্তারপাড়া ঈদ গা মাঠে এ নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এই নামাজের আয়োজন করেন সর্বস্তরের স্থানীয় মুসল্লিরা। এ সময় বিশেষ এই নামাজ আদায় করতে জড়ো হন বিভিন্ন এলাকার তিন শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

নামাজের ইমামতি করেন মুফতি তাহের কাছেমি। পরে তিনি আরবিতে খুতবা দেন এবং খুতবা শেষে দোয়া করেন। দোয়ার মধ্যে তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করেন। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়।

নামাজ আদায় শেষে আলহুদা মডেল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আহমুদ বিন আব্দুল খালেক বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।

এছাড়া উপস্থিত স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, ইসতিসকার নামাজ আমাদের বিশ্ব নবীর সুন্নত। তীব্র গরমে বৃষ্টির আশায় আমরা নেত্রকোনাবাসী বিশ্ব নবীর সুন্নত দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। এই নামাজে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চারাও এসে উপস্থিত হয়েছে। সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে যেন সারা দেশে আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি হয়। যে বৃষ্টি মানুষ পশুপাখি গাছপালাসহ সকলের জন্য উপকার হবে। 


আরও খবর



সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ):

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের বিরুদ্ধে মাসুদ নামে এক যুবককে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভুক্তভোগী মাসুদ মিয়ার মা বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সহ চার জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে রাহিমা বেগম উল্লেখ করেন, তিনি উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামের বাসিন্দা। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের নির্দেশে ফারুক হোসেন, গাজী আরমান ও গাজী শাখাওয়াত সহ ৮/১০ জনের একটি বাহিনী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মামরকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল দায়ানের ছেলে মাসুদ মিয়াকে বাড়ী থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নির্যাতন চালায়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে  থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করলে পরে মাসুদ মিয়াকে ছেড়ে দেন। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার মুঠোফোনে বলেন, মাসুদ একজন মাদক সেবী তাই তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য লোকজন দিয়ে তুলে এনেছি। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর