Logo
শিরোনাম

দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল চট্টগ্রামেই। ঢাকায় ফিরে জিম্বাবুয়েকে আবারও হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। ওপেনারদের শতরানের জুটির পর লোয়ার ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৪৩ রানে অল আউট হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পরবর্তী ১০ উইকেট নাজমুল হোসেন শান্তর দল হারায় মাত্র ৪২ রানে। ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই পেসার প্রথম ওভারে বিদায় করলেন ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর দলের দায়িত্ব কাঁধে নিতে তিনে নামেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

সিরিজের আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে রাজার রান ছিল মোট চার। এ দিন তিন নম্বরে তানজিম হাসানের এক ওভারে বাউন্ডারি মারেন তিনটি। কিন্তু সম্ভাবনাময় ইনিংসকে এগোতে দেননি তাসকিন।

শর্ট অব লেংথে পিচ করে তীক্ষ্ণভাবে ভেতরে ঢোকে তাসকিনের বল। রাজা জায়গা দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেন অন সাইডে খেলতে। বল ছোবল দেয় মাঝের স্টাম্পে। ১০ বলে ১৭ রান করে ফিরলেন রাজা। খানিক পর মারুবানি বিদায় নেন। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়ে আরও বিপদে পড়েন ক্লাইভ মান্ডান্ডের বিদায়ে।

৫৭ রানে ৪ ব্যাটার ফিরে গেলে হাল ধরেন রায়ান বার্ল ও ক্যাম্ববেল। তবে দলকে ১০০'র কাছে নিয়ে গিয়ে বার্ল বিদায় নেন মুস্তাফিজকে উইকেট দিয়ে। একই ওভারে লুক জঙ্গিয়েকেও বিদায় করেন আইপিএল থেকে ফেরা এই পেসার। এরপর ৩১ রান করা জনাথান ফিরে যান দলীয় ১০৩ রানে। শেষ ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রানের। বোলিংয়ে এসে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ফারাজ আকরামকে বিদায় করেন মুস্তাফিজ, তুলে নেন নিজের তৃতীয় উইকেট।

শেষ পভারে জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। তৃতীয় বলে সাকিবকে ৬ হাঁকিয়ে পরের বলে মুজারাবানি হন স্ট্যাম্পিং। যদিও সেটিকে ওয়াইড ডেলিভারি দেন আম্পায়ার। পরের বলেই রিচার্ড এনগারাভাকে বোল্ড করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। তুলে নেন নিজের চতুর্থ উইকেট। ৫ রানের জয় নিশ্চিত করে আরও একটি জয় তুলে নায় বাংলাদেশ।

এদিনে আগে ব্যাট করতে করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ফিফটির পর পরের দুই টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজিদ হাসান। ঢাকায় ফিরে শুরুটা দারুণ করেন এই তরুণ। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে দ্রুত রান তুলেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে মুজারাবানির বলে প্রথম বাউন্ডারি অবশ্য ব্যাটের কানায় লেগে পেয়ে যান তানজিদ। তবে পরের ওভারে সিকান্দার রাজার বলে স্কুপ ও কাট করে তিনি মারেন দুটি চার।

পরে রিচার্ড এনগারাভা আক্রমণে এলে চমৎকার ড্রাইভে মারেন বাউন্ডারি। পরে বুক সমান উচ্চতার বলে দারুণ কাট শটে মারেন আরেকটি চার। সৌম্য ও তানজিদের জুটিতে পাওয়ার প্লে'তে ৫৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সৌম্যকে দর্শক বানিয়ে তানজিদ দ্রুত রান তুলে ৩৪ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর দুজনের ব্যাটে দলের রান পৌঁছে যায় ১০০'তে। এর মাঝে একবার জীবনও পান তানজিদ।জীবন পেয়ে কিছুই করতে পারেন নি তানজি। আর মাত্র ১ রান যোগ করে তিনি ফেরেন ড্রেসিং রুমে। তার বিদায়ে ভাঙে ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটি। লুক জঙ্গুয়ের বলে বড় শটের খোঁজে শর্ট মিড উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেলের হাতে ধরা পড়েন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলে তিনি করেন ৫২ রান।

একই ওভারে জঙ্গুয়ের স্লোয়ার ইয়র্কার অন সাইডে খেলার চেষ্টা এলবিডব্লিউ হন সৌম্য সরকার। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার। ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৮ রান। ক্রিজে তখন দুই নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেন নি হৃদয়। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ করে সোজা ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়লেন ৮ বলে ১২ রান করা তরুণ ব্যাটসম্যান। এর খানিক পর ক্রিজে নেমেই এক রান করে বোল্ড হন সাকিব আল হাসান। ব্রায়ান বেনেটের রাউন্ড দা উইকেট থেকে সোজা যাওয়া ডেলিভারি ভুল লাইনে ডিফেন্ড করে বোল্ড হলেন সাকিব।

দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। খানিক পর এই স্পিনারের ওভারেই বোল্ড হন শান্ত। ৭ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন শান্ত। সিরিজের চার ম্যাচে তার সংগ্রহ কেবল ৪৫ রান। এরপর এনগারাভার অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি দূর থেকে খেলার চেষ্টায় ডিপ থার্ড ম্যাচে ধরা পড়েন ৭ বলে ৬ রান করা জাকের। ব্যাটারদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে টিকতে পারেননি বাকিরাও। দ্রুত বিদায় নেন রিশাদ, তানজিদ সাকিব ও তাসকিনও।

১০১ রানে এক উইকেট হারানো বাংলাদেশ পরের ৩৭ রানে হারিয়ে বসে ৯ উইকেট। শেষের দিকে মুস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলাম মিলে দলকে ২০ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যান। তবে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে মুস্তাফিজকে বিদায় করে ১৪৩ রানে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেন মুজারাবানিরা।


আরও খবর



সকাল সকাল দেশ ছাড়লেন তাহসান-রোজা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নতুন বছরের শুরুতেই আলোচনায় আছেন গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান। আর এর পেছনের কারণ হলো অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহসানের বিয়ের আয়োজনের ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই নেটিজেনরা নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন।

এদিন সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রোজা আহমেদের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট দিয়েছেন তাহসান। ছবিতে তাহসান খান একটি পাঞ্জাবি পরে আছেন। তার সঙ্গে মিলিয়ে একই রঙের শাড়ি পরেছেন রোজা। রোজার হাতে মেহেদি লাগানো।

তাহসান খানের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করতেই হইচই পড়ে গেছে। এসবের মাঝেই স্ত্রীকে নিয়ে উড়াল দিলেন তাহসান।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে দেশের একটি এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজে এই নবদম্পতি রওনা হন মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে। তিন-চার দিন সূর্যময় দ্বীপরাজ্যেই কাটবে তাদের মধুচন্দ্রিমার বিশেষ মুহূর্তগুলো।

এদিকে, বিয়ের দুদিনের মাথায় আরও এক সুখবর দিলেন তাহসান। ‘একা ঘর আমার’ শিরোনামের নতুন গানটি লিখেছেন এবং সুর দিয়েছেন নিজেই। তার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন সিঁথি সাহা। গানটি প্রকাশ করেছে অনুপম রেকর্ডিং মিডিয়া। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় এই গান প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাহসান।


আরও খবর



বাজারে কিছুটা কমেছে সবজির দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

গত সপ্তাহে বাজারে সব সবজি চড়া দামে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে অনেক সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে দুই-তিন ধরনের সবজির মৌসুম পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় সেগুলো প্রতি কেজি ১০০ বা তার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ মুহূর্তে বাজারে সবচেয়ে কম দামের সবজির মধ্যে রয়েছে মুলা, যা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে উঠতে শুরু করায় পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকায়।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, প্রতি পিস বাঁধাকপি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নতুন টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১৪০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, পেঁয়াজ ফুল প্রতি আঁটি ২০ টাকায়, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, শালগম প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকায়, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, শিম (বিচিওয়ালা) প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, শিম (সাধারণ) প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, নতুন আলু প্রতি কেজি ৭০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকায় এবং ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে এটা ঠিক, তবে শীতের এই সময় এসে সবজির দাম সবচেয়ে কম হওয়ার কথা থাকলেও সেভাবে এখনো বাজার কমেনি। গত সপ্তাহে যেগুলো ৭০/৮০ টাকা ছিল আজকের বাজারে সেই সবজিগুলো ৫০-৬০ টাকায় এসেছে। তবে এখনো কিছু কিছু সবজি ১০০ টাকার ঘরে রয়ে গেছে।

সবজির দামের বিষয়ে শান্তিনগর বাজারের বিক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজিতেই ১০-২০ টাকা করে কমেছে। আগামী সপ্তাহে এ দাম আরো কমতে পারে। ‌তবে এখন মৌসুম না হওয়ায় ঢেঁড়স, বরবটি, করলা, পটলের দাম বেশি। আজকের বাজারে সবচেয়ে কম দামে সবজির মধ্যে রয়েছে মুলা, যা প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেবল নতুন উঠতে শুরু করায় পাকা টমেটোর দাম কিছুটা বেশি যাচ্ছে, যা প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আজকের বাজারের সবচেয়ে বেশি দামি সবজি নতুন এই টমেটো।


আরও খবর



মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ভারতে সাত দিনের শোক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে এ শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জি পার্থ সারথি এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ে দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং সরকারি স্তরে কোনো বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে না।

এদিকে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্যের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তার দল কংগ্রেস জানিয়েছে, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল জানান, শনিবার নয়াদিল্লিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সাধারণ মানুষও তাকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।


আরও খবর



দেশের স্বার্থে আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় দেশটির বিপ্লবী গোষ্ঠীর পাশাপাশি জান্তা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ, জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ সোমবার দুপুরে সীমান্ত ঘুরে টেকনাফের দমদমিয়াস্থল নাফ নদে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন জেটি ঘাটে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, নতুন করে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। সীমান্তে স্থানীয়দের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে কিছু দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। আমাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথম থেকে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখনো সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তবে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এতে সীমান্তবাসীর আতঙ্ক হওয়ার কারণ নেই। সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মাদকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‌মাদক অনেক আগের সমস্যা। তবে মাদকরোধে সবার সহযোগিতা দরকার। এটা শুধু আইন দিয়ে সমাধান করা সম্ভব না। সীমান্তে সব পরিস্থিতি সমাধান হয়ে গেলে নাফ নদে মাছশিকারসহ শাহপরীর দ্বীপে করিডোর খোলা হবে।

তিনি বলেন, ‌সীমান্ত বাহিনীর অগোচরে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে। কিছু অসাধু বাংলাদেশি দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। এ দালালচক্রকে প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা দরকার। না হলে এরা ভয়ংকর হয়ে উঠবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস সবশেষ জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পরিস্থিতি যাই হোক অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ দুপুরের দিকে হেলিকপ্টরযোগে ঢাকা থেকে টেকনাফ পৌঁছান। পরে বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ছিদ্দিকী।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপোড়েনের অবসান চায় ত্রিপুরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকেই এক ধরনের টানাপোড়েন চলছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তাকে ফেরত আনা নিয়ে দুদেশের রাজনৈতিক মহলে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ এবং সবশেষ ভারতের একাধিক রাজ্যে বাংলাদেশ মিশনে হামলায় তীব্র হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এ টানাপোড়েন। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশই।

তবে, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান টানাপোড়েনের অবসান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা।

ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী পর্যটন প্রচার উৎসব চলছে রাজ্যটিতে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ উৎসব উপলক্ষে আগরতলার খেজুর বাগান এলাকার গীতাঞ্জলি গেস্ট হাউসে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অতীতের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডা. মানিক সাহা।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত, এমনকি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গেটেওয়ে হয়ে উঠবে, এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে এ কাজ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। আগামীতে এ সমস্যার সমাধান হবে। আশা করি, ত্রিপুরা ও গোটা ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আগের মতো উন্নত হবে।

তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরায় আসা দেশ-বিদেশি পর্যটকদের আরও বেশি সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার পর্যটক পুলিশ চালু করার পরিকল্পনা করছে। কারণ, সরকার দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ত্রিপুরা রাজ্যে আনার জন্য সব ধরনের সুবিধা ও বিশেষ করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করছে।

আলোচনা সভার পাশাপাশি গীতাঞ্জলি গেস্ট হাউসে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের পর্যটকদের স্টল পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।


আরও খবর