Logo
শিরোনাম

দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল চট্টগ্রামেই। ঢাকায় ফিরে জিম্বাবুয়েকে আবারও হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। ওপেনারদের শতরানের জুটির পর লোয়ার ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৪৩ রানে অল আউট হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পরবর্তী ১০ উইকেট নাজমুল হোসেন শান্তর দল হারায় মাত্র ৪২ রানে। ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই পেসার প্রথম ওভারে বিদায় করলেন ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর দলের দায়িত্ব কাঁধে নিতে তিনে নামেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

সিরিজের আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে রাজার রান ছিল মোট চার। এ দিন তিন নম্বরে তানজিম হাসানের এক ওভারে বাউন্ডারি মারেন তিনটি। কিন্তু সম্ভাবনাময় ইনিংসকে এগোতে দেননি তাসকিন।

শর্ট অব লেংথে পিচ করে তীক্ষ্ণভাবে ভেতরে ঢোকে তাসকিনের বল। রাজা জায়গা দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেন অন সাইডে খেলতে। বল ছোবল দেয় মাঝের স্টাম্পে। ১০ বলে ১৭ রান করে ফিরলেন রাজা। খানিক পর মারুবানি বিদায় নেন। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়ে আরও বিপদে পড়েন ক্লাইভ মান্ডান্ডের বিদায়ে।

৫৭ রানে ৪ ব্যাটার ফিরে গেলে হাল ধরেন রায়ান বার্ল ও ক্যাম্ববেল। তবে দলকে ১০০'র কাছে নিয়ে গিয়ে বার্ল বিদায় নেন মুস্তাফিজকে উইকেট দিয়ে। একই ওভারে লুক জঙ্গিয়েকেও বিদায় করেন আইপিএল থেকে ফেরা এই পেসার। এরপর ৩১ রান করা জনাথান ফিরে যান দলীয় ১০৩ রানে। শেষ ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রানের। বোলিংয়ে এসে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ফারাজ আকরামকে বিদায় করেন মুস্তাফিজ, তুলে নেন নিজের তৃতীয় উইকেট।

শেষ পভারে জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। তৃতীয় বলে সাকিবকে ৬ হাঁকিয়ে পরের বলে মুজারাবানি হন স্ট্যাম্পিং। যদিও সেটিকে ওয়াইড ডেলিভারি দেন আম্পায়ার। পরের বলেই রিচার্ড এনগারাভাকে বোল্ড করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। তুলে নেন নিজের চতুর্থ উইকেট। ৫ রানের জয় নিশ্চিত করে আরও একটি জয় তুলে নায় বাংলাদেশ।

এদিনে আগে ব্যাট করতে করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ফিফটির পর পরের দুই টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজিদ হাসান। ঢাকায় ফিরে শুরুটা দারুণ করেন এই তরুণ। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে দ্রুত রান তুলেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে মুজারাবানির বলে প্রথম বাউন্ডারি অবশ্য ব্যাটের কানায় লেগে পেয়ে যান তানজিদ। তবে পরের ওভারে সিকান্দার রাজার বলে স্কুপ ও কাট করে তিনি মারেন দুটি চার।

পরে রিচার্ড এনগারাভা আক্রমণে এলে চমৎকার ড্রাইভে মারেন বাউন্ডারি। পরে বুক সমান উচ্চতার বলে দারুণ কাট শটে মারেন আরেকটি চার। সৌম্য ও তানজিদের জুটিতে পাওয়ার প্লে'তে ৫৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সৌম্যকে দর্শক বানিয়ে তানজিদ দ্রুত রান তুলে ৩৪ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর দুজনের ব্যাটে দলের রান পৌঁছে যায় ১০০'তে। এর মাঝে একবার জীবনও পান তানজিদ।জীবন পেয়ে কিছুই করতে পারেন নি তানজি। আর মাত্র ১ রান যোগ করে তিনি ফেরেন ড্রেসিং রুমে। তার বিদায়ে ভাঙে ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটি। লুক জঙ্গুয়ের বলে বড় শটের খোঁজে শর্ট মিড উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেলের হাতে ধরা পড়েন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলে তিনি করেন ৫২ রান।

একই ওভারে জঙ্গুয়ের স্লোয়ার ইয়র্কার অন সাইডে খেলার চেষ্টা এলবিডব্লিউ হন সৌম্য সরকার। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার। ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৮ রান। ক্রিজে তখন দুই নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেন নি হৃদয়। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ করে সোজা ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়লেন ৮ বলে ১২ রান করা তরুণ ব্যাটসম্যান। এর খানিক পর ক্রিজে নেমেই এক রান করে বোল্ড হন সাকিব আল হাসান। ব্রায়ান বেনেটের রাউন্ড দা উইকেট থেকে সোজা যাওয়া ডেলিভারি ভুল লাইনে ডিফেন্ড করে বোল্ড হলেন সাকিব।

দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। খানিক পর এই স্পিনারের ওভারেই বোল্ড হন শান্ত। ৭ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন শান্ত। সিরিজের চার ম্যাচে তার সংগ্রহ কেবল ৪৫ রান। এরপর এনগারাভার অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি দূর থেকে খেলার চেষ্টায় ডিপ থার্ড ম্যাচে ধরা পড়েন ৭ বলে ৬ রান করা জাকের। ব্যাটারদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে টিকতে পারেননি বাকিরাও। দ্রুত বিদায় নেন রিশাদ, তানজিদ সাকিব ও তাসকিনও।

১০১ রানে এক উইকেট হারানো বাংলাদেশ পরের ৩৭ রানে হারিয়ে বসে ৯ উইকেট। শেষের দিকে মুস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলাম মিলে দলকে ২০ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যান। তবে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে মুস্তাফিজকে বিদায় করে ১৪৩ রানে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেন মুজারাবানিরা।


আরও খবর



হামাস নির্মূল হবে না, বললেন ব্লিঙ্কেন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী পূর্ণ মাত্রার স্থল অভিযান চালালেও হামাসকে নির্মূল করা সম্ভব হবে না। বরং তা হামাসকে একত্রিত হতে ও পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির মিট দ্য প্রেস শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েল এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যা হামাসের বাকি সদস্যদের পুনঃসংঠিত হতে সাহায্য করবে। আবার ইসরায়েলি বাহিনী যদি রাফা শহর ছেড়ে চলে যায়, তাহলে হামাস আবারও এই এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে। আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের ফেস দ্য নেশন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে ইসরায়েলকে এখন গাজা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার।

আমরা দেখেছি, ইসরায়েল উত্তর গাজায় পূর্ণ মাত্রার স্থল অভিযান চালানোর পরও হামাস সেখানে ফিরে এসেছে। এমনকি, খান ইউনিসেও সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সদস্যরা একত্রিত হচ্ছেন। সুতরাং ইসরায়েল রাফায় তাদের সর্বাত্মক শক্তি কাজে লাগালেও হামাসকে নির্মূল করা অসম্ভব। দেখা যাবে, হাজার হাজার সশস্ত্র হামাস সদস্য বাকি রয়ে গেছেন।

ব্লিঙ্কেন বলেন, গাজায় হামলা চালাতে ইসরায়েল যে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে। ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজার হাজার হাজার নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ইসরায়েল সম্ভবত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, রাফায় হামলা চালানোর পরিবর্তে, ইসরায়েলের উচিত একটি বিশ্বাসযোগ্য যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা উপস্থাপন করা।

আমরা ইসরায়েলের বিরোধিতা করছি না; বরং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দীর্ঘস্থায়ী ও করার দেশটিকে সুরক্ষার আরও ভালো উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোববার (১২ মে) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে ফোনকলে কথা বলার সময় রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছি।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের খাউলিয়ায় মারপিটে দিনমজুরের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ছেলে রাসেল মুন্সী বাদি হয়ে মো. কালাম গাজী, কবির হাওলাদারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৭, তারিখ-২৫.৪.২০২৪।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর নূর ইসলাম মুন্সী প্রতিবেশী মো. কালাম গাজী ও মোঃ কবির হাওলাদারের সাথে বসতবাড়ির ৪০ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে এর জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে বসতবাড়ির জমি দখলে বাধা দিলে হামলা মারপিটের গুরুত্বর আহত হয় দিনমজুর।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কতাব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকাকালিন অবস্থায় (২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার) দুপুরে নূর ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু হয়।

   বৃহস্পতিবার বিকেলে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ এজাহার নামীয় ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিরা হলেন, নিহতের বড় ভাই রহমান মুন্সি (৬৫) ছোট ভাই মোঃ দীন ইসলাম মুন্সী (৫০), ভাইজি কোকেলা বেগম (৪৮)। চাচাতো ভাই বেলায়েত মুন্সী (৬৫)। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। ওই দিনমজুরের ২ ছেলে ও  ৪ মেয়ে স্ত্রী রয়েছে।  

দিনমজুরের ছেলে মো. রাসেল মুন্সী, প্রতিবন্ধী বোন জনতা বেগম বলেন, আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের ফাঁসি চাই তা হলে আমার পিতার আত্মার শান্তি পাবে।  

   এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই জয়ন্ত কুমার বলেন, দিনমজুর নিহতের ঘটনায় ৪ জন আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



বাইডেনের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও রাফায় ইসরায়েলি হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ইসরাইলকে সতর্ক করেছে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা যখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে কায়রোতে, তখন সব সতর্কতাকে থোড়াই কেয়ার করে রাফায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল সোমবার রাতভর  সেখানে বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালিয়েছে তারা এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন মিশর সীমান্তের সঙ্গে রাফা ক্রসিং পয়েন্টেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা একদিকে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা, অন্যদিকে ইসরাইলের নৃশংস যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতি চেষ্টাকে অনিশ্চিত করে তুলেছে সৌদি আরব সতর্ক করে বলেছে, অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে ইসরাইলি বাহিনী তাদের ভূমিকাকে প্রত্যাখ্যান করে সৌদি আরব তারা বলেছে, এর ফলে রাফায় মানবিক সংকট তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে খর্ব করা হচ্ছে

ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব ওদিকে সোমবারই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তিনিও রাফায় হামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওদিকে কাতার মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত মেনে নেয় হামাস কিন্তু ইসরাইল ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তারা জানায়, এতে তাদের দাবি পূরণ হয়নি

 

জন্য মধ্যম পর্যায়ের ইসরাইলি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদলের গতকাল আবার কায়রো যাওয়ার কথা। তবে তারা কি ভূমিকা নেবেন, তা স্পষ্ট নয়। ২৭শে এপ্রিলের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তাতে যুদ্ধ বন্ধের কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইল থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক কমপক্ষে ১৩০ জিম্মির মুক্তির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল। তারা বলেছে, এই প্রস্তাবের মধ্যে ফিলিস্তিনি বন্দি মারওয়ান বারঘোতির মতো নেতাদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে। তিনি এমন একজন নেতা ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ হামলায় যার ভূমিকা আছে। জন্য তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন, হামাসের এসব বন্দিকেও মুক্তি দিতে হবে। জন্য না বলে দিয়েছে ইসরাইল। অবস্থায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এরই মধ্যে মিশরের রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট আল কাহেরা নিউজ টিভি রিপোর্ট করেছে যে, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা গতকালও চলছিল। মিশরীয় কর্মকর্তারা রাফায় ইসরাইলের অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ইসরাইলি প্রতিনিধিদল কায়রো পৌঁছানোর আগেই মিশরের সঙ্গে রাফা ক্রসিং পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইসরাইল। এর ফলে গাজায় মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো। কারণ, অন্য সব সীমান্ত বন্ধ থাকলেও রাফা সীমান্ত দিয়ে নিরীহ অভাবী গাজাবাসীর কাছে আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছাচ্ছিল। তার নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলিরা নেয়ার ফলে তা বন্ধ হয়ে গেল 

সোমবার দিবাগত রাতভর রাফায় বিভিন্ন ভবনের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইসরাইলিরা এতে কমপক্ষে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মিশর লাগোয়া রাফা সীমান্তে ট্যাঙ্ক ভারী অস্ত্রের মাধ্যমে এই হামলা চালিয়েছে তেল আবিব হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়া সত্ত্বেও রাফায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে মিশর তারা বলেছে, এতে যুদ্ধবিরতির যে প্রচেষ্টা চলছে, তা হুমকিতে পড়বে রাফা সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলি সেনাবাহিনী নেয়ার পরপরই এমন বিবৃতি দিয়েছে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবস্থায় জাতিসংঘ বলেছে, রাফা সীমান্তে জাতিসংঘকেও প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না ইসরাইল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র জেন্স লায়েরকে বলেন, রাফা সীমান্তে এখন আমাদের কোনো সদস্যের শারীরিক উপস্থিতি নেই আমাদের প্রবেশাধিকারকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নতুন করে যে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা শুরু হয়েছিল, তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে 

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধানকে তাদের প্রস্তাব মেনে নেয়ার কথা জানানোর পরেও সোমবার দিবাগত রাতে রাফায় হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। এতে যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব এখন অনেকটাই অনিশ্চিত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে হামাস মিশর এবং কাতারের প্রস্তাবে সম্মত হলেও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এই প্রস্তাবের শর্তগুলো তাদের দাবি পূরণ করেনি। ইসরাইল চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার পাশাপাশি রাফাতে হামলা অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছেÑ রাফায় হামলা অব্যাহত থাকলে চরম দুর্ভিক্ষে পতিত হবে গাজাবাসী

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ই অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালায় হামাস এরপর থেকে গাজায় যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করে উপত্যকাটিতে পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে ইসরাইল যাতে যাবৎ প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজার ৭৩৫ ফিলিস্তিনি আহতের সংখ্যা ৭৮ হাজারের বেশি তারপরও সোমবার গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে বোমা ফেলেছে ইসরাইলি বাহিনী এতে শিশু সহ বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন  উল্লেখ্য, নুসেইরা হলো এমন একটি এলাকা, যেখানে রাফা থেকে পালিয়ে আসা নিরীহ ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছেন 

ওদিকে লেবাননে উদ্ধারকারীদের ওপর ইসরাইলের হামলায় সাতজন নিহত হওয়ায় মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তারা একে নিরীহ, বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে অন্যায় হামলা বলে অভিহিত করেছে। ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত করতে। ৭ই অক্টোবর ইসরাইলে হামাস রকেট হামলা চালানোর পর হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহ ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে প্রায়দিনই ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে হামলা-পাল্টা হামলা হচ্ছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ২৭শে মার্চ লেবাননের হাবারিয়ে গ্রামে একটি জরুরি রিলিফ সেন্টারে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে। এতে সাতজন স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে এসব নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যেহেতু এটা যুদ্ধাপরাধ বলে মনে হচ্ছে, তাই এর তদন্ত হওয়া উচিত


আরও খবর



বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

 বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

এতে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, কঠোর ও জীবনের জন্য হুমকি এমন কারাগার পরিস্থিতি।

এছাড়া নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক ও অন্যান্য বন্দি, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও অযৌক্তিক গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশ সীমিত করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইনের ব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য তথ্য পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

বাংলাদেশে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংস্থার স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

এছাড়া সংগঠন, অর্থায়ন বা বেসরকারি ও নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো পরিচালনায় সুযোগ অত্যন্ত সীমিত করে আইন প্রণয়নসহ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে নাগরিকদের অক্ষমতার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর ও অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ, সরকারি খাতে বড় ধরনের দুর্নীতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধকেও সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার বা ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই) ব্যক্তি, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১২ মে প্রকাশিত হবে। শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, আগামী ১২ মে রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল এবং পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে আগামী ৯-১১ মের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ১২ মে ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) একটি চিঠি এসেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার জানান, তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন যে ১২ মে ফল প্রকাশের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।

রেওয়াজ অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হয়ে থাকে।

এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসএসসিতে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসমূহ: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২০ মার্চ শেষ হয়।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়েছে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪