Logo
শিরোনাম

ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ব্যাংক খাতে নগদ টাকার সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ফলে অনেক ব্যাংককে এখন ধার করে দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই চড়ছে আন্তঃব্যাংক কলমানির সুদহার। গতকাল কলমানির সর্বোচ্চ সুদ উঠেছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশে, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কলমানির পাশাপাশি শর্ট নোটিশে অর্থ ধার নেওয়ার সুদের হারও বাড়ছে। এদিকে আন্তঃব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও নিয়মিত ধার করে কার্যক্রম চালাচ্ছে বেশ কিছু ব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা জানান, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, প্রত্যাশিত মাত্রায় আমানত সংগ্রহ না হওয়া, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি এবং সরকারকে ঋণ দেওয়ার কারণে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার সংকট বেড়েছে। ফলে আন্তঃব্যাংক কলমানি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিয়মিত ধার করে চলতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে।

সংকটের সময় এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে, আবার ব্যাংক থেকে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক সময়ের জন্য টাকা ধার নেয়। সাধারণত একদিনের জন্য এই ধার নেওয়া হয়। এই ধার দেওয়া-নেওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় যে ব্যবস্থায় তা আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজার নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের শেষ দিকে কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের খবর জানাজানি হওয়ার পর ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়। এর পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তুলে নিতে থাকেন গ্রাহকরা। আবার সেই সময় ব্যাংকগুলোতে নতুন আমানত আসাও কমে যায়। এতে ওই ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়, যা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ব্যাংকগুলো।

 এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এতে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে। কিন্তু একই সময় মানুষের আয় খুব একটা বাড়েনি। আবার উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে ব্যাংকে আমানতের সুদের হার যেভাবে বাড়ার কথা, সেভাবে বাড়েনি। এতে ব্যাংকগুলো প্রত্যাশিত মাত্রায় আমানত পাচ্ছে না। আবার আগের বিতরণ হওয়া ঋণ সময়মতো ফেরত আসছে না। এর মধ্যেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়া বাড়িয়েছে সরকার। ফলে চলমান নগদ টাকার সংকট আরও বেড়েছে। আর এই সংকট সামাল দিতে আন্তঃব্যাংক কলমানির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছে অনেক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গতকাল আন্তঃব্যাংক কলমানিতে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদে ৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে গড় সুদের হার উঠে ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আগের দিন সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ সুদে ৪ হাজার ৪১৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। আর ওই দিন গড় সুদের হার ছিল ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আন্তঃব্যাংক কলমানির সঙ্গে শর্ট নোটিশে ধারের সুদের হারও বাড়ছে।

গতকাল ৫ থেকে ১৪ দিন মেয়াদি ধারের সুদের হার ছিল ৯ থেকে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অব্যাহত ডলার বিক্রি, আমানতের প্রবাহ কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারণে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট বেড়েছে। এ মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে সংকোচন নীতি থেকে সরে আসা সম্ভব নয়। তাই তারল্য সংকট কাটাতে ডলার বাজার ও ব্যাংকের সুশাসনের দিকে নজর দেওয়ার বিকল্প নেই। সে ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়িয়ে ডলার বাজারকে স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নতুন করে যাতে ব্যাংকে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

এদিকে বেশি সুদেও চাহিদামতো নগদ টাকার সংস্থান করতে না পেরে গতকালও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের স্বল্পমেয়াদি ধার করেছে বেশ কয়েকটি ব্যাংক। রেপো, তারল্য সহায়তা ও স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি উপকরণের আওতায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের দিন এই ধারের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বিল ও বন্ডের বিপরীতে ব্যাংক থেকে সরকারকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। আবার ডলার বিক্রির বিপরীত টাকা উঠে আসছে। এখন যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার না দেওয়া হয়, তা হলে সংকট বাড়বে। তা ছাড়া একবারে সব দিক দিয়ে সংকোচন করা যায় না। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ধার দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।

 


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




বাংলাদেশ জাসদ জাতীয় কমিটির সভায়

সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে ঐক্যমতের জন্য রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে মত বিনিময়ের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – বাংলাদেশ জাসদ জাতীয় কমিটির তৃতীয় সভা ঢাকাতে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে দলের সভাপতি জনাব শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব নাজমুল হক প্রধান, স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ সর্বজনাব মুশতাক হোসেন, আবদুল কাদের হাওলাদার, নুরুল আলম মন্টু, হেমায়েতুল্লাহ হিরো, এটিএম মহব্বত আলী, শহীদুল ইসলাম মিরন, করিম সিকদার, রফিকুল ইসলাম খোকন, বাদল খান, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, নাসিরুল হক নওয়াব, মনজুর আহমেদ মনজু প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু। সভায় ৩০ টি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে জুলাই-আগস্টের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও সাম্প্রতিককালে মৃত্যুবরণকারী দলের সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় জাসদ (ইনু) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ জাসদে যোগদানের জন্য জনাব রোকনুজ্জামান রোকনকে সম্বর্ধিত করা হয়।


সভায় গৃহীত প্রস্তাবাবলীঃ

১। ঐতিহাসিক ছাত্র গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে বলে এ সভা মনে করে। স্বৈরতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদ ও ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি রোধে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন স্তরে শুধুমাত্র ব্যক্তি পরিবর্তন নয়, ব্যবস্থা-কাঠামো-দর্শন বদলের মাধ্যমেই তা হতে পারে। তবে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের সুযোগে বিভিন্ন স্থানে সুযোগসন্ধানীরা যেভাবে লুটপাট, দখল, পিটিয়ে হত্যা, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার মত ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বিশেষ করে, সম্প্রতি এক দল হীনমন্য দুর্বৃত্ত কর্তৃক বাংলাদেশ জাসদের সাবেক কার্যকরী সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য জনাব মইন উদ্দীন খান বাদলের সমাধি ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা একটি জঘন্য অপরাধ। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় চিহ্নিত দুর্বৃত্ত ও তাদের হুকুমদাতাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে এ সভা হিন্দু সম্প্রদায় ও পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর ওপর  সংঘবদ্ধ হামলা, মাজার-মন্দির-বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার কঠোর নিন্দা ও তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছে। ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিসমূহ যদি এ ধরণের নৈরাজ্য প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনজীবনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে গণঅভ্যুত্থানের গৌরব মুখ থুবড়ে পড়বে এবং দেশে ভিন্ন চেহারার দীর্ঘস্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরশাসনের কবলে পড়তে পারে।

২। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে বাংলাদেশ জাসদ নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রের সংস্কারের বিষয়ে দলের মতামত সম্পর্কে অবহিত হবার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ জাসদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে সংক্ষিপ্ত আকারে ৮ দফা প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। তিনি ও উপস্থিত অন্যান্য উপদেষ্টা এ বিষয়ে আরো বিশদ প্রস্তাবনা কামনা করেন। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে ৬টি কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। এ সব বিষয় ও দলের রাজনৈতিক কর্তব্য বিবেচনা করে এ সভা এ ৬টি বিষয় সহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি বিষয়ে নীতিগত প্রস্তাবনা প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে সাথে এ সব বিষয়ে বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে ঐক্যমত সৃষ্টির জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মত বিনিময় করার জন্য এ সভা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।

৩। ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃত্ব কর্তৃক নতুন রাজনৈতিক দল গঠনকে এ সভা স্বাগত জানায়। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয় বলে এ সভা মনে করে। সেটা স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করবে। বিষয়টি স্বচ্ছতার সাথে ছাত্র নেতৃত্ব খোলাসা করবেন বলে আমরা আশা করি।

৪। আগামী ৩১ অক্টোবর ২০২৪ দলের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক আকারে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।


আরও খবর



খবর প্রকাশের জেরে পীরগাছায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাংবাদিক থানায় এজাহার দায়ের

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image



হাবিবুর রহমান হাবীবঃ


পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেড়টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অবস্থান করাকালীন তিনি হামলার শিকার হন। এবিষয়ে পীরগাছা থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।  অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী এজাহার দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাটি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর যুগান্তর পত্রিকায় ‘পীরগাছায় খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণ নিয়ে সংশয়, বিএনপি নেতাদের পাহারা’ এই শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই খবরের জের ধরে খাদ্য অফিস পাহারাদাররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এর জের ধরে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেড়টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অবস্থান করাকালীন সাংবাদিক একরামুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন পীরগাছা সদর ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রায়হান। সন্ত্রাসী রায়হান পীরগাছা সদর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়কের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আল আমিন সরকার বুলেট।  

অভিযুক্ত রায়হান মিয়া উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে প্রবেশ করে। সেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক সন্ত্রাসী রায়হান দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার পীরগাছা প্রতিনিধি একরামুল ইসলামের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। আহত সাংবাদিক একরামুল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। পরবর্তীতে পীরগাছায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকীর সাথে দেখা করে সন্ত্রাসী রায়হানসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য দাবি জানান। এজাহার দাখিল করেছেন আহত সাংবাদিক একরামুল ইসলাম ।


আরও খবর



নোবিপ্রবি উপাচার্যের সাথে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সিনান তালুকদার নোবিপ্রবি প্রতিনিধি ;

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ। 

আজ মঙ্গলবার(২৪ই অক্টোবর) সকাল ১০ টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। 

এই সময় নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মো. ইমাম হোসেন মিয়াজী, নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক নোমান রাশেদ এবং সাবেক সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত আহম্মদ ফাহিম সহ নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে  উপাচার্য অধ্যাপক  ড.মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক এবং সাফল্য বাইরে তুলে ধরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অর্জনে কাজ করার আহ্বান জানান এবং নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির  সাফল্য কামনা করেন। 

এছাড়াও মতবিনিময়কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমসাময়িক সমস্যা, বিশ্ববিদ্যালয়ে সুন্দর পরিবেশসহ পরিযায়ী পাখি রক্ষা, বিজিই রিসার্চ ফিল্ডের রক্ষণাবেক্ষণ, নোবিপ্রবি মেরিন সাইন্স ইনস্টিটিউট এর কাজের অগ্রগতি, হলগুলিতে আবাসন সংকট দূরিকরণসহ খাবারের ভর্তুকি দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবিসহ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ক সমস্যা সম্পর্কে উপাচার্যকে অবহিত করেন নোবিপ্রবিসাসের নবকার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দগণ ।


আরও খবর



আত্মহননের সাংবাদিকতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক :

আত্মহত্যা অবশ্যই বেদনাদায়ক। এর পেছনের ঘটনাও সাধারণত সংবেদনশীল ও বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। তাই আত্মহত্যার ঘটনার সংবাদ-মূল্য অনস্বীকার্য। কিন্তু নিউজ ভ্যালু আছে এবং পাঠক চাহিদা আছে বলেই কি এই জিনিস প্রকাশ্যে বিক্রি করা উচিত?

বিষের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আত্মহত্যার ঘটনাগুলো বিষ স্বরূপ, যা বিতরণের সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যম এর নেতিবাচকতা বিবেচনায় নেয় না, যা দুর্ভাগ্যজনক।

পেছনের ঘটনা যতই বেদনাদায়ক হোক, আত্মহত্যা একটি অপরাধ। এই অপরাধটি সংক্রামক বৈশিষ্ট্যর। আত্মহননের মনস্তত্ব সংক্রামক এবং এটি একটি ব্যাধি – যা গবেষণায় প্রমাণিত। আত্মহত্যার ভাইরাস জনসমাজে ছড়ানোর দায়িত্ব মিডিয়া নেবে কেন?

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ'র আত্মহত্যার সংবাদ প্রচারের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সেলিব্রেটির বেশ কয়েজন তরুণ ভক্ত আত্মহত্যা করেছিল। মিডিয়া সেই সংবাদগুলিও প্রচার করেছিল।

একটি আত্মহত্যার ঘটনা অন্যকেও আত্মহননে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। সাংবাদিকতায় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়। আমরা যখন বিদেশি মিডিয়ায় কাজ করি তখন সম্পাদকীয় নীতিমালার এই বিষয়গুলো মানি। অথচ নিজ দেশে মানি না।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢুকে একজন মানুষ নিজেকে হত্যার মতো গর্হিত কাজ করার ফলে, এরপর অন্যকেউ এরকম কর্মে উদ্বুদ্ধ হবে কিনা তা মাথায় রাখা উচিত।

প্রথমত: সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আত্মহননকে দুস্কর্ম হিসেবেই উপস্থাপন করা উচিত। পিছনে যে কারণই থাক, সেই কারণে একজন ব্যক্তি যেমন কাউকে হত্যা করার অধিকার রাখে না, তেমনি নিজেকেও হত্যা করার অধিকার রাখে না।

নিজেকে হত্যাকারী ব্যক্তিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না, যেমন একজন খুনি, ডাকাত বা আত্মঘাতি জঙ্গিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যায় না।

আত্মহননকারীর প্রতি সহানুভূতি মিশ্রিত সংবাদ পরিবেশন অন্যকেও এধরনের অপকর্মে উৎসাহিত করতে পারে। এধরনের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহানভূতিব্যঞ্জক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাইরাল হলে তা সমাজের জন্য আরও ক্ষতির কারণ হয়।

যতই সংবেদনশীল হোক, এই নিউজ পত্রিকার প্রথম পাতায় কভার করা উচিত নয়। ভেতরের পাতায় দিতে হবে, যাতে এর ফোকাস কম হয়। সংবেদনশীলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে সংবাদটি উপস্থাপন করতে হবে। গণপাঠক টার্গেট করে নয়, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং একাডেমিক প্রয়োজনে সতর্কতার সাথে সংবাদটি যাবে।

এধরনের সংবাদ টেলিভিশনে প্রচার না করাই ভাল।

আত্মহত্যার বহুবিধ কারণ থাকে। সেগুলো নিরসন করতে না পারা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। ঘটনার তদন্ত করে কারণ খুঁজে বের করা এবং প্রতিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।



আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




নওগাঁয় বিএনপির উদ্যোগে ওয়ার্ড নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ওয়ার্ড বিএনপি'র নেতাদের সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মহাদেবপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ ঘটিকায় স্থানীয় রোকেয়া কমিউনিটি সেন্টারে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মহাদেবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি  আলহাজ্ব রবিউল আলম বুলেট এতে সভাপতিত্ব করেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মহাদেবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল মতিন মন্ডল, সহ-সভাপতি জাহারুল ইসলাম, মোফাকখারুল ইসলাম মুকুল,খাইরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন মাস্টার,আব্দুল মান্নান চৌধুরী দুলাল,সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও এস এম হান্নান প্রমুখ।

আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চান্দাস ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এনামুল হক মাস্টার, রাইগাঁ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম,ভীমপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি কামরান মালিক খান,উত্তরগ্রাম ইউনিয়ন শাখার  সভাপতি আলহাজ্ব আবিদ হোসেন সরকার, হাতুর ইউনিয়ন শাখার  সভাপতি আব্দুল গফুর মাস্টার, এনায়েতপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এরশাদ আলী সরদার,খাজুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক,চেরাগপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান সবুজ,সফাপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মাস্টার প্রমুখ। 

সভার সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল মহাদেবপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য কাজী সামছুজ্জোহা মিলন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল মহাদেবপুর উপজেলা শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী আব্দুস সোবহান, সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক হাফিজুর রহমান জিল্লুর মাস্টার, ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল ইসলাম ও ১ নং সদস্য আতিকুর রহমান আতিক।

সভায় উপজেলার দশটি ইউনিয়নের ৯০ টি ওয়ার্ডের ২৭০ জন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর