Logo
শিরোনাম

দারিদ্রমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়বো : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশে আবার চেতনা ফিরিয়ে আনবো। স্বাধীনতার আদর্শে দেশকে গড়ে তুলবো। ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসাবে।

রবিবার (২৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ সভায় তিনি একথা বলেন।

সরকারে থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সুযোগ পাওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে দেশ সেবার সুযোগ করে দিয়েছেন বলেই আমাদের এই সৌভাগ্য হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করার যে সুযোগটা পেয়েছি। এর আগে আমরা ক্ষমতায় থেকে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীও উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এজন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। যারা ভোট দিয়ে নির্বাচন করে সেবার করার সুযোগ আমাকে দিয়েছে বলেই আজকে আমাদের এই সৌভাগ্য হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা ২০২১ সালেই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আজকে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। সব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য বিনা পয়সায় ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। সেদিন খুব বেশি দেরি না, যেদিন দেশের একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। অত্যন্ত তাদের বেঁচে থাকার একটু সুযোগ আমরা করে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের বিনা পয়সায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার চলমান প্রক্রিয়ায় শিগগিরই দেশের সব ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের আবাসন নিশ্চিত হবে। সেদিন বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশের একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। অন্তত তাদের বেঁচে থাকার একটু সুযোগ আমরা করে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা, এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অনুষ্ঠিত এ সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তাবায়ন কমিটিতে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, শিক্ষক, কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজের বিশিষ্ট জন, সরকারের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে একটি ফ্ল্যাটের মালিকানার হস্তান্তর নিয়ে এই প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি মেইল। ঢাকার গুলশানের এই ফ্ল্যাট নিয়ে টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনিয়মের কথা অস্বীকার করেছেন টিউলিপ। ডেইলি মেইলকে এই লেবার এমপি বলেন, ২০০২ সালে বাবা-মায়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে ফ্ল্যাটটি পেয়েছিলেন। ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীকে তা হস্তান্তর করেন।

২০১৫ সালের জুনে ওয়েস্টমিনস্টারে এমপিদের জমা দেওয়া সম্পদের হিসাবে বলা হয়েছিল, পরিবারের একজনের সঙ্গে যৌথভাবে ওই সম্পত্তির মালিকানায় আছেন টিউলিপ। পরের মাসে ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তর করার কথা বলা হয়।

গত সপ্তাহে ঢাকার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনুসন্ধান চালিয়ে ভিন্ন তথ্য পায় ডেইলি মেইল। সেখানে সংরক্ষিত নথি বলছে, টিউলিপ এখনো ওই ফ্ল্যাটের মালিক, যা দুদকের অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

গত ১০ মার্চ দুদক জানায়, টিউলিপ তার বোনকে গুলশানের ওই ফ্ল্যাট হস্তান্তরে যে নোটারি ব্যবহার করেছেন, তদন্তে তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।

টিউলিপ ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা রূপন্তীকে দান করেন। দলিলটি হয় ২০১৫ সালের ৯ জুন। দলিল অনুযায়ী, ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় কেনা ফ্ল্যাট আজমিনাকে দেওয়া হয়। দলিলে ফ্ল্যাটের সম্পূর্ণ মালিকানা, স্বত্ব, অধিকার এবং একটি পার্কিং স্পেস হস্তান্তরের কথা বলা হয়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, ফ্ল্যাট বা সম্পত্তির হস্তান্তর করতে হয় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে।

দুদকের দাবি, হেবা দলিলটি ভুয়া ছিল। কারণ সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এর সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি উল্টো অভিযোগ করেন, তার সই জাল করা হয়েছে।

ডেইলি মেইলের প্রশ্নে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবী বলেছেন, যথাযথভাবে হেবা সম্পন্ন করা হয়েছিল। পরিবারের সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে ফ্ল্যাটের মালিকানায় থাকার কথা জানিয়েছিলেন টিউলিপ। ফ্ল্যাটের ভাড়া তার বোন পেতেন।

টিউলিপের প্রতিনিধি দুদকের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক’ বলে দাবি করেছেন।

তার আইনজীবী পল থুয়েট বলেছেন, ‘টিউলিপ পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছেন—এমন দাবি অসত্য ও অযৌক্তিক।’

আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এক ডেভেলপারের কাছ থেকে লন্ডনে ৭ লাখ পাউন্ড দামের একটি ফ্ল্যাট ‘উপহার’ পাওয়ার খবর নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গত জানুয়ারিতে সিটি মিনিস্টারের পদ ছাড়েন টিউলিপ। গত আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তার ভাগ্নির এই ফ্ল্যাট নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম সরব হয়।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ গজারিয়ার মাদক কারবারি মোয়াজ্জেমের ভাই আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ মামুন মিয়া (৩০) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে চেকপোস্টে ঢাকাগামী লেনে মোটরসাইকেলে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা সহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীর নাম মো. মামুন মিয়া (৩০)। সে মুন্সীরগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে। এবং গজারিয়ার শীর্ষ মাদক কারবারি মোয়াজ্জে হোসেনের ছোট ভাই। 

বিষয়টি সম্পর্কে সোনারগাঁ থানার ওসি মফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাসড়কের মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ঢাকাগামী লেনে একটি মোটরসাইকেলে তল্লাশি চালিয়ে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



বাবাভাণ্ডারী (ক:)৮৯তম ওরশ শরীফ শুরু হয়েছে শনিবার আখেরি মুনাজাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক সাধনার প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের অন্যতম প্রাণপুরুষ হযরত গাউসুল আজম শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান  প্রকাশ  বাবাভাণ্ডারীর (ক:) ৮৯তম পবিত্র ওরশ শরীফ ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে।৫এপ্রিল,২২ চৈত্র শনিবার আখেরি মোনাজাত।  মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে বাবাভাণ্ডারীর রওজা দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। এছাড়াও দরবার শরীফের বিভিন্ন রওজাসহ মঞ্জিল গুলোকে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়। ওর শরীফকে কেন্দ্র করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডরীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন মঞ্জিলের উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া শরিফ , গাউসুল আজম বাবাভাণ্ডারী (ক:) রওজায় নতুন গিলাপ ছড়ানো,ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক, মাদক, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণ সচেতনতায় ক্যাম্পিং,ওয়াজ, মিলাদ,ছেমা- কাওয়ালী, তবরুক বিতরণ । বাবাভাণ্ডারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি'র চেয়ারম্যান  শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী জানান ওরশ শরীফকে কেন্দ্র করে  পুরো দরবার শরীফকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়।  সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আনজুমানের দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে  ভক্তবৃন্দদেরকে নিয়ে আগত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকের সাথে   যানবাহন শ্রমিক সমিতির নেতা কর্মীরা  থাকবেন।  গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মঞ্জিলে খোলা হয় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। তিনি বলেন, এবছর ওরশ শরীফ ঈদের পরপর হলেও কমপক্ষে ১০ /১২ লক্ষ ভক্ত আশেকানের  উপস্থিতি আশা করা যাচ্ছে। শুক্রবার মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জুমার নামাজের ইমামতি ও ওরশ শরীফের প্রধান এবং  শেষ দিবস শনিবার রাতে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা  করবেন হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (ম:জ:আ)


আরও খবর



বাবা ভান্ডারীর ওরশে লাখ লাখ ভক্তের ঢল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি'র চেয়ারম্যান  শাহজাদা ডঃ সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আলহাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,আউলীয়া কেরামদের মত ও পথই সঠিক পথ। তিনি বলেন,মাজার ভেঙে নয়, বরং আউলীয়া কেরামদের প্রতি মহব্বতই এনে দিতে পারে শান্তি ও সম্প্রীতি। উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছে ওলি,আউলীয়া,সূফী, সাধকরা।মাজার পন্থীরা কখনো দেশের অশান্তি কামনা করেনা।

৪ এপ্রিল (শুক্রবার)জুম্মার নামাজে খুতবায় তিনি এসব কথা বলেন। মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে হযরত গাউসুল আজ সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারী (ক:) ৮৯ তম শরীফ উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আশেকানের ঢল নামে।

৫ এপ্রিল শনিবার ২২ চৈত্র ওরশ শরীফের প্রধান ও শেষ দিবস। আখেরি  মোনাজাত পরিচালনা করবেন, বাবাভাণ্ডারী'র( ক:) প্রভাব প্রপৌত্র, দরবারের সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম শাহ সুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (ম:জি:আ)

ওরশ শরীফকে কেন্দ্র করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডরীয়াসহ  ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া শরিফ , গাউসুল আজম বাবাভাণ্ডারী (ক:) রওজায় নতুন গিলাপ ছড়ানো,ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক, মাদক, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণ সচেতনতায় ক্যাম্পিং,ওয়াজ, মিলাদ,ছেমা- কাওয়ালী, তবরুক বিতরণ।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”

গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।

এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।

আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও খবর