Logo
শিরোনাম

মা দিবসে মেয়ের আকিকা দেবেন পরীমণি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ছয়দিন বয়সী ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানকে দত্তক নিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের লাস্যময়ী অভিনেত্রী পরীমণি। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এতে তিনি জানিয়েছেন, ছেলে পুণ্যের পর এবার মেয়ের মা হয়েছেন তিনি। ৬ দিনের ওই শিশুকে দত্তক নিয়েছেন নায়িকা।

কন্যার নাম রেখেছেন সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। ১২ মে মা দিবসে কন্যার জন্য বিশেষ এক আয়োজন করতে যাচ্ছেন নায়িকা। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন পরীমণি।

বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, এক অন্যরকম অনুভূতি। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! আগামী ১২ মে হবে প্রিয়মের আকিকা। মা হিসেবে যতটুকু সুন্দর করা যায় সেভাবেই এটা আমি করব। কন্যার নাম সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম।

দত্তক নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হল আল্লাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন। জীবনে কোনও দিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি। তাই আল্লাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এল। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো... আর কিছু দিন যাক।

তিনি আরও বলেন, আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল সে সব নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এই সব নিয়ম সমাজের তৈরি। এই তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাতৃ দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান। এ সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি। এখন রাতের দিকে সব শান্ত হয়ে আসার পরে এক দিকে ছেলে আর এক দিকে ঘুমন্ত মেয়ের মাঝে যখন চোখ খুলে দেখি তখন মনে হয় পরীমণির আকাশটা বড় হয়ে আসছে।

প্রসঙ্গত, হাতে একগুচ্ছ কাজ পরীমণির। ব্যস্ত রয়েছেন টলিউডের একটি ছবি নিয়ে। ফেলু বক্সী নামের একটি ছবিটিতে কাজ করছেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে আছেন সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকার। এটি নির্মাণ করছেন দেবরাজ সিনহা।


আরও খবর

রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪




আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শরীফ আহমেদ সুমন, সংবাদকর্মী :

একটা সময় সাংবাদিকতার প্রতি প্রবল আগ্রহ কাজ করতো। আজ আমার ইংরেজি পত্রিকার নবায়নকৃত কার্ড হাতে পেয়ে সে আগের উচ্ছ্বাস কাজ করছেনা। প্রথম যেদিন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আমার লোকালিটির বাজারে পিরানহা মাছ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়, সেদিন রাত ১২ টা বাজার অপেক্ষা করছিলাম, কখন অনলাইনে দেখবো আমার নিজের করা প্রতিবেদন! সেদিনের সে উচ্ছ্বাস আজ আর পাইনা। সাংবাদিকতাকে কিছু মানুষ আজ এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে সাধারণ মানুষের অনেকে হাস্যরস করেও বলে ফেলে "সাং'ঘাতিক"। নিজের পেশার প্রতি এমন শব্দ আসলে আমার যেমনি কাম্য নয়, বোধকরি কারোরই কাম্য নয়। তবে মফস্বলে সাংবাদিকতার সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে সত্যি নিজের ভিতরেও এক ধরণের হীনমন্যতা কাজ করে এখন। 

আসুন কিছু বিষয় জেনে নেয়া যাক:

মফস্বলে সাংবাদিকতা একটু বেশীই চ্যালেঞ্জিং। কেনোনা উপজেলায় একজন প্রতিনিধি থাকে। একই প্রতিনিধি তার উপজেলার উন্নয়ন, অবক্ষয় সব কিছুর প্রতিবেদন করতে হয়। স্টাফ রিপোর্টারদের মতো কাজ ভাগ করা থাকেনা। এখন স্পট নিউজের বাইরে গিয়ে অনুসন্ধানী কোনো প্রতিবেদন করতে গেলে দেখা যায় সেটা কোনো ব্যক্তি বা গোত্রের বা কোনো দলের বিপক্ষে যেতে পারে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আসলে একজন মফস্বল সাংবাদিক বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে নিজের এলাকার কারও বিপক্ষে সংবাদ প্রকাশ করে কতোটা নিরাপদ। কারণ তার বাড়ি যেমনি চেনা তেমনি তারি আদি-অন্ত সবই স্থানীয়দের চেনা ও জানা। তবু বৃত্তের বাইরে গিয়ে যদি কেউ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেও সেখানে তা  অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। তবে সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে যদি কোনো সাংবাদিকের প্রতিবেদন আজ আপনার বিপক্ষে যায় তা  মেনে নিতে শিখুন। কারণ আজ আপনার ক্ষমতা থাকলেও কাল আপনি মজলুম হতে পারেন, তখন এই সাংবাদিক যেনো আবার আপনার পক্ষে কোনো ক্ষমতার বিপক্ষে লিখতে পারে সে পথটুকু খোলা রাখুন। 

এবার আসা যাক অপসাংবাদিকতার বিষয়ে - 

মফস্বলে সাংবাদিকতা অনেকটাই সম্মানী নির্ভর। যাদের সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করা হয় তাদের সম্মানী ছাড়া আসলে মফস্বল সাংবাদিকের সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোনো আয় নেই। উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞাপন খুবই কম। তাই বিজ্ঞাপনের কমিশনের উপর নির্ভর করারও কোনো উপায় নেই। তাই মফস্বলে সাংবাদিকতায় আসতে হলে এটাকে কেবল প্যাশন থেকেই নেয়া যেতে পারে, আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে নয়। ইদানিং কেউ কেউ এটাকে আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে নিতে গিয়েই বাঁধছে যতো বিপত্তি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এক সাংবাদিকের সাম্প্রতিক ঘটনা আজ শেয়ার করছি, এটা সাংবাদিকতা নাকি অপসাংবাদিকতা তা  ভেবে নেয়াটুকু পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম। 

সম্প্রতি এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল সোয়া নয়টায় এক সাংবাদিক আসেন। তিনি এসে দেখেন একজন শিক্ষক আসতে ১৫ মিনিট সময় বেশি নিয়েছেন। তাতে তিনি প্রশ্ন করেন এবং সেই শিক্ষক তাকে জানান তার ছোট বাচ্চা অসুস্থ তাই তিনি তাকে ডাক্তার দেখিয়ে আসতে একটু সময় লেগেছে। যাই হোক সেই সাংবাদিক মহোদয় যদি দায়িত্বে অবহেলা প্রত্যক্ষ করে থাকেন তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে পারতেন। তিনি সেটা না করে তিনি উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দকে বলেছেন "আমি শিক্ষা অফিসারকে বলে আপনাদের শোকজ করবো"। কথা হলো সাংবাদিকের কাজ কি শোকজ করানো নাকি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা। তিনি তা করেননি। তিনি ২ দিন অপেক্ষা করেছেন শিক্ষকদের কেউ তার সাথে যোগাযোগ করেন কিনা। আর বোধকরি যোগাযোগের মানে পাঠকগণ অবগত আছেন। পরবর্তীতে শিক্ষা অফিস সেই স্কুলের শিক্ষকদের ডেকে পাঠান। এবং ২ হাজার টাকা সেই সাংবাদিক মহোদয়কে ঠান্ডা পানীয় পান করে ঠান্ডা হওয়ার জন্য প্রদান করার মাধ্যমে তাকে ঠান্ডা করা হয়। এমন কিছু ঘটনার কারণে আজ সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাটি কলু'ষিত। আমরা নিজেদের সীমারেখা ভুলে গেছি। আর ভার্চুয়ালিটির এই সময়ে এসে কিছু ফেসবুক পেইজ খুলে এমন সাংবাদিকতা আরও সহজ হয়ে গেছে। কারণ এখানে কিছু লিখতে বলতে সম্পাদক পর্যায়ের কোনো সেন্সরশিপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়না, শুধু স্ক্যা'ন্ডাল চাই। এদের অনেকে আবার নানান সময়ে নানান রাজনীতিক কিংবা প্রভাবশালী মহলের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করে এলাকায় নিজেকে বড় সাংবাদিক হিসেবে জাহির করে এলাকার খাস জমি, ভূমি অফিসে খারিজের সুপারিশ নামের দালালি, থানায় লবিং করার দালালী করে রাতারাতি ভাগ্যের পরিবর্তন করছেন। এমন কিছুর সংখ্যা কম হলেও মানুষের মনে এগুলো দাগ কেটে থাকে বলেই হয়তো আমাদের আজকাল মানুষ হাস্যরসের ছলে সাং'ঘাতিক বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। 

সর্বোপরি সংবাদ মাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটাকে কলুষিত না করে এর যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা হিসেবে অনন্তকাল বেঁচে থাক এই প্রত্যাশা করি। আর কাউকে এমন ঠান্ডা না খাইয়ে সাধারণের পর্যায় থেকে ২ টাকার অফসেট কাগজে আমরাও জবাব দিতে শিখি।


আরও খবর

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




আলেম সমাজ ও রাজনৈতিক দলসহ সারাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ.

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

অন্তর্বর্তী সরকার, আলেম সমাজ ও সব রাজনৈতিক দলসহ সারাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে যত বড় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হোক না কেন এদেশের মানুষকে পরাজিত করতে পারবে না, তারা জিতবেই। শুক্রবার বিকেলে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার আমতলী মোড় জামে মসজিদ এলাকায় তাফসিরুল কোরআন ও শানে রিসালাম সম্মেলনে এ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি। ভারতের সাম্রাজ্যবাদীর বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ভারতের সাম্রাজ্যবাদী সূচনা হয়েছিল ১৯৭২ সালে সংবিধানে। এজন্য এই সরকারকে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সংবিধান বাতিল করতে হবে। তাহলে ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে যাবে। আর কোনো দিন তারা এদেশের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস পাবে না।

সংবিধান সংস্কারের জন্য যে যার মতামত দিচ্ছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, আমরা তৌহিদি জনতার পক্ষে স্পষ্ট মতামত দিতে চাই। বাংলাদেশে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন থাকবে না। আরও যদি কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন থাকে তাহলে সেই আইনকে প্রতিহত করার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন হলেও আলেম সমাজ প্রস্তুত।


আরও খবর

লন্ডনে তারেক রহমান ও ফখরুলের বৈঠক

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাভাবিপ্রবিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

গণআন্দোলন ও গণমানুষের রাজনীতির প্রাণপুরুষ স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে "'মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ' শীর্ষক" আলোচনা সভায় অংশ নিতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম।

আজ ১৩ নভেম্বর ২০২৪ (বুধবার) বিকাল ৩ ঘটিকায় মাভাবিপ্রবির দরবার হলে অনুষ্ঠিত হয়  আলোচনা সভা।

উক্ত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাভাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া পাশাপাশি প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন  মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম।

আরও উপস্থিত ছিলেন আখতার হোসেন সদস্য সচিব, জাতীয় নাগরিক কমিটি, আরিফ সোহেল সদস্য সচিব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,

মাসুদুর রহমান রাসেল সদস্য সচিব, মওলানা ভাসানী পাঠচক্র, মাহমুদুল হক সানু মহাসচিব, ভাসানী ফাউন্ডেশন।

আলোচনা সভায় আসিফ মাহমুদ বলেন, "আমাদের পিতা একজন নয়। অনেকের অবদান রয়েছে দেশ গঠনে। তার মধ্যে অন্যতম মাওলানা ভাসানী। পাশাপাশি তিনি টাঙাইল স্টেডিয়ামের নাম শহিদ মারুফ স্টেডিয়াম নামকরণের কথা জানান।

অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল মওলানা ভাসানী পাঠচক্র ও জাতীয় নাগরিক কমিটি, টাঙ্গাইল জেলা।


আরও খবর



নওগাঁয় সুমন হত্যাকান্ডে জড়ীতদের আটক ও বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর কম্পিউটার ব্যবসায়ী যুবক সুমন হোসাইন (২৩) কে হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ সহ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের চৌ-রাস্তামোড়ে এসব কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র-জনতা। সড়ক অবরোধ করায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এক পর্যায়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুজ্জামান মিলন ও থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান পৌছে আন্দোলন কারীদের আসস্ত করেন যে, দ্রুত সুমন হোসাইন হত্যার সাথে জড়িতদের আটক পূর্বক আইনের আওতায় নেওয়া হবে।  ইতি মধ্যেই প্রশাসন কাজ করছে এমন আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। সুমন হোসাইন হত্যার মূল বুলবুলসহ অজ্ঞাত সকল জড়িত আসামীকে সনাক্ত করা সহ আইনের আওতায় এনে বিচার দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত সুমন হোসাইন এর বোন মৌসুমি আক্তার, উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সদস্য মারুফ মোস্তফা ও মেহের রাব্বি, জামায়াত নেতা আখতার ফারুক প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, দ্রুত সকল জড়ীত আসামীদের আটক করতে হবে। আটক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন ছাত্র-জনতা বলেও ঘোষণা দেন এসময় বক্তারা। এক পর্যায়ে পরবর্তীতে আরো তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিতে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন ছাত্র-জনতা।

অপরদিকে, সুমন হোসাইন হত্যার বিচার দাবিতে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এজেড মিজান এর ডাকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ১টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জরুরি ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ ছিলো। পরে বেলা ২টারদিকে নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও ৩টায় উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, গত রবিবার ১৭ নভেম্বর সুমন হোসাইন পার্শ্ববর্তী মহাদেবপুর উপজেলার থেকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়ে একটি সিএনজি যোগে ফেরার পথে পত্নীতলা উপজেলায় নাদৌড় মোড় এলাকায় পৌছালে দূর্বত্তের হামলার শিকার হোন। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিলে সে অন্ধকারে গিয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য ফেসবুক লাইভে আকুতি-মিনতি করেন। এরি মাঝে ঘটনাস্থলে লোকজন এগিয়ে গেলেও তার পূর্বেই সুমন হোসাইনের কাছ থেকে মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে সুমন হোসাইন কে গাছে ঝুঁলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। হত্যাকান্ডের শিকার 

সুমন হোসাইন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিলছাড়া গ্রামের মৃত ময়েন ও শাহিদা বেগম এর ছেলে। সে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেটের সুমন কম্পিউটার নামক প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা'র) পত্নীতলা উপজেলা শাখার উন্যতম সদস্য এবং নজিপুর সরকারী কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এঘটনায় সুমন হোসাইন এর বোন মৌসুমি আক্তার বাদী হয়ে ১৮ নভেম্বর রাতে গাহন গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে বুলবুল ইসলাম (৩৫) সহ অজ্ঞাত আরো ৯-১০ জনকে আসামী করে পত্নীতলা থানায় মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন, পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান।


আরও খবর



নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে আনুমানিক ২৪-২৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর জানাজানি হওয়ার পর এক নজর দেখার জন্য সেখানে মানুষ ভীড় জমান। মৃতদেহ পড়ে থাকার ঘটনাটি থানা পুলিশ কে জানানোর পরই মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র দেড়-দুই'শ গজ পশ্চিমে দক্ষিণ সাইডে ওড়া নামক স্থানে মহাদেবপুর টু শিবপুর রাস্তার পাশে ছোটো একটি ঝোপের ভেতর অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিকভাবে তারা থানায় সংবাদ দিলে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে  প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত  মৃত নারীর নাম-পরিচয় সনাক্ত হয়নি।


আরও খবর