Logo
শিরোনাম

ডায়রিয়া-সহ যে সব রোগ থেকে সতর্ক থাকবেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল উষ্ণতম মাস বলা হলেও আসলে চৈত্র মাসের শুরু থেকেই গরম পড়তে শুরু করে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে গরমের সঙ্গে সঙ্গে এই সময় নানা ধরণের রোগব্যাধিও বাড়তে দেখা যায়। কোনো কোনো রোগ গরমের শুরুতে দেখা যায়। আবার কোনো কোনোটি তীব্র গরমের সময় প্রকট হয়ে ওঠে। যেমন এরইমধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপকভাবে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, গরমের সময় বিশেষ কয়েকটি রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে দেখা যায়। কিন্তু কিছুটা সতর্ক হলেই এসব রোগ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখা সম্ভব।

যেসব রোগ থেকে সতর্ক থাকতে হবে

ডায়রিয়া
ডায়রিয়া সারাবছরের একটি রোগ হলেও প্রতিবছর গরমের শুরু থেকেই ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।
এর মধ্যেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়া রোগী।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে ডা. মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

কলেরা হাসপাতাল হিসাবে অনেকের কাছে পরিচিত আইসিডিডিআর'বিতে গত এক সপ্তাহেই আট হাজার ১৫২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। অর্থাৎ শুধু ঢাকাতেই এই হাসপাতালে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছেন।

ডায়রিয়া বা উদরাময় মূলত পেটের একটি অসুখ। সাধারণত দূষিত পানি বা পচা খাবার থেকে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। ডায়রিয়া হলে খুব দ্রুত শরীর থেকে পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট বের হয়ে গিয়ে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি দেখা দেয়।ডায়রিয়ায় বিশেষ করে শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে শিশু মৃত্যুর জন্য এটি দ্বিতীয় কারণ।

২৫০ বেড টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আয়শা আক্তার বিবিসি বাংলাকে বলছেন, গরমের সময় পানি দূষিত বেশি হয়। সেটা পান করলে লুজ মোশন, ডায়রিয়া বা কলেরা বেশি হয়। সারা বাংলাদেশেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি থাকে।

ডায়রিয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

নাজমুল ইসলাম খাওয়া, হাত ধোয়া এবং রান্না থেকে শুরু করে প্রতিদিনের কাজকর্মে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বাইরের খাবার, দূষিত বা পচা খাবার এড়িয়ে চলার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

আয়শা আক্তার বলছেন, ডায়রিয়া হলে রোগীকে নিয়মিত খাবার স্যালাইন দিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আইভি ফ্লুয়িড স্যালাইন বা ওষুধ দিতে হবে। রোগী দুর্বল হয়ে পড়লে অবশ্যই নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

মেডিসিন রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৌফিক আহমেদ বলছেন, ডায়রিয়ায় শরীর থেকে যে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়, স্যালাইন খাওয়ার মাধ্যমে তা পূরণ করা হয়। এখন রাইস স্যালাইনও খেতে দেয়া হয়।

‘কিন্তু রোগীর যদি বমি হতে শুরু করে, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় বা জিহ্বা শুষ্ক হয়ে পড়ে, তাহলে কোনোরকম বিলম্ব না করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কারণ তখন শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে পড়তে শুরু করেছে,’ তিনি বলছেন।

পেটের পীড়া

ডায়রিয়া ছাড়াও গরমের সময় অনেকে পেটের নানারকম জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পেটে ব্যথা, হেপাটাইটিসে ভোগেন।

তৌফিক আহমেদ বলছেন, ‘গরমের সময় বাইরের খাবারেও জীবাণুর সংক্রমণ বেশি হয়। ফলে হজমে সমস্যা হয়, খাদ্যে বিষক্রিয়া বেশি হয়। আবার গরমের সময় খাবারদাবার খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এসব পচা খাবার খেলে ডায়রিয়া হতে পারে,’ তিনি বলছেন।

বিশেষ করে খোলা খাবার, বাইরের শরবত, খোলা ফল, আখের শরবত ইত্যাদি খেয়ে বেশিরভাগ মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হন।

আবার গরমের মধ্যে মাছির সংক্রমণ অনেক বেড়ে যায়। এসব মাছির মাধ্যমেও খাবার দূষিত হয়ে পড়ে। সেসব খাবার খেয়ে মানুষজন পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হন।

আমরা দেখেছি, গরমের সময় জন্ডিস বা হেপাটাইটিসের মতো রোগগুলো বেড়ে যায়। দূষিত পানি পান করেই এসব রোগে মানুষ আক্রান্ত হন,’ বলছেন ডা. আহমেদ।

এ থেকে রক্ষায় বাইরের খোলা খাবার না খাওয়া, খাওয়ার পূর্বে খাবারটি ভালো আছে কিনা, তা যাচাই করে নেয়ার পরামর্শ দেন। আর বাইরের শরবত, খোলা ফল খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন এই চিকিৎসক।

ঠাণ্ডা-গরম, কাশি ও জ্বর
আয়েশা আক্তার বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেই জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। মূলত হঠাৎ ঠাণ্ডা থেকে গরমে পরিবর্তনের কারণে এটা ঘটে।

‘হঠাৎ গরম পড়তে শুরু করে। বাইরে গরম আবহাওয়া, কিন্তু অনেকের বাসা বা অফিস, গাড়িতে এসি থাকে। ফলে ঠাণ্ডা থেকে হঠাৎ গরমে যাওয়া বা গরম থেকে ঠাণ্ডার মধ্যে গেলে শরীর মানিয়ে নিতে পারে না। তাই অনেকের সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হন, নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে, কারো কারো জ্বর আসে।’

তবে এ ধরণের সমস্যা সাধারণত কয়েকদিন পরেই ঠিক হয়ে যায় বলে তিনি জানান। যাদের এর আগেও এরকম সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে, তাদের ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টায় বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন ডা. আয়েশা আক্তার।

অনেক সময় রোদ থেকে এসে বা জগিং, পরিশ্রমের পর গোসল করতে চলে যান। সেটাও অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

আয়েশা আক্তার বলছেন, ‘গরম থেকে আসার পর শরীরকে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। গরম থেকে বা রোদ থেকে এসেই গোছল করতে গেলে ঠাণ্ডা-গরম লাগা বা জ্বর এসে যেতে পারে। এ কারণে শরীরকে ঠাণ্ডার সঙ্গে খানিকটা মানিয়ে নিয়ে গোছল করতে হবে। এভাবে তীব্র গরম থেকে এসেই এসির মধ্যে ঢুকে পড়া ঠিক নয়। সেই সঙ্গে তীব্র তাপ থেকে এসে ঠাণ্ডা পানি বা ফ্রিজের ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া যাবে না।’

হিট স্ট্রোক
তীব্র গরমের সময় দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে অসুস্থ পড়ে পড়লে হিট স্ট্রোক বলা হয়ে থাকে। অনেক সময় এতে রোগীর মৃত্যু হয়।

মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু কোনো কারণে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রির বেশি হয়ে গেলে শরীরের রক্তচাপ কমে যায়, মানুষ তখন অচেতন হয়ে পড়তে পারেন। মস্তিষ্কের যে অংশটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, তীব্র তাপমাত্রার কারণে সেটি শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে হিট স্ট্রোক বলা হয়।

তীব্র গরমে অনেকক্ষণ থাকলে বা পরিশ্রম করলে সাধারণত গরমে শরীরে পানিশূন্যতার তৈরি হয়। তাতেও শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

গত বছরের মে মাসে তীব্র গরমে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরিঘাটে হিট স্ট্রোকে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।

আয়েশা আক্তার বলছেন, তীব্র গরমের সময় শরীর ঘাম বের করে দিয়ে শরীর ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করে। কিন্তু তীব্র গরমে শরীর এক শুষ্ক হয়ে যায় যে, তার ঘামও বের করতে পারে না। তখন শরীরের তাপমাত্রা আরো বেড়ে যায়। তখন শরীর হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়।

হিট স্ট্রোকের আগে শরীরের অনেক তাপমাত্রা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, ঝিমুনি, বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া চামড়ার রং লালচে হয়ে যাওয়া, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, খিঁচুনি, হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে যেতে পারে।

এ থেকে রক্ষার উপায় হিসাবে তিনি বলছেন, তীব্র গরমের সময় রোদের মধ্যে বা তাপের মধ্য কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু কোনো কারণে মাঠে বা বাইরে রোদের মধ্যে কাজ করতে হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করা উচিত। সেই সঙ্গে গরমের সময় প্রচুর পানি পান করতে হবে। ডায়াবেটিস বা প্রেশার না থাকলে বারবার ওরস্যালাইন খাওয়া উচিত।

সেই সঙ্গে গরমের সময় সাদা কাপড় ও সুতির নরম কাপড় ব্যবহার করা উচিত। এ জাতীয় কাপড় শরীর ঠাণ্ডা রাখে। মাঠের বা বাইরে কাজ করতে হলে সেটা তীব্র রোদের মধ্যে না করে আগে বা পরে করা যেতে পারে।

গরমে অসুস্থতা থেকে রক্ষায় যা করা যেতে পারে
এসব রোগের বাইরেও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে :

- রোদে বের হলে সবসময় ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। প্রেশার বা ডায়াবেটিস না থাকলে স্যালাইন পান করা যেতে পারে।
- সুতির কাপড়চোপড় ও নরম জুতা পরা
- ভারী ও ফাস্টফুড না খাওয়া
- পুরনো ও বাসী খাবার না খাওয়া
- ঘরে পানি ভর্তি বালতি রাখা, যা ঘর ঠাণ্ডা রাখবে
- প্রতিদিন গোসল করা এবং কয়েকবার করে হাত,মুখ, পা ধোয়া
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করা, যা ত্বক ভালো রাখবে

তাপদাহের সময় কী করা উচিত?
করণীয় একেবারে সাদামাটা। ঠাণ্ডা থাকুন আর শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবেন না।

- গরমে রোদের মধ্যে কাজ না করা এবং বেশি পরিশ্রমের কাজ করা থেকে বিরত থাকা ভালো।
- ঘরে দিনের বেলাতে পর্দা টেনে দিন। প্রচুর পানি এবং দুধ পান করুন।
- সাধারণত দিনের বেলাতেই গরমে বেশি হয়। কিন্তু রাতের অতি গরমও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

কাউকে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে কী করা উচিত?
অতিরিক্ত গরমে কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে শুরুতেই তাকে আধা ঘণ্টা ঠাণ্ডায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

যদি তাতে তিনি সুস্থ হয়ে যান, তাহলে বুঝতে হবে, অসুস্থতা গুরুতর নয়।

তীব্র গরমে কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে কী করা উচিত, সে বিষয়ে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।

-ওই ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে
- শুইয়ে দিতে হবে, এবং তার পা কিছুটা ওপরে তুলে দিতে হবে
- প্রচুর পানি বা পানীয় খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে, পানিশূন্যতা দূর করার পানীয় দেয়া যেতে পারে
- আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ঠাণ্ডা করার ব্যবস্থা করতে হবে, ভেজা কাপড় বা স্পঞ্জ দিয়ে মুছে দেয়া যেতে পারে শরীর। বগলের নিচে এবং ঘাড়ে গলায় ঠাণ্ডা পানি দেয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।


সূত্র : বিবিসি


আরও খবর



দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশের সাত অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (৪ মে) দুপুর একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার দেশের বেশিরভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা গতকালের মতোই উষ্ণ থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। তবে দেশের কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কিছু জেলায়। ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা কমলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না।


আরও খবর



নেত্রকোনায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশে এক হাজারের বেশি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগ। 

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২২ এপ্রিল) নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের নেতৃত্বে নেত্রকোনা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি  ১০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এ কর্মসূচি আরও ১০ দিন চলবে। রোপণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে— আম, কাঠাঁল, পেয়ারা, নিমসহ বিভিন্ন কাঠ জাতীয় গাছ।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে জেলা ও পৌর ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের বলেন, ‘এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জন এবং তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই বৃক্ষরোপণ। আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।’ 

তিনি আরো বলেন, আমরা বন কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে বিভিন্ন গাছ সিলেকশন করেছি। তারপর আমার গাছ গুলো পরিচর্যার জন্য একজন নির্ধারিত লোক রেখেছি যিনি প্রতিদিন দুইবেলা পানি কিছুদিন পরপর ইউরিয়া সার দিবে এবং গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখবে ও অন্যান্য কাজ নিয়মিত করে যাবে। 

এর আগে, ২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ১০ দিনে সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও পরিবেশ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক কোটি বৃক্ষরোপণ করে গিনেজ বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচি পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।

সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য(এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১০ দিনে ৫ লক্ষের অধিক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা করছে।


প্রয়োজনীয় নির্দেশনা :

চলতি এপ্রিল মাসের ২১-৩০ তারিখের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করতে হবে; কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সহযোগিতা নিয়ে উপযুক্ত স্থানে নিয়মমাফিক বৃক্ষরোপণ করবে; শুষ্ক মৌসুম বিধায় নিয়মিত গাছে পানি দিতে হবে; রোপণকৃত বৃক্ষের পরিচর্যা করতে হবে; প্রতিটি উপজেলা ইউনিট এক হাজার এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিট পাঁচ শত বৃক্ষ রোপণ করবে; বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে; বৃক্ষরোপণের ছবি, ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

একইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী ও অন্যান্য সাংগঠনিক ইউনিটকে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রকল্পের উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  "ডিজিটাল স্কিল ফর স্টুডেন্টস  ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভিশন প্রোগ্রাম" বিশ্বিবদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের হল রুমে ১৫ মে, ২০২৪  সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীনে   কম্পিউটার কাউন্সিলের ইনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্মেন্ট ইকোনমি ( ইডিজিই) প্রকল্পের   আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।

 বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী ড.  মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান তালুকদার।  এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রশিক্ষনার্থীদের পক্ষে থেকেও বক্তব্য রাখেন। 

উল্লেখ্য, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের  বর্তমান শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল  দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য  অন্যান্য  বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান  ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের তত্বাবধানে  গত ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এ প্রকল্পের ট্রেনিং প্রোগ্রামের  ক্লাশ । 

১৮ মাস মেয়াদি  এ প্রকল্পের আওতায়  ২৪ টি ব্যাচে ২৫ জন করে ৬শ শিক্ষার্থীকে ৫টি ল্যাবে হাতে কলমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। 

প্রশিক্ষণ কোর্সে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের এবং টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কলেজের অনার্স এর ৩য় বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত আগ্রহী  শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন।

শনি থেকে বুধবার অফিস সময়ের পরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সের ক্লাশ চলে। প্রতিটি ব্যাচের জন্য ২০ টি করে ক্লাশ নেয়া হয়। ৯ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও আজকে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  করা হয়।  

প্রধান অতিথি বলেন, এ প্রকল্পের অধীনে যে সকল শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।  এভাবে যদি আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলে তাহলে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নেও তরান্বিত করবে।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বেড়েছে ঋণ পরিশোধের চাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। গত মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের ৯ মাসে শুধু ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদই ব্যয় বেড়েছে ১১৭ শতাংশ। সরকারের দেয়া উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে ঋণ নেয়ার প্রবণতাও। অর্থনীতিবিদদের মতে, ঋণ ব্যয়ে দূরদর্শিতা দেখাতে না পারলে সুদের জালে আটকে যাবে দেশের উন্নয়ন।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ খরচ ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার। গত রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ-এ ৯ মাসে বাংলাদেশকে কেবল সুদ বাবদ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করতে হয়েছে ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। গত অর্থবছর এ সুদ বাবদ গুনতে হয়েছে ৪৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

স্বাভাবিকভাবেই বছর ব্যবধানে বেড়ে গেছে সুদাসলে ঋণ শোধ বাবদ ব্যয়। ইআরডির তথ্য, গত নমাসে সব মিলিয়ে ২৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার সুদ ও আসল গুনতে হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ আগের বছরের ‍তুলনায় বেড়েছে ৮৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে বিভিন্ন ঋণের আসল পরিশোধ করা হয়েছে ১৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

তবে এ সময়ে ঋণ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতিও অনেক বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৭২৪ কোটি ২১ লাখ ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। গত বছরের তুলনায় যা ১৩৫ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩০৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তৃপ্তির ঢেকুর না তুলে, তা যেন ব্যয় করা হয় লাভজনক প্রকল্পে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে অর্থব্যয়ে স্বচ্ছতা।

অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যাবে না। তাই যতটুকু ঋণ পাওয়া যাবে তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে। না হলে সুদের জালে আটকে যেতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়ন।

যে সব প্রকল্প দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে সহায়তা করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এমন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ নেয়ার তাগিদ দেন অর্থনীতিবিদরা।


আরও খবর



স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ঋষির দলের ভরাডুবি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

যুক্তরাজ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন গত ২ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গত ৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে ঋষি সুনাকের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিকের কাছে ভরাডুবি হয়েছে কনজারভেটিভের। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

এতে ১০৭ টি কাউন্সিলে ২৭,০০ কাউন্সিলর ও ১১ জন সিটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার জন্য সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। নির্বাচিত ১১টি মেয়র আসনের মধ্যে ১০টি আসন হারিয়েছে কনজারভেটিভ। ১০টি আসনে মেয়র পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির কাছে হার মেনেছে কনজারভেটিভ, সুনাকের দলকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নিয়েছে লিবডেম। ১১৪০টি কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছে লেবার। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পেয়েছে ৫২১টি, কনজারভেটিভ পেয়েছে ৫১৩টি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট পেয়েছে ২২৮টি, গ্রিন পার্টি ১২১টি, রেসিডেনস অ্যাসোসিয়েশন পেয়েছে ৪৮টি।

১১টি মেয়র পদের মধ্যে লেবার যে ১০টি এলাকায় জিতেছেগ্রেটার লন্ডন, পূর্ব মিডল্যান্ডস, গ্রেটার ম্যানচেস্টার, লিভারপুল সিটি অঞ্চল, উত্তর পূর্ব, সালফোর্ড, সাউথ ইয়র্কশায়ার, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার এবং ইয়র্ক এবং উত্তর ইয়র্কশায়ার।

নির্বাচনী ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লেবার পার্টির বড় জয় হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই প্রেক্ষাপট থাকবে না। বরং কনজারভেটিভকেই বেছে নেবে জনগণ। কনজারভেটিভ পার্টিকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

অন্যদিকে লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার নির্বাচনী ফলে উচ্ছ্বসিত। তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে। কিয়ার স্টারমার জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলই জনগণের আগাম বার্তা যে, তারা পরিবর্তন চায়।


আরও খবর