Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়াল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪১ জনে। এছাড়া নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৪ জন। সবমিলিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ২৭২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেনিন্স অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে আগর ২৪ ঘণ্টার তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৬৭ জন ও ঢাকার বাইরের এক হাজার ৯৭৭ জন। একই সময়ে যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে সাতজন ঢাকার ও চারজন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ২৭২ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৮ হাজার ২৬ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৮৩ হাজার ২৪৩ জন ভর্তি হয়েছেন।

বছরের একই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক লাখ ৪০ হাজার ৭১৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৩ হাজার ২৯১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭২ হাজার ৪২৪ জন।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে কভিড মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক দগ্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট এলাকায় একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন বিপ্লব (২৮), আরিফ (১৭), হাসান (২২), শাওন (২৪), হোসাইন (১৮), চঞ্চল (২৬), তামজিদ শেখ (৪০), তন্ময় (২৫), নুর ইসলাম (২৩) এবং আল-আমিন (২৪)।

শ্রমিকরা জানান, সকালে কারখানার ইউনিট ওয়ানে অ্যারোসল ও এয়ার ফ্রেশনার তৈরির কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। হঠাৎ সেখানে বিস্ফোরণ হয়। এতে আশপাশে থাকা ১১ শ্রমিক দগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে কারখানার অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ মোর্শেদ আলম বলেন, এয়ার ফ্রেশনারের বোতলে গ্যাস ভরার সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ১১ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কার কত শতাংশ পুড়ে গেছে, তা কিছুক্ষণ পর জানানো যাবে।


আরও খবর



৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার পরের মাসগুলোতে কিছুটা করে বেড়েছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। সেপ্টেম্বরের মতো সদস্য বিদায়ী অক্টোবর মাসেও প্রবাসী আয়ের গতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। অক্টোবরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৪০ কোটি ডলার।

চলতি মাস নভেম্বরেও রেমিট্যান্সের গতি প্রবাহ ভালো। নভেম্বরের প্রথম ৯ দিনে এসেছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। এ সময়ে প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৮৭৩ কোটি টাকার বেশি প্রবাসী আয়।

রোববার (১০ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি মাস নভেম্বরের ৯ দিনে এসেছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ২০ কোটি ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোট ১৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এছাড়া ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে।

তবে এ সময়ের মধ্যে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১১টি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাবাক)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংক। এছাড়া বিদেশি খাতের মধ্যে রয়েছে ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এর আগে আগের মাস সেপ্টেম্বরের পুরো সময়ে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২.৪০ বিলিয়ন) পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকার বেশি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার।

তার আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এর আগে দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। এছাড়া চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




অর্থনৈতিক ও আয় বৈষম্য এই মুহূর্তে বড় দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অর্থনৈতিক ও আয় বৈষম্য এই মুহূর্তে বড় একটি দুশ্চিন্তার বিষয়।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এবিসিডি সম্মেলনে আলোচনা রাখতে গিয়ে এ দুশ্চিন্তার কথা জানান।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্য দূর করতে মানসম্পন্ন শিক্ষা দরকার, যা থেকে অনেক দূরে রয়েছে বাংলাদেশ।

একই অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত এস গিল বলেন, মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বাংলাদেশকে বেরকরতে হলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরি ও প্রযুক্তির ব্যবহার জেনো বাড়ানো যায় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়ারও তাগিদ দেন তিনি।

বিশ্বব্যাংকের মতে, এ কাজে এগুতে হলে প্রথমেই মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কৌশল নিতে হবে। পাশাপাশি সেবা ও উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন বাড়াতে বাংলাদেশকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ।

একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা সাজানোর পরামর্শ দেন ইন্দরমিত এস গিল।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরেরও কম

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে, এমনকি আরও কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল–জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৯) ফাঁকে ড. ইউনূস আল–জাজিরাকে এই সাক্ষাৎকার দেন। রোববার সম্প্রচারিত ওই ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ যে সংকটগুলো মোকাবিলা করছে, সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া, আগামী নির্বাচন, কূটনৈতিক সম্পর্কের পরিবর্তিত চিত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।

ড. ইউনূসের কাছে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের সঠিক সময় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "না, আমার মাথায় এমন কিছু নেই।" তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তার কোনো পরিকল্পনা নেই।

এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে—এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, স্থায়ী সরকার না। নিয়মিত সরকারের মেয়াদ ৫ বছর হয়ে থাকে। নতুন সংবিধানে সম্ভবত সরকারের মেয়াদ চার বছর হতে পারে, কারণ মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ অবশ্যই চার বছরের কম হবে, এটি নিশ্চিত। এটা আরও কমও হতে পারে, তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে মানুষের কী চাহিদা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কী মতামত তার ওপর।

তিনি আরও বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে যে, সংস্কার প্রক্রিয়া ভুলে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত, তাহলে সেটাও করা হবে।

ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে চার বছর দায়িত্বে থাকবেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি চার বছর থাকার কথা বলিনি। আমি বলেছি, এটা সর্বোচ্চ মেয়াদ হতে পারে, তবে আমাদের উদ্দেশ্য তা নয়। আমাদের উদ্দেশ্য যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা।

চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, পুরো সরকার ব্যবস্থা সংস্কার হবে। মানুষ নতুন কিছু চায়, আর সেখানে সব ক্ষেত্রেই সংস্কার করা হবে। এমনকি সংবিধানও সংস্কার হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে দুটি প্রক্রিয়া একসাথে চলছে—একটি হচ্ছে নির্বাচনের প্রস্তুতি, আর অন্যটি হচ্ছে সকল সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার প্রস্তুতি।

ড. ইউনূস বলেন, সারাদেশ নতুন কিছু চায়, আর নতুন বাংলাদেশ শুধু নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের কাছে জানতে চাইছি, তারা কি এখনই নির্বাচনে যেতে চায় নাকি সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া আগে নির্বাচন চান। তিনি নিশ্চিত করেন যে, সমস্ত সিদ্ধান্ত জনগণের মতামত এবং রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শের ভিত্তিতে নেওয়া হচ্ছে।

সাক্ষাৎকারে ভারতের কাছে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার প্রসঙ্গও ওঠে। এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের মধ্যে বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছেন। এগুলো বাংলাদেশের জন্য ভালো নয়। তাই ভারতকে এসব বিষয়ে বলার প্রয়োজন আছে। ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে, কিন্তু যদি এই ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকে, তাহলে তাদের কাছে আবার অভিযোগ করা হবে।

তিনি বলেন, ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এর জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নিজেকে যতই কিছু বলতে পারেন, বাস্তবতা কিন্তু অন্য কথা বলে। এমনকি ভারতও তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছে। তাই আশ্রয়দাতাও তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কিছুই বলছে না।

শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আইনি প্রক্রিয়া চলছে। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তার প্রত্যাবর্তন চাওয়া হবে।

ভারতের সঙ্গে মিলিতভাবে অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, আমরা চাই, ভারতসহ আমাদের অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা যৌথভাবে করা হোক।

শেষে, ড. ইউনূস বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল। আমাদের সরকার চেষ্টা করছে, দেশের দুর্নীতি থেকে বের হয়ে আসতে এবং একটি স্বচ্ছ সরকার ব্যবস্থা তৈরি করতে।


আরও খবর



মিডিয়াকে সত্য ঘটনা প্রচার করতে হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মিডিয়াকে সত্য ঘটনা প্রচার করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়ার যে একটা সুনাম আছে, পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়ার তা নাই। তারা মিথ্যাই কিন্তু প্রচার করে সবচেয়ে বেশি। আর এই মিথ্যাটাকে কিন্তু কাউন্টার করতে পারেন শুধু আপনারা।

উপদেষ্টা আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিংকে জোরদার করতে হবে। এরই মধ্যে ডিএমপি এলাকায় ৭০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য যারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের আগ্রহী সদস্যদের বয়সসীমা বেঁধে দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি মহানগরীর যানজট নিরসনে সভা-সমাবেশের জন্য মুক্তাঙ্গন নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। এরই মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে সভা-সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য মহানগরীর জন্য মুক্তাঙ্গন ঠিক করে দিতে হবে যাতে যানজট হ্রাস পায়। তিনি এ সময় মেট্রোপলিটন এলাকায় অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেন।

  1. লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আদালত থেকে রায় পেয়ে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিন পেয়েছে। এসব অপরাধী পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করতে হবে এবং কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচারসহ বিভিন্ন সাইবার অপরাধও বেড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
  2. উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে হয়তো সেটা জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী খুব সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। তিনি এ সময় পুলিশকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন ও প্রোটোকল ডিউটি কমিয়ে আনার নির্দেশ দেন।
  3. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে যেকোনো সমস্যায় থানায় যেতে পারে ও উপযুক্ত সেবা পায় থানার পরিবেশ ও কার্যক্রম সেভাবে রূপান্তর করতে হবে। থানায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। জনবান্ধব পুলিশ গড়ে তুলতে থানার কার্যক্রম আরো সক্রিয় ও যুগোপযোগী করতে হবে।
  4. পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই জাহাজ মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসে একটা দেশে গেছে। আবার ওই দেশ থেকে আমাদের দেশে এসেছে। তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, আমাদের দেশে কি কোনো দেশের জাহাজ আসা নিষেধ আছে। তিনি বলেন, অনুমতি সাপেক্ষে যেকোনো দেশের জাহাজ আমাদের দেশে আসতে পারে। জাহাজটি রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যথা: খেজুর, পেঁয়াজ এগুলো নিয়ে এসেছে। এতে কেন আমরা বাধা দেব? তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ বিঘ্নকারী এসব ঘটনা যারা রটাচ্ছে তারা দেশের শত্রু।
  5. চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম, র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ 

সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করেন অতিরিক্ত কমিশনার হুমায়ূন কবীর চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করেন পুলিশ সুপার (অপারেশনস) নেছার উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর