Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যয় ৪০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

চলতি বছর ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য সরকারের ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ পর্যন্ত হাসপাতালে সেবা নেওয়া ডেঙ্গু রোগীর মোট ৭০ শতাংশই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

২৭ আগস্ট রাজধানীর বনানী হোটেল শেরাটন হোটেলে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য দেন।

জাহিদ মালেক বলেন, সরকার করোনার মতো ডেঙ্গু চিকিৎসাও বিনামূল্যে দিচ্ছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় দুই ধরনের খরচ হয়। এর মধ্যে রয়েছে যাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা বা প্লাটিলেট নিতে হচ্ছে তাদের চিকিৎসা ব্যয় এবং যাদের এসব লাগছে না তাদের খরচ ভিন্ন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর ডেঙ্গু চিকিৎসায় সরকারিভাবে ব্যয় হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। রোগী প্রতি সরকারের গড়ে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

এ সময় জাহিদ মালেক দেশজুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, সারাদেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৪১১। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের অধিকাংশই ঢাকার বাসিন্দা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ডেঙ্গু রোগীদের অর্ধেক ঢাকা সিটি করপোরেশনের, বাকিগুলো সারাদেশের। এটি যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে অর্ধেক রোগী কমে আসবে।

আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা কম হলেও মৃত্যুতে নারী হার বেশি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে মোট ভর্তি রোগীর ৬০-৬৫ শতাংশ হচ্ছে পুরুষ এবং ৩৫ শতাংশ নারী। কিন্তু মোট মৃতের মধ্যে নারীদের হার ৬৫ শতাংশ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে নারীরা চিকিৎসা নিতে দেরি করছেন। তারা অসুস্থ হলে পরিবারসহ তাদের কাছের মানুষদের নজর রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে চিকিৎসা দেয়া। আমরা সেটি করে যাচ্ছি। রোগীদের স্যালাইনসহ সেবার যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। সিটি করপোরেশনসহ সবার সঙ্গে আমরা তথ্য শেয়ার করছি। এডিস প্রতিরোধে তাদের সহযোগিতা করছি। পৃথিবীর অন্যসব দেশ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু কারও একার পক্ষে এই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। একে অপরকে দোষারোপ না করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।


আরও খবর



‘বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য’

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক রায়ে জানিয়েছে, ষোড়শ সংশোধনী মামলার আসল লক্ষ্য ছিল বিচারপতিদের স্বাধীনতাকে সংকটে ফেলা। রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে পুনরায় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যাতে তারা অক্ষমতা বা আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণ করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে বলা হয়, ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়বস্তু কী ছিল? এটি ছিল কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসকের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট প্রয়াস, যেখানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে কেড়ে নিয়ে সংসদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকেই হুমকির মুখে ফেলা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ রায়টি ঘোষণা করেন। ৫০ পৃষ্ঠার এই পূর্ণাঙ্গ রায়টি আজ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষণসহ মামলাটি নিষ্পত্তি করা হলো। 

এদিকে এই রায় প্রসঙ্গে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী মন্তব্য করেন, যদি কোনো বিচারক তার বিচারিক দায়িত্ব পালনের সময় সরকারের রোষানল কিংবা অসন্তোষের মুখোমুখি হন, তাহলে সংসদের সদস্যদের কলমের এক খোঁচায় তাকে অপসারণ করা সম্ভব, এটা কি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মেনে নেওয়া যায়? আমার গভীর বিবেচনায় এবং সহকর্মীদের পর্যবেক্ষণ অনুসারে এর উত্তর, অত্যন্ত স্পষ্টভাবে, না

বাসস-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিচারপতিদের উচিত বিচারিক কাজে রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ানো। কারণ এমন মন্তব্য বিচারকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং তিনি তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে পারেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া বিচারকদের উচিত রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ না করা, কারণ এতে বিচারব্যবস্থার সুনাম ও স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে এ কথা ব্যক্ত করেন।

রায়টিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করার নতুন ভিত্তি পেয়েছে। এই রায় ইতিহাসে স্থান করে নেবে।

তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপর ঐতিহাসিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবে। আগে ৯৪টি কারণে রিভিউ চাওয়া হয়েছিল। আমরা সবগুলো ভাল করে দেখেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রিভিউ করার মতো কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। আদালতকে জানিয়েছি, আমরা আর এসব কারণ দেখাব না।

প্রসঙ্গত, এই মামলায় রিটকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। পরে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই সাত সদস্যের আপিল বিভাগ ওই রায় বহাল রাখে। এর পর রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন দায়ের করে, যার নিষ্পত্তি হয় ২০২৪ সালের অক্টোবরে।


আরও খবর



এপ্রিলে নির্বাচন নানা দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত আগামী এপ্রিলে নির্বাচন উপযুক্ত সময় নয়, বরং নানা দিক দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেনবিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের বিরোধে জড়িয়ে পড়া ও নতুন কোনো সংকট সৃষ্টি হওয়া কোনভাবেই কাম্য নয় বলেও মনে করেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণ দিয়ে সাইফুল হক এক বিবৃতিতে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ সম্পর্কে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জনগণের মতামত ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি; বাস্তবে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ সম্পর্কে জনদাবি উপেক্ষিতই হয়েছে। ডিসেম্বরে কেন জাতীয় নির্বাচন করা যাবে না, ভাষণে তার যেমন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই, তেমনি জাতীয় নির্বাচন কেন আগামী বছরের এপ্রিলে নিতে হবে তারও গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য কোনো কারণ উল্লেখ নেই।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের যে ধারণা দিয়েছেন নানা দিক থেকেই তা উপযুক্ত সময় নয়। এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে রোজার মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে হবে, যা বাস্তবানুগ নয়। তাছাড়া এপ্রিলেই রয়েছে বড় পাবলিক পরীক্ষা ও আবহাওয়াগত ঝুঁকি। কালবৈশাখীর আশংকাতো রয়েছেই।

ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যে নির্বাচনকে উৎসবের আনন্দে নজিরবিহীন করতে চান তার জন্য জাতীয় নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর বা তার আশেপাশেই অনুষ্ঠিত হওয়াটাই উত্তম। এটা কোনো ধরনের জেদ বা রশি টানাটানির বিষয় নয়। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে রাজনৈতিক দল ও জনগণের আকাংঙ্ক্ষা ও দাবি বিবেচনায় নিয়ে এরকম একটি উপযুক্ত তারিখ নির্ধারণ করা কঠিন কোনো বিষয় নয়।

বিবৃতিতে সাইফুল হক আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া এবং এ উদ্যোগের বিরোধিতাকারীদেরকে 'প্রতিহত' করার যে আহবান জানিয়েছেন তা অনভিপ্রেত। রাজনৈতিক দল ও জনগণের বিরোধিতার মুখে কেন জাতীয় অর্থনীতির প্রধান লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে তুলে দিতে হবে তা মোটেও বোধগম্য নয়। সরকারের উচিৎ হবে এ ধরনের বিতর্কিত তৎপরতা থেকে সরে আসা।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম শুনে দুই বৃদ্ধাঙ্গুলিতে চুমুর বিধান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

প্রচারে -মোতালিব শেখ আল মাইজভান্ডারি :

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ,,,,,,, 

* এ ব্যাপারে হযরত আদম (عليه السلام) এর আমলঃ

বিখ্যাত মুফাস্সির আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (রহ) তাঁর উল্লেখযোগ্য তাফসীর তাফসীরে ‘রুহুল বায়ানে’ লিখেন-

وفي قصص الأنبياء وغيرها أن آدم عليه السلام اشتاق إلى لقاء محمد صلى الله عليه وسلم حين كان في الجنة فأوحى الله تعالى إليه هو من صلبك ويظهر فى آخر الزمان فسأل لقاء محمد صلى الله عليه وسلم حين كان في الجنة فأوحى الله تعالى اليه فجعل الله النور المحمدي فى إصبعه المسبحة من يده اليمنى فسبح ذلك النور فلذلك سميت تلك الإصبع مسبحة كما فى الروض الفائق. او اظهر الله تعالى جمال حبيبه فى صفاء ظفري ابهاميه مثل المرآة فقبل آدم ظفري إبهامه ومسح على عينيه فصار أصلا لذريته فلما اخبر جبرائيل النبي صلى الله عليه وسلم بهذه القصة قال عليه السلام (من سمع اسمى فى الاذان فقبل ظفري ابهامه ومسح على عينيه لم يعم ابدا 


'‘কাসাসুল আম্বিয়া কিতাবে বর্ণিত আছে যে, হযরত আদম (عليه السلام) জান্নাতে অবস্থানকালে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)‘র সাথে সাক্ষাতের জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করেন। অত:পর আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর নিকট ওহী প্রেরণ করেন যে, হে আদম! তিনি তোমার পৃষ্ঠ হতে শেষ যামানায় প্রকাশ হবেন। তা শুনার পর তিনি জান্নাতে অবস্থানকালে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানালেন। বিনিময়ে আল্লাহ তা‘য়ালা ওহী প্রেরণ করলেন, যে নূরে মুহাম্মদী (ﷺ) তোমার ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলীর মধ্যে স্থানান্তরিত করেছি, তখন সে অঙ্গ হতে তাসবীহ পাঠ আরম্ভ হলো। এজন্যই এই আঙ্গুলকে তাসবীহ পাঠকারী আঙ্গুল বলা হয়। যেমন ‘রওযাতুল ফায়েক’ কিতাবেও বর্ণিত আছে, অথবা আরেক বর্ণনায় রয়েছে, আল্লাহ তা‘য়ালা আপন হাবীব (ﷺ) এর সৌন্দর্য প্রকাশ করলেন দুই বৃদ্ধাঙ্গুলীর উপর যেভাবে আয়নাতে দেখা যায়। তখন আদম (عليه السلام) দুই বৃদ্ধাঙ্গুলি চুম্বন করে স্বীয় চোখের উপর মালিশ করলেন। এটি দলীল হিসেবে প্রমাণিত হলো যে, তাঁর সন্তানাদীর জন্য। অতঃপর জিবরাঈল (আ) এই ঘটনা হুযুর (ﷺ) কে জানালেন। হুযুর (ﷺ) বললেন, যেই ব্যক্তি আযানের মধ্যে আমার নাম মোবারক শুনে দুই বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করবে আর চোখে মালিশ করবে, সে কখনো অন্ধ হবে না।’’

🔴(ক.আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী : তাফসীরে রুহুল বয়ান : ৭/২২৯ : সূরা মায়েদা আয়াত : ৫৭ নং এর ব্যাখ্যা, আবদুর রহমান ছাফুরী, নুযাহাতুল মাযালিস, ২/৭৪পৃ.)


আরও খবর



বালুয়াকান্দীতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ওসাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।

বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন এর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা শরীফ হোসেন মাষ্টার,বিএনপি নেতা রেজাউল করিম সেলিম মাষ্টার,আব্দুস সামাদ,মিছির আলী মেম্বার,আবু ইউসুফ খোকন,জসিম উদ্দিন,জজ মিয়া,আবদুল ওয়াদুদ,উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তোফাজ্জল হোসেনে সরকার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আলী আরশাদ,মিহিন উল্লাহ,ফুয়াদ মৃধা,কামরুল হাসান জিয়া,ছাত্রদল নেতা সাইদুল ইসলাম,নোমান বিল্লাল,কামরুজ্জামান সানি প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো:শফিকুল ইসলাম স্বপন।


আরও খবর



নওগাঁয় একই মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফেরার পথে সড়কে ঝরলো ৩শিক্ষার্থীর প্রাণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একই মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে ফেরার পথে সড়কে ঝরলো ৩ জন তরুন শিক্ষার্থীর প্রাণ।

মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার সন্ধার পূর্ব মহূর্তে নওগাঁ টু জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের নওগাঁ জেলাধীন পত্নীতলা উপজেলার পার্বতীপুর মোড় নামক স্থানে।

নিহত ৩ জন শিক্ষার্থী হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের মাষ্টারপাড়া মহল্লার বেথুল আশরাফ ওরফে বাবুর ছেলে সুনিবর আশরাফ (১৭), আখরারুজ্জামানের ছেলে হৃদয় (১৭) ও শাহজান আলীর ছেলে সাদনান সাকিব (১৭)। একই দূর্ঘটনায় একই এলাকায় বসবাসকারী ৩ জন শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের পরিবার সহ স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, নিহত ও আহত ৩ জন শিক্ষার্থীই হলেন বন্ধু। তারা বাড়ি থেকে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাজারে বেড়াতে যান এবং সেখান থেকে ফেরার পথে পত্নীতলা উপজেলার পার্বতীপুর মোড় নামক স্থানে পৌছার পর তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে রাখা একটি বাসের পেছনে ধাক্কা লাগে মোটরসাইকেলটি বাসের বাঙ্কার ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে যায়। এতে দূর্ঘটনাস্থলেই সুনিবর আশরাফের মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা নিহত আশরাফসহ আহতদেরকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুনিবর আশরাফকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপর দু' জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে হৃদয় হোসেন মারা যায়। এবং আহত সাদনানকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবনতি হলে রাত ১১ টার দিকে তাকে আইসিইউ তে নেওয়া হয়। এরপর রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুল বলেন, সুনিবর আশরাফ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের অনুরোধে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং আহত হৃদয় হোসেনকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সাদনানেরও মৃত্যু হয়।


আরও খবর