Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যয় ৪০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছর ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য সরকারের ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ পর্যন্ত হাসপাতালে সেবা নেওয়া ডেঙ্গু রোগীর মোট ৭০ শতাংশই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

২৭ আগস্ট রাজধানীর বনানী হোটেল শেরাটন হোটেলে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য দেন।

জাহিদ মালেক বলেন, সরকার করোনার মতো ডেঙ্গু চিকিৎসাও বিনামূল্যে দিচ্ছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় দুই ধরনের খরচ হয়। এর মধ্যে রয়েছে যাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা বা প্লাটিলেট নিতে হচ্ছে তাদের চিকিৎসা ব্যয় এবং যাদের এসব লাগছে না তাদের খরচ ভিন্ন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর ডেঙ্গু চিকিৎসায় সরকারিভাবে ব্যয় হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। রোগী প্রতি সরকারের গড়ে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

এ সময় জাহিদ মালেক দেশজুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, সারাদেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৪১১। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের অধিকাংশই ঢাকার বাসিন্দা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ডেঙ্গু রোগীদের অর্ধেক ঢাকা সিটি করপোরেশনের, বাকিগুলো সারাদেশের। এটি যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে অর্ধেক রোগী কমে আসবে।

আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা কম হলেও মৃত্যুতে নারী হার বেশি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে মোট ভর্তি রোগীর ৬০-৬৫ শতাংশ হচ্ছে পুরুষ এবং ৩৫ শতাংশ নারী। কিন্তু মোট মৃতের মধ্যে নারীদের হার ৬৫ শতাংশ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে নারীরা চিকিৎসা নিতে দেরি করছেন। তারা অসুস্থ হলে পরিবারসহ তাদের কাছের মানুষদের নজর রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে চিকিৎসা দেয়া। আমরা সেটি করে যাচ্ছি। রোগীদের স্যালাইনসহ সেবার যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। সিটি করপোরেশনসহ সবার সঙ্গে আমরা তথ্য শেয়ার করছি। এডিস প্রতিরোধে তাদের সহযোগিতা করছি। পৃথিবীর অন্যসব দেশ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু কারও একার পক্ষে এই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। একে অপরকে দোষারোপ না করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




দুই বছর পর খুলল বান্দরবানের দেবতাখুম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রায় দুই বছর পর উঠিয়ে নেয়া হলো বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার প্রাকৃতিক পর্যটন স্পট দেবতাখুমে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। গতকাল সন্ধ্যার পর জারি করা বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এর ফলে পর্যটকরা আগের নিয়মের তুলনায় আরো সহজে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন। পর্যটক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেলায় পর্যটন শিল্প বিকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৭০ শতাংশ মানুষ এ খাতে সম্পৃক্ত রয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আবির্ভূত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তাণ্ডবে জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি, আলীকদম, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি দেখা দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত চার বছরে বিভিন্ন সময় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে এ খাত স্থবির হয়ে পড়ে। এরইমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এ বাস্তবতায় নতুন বিনিয়োগকারী যেমন আসছে না, তেমনি আগের বিনিয়োগকারীরাও হতাশ। তবে আজ থেকে দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে আগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় বর্তমান অন্তর্বতী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। সবশেষ গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই দিন দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেছিলেন, সদর উপজেলা, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপাতত কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না।

একই সঙ্গে প্রান্তিক লেক, মেঘলা, নীলাচল, বান্দরবান-থানচি সড়কের শৈলপ্রপাত, চিম্বুক পাহাড় ও নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করতে পারবে পর্যটকরা। তবে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে সেখানে পর্যটক ভ্রমণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গতকাল জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মাসের ১৬ তারিখ জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সভার সিদ্ধান্ত ও চলতি মাসের ৪ তারিখ রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রেরিত পত্রের আলোকে আজ হতে উপজেলাটির দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রটি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের অন্তর্গত।

আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় দেবতাখুম পর্যটক কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ উন্মুক্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। আজ সকালে ইউনিয়নের লিরাগাঁও বাজারে করা এক স্টপ সার্ভিস কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। আগের নিয়মে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের রোয়াংছড়ি থানায় গিয়ে পরিচয়পত্র দেখানোসহ রেজিস্ট্রেশন করা লাগত। এবার নতুন নিয়ম করা হয়েছে। এ নিয়ম অনুযায়ী পর্যটকরা সরাসরি লিরাগাঁও বাজারের ওয়ান স্টপ সার্ভিস কেন্দ্রে নিজেদের পরিচয়পত্র অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করে সরাসরি দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন।

এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয় রয়েছে। ফলে পর্যটকরা কম সময়ে ও সহজে নৈসর্গিক দেবতাখুম ভ্রমণ ও উপভোগ করতে পারবেন বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বস্তরের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে দেবতাখুম থেকে পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।


আরও খবর

প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪




যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়ল মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল একদিনে ৪ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহনের রেকর্ড করেছে। বর্তমানে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে উভয় পথে যাত্রী পরিবহন করছে।

এর আগে একদিনে সাড়ে ৩ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে মেট্রোরেল।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোরেল যাত্রী সেবায় প্রথমবারের মতো ৪ লাখ ৩ হাজার ১৬৪ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। এই মাইলফলক অর্জনে মেট্রো পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল, সম্মানিত যাত্রী, শুভানুধ্যায়ী এবং অংশীজনদেরকে মেট্রোরেল পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে।

আরও বলা হয়, এ মহতি লক্ষ্য অর্জনে সার্বিক নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং সিনিয়র সচিব জনাব মো. এহছানুল হককের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সম্মানিত মেট্রো যাত্রীদের সেবায় আমরা নিবেদিত। আগামীর পথচলায় আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল এন্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে সভায় ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ ৮২ হাজার প্যাসেঞ্জার সর্বোচ্চ মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে। সেটা অবশ্য শুরুর দিকে ছিল ১৫-২০ হাজার। আমাদের টার্গেট হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করা। এটি ব্রেক ইভেন্ট পর আমাদের হবে। আমরা যদি হেডওয়ে কমাই, তাহলে এটি আর বেশি দিন দূরে নয়। আমরা যদি টঙ্গী পর্যন্ত চালু করতে পারি তাহলে আমাদের যাত্রী আরো বাড়বে।


আরও খবর

ছুটির দিনেও দূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানি ২ সপ্তাহ মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এই আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।


আরও খবর



১০ লাখ টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করবে সরকার। তবে বোরোর ফলন কম-বেশির ওপর আমদানি নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চালের দামে অস্থিরতা কমেছে দাবি করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাজারে চাল ও গমের মজুত পরিস্থিতি ভালো। এরপরও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে খাদ্য মজুত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তাহলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি।

১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুত রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ৮ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাল, আর গম ৩ লাখ ৪১ হাজার টন। এরপরও চাল ও গম মিলিয়ে ১০ লাখ টন আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে গম ৩ লাখ টন, যা রাশিয়া ও ভারত থেকে আমদানি হবে। এ ছাড়া ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকেও আমদানি করা হচ্ছে।

চালের দাম এখন কেজিপ্রতি ৬০ টাকার মতো, দাম আগের চেয়ে ক্রমান্বয়ে কমছে বলে দাবি আলী ইমাম মজুমদারের। তিনি বলেন, মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দাম কমানোর চেষ্টা করা হবে। এখন চালের যে দাম, তা আরও কমানো যেতে পারে বলে মনে করেন খাদ্য উপদেষ্টা।

এর আগে ১৬ জানুয়ারি সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার টন আতপ চাল জিটুজি পদ্ধতিতে পাকিস্তান থেকে আমদানির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান চাল সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে দুদেশ আলাপের মাধ্যমে প্রতি টন চাল ৪৯৯ ডলার নির্ধারণ করা হয়।

একই উদ্দেশ্যে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ছয়টি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতি টন ৪৫৪ দশমিক ১৪ ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ডলার সমপরিমাণ ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও চাল আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর আওতায় ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বেই মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এই ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। ম্যাচটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা চললেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাইব্রিড মডেলে ম্যাচটি হবে দুবাইয়ে।

আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ভারত-পাকিস্তানের মহারণ। এই হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের টিকিট বিক্রি শুরুর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচই নয়, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-ভারতসহ চারটি ম্যাচের সব টিকিট কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে।

আইসিসির সাম্প্রতিক টুর্নামেন্টগুলোয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয় না, ফলে কেবল আইসিসির ইভেন্টেই তাদের মুখোমুখি হতে দেখা যায়। এর ফলে এই ম্যাচের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়েছে।

টিকিট বিক্রি শুরু হয় ৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায়। অনলাইন ও বুথের দুই মাধ্যমেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল। তবে চাহিদার তীব্রতার কারণে অনেক সমর্থকই টিকিট পাননি।

ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), জাসপ্রিত বুমরাহ, রিশাভ পন্ত, শুভমান গিল, ওয়াশিংটন সুন্দর, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব, আর্শদীপ সিং, মোহাম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা।

পাকিস্তানের স্কোয়াড : মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), সালমান আলী আগা (সহ-অধিনায়ক), বাবর আজম, ফখর জামান, কামরান গুলাম, সৌদ শাকিল, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, তৈয়ব তাহির, আবরার আহমেদ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন ও উসমান খান।


আরও খবর