Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গুতে আট মাসে ঝরল ৫৫৬ প্রাণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫৫৬ জন প্রাণ হারিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৩১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯১৮ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪১৩ জন।

২৮ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮ হাজার ২১২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৯১৩ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ২৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৪২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৫৫ হাজার ৩২৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬১ হাজার ৫১৫ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৭৪ জন। ঢাকায় ৫১ হাজার ৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৭ হাজার ৭০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।


আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে পাঁচজনের শরীরে মিললো নতুন ভাইরাস

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




ভারতের দুই রাজ্যে ছড়াচ্ছে এইচএমপিভি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অবশেষে ভারতে ঢুকে পড়েছে এইচএমপিভি। চীনে ছড়িয়ে পড়া নতুন এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে দেশটিতে। সোমবার দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত বেশ কয়েকটি শিশুর খোঁজ পাওয়া গেছে।

এমন অবস্থায় মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকসহ দেশটির বেশ কিছু রাজ্য সতর্কতা জারি করেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং গুজরাটে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-তে আক্রান্ত পাঁচ শিশুর খোঁজ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।

অন্যদিকে সোমবার কর্নাটক, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র সরকারসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সতর্কতা জারি করেছে এবং জনগণকে আশ্বস্ত করেছে, শঙ্কার কোনও কারণ নেই। ইতোমধ্যে, দিল্লি সরকার রাজধানীতে সমস্ত হাসপাতালকে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার সম্ভাব্য বৃদ্ধি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এছাড়া দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সংকট রোধে কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে কর্নাটকে জারি করা নির্দেশনায় রাজ্যটির সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে মাস্ক পরতে হবে। সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে সাবান, স্যানিটাইজার। বছর চারেক আগে কোভিড পরিস্থিতিতেও এমনই নানা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এইচএমপিভি ফেরাবে করোনা-কালের স্মৃতি?

যদিও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এখনই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভারতে অতীতেও এইচএমপিভি-র সংক্রমণ দেখা গেছে। তবে এই ভাইরাসটির কোনও রূপান্তর হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি হয়েছে, চীনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে শনাক্ত এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও সংযোগ নেই। এছাড়া এইচএমপিভি আক্রান্ত সব শিশুরই অবস্থা স্থিতিশীল। বেঙ্গালুরুর আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে এক জনকে ইতোমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যজনও সুস্থ হয়ে উঠছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চীনে এইচএমপিভির একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তারপর থেকেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে। অনেকেই বছর চারেক আগের করোনা-আবহের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর দুই শিশু, আহমেদাবাদের এক শিশু এবং কলকাতার এক শিশুর দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতেও। তবে চীনে ভাইরাসটির যে রূপ ছড়িয়ে পড়েছে, সেটির গঠনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য মেলেনি। ফলে এটি ভাইরাসের চীনা রূপ নাকি স্বাভাবিক এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ, তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

তবে এইচএমপিভির সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সাধারণ এইচএমপিভি সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, ঠান্ডা লাগা, ঘাম হওয়া, মাথা ধরা, পেশি ও গাঁটে ব্যথা, ক্লান্তি এবং ক্ষুধা কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

সাধারণত, ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরেও এই ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে। এ থেকে বাঁচতে সোমবারই কয়েক দফা নির্দেশনা জারি করে কর্নাটক সরকার। তাতে খোলা জায়গায় হাঁচি-কাশি থেকে বিরত থাকা, হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা, মাস্ক পরা, একই রুমাল বার বার ব্যবহার না করা, সাবান ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, অসুস্থ ব্যক্তির থেকে দূরে থাকা— এমন নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে পাঁচজনের শরীরে মিললো নতুন ভাইরাস

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




বায়ুদূষণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গুলশানের

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। মাত্রাতিরিক্ত স্কোর নিয়ে রবিবার বিশ্বের ১২৫টি নগরীর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে শহরটি। এর মধ্যে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের বায়ুমান সবচেয়ে খারাপ।

বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করা সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের ইনডেস্ক অনুযায়ী, এদিন সকাল সোয়া ৯টায় সামগ্রিকভাবে ঢাকার বায়ুমান স্কোর ছিল ৪২৪, যা দুর্যোগপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার বায়ু মান স্কোর এতটা বেশি দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আজ বায়ুর যে মান, তা ভয়ানক।

এর মধ্যে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে গুলশান লেক-পার্ক এলাকার বায়ুমান স্কোর ছিল ৬২৯। আর গুলশান-২ এলাকায় স্কোর ছিল ৫৭০।

আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকলে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং স্কোর ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।

এ অবস্থায় নগরবাসীর উদ্দেশে আইকিউএয়ারের পরামর্শ, বাইরে বেরোলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। তাদের ওয়েবসাইটে মাস্ক পরিহিত ব্যক্তির প্রতিকৃতি দিয়ে যা নির্দেশ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার আজ সকালে বলেন, আজ বায়ুর যে মান, তা সত্যিই ভয়ানক।

তিনি আরো বলেন, টানা তিন দিন ধরে তিন ঘণ্টা করে যদি স্কোর ৩০০-এর বেশি থাকে তবে সেই এলাকায় স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়। এখন ঢাকার বায়ুর যে মান, তাতে মানুষকে সচেতন করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের উচিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রিনক মাধ্যমে এবং সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতা তৈরিতে বার্তা দেওয়া।



আরও খবর



উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পাস-কি এর সুবিধা অসুবিধা

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পাস-কি (Passkey) হলো একটি আধুনিক এবং উন্নত নিরাপত্তা পদ্ধতি যা ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত পাসওয়ার্ডের বিকল্প হিসেবে কাজ করে এবং ফিজিক্যাল ডিভাইস, বায়োমেট্রিক ডেটা (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি), অথবা ক্রিপ্টোগ্রাফিক টোকেন ব্যবহার করে কাজ করে।

পাস-কি কিভাবে কাজ করে?

পাস-কি ব্যবহার করার সময় নিম্নলিখিত ধাপগুলো সম্পন্ন হয়:

1. প্রাথমিক নিবন্ধন: ব্যবহারকারী একটি ডিভাইস বা বায়োমেট্রিক ডেটার মাধ্যমে পাস-কি তৈরি করে।

2. ক্রিপ্টোগ্রাফি: পাস-কি সাধারণত একটি পাবলিক-প্রাইভেট কি পেয়ার ব্যবহার করে। 

o প্রাইভেট কি ব্যবহারকারীর ডিভাইসে থাকে এবং কখনো শেয়ার হয় না।

o পাবলিক কি সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়।

3. লগইন প্রক্রিয়া: লগইনের সময়, ব্যবহারকারী তাদের ডিভাইস বা বায়োমেট্রিক প্রমাণ ব্যবহার করে। সার্ভার পাবলিক কি দিয়ে প্রাইভেট কি যাচাই করে এবং নিশ্চিত করে যে ব্যবহারকারী বৈধ।

পাস-কি কেন ব্যবহার করা হয়?

1. পাসওয়ার্ডের দুর্বলতা দূর করতে: পাসওয়ার্ড সহজে অনুমানযোগ্য বা হ্যাকযোগ্য হতে পারে, কিন্তু পাস-কি অনেক বেশি সুরক্ষিত।

2. ব্যবহার সহজ করা: পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা দূর করে।

3. সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি: ফিশিং, ব্রুট-ফোর্স আক্রমণ, এবং পাসওয়ার্ড চুরির ঝুঁকি কমায়।

পাস-কি এর সুবিধা:

1. উচ্চ নিরাপত্তা: প্রাইভেট কি কখনো সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয় না, ফলে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কম।

2. ব্যবহার সহজ: পাসওয়ার্ড টাইপ করার প্রয়োজন নেই; শুধু ডিভাইস বা বায়োমেট্রিক ডেটা ব্যবহার করলেই হয়।

3. ফিশিং প্রতিরোধ: পাস-কি দিয়ে ফিশিং আক্রমণ কার্যকর হয় না কারণ এটি নির্দিষ্ট ডিভাইস এবং সার্ভারের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

4. মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (MFA): পাস-কি নিজেই একটি শক্তিশালী অথেন্টিকেশন পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে।

পাস-কি এর অসুবিধা:

1. ডিভাইস নির্ভরতা: ডিভাইস হারিয়ে গেলে পাস-কি পুনরুদ্ধার করা জটিল হতে পারে।

2. প্রাথমিক খরচ: পাস-কি সাপোর্ট করার জন্য বিশেষ হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার প্রয়োজন হতে পারে।

3. সামঞ্জস্যতা সমস্যা: সব সিস্টেম বা প্ল্যাটফর্ম পাস-কি সমর্থন নাও করতে পারে।

4. প্রশিক্ষণ প্রয়োজন: ব্যবহারকারীদের পাস-কি ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে কিছু সময় লাগে।

উপসংহার:

পাস-কি পাসওয়ার্ডের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ এবং আধুনিক নিরাপত্তা চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এটি ভবিষ্যতের লগইন পদ্ধতি হিসেবে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডিভাইস সুরক্ষা এবং পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

--মোঃকাউসার আহমেদ

বিএস সি (অনার্স)কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ার,

আইটি অফিসার, বিকেএসপি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। 


আরও খবর



ইথিওপিয়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৬

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৬৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চারজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বোনা জুরিয়া ওয়ারেদার গেলানা সেতুতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স, সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, ইথিওপিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৬৬ জন মারা গেছেন।

সিদামা প্রদেশটি ইথিওপিয়ার দক্ষিণে তথা রাজধানী আদ্দিস আবাবার প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।

সিদামা আঞ্চলিক স্বাস্থ্য ব্যুরো ফেসবুকে লিখেছে, একটি বাস দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তারা দেয়নি। বোনা জুরিয়া ওয়ারেদার গেলানা সেতুতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

খবরে আরও বলা হয়, আহত চার যাত্রীকে বোনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য ব্যুরোর পক্ষ থেকে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করা হয়েছে। এসব ছবিতে একটি গাড়ির চারপাশে প্রচুর লোককে দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে গাড়িটি ছিল আংশিকভাবে পানিতে নিমজ্জিত। অনেককে গাড়িটিকে পানি থেকে টেনে তুলতে সাহায্য করার চেষ্টা করতে দেখা যায়।


আরও খবর



এক হাসপাতালেই ৫ হাজার রোগী

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর ফলে ডায়রিয়া ও কলেরা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চাঁদপুরের মতলবের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়া ডিজিজ রিসার্স (আইসিডিডিআর’বি) হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। গত ১৫ দিনে প্রায় পাঁচ হাজার রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীই ছিল শিশু।

এদিকে শুধু চাঁদপুরই নয়, আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই শিশুসহ নানা বয়সী রোগীর ভিড় বাড়ছে এই হাসপাতালে। সরেজমিনে দেখা যায়, ধারণা ক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় বেড বসিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঠাণ্ডা, দূষিত পানি এবং দূষিত খাবার খাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। তারা জানান, তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত বাড়িতে পাতলা পায়খানা, বমি হচ্ছিল বাচ্চাদের। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় অবস্থা খারাপ দেখে রোগীদের আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালে নিয়ে আসছেন তারা।

আইসিডিডিআর’বি মতলব হাসপাতালের তথ্যমতে, ৭০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ৭ জানুয়ারি ডায়রিয়া আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালের শয্যার তুলনায় চারগুণেরও বেশি রোগী এসেছে। আর গত ১৫ দিনে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৮৪১ জন রোগী। যা গতবছরের তুলনায় অনেক বেশি।

আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনি, মুন্সীগঞ্জ, নীলফামারী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এ হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা আসছেন।

আইসিডিডিআর'বি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. চন্দ্র শেখর দাস বলেন, রোটা ভাইরাসে আক্রান্তদের পাতলা পায়খানা, বমি সঙ্গে জ্বরও থাকতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদি শিশু খুব দুর্বল হয়ে নেতিয়ে পড়লে ঘণ্টায় তিন বার বা তার বেশি বমি করলে, শিশুর পেট ফুলে গেলে, শ্বাস কষ্ট হলে, পায়খানায় রক্ত গেলে, জ্বর বা খিচুনি হলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে অতি দ্রুত কাছের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে শিশুকে পরিমাণ মত খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াবেন এবং অন্যান্য পথ্য চালিয়ে যাবেন। প্রতি প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে নিবেন এবং শিশুর যত কেজি ওজন প্রতিবার পায়খানার পর ততো চা চামচ স্যালাইন খাওয়াবেন। অর্থাৎ শিশুর ওজন ১০ কেজি হলে ১০ চামচ স্যালাইন খাওয়াবেন। পাঁচ বছরের শিশুকে একটি করে জিংক ট্যাবলেট দশ দিন খাওয়াবেন। দুই বছরের শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাবে। ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশু খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বাসায় রান্না করা সব ধরনের খাবার খাবে। রোগীকে বেশি বেশি ডাবের পানি, চিড়ার পানি, সুপ ইত্যাদি খাওয়াবেন। রোগীকে কোমল পানীয়, ফলে জুস, আঙ্গুর, বেদানা খাওয়াবেন না। সাধারণত এই নিয়ম মেনে চললে আক্রান্ত শিশুরা এক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে উঠে।

মতলব স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবির প্রধান ডা. মো. আলফজল খান বলেন, শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। যা সাধারণত রোটা ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে বলে আমরা মনে করি। গত ১৫ দিন ধরে গড়ে ৩শ’ রোগী আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যার প্রায় ৮৫ ভাগই দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু।

তিনি বলেন, পাতলা পায়খানার সঙ্গে বাচ্চার বমি ও জ্বর থাকতে পারে। খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের বেশি বয়সী বাচ্চাকে প্রতিদিন একটি করে বেবি জিংক দশ দিন খাওয়াতে হবে। এই ডায়রিয়া ভালো হতে সাধারণত তিন থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতির অবনতি হলে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করবেন। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ এবং বেডের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিকে আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো বলে আশাবাদী।

ডা. মো. আলফজল খান বলেন, আমাদের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি রোগী আসছেন। প্রতি বছরই আমরা দেখছি দূর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা মতলব হাসপাতালে আসছেন। যার ফলে আমাদের সেবা দেয়ার এলাকা বাড়ছে। বর্তমানে আমরা প্রায় ৩৫টি উপজেলার মানুষকে ডায়রিয়া স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছি।


আরও খবর

দেশে পাঁচজনের শরীরে মিললো নতুন ভাইরাস

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

এইচএমপিভি ভাইরাস এবার মালয়েশিয়ায়

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫