Logo
শিরোনাম

দেশে সাইবার হামলার হুমকি

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

দেশের সাইবার স্পেসে হামলার হুমকি দিয়েছে হ্যাকারদের একটি দল। সম্ভাব্য হামলার তারিখ হিসেবে ১৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করেছে দলটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ সার্ট) থেকে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিজিডি ই-গভ সার্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায়।

বিজিডি ই-গভ সার্ট প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম খানের সই করা সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, গত ৩১ জুলাই একটি হ্যাকার দল জানিয়েছে, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাইবার জগতে সাইবার আক্রমণের ঝড় আসবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিডি ই-গভ সার্ট সম্ভাব্য সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষিত থাকতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্ভাব্য সাইবার হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছে। পাশাপাশি নিজেদের অবকাঠামো রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই হ্যাকার দলটি নিজেদের হ্যাকটিভিস্ট দাবি করে এবং তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে হামলার লক্ষ্য বানিয়েছে। বিজিডি ই-গভ সার্ট জানিয়েছে, তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় একই মতাদর্শে প্রভাবিত বেশ কয়েকটি হ্যাকার দলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা অবিরাম বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে নিয়মিত সাইবার-আক্রমণ পরিচালনা করে আসছে। বিজিডি ই-গভ সার্ট তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যে স্ক্রিনশট দিয়েছে, তাতে দেখা যায়, হুমকিদাতারা নিজেদের ভারতীয় হ্যাকার গোষ্ঠী বলে দাবি করেছে।

বাংলাদেশে সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য কিছু সাইবার হামলার ঘটনা উল্লেখ করেছে বিজিডি ই-গভ সার্ট। এর মধ্যে রয়েছে ১ আগস্ট বাংলাদেশে পেমেন্ট গেটওয়ে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ব্যাংক খাতে সাইবার আক্রমণের দাবি করে একটি হ্যাকার দল। এ ছাড়া ৩ জুলাই আরেকটি হ্যাকার গ্রুপ দাবি করে, বাংলাদেশি পরিবহন পরিষেবার ওপর ১ ঘণ্টার জন্য তারা আক্রমণ চালিয়েছিলো। এর আগে গত ২৭ জুন একটি হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশের একটি সরকারি কলেজের ওয়েবসাইটকে বিকৃত করে এবং তারা তাদের কাজের একটি নমুনাও প্রকাশ করে। গত ২৪ জুন একই কাজ করা হয় স্বাস্থ্য খাতের একটি প্রতিষ্ঠানের সাইটে।

সাইবার হামলা এড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্টের পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- পুরো ২৪ ঘণ্টা, বিশেষ করে অফিস সূচির বাইরের সময়ে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোতে নজরদারি রাখা এবং কেউ তথ্য সরিয়ে নিচ্ছে কি না তা খেয়াল করা, ইনকামিং এইচটিটিপি/এইচটিটিপিএস ট্রাফিক যাচাইয়ের জন্য ফায়ারওয়াল স্থাপনের মাধ্যমে ক্ষতিকর রিকোয়েস্ট এবং ট্রাফিক প্যাটার্ন ফিল্টার করা, ব্যবহারকারীদের ইনপুট যাচাই করা, ওয়েবসাইটের ব্যাকআপ রাখা, ডিএনএস, এনটিপি এবং নেটওয়ার্ক মিডলবক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা সুরক্ষিত আছে কিনা তা যাচাই করা, এসএসএল/টিএলএস এনক্রিপশনসহ ওয়েবসাইটে এইচটিটিপিএস প্রয়োগ করা এবং হালনাগাদ প্রযুক্তি ব্যবহার করা। এ ছাড়া সন্দেহজনক কোনো কিছু নজরে এলে বিজিডি ই-গভ সার্টকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



নিপুণের গলায় মালা পরালেন মিশা-ডিপজল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হওয়া হলো না চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের। ভোট যুদ্ধ্বে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। তবে পরাজিত হয়েও ফুলের মালা উঠেছে নিপুণের গলায়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা। তখনই ঘটনাটি ঘটে। পরাজিত নিপুণ বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এরপরই নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সেই মালা খুলে নিপুণের গলায় পরিয়ে দেন।

গতবার জায়েদ খানের সঙ্গে হেরে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন নিপুণ। আদালতে গিয়ে নিজের নামে নিয়ে এসেছিলেন সম্পাদকের পদ। তবে এবারের নিপুণ যেন তার উল্টো। মিশা সওদাগরও তার এমন আচরণের প্রশংসা করে বলেন, আজকের এই নির্বাচন নামে মাত্র একটি নির্বাচন। সত্যিকার অর্থে আমরা এক পরিবার। তবে নির্বাচনের ফলাফল শেষে নিপুণ আজ যেটা করলো তা নজির হয়ে থাকবে। এমনটাই হওয়া উচিত।

এ নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করেছে। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মাহমুদ কলি। তিনি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের পক্ষে ভোট পড়েছে ২২৫টি এবং নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় অভিনেতা ডা. এজাজের (অভিনেতা ও চিকিৎসক এজাজুল ইসলাম) ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৫টায়।


আরও খবর



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ বেশ স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছেন। তবে বিকালের পরে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।

সোমাবার (৮ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক থাকার চিত্র দেখা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, বাস স্ট্যান্ডের যানবাহন সড়ক দখল করে রাখাসহ নানা সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে পৃথক পৃথক লেন করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে। তাছাড়া এবারের ঈদকে আরও স্বস্তির করতে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে এবার মহাসড়কের যানবাহনের চাপ নেই।

মহাসড়কের চিটাগাং রোড এলাকায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আসতে কোনও সমস্যা হয়নি। সড়ক প্রায় ফাঁকা বলা চলে। এতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পেরেছি। এখান থেকে বাসে করে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেবো। আশা করছি, বাকিটা পথ স্বস্তির হবে।

সিএসজিচালিত অটোরিকশাচালক রফিক মিয়া বলেন, মহাসড়কে কোনও যানজট নেই। আজ গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়নি। যানজটের ভোগান্তি নেই।

কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের বাসের জব্বর মিয়া বলেন, মহাসড়কের কোনও পয়েন্টে যানজট চোখে পড়েনি। এক টানে চিটাগাংরোড চলে এসেছি। প্রতিদিন এমন সড়ক থাকলে ভালো হতো। তবে এখনো ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি আছে, ওই সময়ে যানজট হয় কি না তা বলা সম্ভব নয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. রেজাউল হক বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় কম রয়েছে। গাড়ির চাপ একেবারে নেই। তবে বিকালের পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে।

এবারের ঈদযাত্রায় যানজট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মহাসড়কে যানজট হওয়ার শঙ্কা নেই। আশা করছি, ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে। কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি টোল কাউন্টার চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে ও পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। ফলে যানজটের শঙ্কা নেই।


আরও খবর



দামের উত্তাপে পুড়ছে মাংস-সবজির বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

উৎসব এলেই ভারি হয় ব্যবসায়ীদের পকেট। পণ্যের দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় কোটি কোটি টাকা। ব্যতিক্রম হয়নি ঈদুল ফিতরেও।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একদিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়ে পটল ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। ঈদের সালাদের অন্যতম অনুষঙ্গ গাজরের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।

শসায় বেড়েছে ২০ টাকা আর কাঁচামরিচে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে হয়েছে সেঞ্চুরি। বাড়তি দরের তালিকায় আছে টমেটো এবং লেবুও। ক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটিতে সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ বাজার শাক-সবজিতে ভরপুর।

শুধু সবজি আর সালাদের অনুষঙ্গ নয়, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে আলুর কেজি ঠেকেছে ৫০-৫৫ টাকায়। আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুদামজাত করে মজুতের ফলে বাজারে দেখা দিয়েছে পণ্যের সংকট। পাশপাশি ঈদের কারণে পণ্যও আসছে কম। তাতেই চড়েছে বাজার।

এদিকে, একদিনের ব্যবধানে গরুর মাংসের কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও।

আর গত ২৫ মার্চ গরুর মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয়া মাংস বিক্রেতা খলিলের দোকানেও কেজিতে বেড়েছে ৫৫ টাকা। দাম বাড়িয়ে কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।


আরও খবর



নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার ২২ এপ্রিল দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। 

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত সালাউদ্দিন নওগাঁ জেলার পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। 

আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুড় বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১জুলাই সালাউদ্দিন তার স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিন কে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামী পক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামী পক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামী সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।


আরও খবর



ছুটিতে পদ্মাসেতুতে প্রায় ২২ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৮ থেকে ১৪ এপ্রিল) পদ্মাসেতু হয়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।


সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৮ এপ্রিল ২০ হাজার ৮৫১ টি, ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৭০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি ও ১৪ এপ্রিল ১১ হাজার ৬২৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ সাতদিনে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫০ টাকা।

জাজিরা প্রান্ত দিয়ে সাতদিনে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৪৯টি, ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি ও ২৩ হাজার ৩০১টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।


এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ১০ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা। এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

এসব তথ্য দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মিনিটের জন্য সেতুতে যান পারাপার বন্ধ হয়নি। নির্বিঘ্নে পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করতে পারছে।


আরও খবর