Logo
শিরোনাম

দেশে সাইবার হামলার হুমকি

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

দেশের সাইবার স্পেসে হামলার হুমকি দিয়েছে হ্যাকারদের একটি দল। সম্ভাব্য হামলার তারিখ হিসেবে ১৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করেছে দলটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ সার্ট) থেকে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিজিডি ই-গভ সার্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায়।

বিজিডি ই-গভ সার্ট প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম খানের সই করা সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, গত ৩১ জুলাই একটি হ্যাকার দল জানিয়েছে, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাইবার জগতে সাইবার আক্রমণের ঝড় আসবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিডি ই-গভ সার্ট সম্ভাব্য সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষিত থাকতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্ভাব্য সাইবার হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছে। পাশাপাশি নিজেদের অবকাঠামো রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই হ্যাকার দলটি নিজেদের হ্যাকটিভিস্ট দাবি করে এবং তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে হামলার লক্ষ্য বানিয়েছে। বিজিডি ই-গভ সার্ট জানিয়েছে, তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় একই মতাদর্শে প্রভাবিত বেশ কয়েকটি হ্যাকার দলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা অবিরাম বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে নিয়মিত সাইবার-আক্রমণ পরিচালনা করে আসছে। বিজিডি ই-গভ সার্ট তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যে স্ক্রিনশট দিয়েছে, তাতে দেখা যায়, হুমকিদাতারা নিজেদের ভারতীয় হ্যাকার গোষ্ঠী বলে দাবি করেছে।

বাংলাদেশে সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য কিছু সাইবার হামলার ঘটনা উল্লেখ করেছে বিজিডি ই-গভ সার্ট। এর মধ্যে রয়েছে ১ আগস্ট বাংলাদেশে পেমেন্ট গেটওয়ে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ব্যাংক খাতে সাইবার আক্রমণের দাবি করে একটি হ্যাকার দল। এ ছাড়া ৩ জুলাই আরেকটি হ্যাকার গ্রুপ দাবি করে, বাংলাদেশি পরিবহন পরিষেবার ওপর ১ ঘণ্টার জন্য তারা আক্রমণ চালিয়েছিলো। এর আগে গত ২৭ জুন একটি হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশের একটি সরকারি কলেজের ওয়েবসাইটকে বিকৃত করে এবং তারা তাদের কাজের একটি নমুনাও প্রকাশ করে। গত ২৪ জুন একই কাজ করা হয় স্বাস্থ্য খাতের একটি প্রতিষ্ঠানের সাইটে।

সাইবার হামলা এড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্টের পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- পুরো ২৪ ঘণ্টা, বিশেষ করে অফিস সূচির বাইরের সময়ে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোতে নজরদারি রাখা এবং কেউ তথ্য সরিয়ে নিচ্ছে কি না তা খেয়াল করা, ইনকামিং এইচটিটিপি/এইচটিটিপিএস ট্রাফিক যাচাইয়ের জন্য ফায়ারওয়াল স্থাপনের মাধ্যমে ক্ষতিকর রিকোয়েস্ট এবং ট্রাফিক প্যাটার্ন ফিল্টার করা, ব্যবহারকারীদের ইনপুট যাচাই করা, ওয়েবসাইটের ব্যাকআপ রাখা, ডিএনএস, এনটিপি এবং নেটওয়ার্ক মিডলবক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা সুরক্ষিত আছে কিনা তা যাচাই করা, এসএসএল/টিএলএস এনক্রিপশনসহ ওয়েবসাইটে এইচটিটিপিএস প্রয়োগ করা এবং হালনাগাদ প্রযুক্তি ব্যবহার করা। এ ছাড়া সন্দেহজনক কোনো কিছু নজরে এলে বিজিডি ই-গভ সার্টকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

উইলিয়াম শেক্সপিয়রের কালজয়ী নাটক হ্যামলেটের বাঙালি অ্যাডপশন তৈরি হচ্ছে এমন খবর এখন টালিপাড়ায় হট নিউজ। বাংলার রঙ্গমঞ্চে এর আগে হ্যামলেট তুলে ধরেছেন ব্রাত্য বসু। সিনেমার পর্দায়ও প্রথম নয়আগে অঞ্জন দত্ত পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে হেমন্ত (২০১৬) তৈরি করেছেন। হিন্দিতেও বিশাল ভারদ্বাজ হ্যামেলটকে হায়দার রূপে এনেছেন। এবার ব্রাত্য বসুর নাটক হেমলাট: দ্য প্রিন্স অব গরাণহাটাকে বড়পর্দায় আনছেন রাজর্ষি।

জানান গেছে, উত্তর কলকাতার প্রেক্ষাপটে তৈরি হবে এই সিনেমা। এতে অভিনয় করবেন ভার্সাটাইল অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। আর হ্যামলেটের প্রেয়সী ওফেলিয়ার ভূমিকায় দেখা যাবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। রাজা ক্লদিয়াসের (হ্যামলেটের কাকা) চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।

পরিচালক রাজর্ষি জানিয়েছেন, চলতি ডিসেম্বরেই শুরু হবে শ্যুটিং। ওটিটি প্লে-কে তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত, শুধুমাত্র নির্মাতাদের সঙ্গে ব্রাত্য দা (বসু)-র নাটক সমগ্রর প্রকাশকের চুক্তি সই হওয়া বাকি রয়েছে

কাস্টিং নিয়ে পরিচালক বলেন, ঋত্বিক, শ্রাবন্তী, কৌশিকদার সঙ্গে আমার প্রাথমিক পর্যায়ে কথাবার্তা হয়েছে। ভীষণ বড়মাপের একটা ছবি, নিঃসন্দেহে পছন্দের অভিনেতাদের তালিকা রয়েছে। আমি কখনও বিক্রম চ্যাটার্জির সঙ্গে কাজ করিনি, কাজের ইচ্ছা রয়েছে। আমি কখনও ঋতুদি (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত)-র সঙ্গে কাজ করিনি, ওঁনার সঙ্গেও কথা বলব

এদিকে বর্তমানে ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময়ে রয়েছেন শ্রাবন্তী। বক্স অফিসে তার শেষ রিলিজ ছিল কাবেরী অন্তর্ধান। এই মুহূর্তে শুভ্রজিৎ মিত্রর দেবী চৌধুরাণী-ব্যান্ডেট কুইন অব বেঙ্গল নিয়ে ব্যস্ত শ্রাবন্তী।

এর আগেও ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে জুটিতে দেখা গেছে শ্রাবন্তীকে। অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের টেকোতে (২০১৯) একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ঋত্বিক-শ্রাবন্তী।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন অধ্যায়ে পরীর প্রথম নায়ক কে?

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শামীম ওসমানের নেতৃত্বে বৃহত্তর সমাবেশের ডাক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল, নারায়ণগঞ্জ:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান চলতি মাসের ১৬ তারিখ বৃহত্তর সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। ‘দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে এই সমাবেশের ডাক দেন তিনি।শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় রাইফেলস ক্লাবে সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের নিয়ে এক প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, আমি দেখছি সম্প্রতি জাতিরন পিতার কন্য শেখ হাসিনাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দেওয়া হচ্ছে। তারা অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে আন্দোলনের নামে মিছিল করছেন। তারা শুধু জাতির পিতার কন্যা শেখ হসিনাকেই নয় বরং বঙ্গবন্ধুকে পর্যন্ত নোংরা ভাষায় গালি দিচ্ছে, যা মেনে নেওয়ার মত না।

শামীম ওসমান বলেন, রাজনীতিতে কিছু হিসাব নিকাশের বিষয় আছে। আমি যে সব জানি তা না। তবে খোঁজ খবর রাখি। ওরা ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। ওরা তারাই যারা স্বাধীনতার সময় ত্রিশ লাখ মানুষের জীবন নিয়েছিল। দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়েছিল। ওরা ইসলামের কথা বলে মানুষ জবাই করেছিল। আমরা কি এই জন্য মাঠে নামবো, না এই জন্য মাঠে নামবো না। নামবো স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির জানান দিতে। কী লজ্জা আমাদের? এই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ রক্ষা করতে আমাদের এক হতে হয়। এই বয়সে মুক্তিযোদ্ধাদের রাস্তায় নেমে শ্লোগান দিতে হয়। সেই সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা শ্লোগান দিয়েছিলেন, ‘বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’ আর আজকে আমাদের শ্লোগান ধরতে হয়, ‘বীর বাঙ্গালী ঐক্য গড়ো, বাংলাদেশ রক্ষা কর।

বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি অনেক লাফালাফি করছে। কেউ বলছে, সাত দিনের মধ্যে সরকার পতন করে ফেলবে। কেউ বলছে এক মাসের মধ্যে করবে। কারা সরকার পতন করবে আর করবে না, এটা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ফায়সালা। তবে আমি বলি, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাই হবেন সরকার প্রধান। আমরা যারা ৭৫ এর পরে রাজনীতিতে এসছি তারা শেখ হাসিনাকে মায়ের দৃষ্টিতে দেখি। ওরা আমাদের মাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করবে, এটাতো আমরা মেনে নিব না। এমন কর্মকান্ড আমরা মেনে নিতে পারি না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি বলে পুলিশ নিয়ে চলি। আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করছি আপনাদের যত পুলিশ আছে, সব তাদের পক্ষে যান। সব নিয়ে ঘোষণা করেন পুলিশ আমাদের পক্ষে আছে, তারপর ২৪ ঘন্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করে দিব। আপনাদের স্মরণ থাকার কথা, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আপনাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মতিন চৌধুরী। নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন, আটকে দিয়েছিলাম। অনুমতি চেয়ে বলেছিলেন, আমি যাই। অনুমতি দেওয়ার পর চলে গিয়েছিলেন। আমাদের পুলিশ বাহীনি লাগে না।

অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণা হলে আমিও সমান, তুমিও সমান। তখন খেলবো। দেখা যাবে কতটুকু জোড় কার? আসলে খেলার আগে রিহার্সেল লাগে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের শরীরে চর্বি জমে গেছে। আমি বিশ^াস করি আমসার সাথে যারা আছেন তারা ফিট আছেন। আমাদের মদ্যে কেউ আছেন যারা মনোনয়ন পাবার জন্য বলেন আপা আপা। কিন্তু মনোনয়ন পেলে আর কিছুই ঠিক থাকে না। এখানে আমরা যারা আছি সবাই কর্মী, কেউ নেতা না। আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিক।  

সমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, সেদিন নারায়ণগঞ্জের মানুষ দেখিয়ে দেবো নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাটি ছিল আছে এবং থাকবে। আপনারা ১৬ তারিখ দেখিয়ে দেবেন, আমরা এমন আওয়াজ তুলব, যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। সেদিন আমি মন্ত্রীকে দাওয়াত করব আশা করি কোনো ব্যস্ততা না থাকলে উনি উপস্থিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, সাফায়েত আলম সানী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



ভূমধ্যসাগরে ২৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার সময় চলতি বছর এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এই তথ্য জানিয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের নিউইয়র্ক কার্যালয়ের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। শুধু ভূমধ্যসাগর নয়, অনেকে সমতলেও প্রাণ হারিয়েছেন।

গত বছরের এ সময় পর্যন্ত মৃত ও নিখোঁজ হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৮০ জন।

মেনিকদিওয়েলা আরো বলেছেন, অভিবাসী ও শরণার্থীরা প্রতি পদক্ষেপে মৃত্যু ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে থাকেন।

ইউএনএইচসিআরের তথ্য বলছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলীয় ইতালি, স্পেন, সাইপ্রাস ও মাল্টায় পৌঁছেছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ইতালি পৌঁছেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেশি।

ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে তিউনিসিয়া থেকে ১ লাখ ২ হাজারের বেশি এবং লিবিয়া থেকে ৪৫ হাজার শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এর মধ্যে তিউনিসিয়ায় ৩১ হাজার ও লিবিয়ায় ১০ হাজার ৬০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে আটক বা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ২০ বাংলাদেশি আটক

সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৩১৭

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত (৮ মাসে) ৩ হাজার ৫৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৩১৭ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ১৭২ জন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল রুমে রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। কোয়ালিশনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর হিসেবে, দেশে ৩ হাজার ৫৬২টি দুর্ঘটনা হয়েছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৩১৭ জন। আর আহত হয়েছেন ৫ হাজার ১৭২ জন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ স্বীকৃত সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ (নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ মোটরযান, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী, এবং রোডক্র্যাশ পরবর্তী কার্যকর ব্যবস্থাপনা) এর সমন্বয়ে একটি পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করলে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

নিসচার চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ ব্যবহার করে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞানসম্মত কোনো গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ না করায় আমাদের দেশে সরকারি দুটি সংস্থার হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যার অসামঞ্জস্যতা রয়েছে।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে ৫০৮৯টি রোডক্র্যাশে ৫৬৩৬ জন নিহত এবং ৪৪৪৪ জন আহত হয়। আর ২০২১ সালে ৫৪৭২টি রোডক্র্যাশে ৫০৮৪ জন নিহত এবং ৪৭১৩ জন আহত হয়। নিসচা-এর তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে ৭০২৪টি দুর্ঘটনায় ৮১০৪ জন নিহত এবং ৯৭৮৩ জন আহত হয়। আর ২০২১ সালে ৪৯৮৩টি দুর্ঘটনায় ৫৬৮৯ জন নিহত এবং ৫৮০৫ জন আহত হয়। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরেও রোডক্র্যাশের সার্বিক হার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। অথচ এই সকল অনাকাঙ্খিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য, কিন্তু এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলে কতটা আন্তরিক প্রশ্ন থেকে যায়।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)র চেয়ারম্যান বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য উন্নত দেশগুলো সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে নিজেদের আইনি ও নীতি কাঠামো প্রণয়ন ও এর যথাযথ বাস্তবায়নে সুফল পেয়েছে। তারপরও আমাদের বর্তমান আইনি ও নীতি কাঠামোতে এই দর্শন সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত। তবে আশার কথা হলো, বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় গৃহীত বাংলাদেশ রোড সেইফটি প্রকল্পে সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের কিছু ব্যবহার শুরু হয়েছে। আমরা এই বিজ্ঞানভিত্তিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি, সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে নিরাপদ সড়কের জন্য আলাদা আইনি কাঠামোর জোর দাবি জানাই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ মূলত সড়কে পরিবহনের জন্য আইন এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিধিমালা। তাই পরিবহন ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি এই আইনে সাম্প্রতিক সংশোধনীর সময়ে গতি নিয়ন্ত্রণ, হেলমেট ও সিটবেল্টের মতো কিছু বিষয় সংযোজন করা হলেও তা সড়কে রোডক্র্যাশের কারণে মানুষের মৃত্যু ও বড় ধরনের আঘাত থেকে রক্ষার করার জন্য পর্যাপ্ত নয়।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সুতরাং সড়কে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত আলাদা আইন প্রণয়ন ও এর যথাযথ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই নীতি নির্ধারণ পর্যায়ের সকলের আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।


আরও খবর



কৃষি মার্কেটে ফায়ার সেফটি ছিল না : ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকায় ও মানুষের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে। পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে কৃষি মার্কেটে লাগা অগ্নিকাণ্ডস্থলে সাংবাদিকদের একথা বলেন ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর নতুন বাজারে (কৃষি মার্কেট) আগুন ধরার খবর পেয়ে ৯ মিনিটের মাথায় আমরা এখানে চলে আসি। রাত ৩টা ৫২ মিনিট থেকে আমরা এখানে আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করি। আমরা সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। ১৭টি ইউনিটে ১৫০ জন ফায়ার ফাইটার কাজ করেছে। আমাদের সঙ্গে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী সহযোগিতা করেছে।

তিনি বলেন, আগুন লাগা এই মার্কেটটিতে কোনো সেফটি প্ল্যান নেই। এই মার্কেটটিতে বারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে গণসংযোগ করা হয়েছে। সচেতনতার প্রোগ্রাম যেভাবে আমরা করেছি সেভাবে তারা সাড়া দেয়নি। এই মার্কেটটা কিছুটা বঙ্গবাজার টাইপের। এখানে ভেতরে অনেক সাবওয়ে ছিল ছোট ছোট। কিন্তু ছোট ছোট এবং ভেতরে যতগুলো রাস্তা এবং বাইরের যে ছোট ছোট রাস্তা পুরোটাই বিভিন্ন মালামালে দিয়ে গাদাগাদি করে রাস্তাটা বন্ধ করা ছিল। এবং পুরো মার্কেটটাই গেট দিয়ে আটকানো ছিল।

তাজুল ইসলাম বলেন, এখানকার নাইট গার্ড যারা ছিলেন তারা বাইরে ছিলেন। তাদেরকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ভেতরে ফায়ার ফাইটারদের প্রবেশ করতে আমাদেরকে বেগ পেতে হয়েছে। তালা ভেঙে এবং কলাপসিবল গেট ভেঙে আমাদেরকে ভেতরে গিয়ে তারপর আগুন নির্বাপণের কাজ করতে হয়েছে। এ মার্কেটের বাইরেও বিভিন্নভাবে রাস্তাগুলো দখল করা ছিল।

তিনি বলেন, দোকানের সামনে ছোটখাটো দোকান আমাদের একটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর জন্য আমাদেরকে বেগ পেতে হয়েছে। আমরা আসার পরই আগুনের মাত্রা অনেক বেশি দেখেছি। একটা পর্যায়ে মার্কেটের প্রায় চার ভাগের তিনভাগ সম্পূর্ণ আগুন ধরে যায় এবং আমরা চেষ্টা করি এই মার্কেটের ভেতরে যেন আগুনটা আবদ্ধ থাকে। আমাদের ফায়ার ফাইটাররা সর্বাত্মক চেষ্টা করে আগুনটাকে একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখতে পেরেছে।

আমরা এখন যেটা করছি আগুনটা সম্পূর্ণ নির্বাপণের চেষ্টা চলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে তবে নির্বাপণে কিছুটা সময় লাগবে।

এর আগে আগুন লেগেছিল, তখন কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেননি? জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহের শনিবার গণসংযোগ করি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মার্কেটের প্রতিনিধিদেরকে ডেকে আমরা অনেকবার আলোচনা করেছি, অনেক ওয়ার্কশপ করেছি। মার্কেটের যারা মালিকপক্ষ তাদেরকে ডেকে আমরা বুঝিয়েছি সচেতনতার প্রোগ্রাম আমরা কীভাবে করবো।

প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিং ওনাদেরকেই করতে হবে। এই মার্কেটে প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ইকুইপমেন্টই ছিল না। কোনো ধরনের পানির সোর্স ছিল না। আমরা সবচেয়ে বেশি বেগ পেয়েছি পানির সোর্স। এখানে বিভিন্ন ভবনে পানির সোর্স রয়েছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। খুব দ্রুত আমাদের পানি শেষ হয়ে যায়। আমরা বিশেষ পানির গাড়ি এনে এবং অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় এই কার্যক্রমগুলো করি।

আগুন নেভানোর এত সময় লাগার আরও বড় কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগুন নেভানোর আরেকটি বড় কারণ ছিল মানুষের ভিড়। মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের পুলিশ বিজিবি খুবই হিমশিম খেয়েছে। এই ভিড়ের কারণে আমাদের এত সময় লেগেছে। যদিও মানুষ চেষ্টা করতে চায় আমাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য কিন্তু আদৌ এটা আমাদের অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত আমরা তদন্ত করে দেখার চেষ্টা করবো জানার জন্য। তবে যতটুকু বুঝেছি মুদির দোকানের যেই অংশটি ছিল ওই অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যারা ছিল তাদের দুই একজন কিছুটা আহত হয়েছে। এর বাইরে কোনো বড় ধরনের হতাহতের তথ্য নেই।


আরও খবর