Logo
শিরোনাম

ধ্বংসের মুখে দেশীয় শিল্প খাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

ফেব্রিক আমদানিতে ন্যূনতম ট্যারিফ মূল্যের সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে কিছু স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ী। এতে দেশে উৎপাদিত ফেব্রিক মূল্য তুলনামূলক বেশি হওয়ায় প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে পড়ছে। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানি করা ফেব্রিকের মূল্য ট্যারিফ ভ্যালুর চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি।

ফলে একদিকে যেমন দেশীয় টেক্সটাইল মিলগুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে, অপরদিকে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। তাছাড়া কর্মসংস্থানহীন হয়ে পড়ছে লাখো মানুষ এবং সঠিক এলসি না হওয়ায় যথাযথ চার্জ ও কমিশন বঞ্চিত হচ্ছে ব্যাংক এবং বিমা খাত। এক্ষেত্রে ট্যারিফ ভ্যালু পরিবর্তনে বারবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি দেওয়া হলেও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটির। এমন প্রেক্ষাপটে সবকিছুর জন্য এনবিআরের উদাসীনতা ও নির্লিপ্ততাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের অভিমত, এনবিআরের উদাসীনতায় দেশীয় অর্থনীতি প্রতিনিয়ত বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩০ মে প্রকাশিত ১৬৩-আইন/২০১৯ ৩২ কাস্টমস এসআরও-তে কটন ফেব্রিক, পলিস্টার/সিনথেটিক ফেব্রিক, শার্টিং ফেব্রিক, রেয়ন ফেব্রিক, সার্টেইন ফেব্রিকসহ বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিকের ট্যারিফ মূল্য ২.২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৫.৫০ ডলার ধার্য করা হয়েছে। ট্যারিফ মূল্য হলো উৎপাদন ও প্রস্তুত পর্যায়ে পণ্যের ন্যূনতম খরচের নির্ধারণ। মূলত শুল্ক ও কর ফাঁকি রোধে এবং ভোক্তা পর্যায়ে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্যের নিশ্চয়তা দিতে সরকার ট্যারিফ মূল্য নির্ধারণ করে। অর্থাৎ এই দামের নিচে কোনো পণ্য আনা যাবে না, আনা গেলেও ন্যূনতম খরচ অনুসারে শুল্ক ও কর দিতে হবে।

কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে এসব ফেব্রিকের মূল্য প্রকারভেদে কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন ৭.৩৮ ইউএস ডলার থেকে ১৮.৯০ ডলার পর্যন্ত। ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিক্রেতাদের যোগসাজশে আন্ডার ইনভয়েস (কম মূল্য) বা ন্যূনতম মূল্য দেখিয়ে এসব ফেব্রিক আমদানি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এতে তাদের ন্যূনতম মূল্যের শুল্ক ও কর দিতে হয়। ফলে উপযুক্ত শুল্ক ও কর থেকে বঞ্চিত হয় সরকার। তবে আন্ডার ইনভয়েস বা ন্যূনতম মূল্য দেখালেও যেহেতু আন্তর্জাতিক বাজারে প্রচলিত দর হিসেবেই বিক্রেতাকে মূল্য পরিশোধ করতে হবে, তাই ন্যূনতম মূল্যের পর যে অর্থ বাকি থাকে তা হুন্ডির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিক্রেতাকে পরিশোধ করতে হয়। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের দিকে নজর দিলেই তা স্পষ্ট হয়। বিলাসী পণ্য আমদানিতে সরকার নিষেধাজ্ঞা দিলেও ফরেক্স মার্কেটে ডলার ক্রয়-বিক্রয় বেড়েছে।

এই কর্মকাণ্ডের ফলে একই মানসম্পন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে দেশীয় উৎপাদকদের তুলনায় কম মূল্যে পণ্য আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। পরবর্তী সময়ে সেই পণ্য নামমাত্র মুনাফায় বিক্রি করে দিচ্ছেন স্থানীয় বাজারে। এতে আইন ভঙ্গ হলেও কম মূল্যে বিদেশি পণ্য পেয়ে মানুষও তা কিনছে দেদার। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় উৎপাদক কারখানা ও সংশ্লিষ্টরা। কারণ দেশীয় উৎপাদকদের প্রতি কেজি সুতার মানভেদে ন্যূনতম উৎপাদন খরচ ২.৯০ ইউএস ডলার বা তার চেয়েও বেশি। এর সঙ্গে পরিবহন, ব্যাংক সুদ, সাইজিং খরচ, ইয়ার্ন ডায়িং খরচ, উইভিং, ডায়িং ও ফিনিশিং খরচ যোগ করলে ন্যূনতম ব্যয় দাঁড়ায় ৫.৪০ ডলার। ক্ষেত্র বিশেষে তা ৮-১০ ইউএস ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এ কারণে আমদানিকারদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেন না স্থানীয় উৎপাদকরা। এমনিতেই বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে কারখানাগুলোতে উৎপাদন নেই বললেই চলে, এর মধ্যে যদি আমদানিকারদের সঙ্গে এমন অসম প্রতিযোগিতায় নামতে হয় তবে কয়েক হাজার কারখানা বন্ধ হওয়ার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এসব কারখানার সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন বা বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই ট্যারিফ মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের ওপর ভিত্তি করে পুনর্নির্ধারণ বা এই সুবিধা উঠিয়ে দেওয়ার জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।

একই বছরের মার্চ মাসে ট্যারিফ মূল্য পুনর্নির্ধারণের পাশাপাশি এসব ফেব্রিক ও ইয়ার্ন কেজির পরিবর্তে মিটারে হিসাবায়ন করতেও বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সংগঠনটি। সে সময় সংগঠনটি জানায়, আমদানিকৃত পলিস্টার টুইস্টেড ইয়ার্ন দিয়ে জর্জেট ও হিজাবের জন্য ফেব্রিক তৈরি হয়। একই পরিমাণ ১ কেজি কটন ইয়ার্নের চেয়ে পলিস্টার টুইস্টেড ইয়ার্নের আয়তন ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি হয়। ফলে এই সুতা দিয়ে বেশি পরিমাণ কাপড় উৎপাদন করা যায়, যা কটন ইয়ার্নের ক্ষেত্রে পরিমাণ খুবই কম। বিটিএমএ জানায়, ফেব্রিকের ট্যারিফ ভ্যালু কেজির পরিবর্তে মিটারে নির্ধারিত হলে আমদানিকৃত ফেব্রিক বন্ড সুবিধায় বা বাণিজ্যিক, যেভাবেই আমদানি করা হোক না কেন; অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের সুযোগ হ্রাস পাবে।

বিষয়গুলোতে নিজেদের পর্যালোচনা ও মতামত দিয়ে এর সঙ্গে একাত্মতা জানায় ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের বাণিজ্যনীতি বিভাগের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনী। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে নির্দেশক্রমে চিঠি পাঠায় কমিশনের সহকারী প্রধান মাহমুদুল হাসান। পরে এ নিয়ে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি তৎকালীন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআরের চেয়ারম্যান, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর প্রেসিডেন্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ট্যারিফ ভ্যালু পুনর্নির্ধারণে এনবিআরের তৎকালীন দ্বিতীয় সচিব রকিবুল হাসানকে চিঠি লেখেন বিটিএমএর সদস্য সচিব মনসুর আহমেদ। এরপর পেরিয়ে গেছে চারটি বছর। পাস হয়েছে ৪টি জাতীয় বাজেট। এরই মধ্যে আরো অনেক ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান থেকে এ বিষয়ে এনবিআরকে চিঠি দিলেও অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখেনি ট্যারিফ পুনর্নির্ধারণের এই প্রস্তাবনা। ফলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদাসীনতায় হুমকির মুখে দেশীয় শিল্প-কারখানাগুলো, কর্ম হারাবে লাখ মানুষ।

এ বিষয়ে বিটিএমএ সচিব মনসুর আহমেদ বলেন, আমরা ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর এ নিয়ে এনবিআরকে চিঠি দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বাজেটেই তার প্রতিফলন দেখিনি। ট্যারিফ ভ্যালু পরিবর্তন বা ট্যারিফ নির্ধারণে ইউনিট হিসেবে কেজির পরিবর্তে মিটারে হিসাবায়নের প্রস্তাব কেন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না, সে সম্পর্কেও তারা কিছু বলেন না।

অপরদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস অটোমেশন বিভাগের প্রথম সচিব রাকিবুল হাসানের সঙ্গে কথা বললে তিনি প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সাধারণত আমাদের যখন চিঠি দেওয়া হয় তখনই বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হয়। এটা দুই বছর আগের একটি চিঠি, তাই এটা নিয়ে এখন আমাদের কোনো পদক্ষেপ নেই।

দেশীয় অর্থনীতির ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি কেন বাজেটে প্রতিফলিত হলো না জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, তারা চিঠিটি এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছেন। তাই তিনিই এ নিয়ে ভালো বলতে পারবেন।


আরও খবর



রাতভর টেকনাফ সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারও গোলাগুলি মর্টার শেলের আওয়াজ ভেসে আসছে এতে আতঙ্কে আছেন টেকনাফের হোয়াইক্যং হ্নীলা ইউনিয়ন সীমান্তের লোকজন

টেকনাফের কয়েকটি পয়েন্টে সীমান্তে ভারী মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্কে রাত কাটে স্থানীয়দের

স্থানীয়দের দাবি, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা, মোলভী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে

হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, ঈদের দিন থেকে টানা ২দিন ধরে থেমে থেমে মর্টার শেল গুলির শব্দ ভেসে আসছে এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, মর্টার শেল গুলির শব্দে কাপছে সীমান্ত এলাকা। বজ্রপাতের মতো শব্দ হয়। এতে মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরছেন না সুনিল নারিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে যেভাবে জ্বলে উঠেছেন সুনিল নারিন, তাতে অনেকের মনে তৈরি হয়েছে কৌতুহলী প্রশ্ন। নারিনকে কি আগামী জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলবেন?

ভক্তদের সেই কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিয়েছেন নারিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে তিনি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা, তা নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন।

তবে নারিনের উত্তর শুনে হয়তো অনেক ভক্তরই মন খারাপ হবে। কারণ, গত সপ্তাহে কলকাতার হয়ে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলবেন না। নারিন জানান, তার জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দরজা বন্ধ।

জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরা নিয়ে নারিন বলেন, আমি সত্যিই খুশি যে সম্প্রতি আমার পারফরম্যান্স অনেককে প্রকাশ্যে তাদের অবসর ভেঙে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।

আমি সেই সিদ্ধান্তের (জাতীয় দলের হয়ে না ফেরা) নিয়ে সন্তুষ্ট। আমি কখনই হতাশ হতে চাই না। সেই দরজাটি এখন বন্ধ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জুনে যারা মাঠে নামবে আমি তাদের সমর্থন করবো।-যোগ করেন নারিন।

তিনিও আর বলেন, যে ছেলেরা গত কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং আমাদের দুর্দান্ত ভক্তদের দেখানোর যোগ্য যে তারা আরেকটি শিরোপা জিততে সক্ষম- আমি আপনাদের শুভ কামনা জানাই।

গত সপ্তাহে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫৬ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন নারিন। তবে নারিনের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ম্লান করে পাল্টা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রাজস্থানকে জয় এনে দেন জস বাটলার।

আইপিএলের চলতি মৌসুমে কলকাতার হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি নারিন। ২২.১১ গড়ে বোলিং করে শিকার করেন ৯ উইকেট। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল।

২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন নারিন। তবে ২০১৯ সাল থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি খেলেননি তিনি। আর জাতীয় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছেও নেই নারিনের।


আরও খবর



গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

প্রচণ্ড গরম পড়েছে। ঘরেও থাকা দায়। হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। লোডশেডিং আরও বাড়লে ভোগান্তি আরও বাড়বে। তাই বাচ্চাদের জন্য চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছে ইমরান হোসেন। কিন্তু দামে মিলছে না। আগের চেয়ে প্রায় ১ হাজার টাকা দাম বেশি চাইছে। একটি সিলিং ফ্যান কিনলাম সেটির দামও বেশি নিল। নবাবপুরে দাম বেশি হলে অন্য জায়গায় তো আরও বেশি হবে।


স্টেডিয়াম মার্কেটে ফ্যান কিনতে আসা রনি জানান, গরমে ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে, সেই সঙ্গে দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।


বাংলাদেশে ফ্যানের সবচেয়ে বড় বাজার নবাবপুর রোডে। সরেজমিন দেখা গেছে, নবাবপুরে প্রতিটি ইলেকট্রিক মার্কেটের সামনে রাখা যানবাহনে বিভিন্ন রকমের ফ্যান বোঝাই করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো যানবাহন থেকে ফ্যান নামিয়ে দোকানে বা গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

নবাবপুর ও গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি চার্জার ফ্যানের মান ও আকারভেদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে। বেশি বেড়েছে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্যানের দাম। এসব ফ্যানের দাম পড়ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও বাড়ছে।


বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট স্ট্যান্ড (৯-১০ ইঞ্চি) বা টাইফুন ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়। এ ছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়, বিদেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকায়। ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার এসির। বেড়েছে দামও।


নবাবপুরের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গরমকাল ফ্যান, রিচার্জ্যাবল ফ্যান ও এসি বিক্রির মৌসুম। এবার গরম বেশি পরায় চাহিদা বেড়েছে। বেচাকেনাও ভালো। তবে সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। বাজারে ১২, ১৪ ও ১৬ ইঞ্চির চার্জার ফ্যান বেশি চলছে। তবে স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও ভালো।


নবাবপুরের খুচরা ব্যবসায়ী আমিন জানান, তারা ডিফেন্ডার ও কেনেডি ফ্যান বিক্রি করেন। চায়না ফ্যানের দাম একটু বেশি, দেশিটার দাম একটু কম। ১২ ইঞ্চি রিচার্জ্যাবল ফ্যানের দাম ৩ হাজার ২০০ টাকা, বাংলা ফিটিং চায়নার দাম ৩ হাজার আর দেশি ফ্যানের দাম ২ হাজার ৬০০ টাকা। চায়নাটা তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা চার্জ থাকবে। বাকিগুলো কিছুটা কম চার্জ থাকবে। এ ছাড়া ১৪ এবং ১৬ ইঞ্জি ফ্যানও রয়েছে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ফ্যানের দাম কম ছিল। এখন প্রতিদিনই ৫০-১০০ টাকা বাড়ছে। গরম যত বাড়বে দামও তত বাড়তে থাকবে। তিন মাস আগেও এ ফ্যানের দাম ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। গত বছর একই ফ্যানের দাম সাড়ে ৫ হাজার পর্যন্ত উঠেছিল। এবারও যে হবে না তা বলা যাচ্ছে না। এবারও সেদিকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, চাহিদা বাড়লে, মালের সংকট দেখিয়ে আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে দেয়। দেখা যায়, সকালে যে দাম ছিল বিকালে তা আরও বেড়ে গেছে।


স্টেডিয়াম মার্কেটের নারায়ণগঞ্জ ইলেকট্রনিকসের বিক্রেতা হানিফ বলেন, গরমে চাহিদা বাড়ায় পাইকারি বাজারে ফ্যানের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আজও প্রতিটি ফ্যানে ২০০ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনেছি। কালও প্রতিটি ফ্যানে ১০০ টাকা বাড়তি দিয়েছি। বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। ক্রেতারা তাদের সাধ্যানুযায়ী কিনবেন।


বাংলাদেশ ইলেকট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও এফবিবিসিআই পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, এবার ফ্যানের বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। দামও বেড়েছে। কারণ জিনিসপত্রের দাম এবং উৎপাদন খরচ প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ফ্যান উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ১০০ শতাংশ তামার তার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যে কাঁচামাল লাগে তার ৮০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। কপার শিট, অ্যালুমিনিয়াম শিট, এমএস শিট, বেয়ারিং ও ক্যাপাসিটর আমদানি করতে হয়। বৈশ্বিক ও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ৩০-৪০ শতাংশ দাম বেড়েছে। এ ছাড়া লেবারের মজুরি বেড়েছে। চাহিদার মৌসুমে লেবারদের বেশি মজুরি দিতে হয়। এসব মিলিয়ে ৪০ শতাংশ খরচ বেড়েছে। যার কারণে ফ্যানের দামও কিছুটা বেড়েছে।


আরও খবর



আল-আকসায় ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো ফিলিস্তিনেও ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে আজ বুধবার। তবে অন্যান্য সব দেশে ঈদ উৎসবে পরিণত হলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সেটি অবাস্তব। ঈদের রাতেও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। স্বজনদের দাফনের মাধ্যমে গাজায় কাটছে ঈদ। ঈদের নামাজে আল আকসা মসজিদে সমবেত হন হাজার হাজার মুসলিম।

ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে নুসিরাত ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই শিশু। ইসরায়েলের গণহত্যা থেকে ছয় মাস বেঁচে থাকা গাজার বাসিন্দা আবুবকর বলেন, 'এবার ঈদ হবে আমাদের আরও প্রিয়জনকে কবর দেওয়ার মধ্য দিয়ে।' খবর আল জাজিরার ও মাকতুব মিডিয়ার।

আবুবকর বলেন, 'অপুষ্টির কারণে আরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে, আরও বেশি যুদ্ধে আহত হচ্ছে। প্রতিদিন আরও বেশি লোক মারা যাচ্ছে।পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'বাড়িতে বোমা ফেলা হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় আঘাত করা হচ্ছে। রাফায় স্থল আক্রমণ করা হতে পারে এ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

মধ্য গাজার ফিলিস্তিনি যুবক জানান, এবারের ঈদের কোনো মানে নেই। তার কথায়, 'এটা শুধু দুঃখের। এটা শুধুই অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং বিষাদময়। আমরা উদযাপন করতে পারি এমন কিছু নেই।'

এরপরও আবুবকররা আশা দেখছেন যে, এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধের অবসান হবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঈদুল ফিতরের বার্ষিক শুভেচ্ছায় গাজা এবং অন্যত্র মুসলমানদের উপর সহিংসতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে যে গাজা, সুদান এবং আরও অনেক জায়গায়, সংঘাত ও ক্ষুধার কারণে মুসলিমরা সঠিকভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় ৩৩ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে রয়েছে অন্তত ৮ হাজার মানুষ।


আরও খবর



৪০ ডিগ্রি ছাড়াল তাপমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

দেশে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খেপুপাড়ায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, আজ রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা গতকাল ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এর ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়।


আরও খবর