Logo
শিরোনাম

দিল্লিতে শেখ হাসিনা ও মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

প্রায় দুই বছর পর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছেন প্রতিবেশী দুই দেশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (২২ জুন) স্থানীয় সময় বেলা ১২টার (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১২টা) দিকে দিল্লির হায়দ্রারাবাদ হাউজে এই বৈঠক শুরু হয়।

গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে ঠিক কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে তা এখনো জানা যায়নি। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দুই সরকারপ্রধানের বৈঠকে অমীমাংসিত বিষয়গুলো যেমন সীমান্ত হত্যা, পানিবণ্টন সমস্যা বা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা এসব বিষয় আলোচনায় থাকতে পারে। এছাড়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, জ্বালানিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের নানা বিষয়ের মধ্যে মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয়ও থাকছে। এছাড়া বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে চীন ইস্যু।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই তিস্তা প্রকল্প নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে চীন। যা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি। জুলাই মাসেই বেইজিং সফরে যাওয়ার কথা শেখ হাসিনার। এর আগে তার ভারত সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

এর আগে ২০২২ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষর হয় সাতটি সমঝোতা স্মারক। কথা হয়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের বৃদ্ধি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক ও মানব পাচার রোধ নিয়েও। শনিবারের বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে ২০২২ সালের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবতা এবং আগামী পাঁচ বছরের রূপরেখা।

শুক্রবার (২১ জুন) দুই দিনের সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চল‌তি মা‌সের শুরুর দি‌কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর আবার দি‌ল্লি‌তে গে‌লেন সরকারপ্রধান। টানা তৃতীয়বারের মতো বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটিই প্রথম কোনো বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর।

দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্তে বৈঠক শেষে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। সেই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের বিবৃতি দেবেন।


আরও খবর



বৈশ্বিক অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত নারীর অধিকার

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার। তিনি বলেন, নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

তারেক রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। বিশ্বব্যাপী মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা গুরুত্ব পায়। এ দিবসটি নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সচেতনতা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলে জাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেটির ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার সরকার এ দেশের নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়। ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয় এবং স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। মেয়েদের জন্য দুটি নতুন ক্যাডেট কলেজ ও তিনটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চট্টগ্রামে এশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এবং উচ্চ শিক্ষা উৎসাহিত করার জন্য ব্যক্তি খাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়। যাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।

তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের মানুষকে দ্রুততম সময়ে সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি পৃথক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৩ সালের ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা লাভে আগ্রহী করে তুলতে বেগম খালেদা জিয়া সরকার ১৯৯৩ সালে শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করে। পল্লি অঞ্চলে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা হয় এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী একটি উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করা হয়। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদের সম্পৃক্ত করার কারণে তাদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় জেগে উঠে। একই সঙ্গে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পায়। নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সমান সুযোগে সমাজের অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের এই শুভ দিনে আমি নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাই। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থিম ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’-এর সফলতা কামনা করছি।


আরও খবর



বাড়তে পারে গরম

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপদাহ। শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রবিবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এমন তাপদাহ আরও কয়েক দিন চলতে পারে। তবে বৃষ্টির বার্তাও আছে। সপ্তাহের শেষদিকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত বছরের মতো এ বছরও গরমে পুড়বে দেশ এমনটাই আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৪ সাল। গত এপ্রিলে তাপমাত্রা ছিল ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশে টানা ৩৫ দিন তাপপ্রবাহ চলে। এবারও তাপমাত্রার চোখরাঙানি দেখছেন আবহাওয়াবিদরা। এপ্রিল ও মে মাসে মেঘ সৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বেশি থাকতে পারে। কালবৈশাখীর সংখ্যাও বাড়তে পারে। আর তাতে গত বছর যেভাবে একটানা দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলেছে, তা নাও থাকতে পারে। তবে গরমের অনুভূতি আগের চেয়ে বেশি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদদের ধারণা যে অমূলক নয়, পুরো শীতকালেই খানিকটা আঁচ পাওয়া গেছে। এবার শীত তেমন অনুভূত হয়নি। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা বেশি ছিল ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেখা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গেছে। এই শীতে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহও দেখা যায়নি। শীতে বৃষ্টিও হয়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতোমধ্যে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলেছে, মার্চে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষ দিকে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। এপ্রিলজুড়ে থাকবে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করতে পারে এবং তা অব্যাহত থাকবে। শীতের মাসগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা এবার ইঙ্গিত দিচ্ছে, গরম অনেকটাই বেশি পড়বে।


আরও খবর



জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ সংগঠনঃ বিএনপি নেতা কাজী শিপন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

 জামায়াতে ইসলামী একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। এখনো এই দলটি নিবন্ধন পায়নি। সকলে এই দলটিকে বয়কট করুন’। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে এ ধরণের মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত একটি ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন তার বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন। জামায়াতে ইসলামী ধর্মের নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে বলেও বিএনপির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ তুলে আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কোন অস্তিত্ব নেই, এটি একটি নিষিদ্ধ সংগঠন।  

দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. শহিদুল হক বাবুল। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শিকদার ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এফ এম শামীম আহসান, সামাদ হোসেন ফকির, আফজাল জোমাদ্দার, পৌর শ্রমিকদল সভাপতি মাসুদ খান চুন্নু, মজনু মোল্লা, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. ফিরোজ হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রভাষক ফকির রাসেল আল ইসলাম। 


আরও খবর



রোজায় শরীর সুস্থ ও ফিট রাখতে যা মানা জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

রমজান মাস শুরু হয়েছে। সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদাররা রোজা ভাঙেন ইফতারের মাধ্যমে। তবে তারা সারাদিনের কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মেই করতে থাকেন। এই সময় অনেকে শরীরচর্চাও করেন। তাই এসময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ শরীর সুস্থ রাখা।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন: রমজান মাস শুরু হওয়ার পরই খাদ্যাভাস ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার উপর বিশেষ নজর রাখবেন। ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন চা-কফি খাওয়া যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন। তা না হলে শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে। রোজার দিনে সেহরি ও ইফতার অনুসারে খাওয়া-দাওয়া সময় পরিবর্তন করতে হয়। তাই রোজা ভাঙার পর হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন, এতে শরীর খুব সুস্থ থাকবে। 

প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: রমজান মাসে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। এতে শরীরের শক্তি পাবেন। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেহরিতে প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। পনির, ডাল, বাদাম খেতে পারেন। এতে আপনার হজম ভালো হবে। ভাজা খাবারের চেয়ে ভাপানো খাবার খাওয়া বেশি ভালো হবে, তবে মিষ্টি যুক্ত খাবার কম খাবেন। অতিরিক্ত লবণ যুক্ত খাবার এই সময় না খাওয়াই ভালো। এতে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। 

শরীর হাইড্রেট রাখবেন: এই সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হয়। রোজা রাখার সময় সঠিক হাইড্রেট রাখা খুবই জরুরি। সেহরি ও ইফতারের সময় ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খাবেন। তাছাড়াও ডাবের পানি , ঠান্ডা পানি, ফলের রস খাবেন। চিনিযুক্ত কোনও পানীয় এই সময় খাবেন না। এসময় প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন। খাবারের তালিকায় শশা,  তরমুজ, কমলালেবু রাখুন। এসব ফল আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। 

মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া টিপস


১. ইফতারের সময় অতিরিক্ত ভারি খাবার এড়িয়ে চলুন। তা না হলে হজমের সমস্যা হতে পারে। 

২. রোজা ভাঙার সময় খেজুর ও পানি দিয়ে শুরু করুন।  কিছুক্ষণ পর হালকা ও সুষম খাবার খাওয়া ভালো। তাহলে পেটের উপর খুব চাপ পড়বে না। তবে খাদ্য তালিকায় ভাজা ছোলা, ড্রাই ফুটস, দইয়ের মতন স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। 

৩. রোজা রেখে ভারী ব্যয়াম করবেন না। এই সময় যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। শরীরকে সচল রাখতে হাঁটাহাটি করুন । ইফতারের পর হালকা স্ট্রেচিং বা কার্ডিও করতে পারেন। 


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




ঈদযাত্রা : ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অনলাইনে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। দুপুর ২টায় শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিট বিক্রি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা রেলওয়ের (কমলাপুর) স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, সকাল ৮টায় অনলাইনে পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। দুপুর ২টায় শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি। অন্যবারের মতো এবারও শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৪ মার্চ, ২৫ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৫ মার্চ, ২৬ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৬ মার্চ, ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৭ মার্চ, ২৮ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ মার্চ। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ৩১ মার্চ, ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হতে পারে।


আরও খবর