Logo
শিরোনাম

প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি টুডেস রিপোর্ট:



শিশুদের প্রযুক্তির জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।


শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের মেধা বিকাশে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছরের করার পরিকল্পনা করছে সরকার। দারিদ্র্য মুক্তির মূল শক্তি হবে শিক্ষা। স্মার্ট বাংলাদেশের পরিচালক হবে আজকের শিশুরাই।


তিনি বলেন, প্রযুক্তি-জ্ঞানসম্পন্ন নতুন প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নেবে সমৃদ্ধির দিকে। সেজন্য শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা নয়, সার্বজনীন মানসম্পন্ন শিক্ষা চায় সরকার।



সরকারপ্রধান বলেন, গত ১৫ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকের সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


এর আগে, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান, খেলাধুলা, সংগীত, বিদ্যালয় পরিচালনা, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীকে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।


পদক প্রদানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে নিজ সংস্কৃতির উন্নয়ন, আত্ম-উন্নয়ন, আত্ম-নির্ভরশীলতা অর্জন এবং দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজ দেশের সংস্কৃতি উন্মোচন করা।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি যাচ্ছেন আজ : ভারতের সঙ্গে সই হতে পারে ১০টির বেশি চুক্তি ও এমওইউ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি টুডে রিপোর্ট:


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ শুক্রবার নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। 


টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। আগামীকাল শনিবার শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লিতে শীর্ষ বৈঠকে বসবেন। 


তারা দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক ভবিষ্যতে কোথায় নিয়ে যেতে চান, তার দিক-নির্দেশনা থাকবে ঐ বৈঠকে। 


প্রধানমন্ত্রীর সফরে দুই দেশের মধ্যে সংযোগ, জ্বালানি, বাণিজ্যসহ সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০টির বেশি চুক্তি ও এমওইউ সই হতে পারে বলে জানা গেছে। ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে এটি শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর হবে। 



তিনি গত ৯ জুন নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সফরসূচি অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট আজ দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। 


ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন।



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামীকাল শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরে তিনি রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন।



 এরপর দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পাশাপাশি একান্তে বৈঠক হবে। সূত্র জানায়, ঐ বৈঠকে ভবিষ্যতে দুই দেশের এই সম্পর্ক নিয়ে এক ধরনের রূপকল্পের কথা উঠে আসবে তাদের আলোচনায়। এবারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি অভিন্ন নদী তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি, সীমান্ত হত্যা পুরোপুরি বন্ধের মতো বিষয়গুলো আলোচনায় তুলবে ঢাকা। 



ভারত তিস্তার প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী বলে গত মে মাসে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সফরে জানা গিয়েছিল। এবার শীর্ষ বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে তিস্তার ব্যাপারে নতুন একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।


সূত্র আরও জানায়, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়লেও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অনেকটাই ঝুঁকে আছে ভারতের দিকে। এবারের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সেপা (সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি) আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। এটি সই হলে দুই দেশের বাণিজ্যে ভারসাম্য আসার পথ সুগম হতে পারে। 


এছাড়া দুই দেশের মধ্যে সড়ক, রেল, নৌসহ কানেকটিভিটির বিষয়গুলো ২০১০ সাল থেকে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। এবার যে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু। 


বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির রামগড়ের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুমের মধ্যে এই সেতু সংযোগ স্থাপন করবে।



দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর জ্বালানি, সংযুক্তি, অর্থনীতিসহ সহযোগিতার নানা ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে ১০ থেকে ১৩টি চুক্তি ও এমওইউ সই হতে পারে। এসব চুক্তি ও এমওইউর মধ্যে অন্তত চারটির মেয়াদ শেষে নবায়ন হওয়ার কথা। এরপর তারা হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন।



 বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।


আরও খবর



দেশবিরোধী চুক্তি আড়াল করতেই ছাগলকাণ্ড, বেনজিরকাণ্ড: রিজভী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image


বিডি টুডেস রিপোর্ট:


দেশবিরোধী চুক্তি আড়াল করতেই ছাগলকাণ্ড, বেনজিরকাণ্ড, আজিজকাণ্ড, হেলিকপ্টারে আসামি গ্রেপ্তারকাণ্ড সামনে আনা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 


তিনি বলেন, জনগণ চূড়ান্ত বাধা টপকিয়ে বাংলাদেশকে কারো আশ্রিত রাজ্য বানাতে দেবে না।


শুক্রবার (২৮ জুন) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একজন ডিক্টেটরের হুকুমে দেশ চলছে বলেই জনগণ আজ ত্যাজ্য, প্রত্যাখ্যাত ও নিজ দেশে পরবাসী হতে চলেছে।



 গোটা জাতি এখন ভীতি ও শঙ্কার মধ্যে। শ্বাসবায়ূ প্রাণ ভরে কেউ গ্রহণ করতে পারছে না। তবে জনগণ চূড়ান্ত বাধা টপকিয়ে বাংলাদেশকে কারো আশ্রিত রাজ্য বানাতে দেবে না।


রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, যারা ভারতবিরোধীতার ইস্যু খুঁজছেন তারা আবারও ভুল পথে যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদেরের কথায় ধরে নিতে হবে আমাদের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে কেউ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে স্থাপনা করে যাবে, তারপরেও এর বিরোধীতা করলে সেটি ভুল পথ হবে।



 এ ধরনের কথা কেবলমাত্র নতজানু, জনগণের ক্ষমতা ছিনতাইকারী দেশদ্রোহীদের মুখেই সাজে। জনগণের সম্মতি ব্যতিরেকে চিকেননেককে বাইপাস করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারত রেলপথ নির্মাণ করবে আর সেটি চুপ করে দেখা হবে, তা ৭১-এর শহীদদের রক্তকে অসম্মান করার শামিল।


তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভেতর দিয়ে রেলপথ বসানোর চুক্তি করে শেখ হাসিনা স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের নির্যাতনের সাথে বেইমানি করছেন। বাংলাদেশের সীমান্ত রক্তে ভেজা, ভারত থেকে বয়ে আসা বাংলাদেশের নদীগুলো উষর মরুভূমিতে পরিণত হওয়া, চরম বাণিজ্য ঘাটতির পটভূমিতে বাংলাদেশের বুকচিরে রেললাইন বসিয়ে ভারতের সামরিক ও বেসামরিক পণ্য পরিবহনের সুযোগে বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্যে শনিরদশা ডেকে আনা হবে।


বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষা এবং নিজস্ব শক্তির উপর নির্ভরশীল থাকতে পারবে না। এমনিতেই আমাদের দেশের জনগণের এনআইডির সকল তথ্য ভারতকে জানানো হয়েছে।



 ভারত সবসময় বিগব্রাদার সূলভ গরিমা থেকে বাংলাদেশকে বিবেচনা করে। ৭ জানুয়ারি একতরফা ডামি নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বৈধতা দিয়েছে ভারত, তাই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিনিময়ে ভারতকে সব উজাড় করে দিতে কুণ্ঠিত হচ্ছেন না।


রিজভী বলেন, দেশে দুর্নীতির মহামারী, লুণ্ঠন আর কুৎসিত অনাচারের নানা রং-বেরঙের কাহিনী এখন মানুষের মুখে-মুখে। আর এই সমস্ত অপকর্মে জড়িতরা প্রায় সবাই ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ। এইসব ঘটনা ফাঁস হওয়াতে সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা বেসামাল হয়ে পড়েছে। ভারসাম্যহীন কথাবার্তা বলছেন। 



একদিকে বলছেন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রচার ষড়যন্ত্রের অংশ, আবার অন্যদিকে বলছেন অভিযোগ সত্য। এ কথার কী অর্থ হতে পারে তা আমার জানা নেই। অভিযোগ সত্য হলে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রচার ষড়যন্ত্রের অংশ হবে কেন? এরা বিভ্রান্তিতে ভুগছেন, কারণ আওয়ামী সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারাই ছিল ডামি সরকারকে টিকিয়ে রাখার বিশ্বস্ত সৈনিক।


তিনি আরও বলেন, একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে এ সমস্ত কর্মকর্তাই ভোটারদেরকে নতজানু রাখতে রক্ত খেলায় মেতেছিলো। এরা জনগণকে নতজানু রাখতে যথেচ্ছাচার রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করেছে। এরাই ডেলিবারেট কিলিং করেছে, নিয়ন্ত্রণহীন হত্যাকাণ্ডের জন্য নিজ বাহিনীর সদস্যদেরকে কেন সক্রিয় হচ্ছে না, সেই জন্য ভর্ৎসনা করেছে।



 গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে উগ্রতা এবং বন্দুকের ভয় দেখিয়ে নীরব রাখার চেষ্টা করেছে। সেজন্যই মন্ত্রী-এমপিরা তালগোল পাকিয়ে স্ববিরোধী বক্তব্য রাখছেন।


আরও খবর



হাজির হননি বেনজীর, লিখিত বক্তব্য দিলেন দুদকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি টুডেস রিপোর্ট:


অতিরিক্ত সময় দেওয়ার পরেও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হননি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন তিনি।


রোববার (২৩ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।


তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদের মাধ্যমে গত ২১ জুন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনিসহ তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের সম্পদ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে, চিঠিতে নতুন করে সময়ের আবেদন করেননি।


খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, বেনজীরের অনুরোধে তাকে আরও ১৬ দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তিনি আজ (রোববার) দুদকে আসেননি। তাকে আর সময় দেওয়া হবে না, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


র‌্যাবকে যেসব নির্দেশনা দিলেন নতুন ডিজি

তিনি আরও বলেন, সোমবার (২৪ জুন) বেনজীরের স্ত্রী ও কন্যাদের দুদকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা উপস্থিত না হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এর আগে, গত ২৮ মে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। এতে বেনজীরকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী- সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হতে বলা হয়। পরে গত পাঁচ জুন আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকে হাজির হতে আরও সময় চান বেনজীর। সেই হিসেবে বেনজীরকে ২৩ জুন এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে ২৪ জুন দুদকে হাজির হতে বলা হয়।


বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন বেনজীর। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।


বেনজীর পরিবারের সম্পদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে দুদক। এখন পর্যন্ত যেসব সম্পদ পাওয়া গেছে, তা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।


সর্বশেষ বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকায় আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় দুদক। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। রূপায়ন লিমিটেড স্কয়ার নামের ১৪ তলা ভবনে অবস্থিত বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস।


বেনজীর পরিবারের নামে ঢাকায় মোট ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। এর আগে গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।


দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন সম্প্রতি বেনজীর পরিবারের আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। পাশাপাশি বেনজীর পরিবারের প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমি জব্দ এবং বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।


এর আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার ও ঢাকার সাভারে থাকা ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। 



তখন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাবও (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে বেনজীর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি পাওয়া গেছে।


আরও খবর



৩ লাখের বেশি অবৈধ হজযাত্রীকে বের করে দিলো সৌদি আরব

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি টু ডে  ডিজিটাল ডেস্ক:


আর এক সপ্তাহ পরেই মক্কা নগরীতে মুসলিমদের পবিত্র হজ পালন শুরু হবে।


 গত শনিবার পর্যন্ত মক্কা থেকে কয়েক লাখ অনিবন্ধিত হজযাত্রীকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। খবর আল আরাবিয়া।



প্রতিবছরই বার্ষিক হজ অনুষ্ঠানে জনসমাগম ব্যবস্থাপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজ পালন ইসলামের পাঁচটি প্রধান স্তম্ভের মধ্যে একটি। অফিশিয়াল তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করেছিল। 



যাদের বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ জনই ছিলেন বিদেশি। তারা ভ্রমণ ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ করেছিলেন এবং হজ পালনের জন্য তাদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না।


 পাশাপাশি হজের অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরবের অন্যান্য শহর থেকে মক্কায় আসা ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৭ জনকে মক্কা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। 


আগামী ১৪ জুন সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র হজ পালন শুরু হবে। সব মুসলিমের জন্যই জীবনে অন্তত একবার হজ পালন আবশ্যক। অন্তত চার দিন ধরে মক্কা এবং এর আশপাশের অঞ্চলে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এসব অনুষ্ঠানে অনেকেই অবৈধ উপায়ে অংশগ্রহণের চেষ্টা করেন। 



কারণ বৈধ উপায়ে হজের অনুমতি পাওয়া এবং এ সম্পর্কিত ভ্রমণ প্যাকেজগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তুলনামূলক ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। তাছাড়া প্রতিটি দেশেই হজ পালনকারীদের জন্য কোটা সীমাবদ্ধ থাকে। 


সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মাজারগুলো রয়েছে। মক্কার স্থানীয় প্রশাসন এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত শনিবার পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি নিবন্ধিত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।


আরও খবর



খুলছে অফিস, চলবে নতুন সূচিতে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহার পাঁচ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল বুধবার খুলছে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ১৯ জুন থেকে আট ঘণ্টা করে অফিস করবেন সরকারি চাকরীজীবীরা।

সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী এবার ঈদুল আজহার তিন দিনের ছুটি শুরু হয় গত রোববার। শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন)। তার আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সরকারি চাকরিজীবীরা মোট পাঁচ দিন ছুটি উপভোগের সুযোগ পান।

বুধবার (১৯ জুন) থেকে সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন সময়সূচি কার্যকর হচ্ছে। নতুন এ নিয়মে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (বেলা ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিসহ) আট ঘণ্টা অফিস করতে হবে।

গত ৬ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় করা হয়েছিল দৈনিক সাত ঘণ্টা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিস করেছিলেন চাকরিজীবীরা।


আরও খবর