Logo
শিরোনাম

দশমিনায় পল্লীবিদুৎ অফিসের লোকমানের বিরুদ্ধে গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন দশমিনা,পটুয়াখালী  প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর দশমিনা সাব জোনাল পল্লী বিদুৎ অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র মো.লোকমান এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সাথে খারাব আচারন ও গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় অফিসে একাধিক গ্রাহক সেবা নিতে গেলে তাদের সাথে খারাব আচারন ও পরে আসেন বলে ভোগান্তির এ অভিযোগ উঠে।

জানা যায়, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র মো. লোকমান হোসেন দশমিনা সাব জোনাল পল্লী বিদুৎ অফিসে যোগদান এরপর থেকেই সেবা নিতে আশা গ্রাহকের সাথে খারাব আচারন ও ভোগান্তির দিয়ে আসছেন। তার কাছে গ্রাহক কথা বলতে গেলে তিনি ব্যস্ত কাজ করি। আজকে হবেনা কালকে আসেন।

নাম না প্রকাশ করাশর্তে একাধিক দশমিনা সাব জোনাল অফিসে কর্মরতজন জনান, তার ব্যবহারে যেমন আমরা অতিষ্ঠ তেমনি সাধারন গ্রাহকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কারনে অকারনে গ্রাকদের সাথে খারাব আচারন ও তাদেরকে ভোগান্তিতে ফেলছেন তিনি। সাধারন গ্রাহক দুর দুরান্ত থেকে সেবা নিতে আসেন এ অফিসে। এমন আচারনে আমারা ও গ্রাহক খুশি হচ্ছিনা।

এবিষয়ে দশমিনা সাব জোনাল পল্লী বিদুৎ অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র মো. লোকমান জানান, 01754547984 এ নাম্বারে একাধিকবার কল দিলে রিসিভ না করার কারনে তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 

এবিষয়ে দশমিনা সাব জোনাল পল্লী বিদুৎ অফিসের এজিএমকম আবুল কালাম আজাদ বলেন, এভাবে কোন বক্তব্য দেয়া সম্ভব না। আপনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন।


আরও খবর



১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি ডিজিটাল ডেস্ক:


১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

আগামী অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। 


এর ফলে নাগরিকরা তাদের আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়েই তাদের অঘোষিত সম্পদকে বৈধ করার সুযোগ পাচ্ছেন।


প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইন যা-ই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা ফ্ল্যাট, জমির পাশাপাশি নগদ অর্থসহ স্থাবর সম্পত্তির জন্য ১৫ শতাংশ কর দিলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারবে না।



অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ডেটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করায় বিভিন্ন কোম্পানির অপ্রদর্শিত আয় ও সম্পদের তথ্য প্রকাশ নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতাদের অজ্ঞতাসহ অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে অর্জিত সম্পদ প্রকাশে ত্রুটি থাকতে পারে।


মন্ত্রী বলেন, এ অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নের এই ভুল সংশোধনের সুযোগ করে দেয়া এবং অর্থনীতির মূল ধারায় অর্থের প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়কর আইনে কর প্রণোদনার ওপর একটি ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছি।


আরও খবর



সিলেট অঞ্চলে পানিবন্দি সাড়ে ১৩ লাখ মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি টুডে ডেস্ক:


সিলেটে টানা বর্ষণ ও ঢল অব্যাহত  রয়েছে। প্রধান নদী সুরমা, কুশিয়ারা, সারি নদীর ৬ টি পয়েন্টে বন্যার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সুরমা ও কুশয়ারা অববাহিকার অন্তত: সাড়ে ১৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।



 সিলেট ও সুনামগঞ্জ শহরের অর্ধেকের বেশি বাসা-বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রাম সর্বত্রই পানি। ঈদুল আজহার আগের রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি থামছেই না। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেট অঞ্চলে আরও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে ২০২২ সালের মতো পরিস্থিতি ঘটতে পারে— এমন আতংক বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।  


এদিকে, টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। কয়েকটি স্থানে তিস্তাসহ প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন অবিরাম বর্ষণের সম্ভাবনা থাকায় রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


 সিলেটের ১৩ উপজেলায় ৭ লাখ, সুনামগঞ্জের ৪ উপজেলায় আড়াই লাখ, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও অন্যান্য এলাকায় ২ লাখ মিলে সাড়ে ১৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।


পানিবন্দি কোনো কোনো পরিবার সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে আসলেও বেশির ভাগ মানুষ বাড়িঘর, আসবাবপত্র গরু-বাছুর ফেলে আসতে চান না। তারা ঘরেই চৌকির উপর বসবাস করছেন। সেখানেই টিনের চুল্লায় রান্নাবান্না করে চরম দুর্ভোগে দিন পার করছেন। সেখানে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।   


সিলেট মহানগরীর ২১ টি ওয়ার্ডে অর্ধলক্ষ মানুষ এখন পানিবন্দি। সিলেট জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৮০টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭ হাজার ২৮৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। 



সিলেট মহানগরের শাহজালাল উপশহর, যতরপুর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, জামতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, আখালিয়া, মেজরটিলা ও দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই, বরইকান্দি, আলমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেকের বাসাবাড়িতে গলা  পর্যন্ত পানি। 


নিচু এলাকার বাসা-বাড়ি প্রায় পুরোটাই তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে।  গত ২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঈদের দিন ভোররাত থেকে সিলেটে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সঙ্গে নামে পাহাড়ি ঢল। ফলে হু হু করে বাড়তে থাকে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। 



সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট, কোমপানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুরসহ কয়েকটি উপজেলার রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষিজমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিবুর রহমান এমপি সিলেটের বন্যার্তদের দেখতে সিলেটে ছুটে আসেন। তিনি তাৎক্ষনিকভাবে সিলেট জেলার বন্যার্তদের জন্য নগদ ১০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছেন।



সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রধান প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলো দ্বিতীয় দফায় বন্ধ ঘোষণা করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে। এর আগে গত ৩০ মে বন্যা পরিস্থিতির কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি হলে ও ঈদকে সামনে রেখে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়।


 সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।  সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবিলায় সুনামগঞ্জ জেলায় ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।


সুনামগঞ্জ জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কসহ অর্ধেকের বেশি বাসাবাড়ি ডুবে গেছে। বুধবার বিকালে বৃষ্টি থামলেও সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি নেই। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন। আবার অনেকেই ঘরের খাট-পালং উঁচু করে পানির মধ্যেই বসবাস করছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। মধ্য বাজারে হাঁটু পানি।



 বাধন পাড়া, উকিল পাড়া, বড় পাড়া, সোমপাড়া, হাসন্নগর, ষোলঘর, নবীনগরসহ বহু এলাকার ঘরে পানি। রাতে বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি কিছুটা কমলেও বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাটে বন্যার পানি। জেলার ছাতক, দোয়ারা, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও সদর উপজেলার অবস্থা ভয়াবহ।


 হবিগঞ্জে খোয়াই নদীতে বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরতলীর জালালাবাদে নদীর বাঁধে হঠাৎ ভাঙ্গন দেখা দেয়। ফলে প্রবল বেগে নদীর পানি জালালাবাদসহ আশপাশের এলাকায় প্রবেশ করছে। এদিকে সকাল থেকেই খোয়াই, কুশিয়ারা, কালনী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


 হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। বড়লেখা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ২৫২ গ্রাম বন্যা কবলিত। ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। এতে প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।


এদিকে প্রধান প্রধান নদীর পানি দ্রুত বেগে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে কলমাকান্দা উপজেলার উপদাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কলমাকান্দার গুরুত্বপূর্ণ মনতলা সড়ক তলিয়ে গেছে।



তিস্তা নদীর  পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার কাউনিয়া, পীরগাছা ও গঙ্গচড়া উপজেলার তিস্তা অববাহিকার বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। পাউবো কোনো প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙন কবলিত পরিবারগুলোর অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। বেশ কিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে।


 পানির নিচে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ডুবে গেছে ওই সব এলাকার মরিচ ও সবজি খেত। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে  সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব পানিয়ালের ঘাট এলাকায়  কৃষকের ফসলি জমিতে ধরেছে ভাঙন। কেউ কেউ নদীর পাড়ে বাদাম তুলে স্তূপ করে রেখেছেন। 



রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বেলা ১১টায় কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা রেলসেতু এলাকায় তিস্তার পানি বিপদসীমার অতিক্রম করেছে।


গতকাল সকালে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি কমতে থাকে। কিন্তু বৃষ্টি না থামায় নদীর পানি যেকোনো সময় বিপদসীমা অতিক্রম করে  লোকালয় প্লাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।


এদিকে কুড়িগ্রামে প্রধান নদ-নদীগুলোর মধ্যে তিস্তা নদী ও দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল সকাল ৯টায় পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ ছাড়া অন্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।


নাগেশ্বরীতে একটানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হয়ে পড়েছে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। বৃষ্টির পানি সাথে উজানের ঢল মিশে স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চতায় এবং তীব্র স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ সকল নদ-নদীর পানি।  ফুলবাড়ীতে ধরলা নদীসহ সব কয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।  আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।


গাইবান্ধা জেলার সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে জেলার চারটি নদ-নদী ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়ার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


টেকনাফে ভারী বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে শত শত বাড়ি-ঘর,চিংড়ি ঘের, মাঠ,খেতের জমি। উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেও হলেও কেউ হতাহত হয়নি। মানুষের বাড়ি-ঘরেও পানি ডুকেছেন।


ঝিনাইগাতীতে মহরশি নদীর ঢলের পানির তোড়ে দিঘীরপাড় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুপুরে মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ঝিনাইগাতী সদর বাজারে প্রবেশ করে।


আরও খবর



দিল্লিতে ৮৮ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মৌসুমী বৃষ্টিতে অনেক অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে সেখানে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

দেশটির আবহাওয়া বিভাগ শুক্রবার (২৮ জুন) জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ১৯৩৬ সালের পর একদিনে (২৪ ঘণ্টায়) সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। ৮৮ বছর আগে ১৯৩৬ সালে ২৩৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।

সাধারণত জুন মাসে দিল্লিতে গড়ে ৮০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।

এই অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত দিল্লির শহরের বাসিন্দাদের জন্য বয়ে এনেছে অসহনীয় দুর্ভোগ। যারা অফিস বা কাজের জন্য বের হয়েছিলেন তারা জলাবদ্ধতা এবং ট্রাফিক জ্যামের কবলে পড়েছেন।

তবে এই বৃষ্টিপাত আবার দিল্লিবাসীর জন্য আশীর্বাদ হিসেবেও এসেছে। কারণ সেখানে গত দুই মাস ধরে অসহনীয় তাপমাত্রা বিরাজ করছিল। আজ শুক্রবার দিল্লির তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সাধারণ থেকে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি কম।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এই বৃষ্টিপাত আবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য কতটা অপ্রস্তুত দিল্লি।

গত ১৮ জুন দিল্লির মেয়র শেলি ওবে দাবি করেছিলেন, বর্ষা মৌসুমের জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন। কিন্তু মৌসুমের প্রথম ভারী বৃষ্টিপাতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে।

বৃষ্টির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে কোথাও কোথাও ৩ ফুট পর্যন্ত পানি জমেছে। এছাড়া নদিয়ার অবস্থাও এমন নাজুকই বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।


আরও খবর



তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারত-চীন দুই দেশই প্রস্তাব দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি টুডেস রিপোর্ট:



তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারতের পাশাপাশি চীনও প্রস্তাব দিয়েছে এবং দুটো প্রস্তাবই বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত সফরে তিস্তার পানি বণ্টন নয়, মহাপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ প্রকল্প নিয়ে চীনের পক্ষ থেকেও প্রস্তাব আছে। তবে যাদের প্রস্তাব লাভজনক হবে, তাদেরটাই গ্রহণ করবে বাংলাদেশ৷


তিনি বলেন, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা এগিয়ে যাব। আমার দেশের মানুষের কল্যাণে বিশেষ করে দেশের উন্নয়নে যার সঙ্গে যতটুকু সম্পর্ক রাখা দরকার, সেটা করে যাচ্ছি। 



ভারত আমাদের চরম দুঃসময়ের বন্ধু, তারা রক্ত দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে; কাজেই তাদের গুরুত্বটা আমাদের কাছে এমনিতেই আছে। আবার চীন যেভাবে নিজেকে উন্নত করেছে, সেখান থেকে আমাদের শেখার আছে। 



সবকিছু ভেবেই আমরা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রস্তাব তো অনেক আসে। যেখান থেকে যে প্রস্তাবই আসুক না কেন, সেই প্রস্তাবটা আমার দেশের জন্য কতটুকু প্রযোজ্য হবে এবং কল্যাণকর হবে সেটা ভেবেই গ্রহণ করা হবে।


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ গঙ্গা চুক্তি-২০২৬ সালে নবায়ন না হলেও চুক্তি চলমান থাকবে৷



 টেকনিক্যাল গ্রুপ এসে কাজ করবে, তারপর সমঝোতা হবে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তিনি বিরোধিতা করছেন, তার দেশের কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে। এবারও দিল্লিতে গিয়ে দেখলাম, মমতা নেই। আমরা তো সবার সঙ্গেই একসঙ্গে কাজ করতে চাই৷


তিনি বলেন, তিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে চীন ও ভারত দুদেশই প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্যই আমরা বিবেচনা করব, কোন প্রস্তাব গ্রহণ করলে আমাদের দেশের মানুষের কল্যাণে আসবে। ভারত বলেছে তারা করতে চায়, তারা টেকনিক্যাল গ্রুপ পাঠাবে, অবশ্যই তারা আসবে।



 চীনও একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে, ভারতও একটা করবে। আমাদের কাছে যাদেরটা সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য এবং লাভজনক মনে হবে, আমরা তাদেরটাই গ্রহণ করব। চীন সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে৷ ভারতও করবে৷ হ্যাঁ, ভারত যদি এটা করে দেয়, তাহলে তো হলোই৷ তাহলে তো প্রতিদিন পানি নিয়ে প্যানপ্যান শুনতে হয় না৷



আরও খবর



শেকৃবি উপাচার্যের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ইউজিসির তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে ডিজিটার ডেস্ক:


শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, টেন্ডারবাজি, একাডেমিক ও প্রশাসনিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। 


ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দকে আহ্বায়ক এবং পাবলিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর কে সদস্য সচিব করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।



বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ইউজিসির পাবলিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।


তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।’


চিঠিতে বলা হয়েছে, উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তপূর্বক কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুপারিশ সংবলিত একটি প্রতিবেদন কমিশন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করবে, তদন্তের স্বার্থে কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট যে কোনো নথি, নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনো ডকুমেন্টস ও আনুষঙ্গিক কাগজ-পত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাসহ তার অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারবে। 


কমিটি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট যে কোনো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।গত ১৬ মে শেকৃবি উপাচার্যের নানা অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে। একইসঙ্গে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দফাওয়ারি বক্তব্য কমিশনে পাঠাতে বলে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিষয়গুলোর ব্যাখ্যাসহ জবাব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত ইউজিসি নেবে।’


আরও খবর