Logo
শিরোনাম

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধের পথে

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল হোটেল-রেস্তোরাঁ। সেই আর্থিক ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকরা। এর মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় লোকসানে বিপর্যস্ত হয়ে অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন মালিকরা।

শনিবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৩৪তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সারাদেশের রেস্তোরাঁ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, করোনার কারণে আমাদের যে লোকসান হয়েছে, সেটা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু এর মধ্যে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি আমাদের থামকে দিয়েছে। বরং এখন পণ্যের দামের কারণে খাবার বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমরা আর টিকতে পারছি না।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতির পরও কোনো হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম বাড়ানো হয়নি। যদিও মজুরি ও খরচ অনেকগুণ বেড়েছে। কম টাকায় মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। গ্যাস-পানির দামও বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। এ পরিস্থিতিতে সর্বস্বান্ত হওয়া ছাড়া গতি নেই। লোকসানে অনেকেই রেস্তোরা বন্ধ করে দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, এ খড়গ থেকে আমাদের পরিত্রাণের জন্য টিসিবি’র মাধ্যমে পণ্য দেয়া দাবি জানাই সরকারের কাছে। তাহলে অনেকে টিকে থাকতে পারবেন। ন্যায্যমূল্যে পণ্য পেলে তাদের খরচ কিছুটা পোষাবে। ইমরান হাসান বলেন, এর মধ্যে গত বছর আমাদের যে ভ্যাট কমানো হয়েছিল, সে সুবিধায় শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। আমরা ভ্যাটের রেয়াত নিতে পারছি না। এ সমস্যার সমাধান হয়নি। আবার সারাদেশে ভ্যাট চালু হয়নি। কেউ দিচ্ছেন, কেউ দিচ্ছেন না। ফলে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ যেসব হোটেলে খায়, সেখানে ভ্যাট ৩ শতাংশ করার দাবি রয়েছে আমাদের। আগামী বাজেটে এটা রাখতে এনবিআরে এ প্রস্তাব করেছি। পাশাপাশি ট্যাক্স শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করারও দাবি জানিয়েছি। তাহলে সবাই সেটা দিতে পারবে।

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, এ পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের ওপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আপনারা (সরকার) জানেন আমরা পুরোপুরি অদক্ষ মানুষ নিয়ে কাজ করি। আপনারা আগে রেস্তোরাঁ কর্মীদের ট্রেনিং দেন। আমাদের শেখান, কীভাবে শতভাগ নিরাপদ খাদ্য পরিবেশন করা যায়। তারপর সেটা না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালত করুন। তার আগে হাতে হাতকড়া দেবেন না।

অনুষ্ঠানে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ায় সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী আমরা। তারপরও কোথাও খাবারের দাম বাড়ানো হয়নি। খাবারের কোনো সংকট হয়নি। কিন্তু সেটা কেউ দেখে না। এতো কিছু করার পরও আমরা অবহেলিত, নির্যাতনের শিকার।

সংগঠনটির প্রথম যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন বলেন, রেস্তোরাঁ মালিকরা যে ভ্যাট দিচ্ছেন সেটা দেশের সামগ্রিক ভ্যাটের তুলনায় খুবই নগণ্য, ১ শতাংশও নয়। কিন্তু যে ঘুস দিতে হচ্ছে সেটা বহু খাতের থেকে বেশি। ভ্যাটের জন্য নয়, ঘুসের জন্য আরও বেশি জুলুম হচ্ছে আমাদের ওপর। ঘুস না, সঠিকভাবে ভ্যাট দেবো আমরা। সেই ব্যবস্থা করুন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ওসমান গনি, সহ-সভাপতি শাহ সুলতান খোকন, সহ-সভাপতি এম রেজাউল করিম সরকার রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।


আরও খবর



স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। রাজধানী ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৭৬, তৃতীয় অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৬৩ আর ১৫৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



রাজধানীর ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।

কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি'র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়।

হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছেন যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য পাইনি। কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সমাজের ভদ্রলোকরা মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তি প্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।


আরও খবর



কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলোউভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি।

আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলোকূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।


আরও খবর



করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

করোনা মহামারি শুরুর পর প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্তি দিয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন বা টিকা। এবার সেই টিকা নিয়ে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ উঠছে। এ অবস্থায় সমালোচনার মুখে বাজার থেকে তাদের টিকা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে তারা বলছে, চাহিদা না থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

জানা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে করোনার যে টিকা উৎপাদন করে, তার ব্র্যান্ড নাম ভ্যাক্সজেভ্রিয়া। এরপর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট সেই টিকা উৎপাদনের লাইসেন্স পায়। তারা কোভিশিল্ড নামে সেই টিকা বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে বাজারজাত করে। সমালেচানার মুখে ইউরোপ মহাদেশে ভ্যাক্সজেভ্রিয়া টিকার বাজারজাতকরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

বাংলাদেশের মানুষকে সাড়ে ৫ কোটির বেশি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়া হয়েছে। এই টিকা গ্রহণকারীদের দেহে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখতে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি জোরেশোরে সামনে আসায় উৎকণ্ঠায় আছেন এই টিকা গ্রহীতারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দ্রুত উদ্ভাবিত করোনা টিকা মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়। যেসব টিকা ব্যবহার করা হয়েছে তার একটিও যথাযথ নিয়ম হয়নি। তৈরি ও ব্যবহারের অনুমতিও জরুরি ভিত্তিতে হয়েছিল। কারণ মহামারি মোকাবিলাই সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল। কিছু টিকার বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না মর্মে বাজারে ছাড়া হয়েছিল। এসব কারণে দীর্ঘমেয়াদি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা রুটিন ভ্যাকসিনের মতো করোনার টিকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

তাছাড়া টিকা গবেষণায়ও তাড়াহুড়া ছিল। জরুরি অবস্থা বিবেচনায় দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনেক মানুষকে দেওয়ার ফলে পার্শপ্রতিক্রিয়ার বিষয় আমলে নেওয়া হয়নি। করোনা আক্রান্ত এবং আক্রান্ত ছাড়াও টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিবেদন হচ্ছে। তবে করোনার কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না অন্য কারণে হচ্ছে বলা কঠিন। এজন্য সরকারি অর্থায়ন এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ গবেষকদের সমন্বয়ে সঠিক পদ্ধতিতে গবেষণা করতে হবে। তবে যে প্রতিষ্ঠান টিকা দিয়েছে তাদের গবেষণায় রাখা যাবে না।

এদিকে টিকা গ্রহণের ফলে মানবদেহে গুরুতর ক্ষতি এবং মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে । ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিষয়টি স্বীকারও করেছে। 

এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কোভিশিল্ড নামে তাদের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ফলে থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) নামে পরিচিত একটি বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। টিটিএস হলো এমন একটি বিরল অবস্থা, যার ফলে শরীরের অস্বাভাবিক কোনো জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধে এবং রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যায়। টিটিএসের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে গুরুতর মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, পায়ে ফোলাভাব, শ্বাসকষ্ট এবং খিঁচুনির মতো সমস্যা। যদি কেউ টিকা নেওয়ার পর এই লক্ষণগুলো দেখতে পায় তবে তাদের দ্রুত একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা উচিত।

বাংলাদেশে করোনার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টিকা গ্রহণ পরবর্তী শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে এমন একাধিক ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে অনেকের মনে রাখার ক্ষমতা কমে গেছে। অর্থাৎ ভুলে যাওয়া প্রবণতা বাড়ছে। অনেকের সামান্য পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা, শারীরিক দুর্বলতা, ঘুম কমে যাওয়া, অবসাদগ্রস্ততা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা ব্যক্তিদের টিকা নিয়ে পুরোনো ও বিরল রোগব্যাধি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমন পরিস্থিতিতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। নিজেদের করোনা টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণকারীদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৈশ্বিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না জানব দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন (উদ্বিগ্ন)। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণার অংশীদার নিউজিল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা সংস্থা জিভিটিভি জানিয়েছে, করোনার অন্যান্য ব্র্যান্ডের টিকাগুলো হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক ও রক্তে নানা ধরনের জটিলতা বাড়ায়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে এ পর্যন্ত ১৩ ধরনের শারীরিক জটিলতার রেকর্ড করেছেন গবেষকরা।

গ্লোবাল ভ্যাকসিন ডাটা নেওয়ার্কের একদল গবেষক এই গবেষণা করেছেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহে গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ভ্যাকসিন। গবেষণায় বিশ্বের ১৩টি দেশে ৯ কোটি ৯০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে যারা এমআরএন টিকা ফাইজার, এন-বায়োটেক কিংবা মর্ডানা টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন তাদের একাংশ মায়োকার্ডিটি নামক হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।

 এছাড়া যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন তাদের একাংশ পেরি-কার্ডিটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় তাদের হৃৎপিণ্ডের কার্ডিয়াক মাংসপেশিতে সমস্যা হয়। এছাড়া ফাইজার মর্ডানার টিকার ডোজে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া জিবিএস এবং মায়োলিটিসির মতো শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায় ২ দশমিক ৫ গুণ। মায়োলিটিসে আক্রান্তরা মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের প্রদাহে ভোগেন। তবে টিকা নেওয়া বেশির ভাগ মানুষই যে এসব সমস্যায় ভোগে বিষয়টা এমনো নয়- বলেছেন গবেষকরা। 

জানতে চাইলে জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি করোনা আক্রান্তদের জিবিএস হয়েছে। একইভাবে জিবিএস রোগীরও কোভিড শনাক্ত হয়েছে। করোনা জিবিএসের মতো একটি ভাইরাল ইনফেকশন। যেসব ভাইরাসে জিবিএস হয় সেগুলো আগে থেকেই জানা। তবে দেশে করোনার সঙ্গে জিবিএসের সরাসরি সম্পর্কের নজির নেই। তাই করোনাভাইরাস জিবিএসে আক্রান্ত করতে পারে কিনা সেটি এখনো বোঝা যাচ্ছে না। এটি নিয়েও দেশে-বিদেশে নির্দিষ্ট করে গবেষণা হওয়া দরকার।

জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, করোনা টিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের গবেষণায় যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা উঠে এসেছে সেটি বিরল রোগ টিটিএস। বাংলাদেশে করোনা টিকা গ্রহীতাদের এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। তাই উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি বলেন, মাহামারির ভয়াবহতায় পুরো বিশ্ব উদ্বেগে ছিল। দীর্ঘ হচ্ছিল মৃত্যুর মিছিল। তখন আশার আলো নিয়ে আসে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মর্ডানা ও জনসনের মতো টিকা। এখন যাদের টিকা নিয়ে জটিলতা হচ্ছে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা নিতে হবে।


আরও খবর



গৌরব ও সাফল্যের ১৯ বছরে কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

গৌরব ও সাফল্যের দেড় যুগ পেরিয়ে ৯ মে ১৯তম বর্ষে পদার্পণ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি পালন করা হয়। জাতীয় কবির নামে তারই স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের নামাপাড়া বটতলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালের ৯ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে দেশের ৫৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন ও সহশিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। এক ঝাঁক তরুণ-মেধাবী শিক্ষকম-লী, মেধাবী শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় এগিয়ে চলেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ৫৭ একরের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে রয়েছে ২৫টি বিভাগ, ২৫০ এরও বেশি শিক্ষক এবং ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

১৯ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসনে রয়েছে ৪টি আবাসিক হল। অগ্নি-বীণা হল, দোলন-চাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামের হলগুলোতে প্রায় ৪ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে আরো দুটি হল। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ৪টি ভবন। নির্মাণাধীন রয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য বাসভবন, ইউটিলিটি ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ভবন, ইনস্টিটিউট ভবন, কেন্দ্রীয় মসজিদ, একটি কলেজ, টিএসসি, দুটি দৃষ্টিনন্দন ফটক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে নিয়ে আসা হয়েছে সিসিটিভির আওতায়, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে যুক্ত হয়েছে ওয়াকিটকি। স্থাপিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শেখ রাসেল, অঞ্জলী লহ মোর নামের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য, ৭২ এর সংবিধান স্মারক হিসেবে স্থাপিত হয়েছে সংবিধান আঙিনা। আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, আজকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মধ্যে এক নামে চেনা একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের দেড় যুগ পুর্তি এবং ১৯ তম জন্মদিনে আপনাদের সবাইকে প্রীতি শুভেচ্ছা আর শ্রদ্ধা জানাই। জাতীয় কবির নামে এই প্রতিষ্ঠানে আমরা মূলত শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়নকে মটো হিসেবে গ্রহণ করে আমাদের অভিযাত্রা শুরু করেছি। আমাদের ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষার গুণগত মান এবং এই যুগের মতো করে তাদের তৈরি করার যে অভিপ্রায় সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর আছে, এবং আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আগের থেকে অনেক বেশি দক্ষ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা নিয়ে উপাচার্য আরো বলেন, এরই মধ্যে আমরা ইউজিসি র‍্যাংকিংয়ে গত দুই বছরে অনেকটুকু এগিয়েছি। আমাদের অবস্থান ৩৯তম থেকে এখন ১৪ তম। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা ক্ষেত্রে কাজ করছে, বড় বড় চাকরি পাচ্ছে এবং শিক্ষকম-লী যারা আছেন তারাও দেশ-বিদেশে গবেষণা নিয়ে ছুটছেন। এবং তাদের গবেষণাকে আজ বিশ্বব্যাপী বহুজন বহু গবেষক কোট করছেন। এই যে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছড়িয়ে যাওয়া এবং ছাড়িয়ে যাওয়া আমাদের এবারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূলমন্ত্র। আমরা চারিদিকে ছড়িয়ে যেতে চাই, নিজেকে আবারও ছাড়িয়ে যেতে চাই। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অভিযাত্রাকে সমর্থন করবেন বলে প্রীতি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪