Logo
শিরোনাম

দুইশতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে মুজিব সিনেমা দেখলেন মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ ) :

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বীরমুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী দুই শতাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে বড় পর্দায় উপভোগ করলেন “মুজিব: একটি জাতির রূপকার” সিনেমা। শনিবার বিকেল ৩টার শোতে আত্রাই উপজেলার সেভেন স্টার সিনেপ্লেক্সের বড় পর্দায় সিনেমা উপভোগ করেন মুজিব ভক্ত তরুন থেকে বৃদ্ধরা। 

বীরমুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী বলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে দেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। মুজিব আমার ও আমার পরিবারের সকল সদস্যদের জীবনে একটি আদর্শের নাম। মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলার মাধ্যমে আমি সব সময় চেস্টা করে আসছি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিক তথ্য বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাজে পৌছে দেয়ার। আবার নতুন করে বহু বছর পর বড় পর্দার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত সঠিক তথ্য ও তার আদর্শকে প্রতিটি মানুষের মাঝে পৌছে দিতে একটি মোক্ষম প্লাটফরম হচ্ছে “মুজিব: একটি জাতির রূপকার” সিনেমাটি। সিনেমাটিতে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি সঠিক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমাটি দেখলে বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে অজানা বিভ্রান্তি দূর হবে বলে আমি শতভাগ আশাবাদি। 

তিনি আরো বলেন এমন সুযোগ হেলায় না হারিয়ে আমি দুইশতাধিক টিকেট ক্রয় করে আমার নির্বাচনী এলাকা রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার তরুন, যুবক, বয়স্ক, গনমাধ্যমকর্মীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের নিয়ে দলীয় ভাবে বহুবছর পর সিনেমা হলের বড় পর্দায় ছবিটি উপভোগ করলাম। এমন তথ্যপূর্ন সিনেমা তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সিনেমাটি তৈরির সঙ্গে জড়িত সকল কলাকুশলীদের প্রতি রইলো মুজিবীয় কৃতজ্ঞতা। যতদিন লাল-সবুজের বাংলাদেশ আছে ততদিন সঠিক মুজিব তথ্যের দলিল হিসেবে এই সিনেমাটি স্বাক্ষর রেখে যাবে। তাই সঠিক ইতিহাসটি নিজে জানার পাশাপাশি দলবল নির্বিশেষে বাংলার প্রতিটি মানুষকে পুরো পরিবার নিয়ে ছবিটি দেখার প্রতি আমি বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।


আরও খবর



যে ভুলে কমছে না পেটের চর্বি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শরীরের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে, বিশেষ করে পেটে চর্বি জমলে তা হৃদরোগ ও টাইপ টু ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।  
এ বিষয়টি অনেকেরই জানা।

তারপরেও অনেকেরই পেটে জমে যায় মাত্রাতিরিক্ত চর্বি। এটি কমানোর জন্য অনেকেই ব্যায়াম থেকে শুরু করে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনা পর্যন্ত অনেক ধরনের কাজই করেও কোনো সুফল পাননি। এর কারণ হিসেবে থাকতে পারে ভুল ডায়েটিং কিংবা ভুল শারীরিক অনুশীলনের মতো বিষয়। আজকের লেখায় থাকছে তেমনই কয়েকটি বিষয়, যা আপনার পেটের চর্বি কমানোর চেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়।

* বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার দেহের নানা মাপকাঠি পরিবর্তিত হয় এবং এতে ওজনও বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে পুরুষ বা নারী, উভয়েরই দেহের ওজন বাড়তে পারে।

* মধ্যবয়সী নারীদের মেনোপজের জন্য পেটে বাড়তি চর্বি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে ভালো খবর হলো, চিকিৎসকের সহায়তায় এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।

* অনেকেই বড় কোনো ব্যায়াম প্রোগ্রামের একাংশের ব্যায়াম করে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি শুধু হৃৎপিণ্ডের জন্য ব্যায়াম করেন তাহলে তা পেটের চর্বি কমাতে ভূমিকা রাখবে না। এজন্য সঠিক ব্যায়াম করতে হবে। পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম বা ১২৫ মিনিট উচ্চমাত্রার নির্দিষ্ট ব্যায়াম করা যেতে পারে।

* আপনার কি অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে? ক্র্যাকার্স, চিপস, পরিশোধিত চিনি, কোমল পানীয়, মিষ্টি খাবার ইত্যাদি আপনার পেটের চর্বি বাড়িয়ে দেয়। এর বদলে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া খাবার যেমন ফলমূল, সবজি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার আপনার পেটে চর্বি জমা থেকে রক্ষা করবে।

* মানবদেহ সব ধরনের চর্বিতে একই আচরণ করে না। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমাত্রায় দ্রবীভূত চর্বি (মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের চর্বি) গ্রহণ পেটের চর্বি বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে কিছু উদ্ভিদ, মাছ, সূর্যমুখী তেল ও অলিভ অয়েলে থাকা অদ্রবীভূত চর্বি ক্ষতিকর নয়। বরং সঠিকভাবে খেলে পেটের চর্বি নিয়ন্ত্রণেও এগুলো ভূমিকা রাখে। অবশ্য মাত্রাতিরিক্ত যেকোনো খাবার খাওয়াই ক্ষতিকর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

* পেটের চর্বি কমানোর জন্য অনেকেই অল্পমাত্রায় শারীরিক অনুশীলন করেন। কিন্তু কিছুদিন অনুশীলনের পর কোনো উপকার পান না। এর কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত অনুশীলন। তাই শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে পেটের চর্বি কমানোর জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে।

* আপনার পেটের চর্বি কমানোর সামান্য লক্ষণ দেখা গেলেই কি অনুশীলন বাদ দেন? ব্যায়াম পুরোপুরি সফল হওয়ার আগেই যদি আপনি অনুশীলন ছেড়ে দেন তাহলে এর ফলাফল ধরে রাখা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া রয়েছে শুধু পেটের অনুশীলনের মতো কাজ করা। এক্ষেত্রে সারা দেহের জন্য সুষম অনুশীলন করা হতে পারে সঠিক উপায়।

* আপনার যদি কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা, সন্তান ইত্যাদি নিয়ে অতিরিক্ত চাপের মাঝে থাকতে হয় তাহলে তা পেটের চর্বি বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে অন্যান্য উপায় প্রয়োগ করার আগে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

* আপনার যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে তা দেহের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর অন্যতম রূপ হতে পারে পেটের চর্বি বৃদ্ধি। এজন্য ব্যক্তিভেদে প্রতি রাতে সাত থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমানোর প্রয়োজন হয়।

* অনেকের দেহের মাঝখানের অংশ বিশেষ করে পেট, থাই, উরু ইত্যাদি গঠনগত কারণেই মোটা থাকে। জেনেটিক কারণেই এমনটা হতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পেটের চর্বি কমানো কঠিন; তবে অসম্ভব নয়। এজন্য বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়।

* টেস্টোস্টেরোনের মাত্রার ওপর দেহের অনেক বিষয় নির্ভর করে। এ হরমোনটি দেহে উচ্চমাত্রায় থাকলে তা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

* পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে উৎসাহের সঙ্গে অনুশীলন করার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি পেটের চর্বি কমাতে চান আবার সব উপায়গুলো ঠিকঠাক মেনে না চলেন তাহলে তা কোনো উপকারে আসবে না।


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চেক ডিজঅনার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।আদালত সূত্রে জানা গেছে, চেক ডিজঅনার মামলায় গত ১৯ জানুয়ারি সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন আজ জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে আজ আদালতে পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনে আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে আদালত সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।

এর আগে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর একই মামলায় সাকিবসহ মোট চারজনকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছিলেন আদালত।এ মামলায় সাকিব ছাড়াও অন্য তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী সাহাগীর হোসেন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক এবং মালাইকর বেগম।গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন এগ্রো ফার্মটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ নেয়। এর বিপরীতে কোম্পানিটি প্রায় ৪.১৫ কোটি টাকার দুটি চেক দিয়েছে, যা অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসে।


আরও খবর



৭৬ বছরে চিত্রনায়ক আলমগীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নায়ক আলমগীরের আজ ৭৬তম জন্মদিন। ৭৬ বছরে পা রাখলেন তিনি। ১৯৫০ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অভিনেতার কাছে জন্মদিন একেবারেই সাধারণ একটা দিন। খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না। তারপরও পরিবারের সদস্যরা দিনটি নিজেদের মতো করে উদযাপন করে থাকেন। চলচ্চিত্রে আলমগীরের অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে আমার জন্মভূমি সিনেমা দিয়ে। ১৯৮৫ সালে তিনি পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে মা ও ছেলে সিনেমায় অভিনয় করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তোলেন আলমগীর। গত বছর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পেয়েছেন গুণী এই অভিনেতা। শিল্পকলা (অভিনয়) শাখায় এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

অভিনয় ক্যারিয়ারে ২২৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। এ ছাড়া ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন এ অভিনেতা। শুধু অভিনয় নয়, গানও গাইতে পারেন আলমগীর। এক সময় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি স্কুলে সংগীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদীর কাছে গান শিখেছিলেন। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন। আগুনের আলো চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম কণ্ঠ দেন। এরপর কার পাপে, ঝুমকানির্দোষ চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন।


আরও খবর



গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বললেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা।দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বানীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণীর শুরুতে তারেক রহমান সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। হাজার বছরের সংগ্রাম মূখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তারেক রহমান বলেন, এই স্বাধীনতা দিবসে আনন্দোজ্জল মূহুর্তের মধ্যে প্রথমেই যে কথা মনে পড়ে, তাহলো এ দেশের অগণিত দেশপ্রেমিক শহীদের আত্মদান; আমি এ মহান দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যাদের অবিস্মরণীয় আত্মদানে অর্জিত হয়েছে দেশমাতৃকার মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ সব জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যাদের জীবন মরণ লড়াইয়ে ৯ মাসে আমরা বিজয় লাভ করেছি সেইসব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা জাতি কখনোই বিস্মৃত হবে না।

আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। স্বাধিকার আর স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মানচিত্র। এ দিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষণায় সেই মূহুর্তে দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও থেমে নেই।

বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পরে বেগম খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের ধারা সূচিত হলেও গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে স্থায়ী ও মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরী করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আজও তাই এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা। এটিই হচ্ছে স্বাধীনতার মূল চেতনা।

তারেক রহমান বাণীতে আরও বলেন, আজকের এই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি আহবান জানাচ্ছি-জাতির সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ‘৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখার জন্য। আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই।


আরও খবর



শুল্ক স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর নতুন বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে বিশ্বজুড়ে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতোমধ্যেই তার প্রভাব অনুভূত হওয়া শুরু হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে— এমন সব দেশের ওপর বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে মৌলিক বা বেসলাইন ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ ১২টি দেশের ওপর, বাকি দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর— ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ধার্য করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ শুল্ক।

৫ এপ্রিল থেকে বেসলাইন শুল্ক সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যেসব দেশের ওপর ১০ শতাংশের বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, তা সংগ্রহ শুরু হবে ৯ এপ্রিল থেকে।

অনেক দেশ এর মধ্যেই বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার বা স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন কূটনৈতিক পন্থায় যোগাযোগ করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে; প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা স্বীকারও করেছেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন—এ ইস্যুতে তিনি অনমনীয়।

সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে শুল্ক স্থগিত করবেন কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এমন কিছু ভাবছি না। আপাতত (শুল্ক স্থগিতের) কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।”

“এমন অনেক, অনেক দেশ আছে যারা আমাদের সাথে বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা করতে আসছে এবং তারা ন্যায্য চুক্তি করবে, এবং কিছু ক্ষেত্রে, তারা প্রচুর শুল্ক দেবে। আমরা ন্যায্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক চাই।”

আগের দিন রোববার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। সংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্প বলেন, “গতকাল আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমি তাকে মাত্র একটি কথা বলেছি যে মার্কিন পণ্যের জন্য জাপানকে উন্মুক্ত করতে হবে আপনাদের। কারণ বর্তমানে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি রপ্তানির হার শূণ্যের কাছাকাছি অথচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর লাখ লাখ গাড়ি রপ্তানি করে জাপান।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫