Logo
শিরোনাম

ঈদের চাঁদ দেখে বিক্রি হবে তিন দিনের ট্রেনের টিকিট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ ঘোষণা করা হলেও ঈদের তিনদিন (১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল) এর টিকিট বিক্রি করা হবে চাঁদ দেখার পরই বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সম্প্রতি ঢাকায় রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী।

তিনি বলেন, এপ্রিলের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের ট্রেনের টিকিট বিক্রয় করা হবে ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। অগ্রিম ও ফেরত ঈদ যাত্রার টিকিট শতভাগ অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। একজন যাত্রী অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ বার করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন এবং প্রতি ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৪টি টিকিট ক্রয় করতে পারবে। একজন যাত্রীর সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের নাম ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। ঈদযাত্রার টিকিট রিফান্ড করা যাবে না। এ ছাড়া ঈদের আগের ৭ দিন ও ঈদের পরের ৭ দিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে।

তিনি আরও বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ৩ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পর যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এ ছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

আগামী ১০ এপ্রিলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের এ ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। এবারের ঈদে ১৬টি ট্রেন নতুন যুক্ত হয়েছে।


আরও খবর



অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স এক অশনি সংকেত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

বৈশ্বিক স্বাস্থ্যখাতের অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের হুমকি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সব খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনিসংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জে পশুপাখির মধ্যেও এটি বিস্তার লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ক গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ব্র্যাকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ব্রেস্ট ক্যানসার বা স্তন ক্যানসার, সার্ভিক্যাল ক্যানসার বা জরায়ুমুখ ক্যানসার ও হাইপারটেনশনের মতো বিষয়গুলোতে আরও বেশি সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। একজন ব্রেস্ট ক্যানসারের রোগী যখন চিকিৎসকের আছে আসে, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর বিশেষ কিছু করার থাকে না। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় হলে তা অনেকাংশেই নিরাময়যোগ্য। একইভাবে গ্রামাঞ্চলে অনেক ঠোঁটকাটা, তালুকাটা রোগী ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তারা সঠিক চিকিৎসা পান না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বাস্থ্যখাতে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে, কিন্তু এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজগুলো করলে মানুষ উপকৃত হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টার (বিএলবিসি) পরিকল্পিত ও পরিচালিত কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপন চিকিৎসাকেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে অনেক মানুষ কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুবিধা পাচ্ছেন। মানুষের কল্যাণে বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় এমন আরও অনেক উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারের কাজে যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করে আসছে, তাদের মধ্যে ব্র্যাক অন্যতম। তবে এসব কাজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। কোনো একটা কর্মসূচি বা প্রকল্প হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া অবাঞ্চিত। তাই প্রকল্প শুরু করার সময়ই একটি প্রস্থান পরিকল্পনা সঠিকভাবে ডিজাইন করা গুরুত্বপূর্ণ।


আরও খবর



দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের 'স্টেট অফ গ্লোবাল ক্লাইমেট' রিপোর্টে ২০২৩ সালকে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর বলা হয়েছে। তবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেভাবে গরম অনুভূত হচ্ছে তাতে ২০২৪ সালের উষ্ণতা বিগত বছরকে ছাড়িয়ে যাবে কিনা সেই শঙ্কা করা হচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, সমুদ্রের তাপ এবং অ্যাসিডিফিকেশন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্তাপ এবং অম্লকরণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের আচ্ছাদন গলে যাওয়া এবং হিমবাহ পশ্চাদপসরণের মতো একাধিক ঘটনাও যা বিশ্ব উষ্ণায়নের বিষয়ে চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন তাপমাত্রার (বাড়ার) চেয়ে অনেক বেশি। ২০২৩ সালে আমরা যা প্রত্যক্ষ করেছি, বিশেষত সমুদ্রের অভূতপূর্ব উষ্ণতা, হিমবাহের পশ্চাদপসরণ এবং অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ হ্রাস- এই সব কিন্তু বিশেষ উদ্বেগের কারণ।

জলবায়ু পরিবর্তনের চরম প্রভাব বিশ্বের যে যে অংশে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা তার মধ্যে রয়েছে এশিয়াও। চলতি বছরে ইতোমধ্যে এশিয়ার অনেক দেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ছবিটা প্রায় একইরকম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও।

হাঁসফাঁস করা এই পরিস্থিতিতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান-সহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতের একাধিক রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও একই পরিস্থিতি।

অন্যদিকে, ইরানে গত বছর সর্বাধিক তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই নিরিখে এ বছরের চলতি মাসের ছবি বিশেষ আশার আলো দেখাতে পারছে না।

দেখে নেয়া যাক দক্ষিণ এশিয়ার সেই সমস্ত শহর যার তাপমাত্রা এখন সর্বাধিক।

ভারত
গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ওড়িশার বারিপদাতে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার ভুবনেশ্বরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে।

পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের তাপ মাপন কেন্দ্রে ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে গত এক সপ্তাহে। পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। বাঁকুড়াও রয়েছে ওই তালিকায়। পুরুলিয়া ও মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা ৪২-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে- রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস না থাকলেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হবে আগামী তিনদিনে। গত এক সপ্তাহে ওই তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে।

হরিয়ানাতেও তাপমাত্রার দিল্লির কাছাকাছি রয়েছে। বিহার, পূর্ব মধ্য প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরির একাধিক অঞ্চল-সহ পূর্ব উত্তর প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪-৬ ডিগ্রি বেশি রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতরের সূত্রে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশরর কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত দুই সপ্তাহে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বাংলাদেশেই।

চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যশোরে তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই অঙ্ক ঘোরাফেরা করেছে ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

সৈয়দপুরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে।

পাকিস্তান
এই বছর পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, সিন্ধ প্রদেশের একাধিক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সিন্ধের নওয়াব শাহতে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি, মহেঞ্জোদারোতে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

লাহোরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

উষ্ণতম শহরের তালিকায় বেলুচিস্তানের তুরবত অঞ্চলের নাম অনেক আগেই নথিভুক্ত হয়েছে। সেখানে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলুচিস্তানের ন্নকুন্দিতে ৩৭ ডিগ্রি এবং সিব্বিতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

অন্যদিকে করাচিতে চলতি মাসে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত এক সপ্তাহে করাচীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রসঙ্গত, গত বছর তীব্র দাবদাহের শিকার হয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বেলুচিস্তানের দালবন্দিনে এবং নক্কুন্দিতে জুলাই মাসে রেকর্ড তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছিল যা অতিক্রম করেছিল ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপ-চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি।

মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-এর মে মাস ছিল সেখানকার উষ্ণতম মাস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল ওই বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কা
চলতি মাসে শ্রীলঙ্কার গড় তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলম্বোতে এ সপ্তাহে তাপমাত্রা সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক শহর অনুরাধাপুরার বিমানবন্দর অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সাবারাগামুওয়া প্রদেশের রাজধানী শহর রত্নপুরায় সবচেয়ে বেশি উষ্ণতা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চল প্রদেশে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর ক্যান্ডিতে গত এক সপ্তাহে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে তা হল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ত্রিঙ্কোমালি শহরেও সর্বাধিক তাপমাত্রা চ্ছিল ৩৫ ডিগ্রি। এটা ত্রিঙ্কোমালি জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর এবং শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের প্রধান বন্দর শহর।

আবহাওয়া দফতরের তরফে ২০২৩-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত শ্রীলঙ্কার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

গত বছর ওই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি থেকে ৩২ ডিগ্রির এর মধ্যে ছিল পুরো বছর।

মালদ্বীপ
চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি।

মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে- সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-এর মে মাস ছিল সেখানকার উষ্ণতম মাস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল- ওই বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নেপাল
চলতি মাসে নেপালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। রাজধানী কাঠমান্ডুর গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে কাঠমান্ডুর বাগমতি অঞ্চলের তাপমাত্রা রয়েছে ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

অন্যদিকে নেপালের লুম্বিনী অঞ্চলে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধ আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে গত এক সপ্তাহে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, বিরাটনগর বিমানবন্দর এলাকায় গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

নেপালের জ্বালানি, জলসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের জলবায়ু রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালের সারা বছরের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০.৬ শতাংশ বেড়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে বছর তরাইয়ের নাওয়ালপারাসির দামকাউলি রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা (৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে যা গত ৪৪ বছরে দেখা যায়নি।

 সূত্র : বিবিসি


আরও খবর



১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধার’ সম্মুখীন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় টানা ছয় মাস ধরে আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডটিতে তীব্র মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বাড়ছে খাদ্য সংকট। এর ফলে গাজার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে গাজায় নজিরবিহীন মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ১০ লাখের বেশি মানুষ বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গত ৭ অক্টোবরে পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা থামছেই না। এতে এখন পর্যন্ত এক লাখ সাত হাজারের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন।

এদিকে গাজায় গণহত্যার বিষয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ইসরায়েলের কাছে সব ধরনের অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছে। কারণ ইসরায়েলের হামলায় এরই মধ্যে গাজায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে সংস্থাটি। ৪৭ সদস্যের সংস্থাটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ২৮টি। বিপক্ষে ৬টি ও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ১৩ দেশ।

গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত ভেঙে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই গাজায় আকাশপথে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। পরে স্থল অভিযানও শুরু করে দেশটি।

ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

দখলদার ইসরায়েলি হামলায় গত ছয় মাসে এক লাখের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। হামলায় অন্তত ৩৩ হাজার ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৭৫০ জন।


আরও খবর



ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে হামলার হুমকি ইরানের

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি সপ্তাহে দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলায় জেনারেলদের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। গত সোমবার সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হবার পর ইরান ও ইসরালের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

সে হামলার পেছনে ইসরায়েল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলায় ইরানের একজন সিনিয়র জেনারেল নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস ঘোষণা দিয়েছে- সেনাবাহিনীতে যেসব সৈন্য কমব্যাট ইউনিটে রয়েছে তাদের সব ছুটি স্থগিত করা হয়েছে। ইসরায়েল আশঙ্কা করছে ইরানের দিক থেকে হামলা অত্যাসন্ন। শুক্রবার এই হামলা হতে পারে বলে তারা ধারণা করছে।

টাইমস অব ইসরায়েল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলিদের আহ্বান জানানো হয়েছে তারা যাতে তাদের মোবাইল ফোনের অ্যাপে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জিপিএস সেট করে। এর মাধ্যমে তারা যে কোনো রকেট আক্রমণের সতর্কবার্তা আগে থেকে পাবে।

ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তেও জিপিএস সিস্টেম বিঘ্নিত হচ্ছে। গত ছয়মাস যাবত এই সীমান্তে লেবাননের সশস্ত্র গ্রুপ হেজবুল্লার সাথে ইসরায়েলের প্রতিনিয়ত গোলাগুলি হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স দেশটির জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যাতে ভীত হয়ে বাজার থেকে বেশি জিনিসপত্র ক্রয় না করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স প্লাটফর্মে আইডিএফ মুখপাত্র হাগারি লিখেছেন, জেনারেটর ও খাদ্য মজুত করার কোনো প্রয়োজন নেই। তাছাড়া এটিএম বুথ থেকে বেশি অর্থ তোলার প্রয়োজন নেই।

হামলার দায় নিশ্চিত করেনি ইসরায়েল। আবার অস্বীকারও করেনি। তবে এর পেছনে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীই ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলার জবাবে গাজায় রীতিমতো হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল।লেবানন সীমান্তে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গেও হচ্ছে গুলিবিনিময়। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে ইরান-সমর্থিত হুথি ও মিলিশিয়া দলগুলো। তবে এখন পর্যন্ত সম্মুখ সমরে অংশ নেওয়া এড়িয়ে গেছে ইরান।


আরও খবর



নওগাঁয় জাল সনদে চাকরির অভিযোগ উঠা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এর বাংলা বিষয় এর শিক্ষক মোছাঃ ময়না খাতুন এর বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই সনদ দিয়ে নিয়োগ নেওয়ার পর এক যুগ ধরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। 

গত সোমবার "নওগাঁয় জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে বারো বছর চাকরির অভিযোগ" শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এর আগে ঐ শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদের কোন তথ্য নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসের রেজিস্ট্রারে না থাকায় অনুসন্ধানী এই সংবাদটি প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। সেই সংবাদটি রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নজরে এলে তিনি ওই শিক্ষিকার সনদ গুলো যাচাইয়ের জন্য আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সহ সকল কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার একটি চিঠি করেন।

চিঠি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সরকার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি আমার নজরে আসার পর আমি অভিযুক্ত শিক্ষককেসহ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে সকল প্রকার সনদ সহ অন্যান্য কাগজপত্র অফিসে জমা দিতে বলেছি। এরপর কাগজ পত্র যাচাইয়ের জন্য এনটি আর সিএ দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। সেখান থেকে সনদ যাচাই প্রতিবাদ পাওয়ার পর পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর