Logo
শিরোনাম

এনডিএম কক্সবাজার জেলা কমিটি সভাপতি এডভোকেট সাইফুদ্দিন; সম্পাদক স.ম.ইকবাল বাহার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ববি হাজ্জাজের অঙ্গিকার, দেশ হবে জনতার এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জননেতা ববি হাজ্জাজের হাতকে শক্তিশালী করতে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে,ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে, দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে সিংহের মতো গর্জে উঠতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সিংহ প্রতীক নিয়ে ৪৩ নাম্বার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এর কক্সবাজার জেলা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে সভাপতি হিসাবে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, সাধারন সম্পাদক পদে সাংবাদিক স.ম.ইকবাল বাহার চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে আবু তৈয়বকে রেখে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কক্সবাজার জেলা কমিটি করা হয়েছে।

 ১৭ অক্টোবর এনডিএম এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোমিনুল আমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জেলা কমিটিতে সভাপতি হিসাবে এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, মোঃ সেলিম উদ্দীনকে সিঃ সহ-সভাপতি, মিজান উর রশিদ (মিজান) কে সহ-সভাপতি, মোঃ জাফর আলম ও মোহাম্মদ বনি আমিনকে সহ-সভাপতি, স.ম.ইকবাল বাহার চৌধুরী কে সাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদ ইসমাইল শাহকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আবু তৈয়বকে সাংগঠনিক সম্পাদক, শাকুর মাহমুদকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,  মোঃ শহিদুল্লাহকে প্রচার সম্পাদক, মোঃ আলী আজমকে সহ-প্রচার সম্পাদক, ভবিষ্যৎ বড়ুয়া (মিলটন) কে দপ্তর সম্পাদক, মুসলিম উদ্দীনকে সহ-দপ্তর সম্পাদক, গিয়াস উদ্দিনকে সাহিত্য সম্পাদক, জিয়াউল হককে সমাজ সেবা সম্পাদক, জিয়াউল করিমক সহ-সমাজসেবা সম্পাদক, রোজিনা আকতারকে মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা, মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে ক্রীড়া ও সাহিত্য সম্পাদক, মোঃ জামাল উদ্দিন কে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, মোহাম্মদ হাসানকে সদস্য করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি অনুমোদন করেন।

উল্লেখ যে, বিশিষ্ট আইনজীবী  এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন -২০১৮ সালে কক্সবাজার ৪, উখিয়া টেকনাফ থেকে  হারিকেন প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ একাউন্টিং থেকে অনার্স, মাস্টার্স, বিএড, এলএলবি, এলএলএম ডিগ্রিধারী ও একজন মেধাবী ব্যক্তিত্ব। 

এছাড়াও তিনি লেখালেখি, সাংবাদিক পেশায় সহ একাধিক পত্রিকায় আইন উপদেষ্টা হিসেবে সাংবাদিকদের আইনী পরামর্শ, সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। 

এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ উখিয়া উপজেলার রত্না পালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ভালুকিয়া মাতবর পাড়া নিবাসী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ নুরুল ইসলাম মাস্টারের বড় ছেলে ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। আশা করা যাচ্ছে তার নেতৃত্বে এনডিএম কক্সবাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও তিনি এনডিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন।


আরও খবর



রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১১ বছর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক, আহত হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক। মোমবাতি জ্বালিয়ে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করলেন তাদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় নিহতদের স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়।

পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের পাশাপাশি রানা প্লাজার ট্রাজেডির সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায় শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকদের পরিবার।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর এই দিনে নিহতদের স্বরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। প্রতি বছরই বিভিন্ন দাবি তুলে ধরি।

দাবিগুলো হচ্ছে, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হতাহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির কোনোটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে।

রানাপ্লাজা ধ্বসে নিহত শ্রমিক আখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়ের লাশটাও পাইনি। ঘটনার ছয় মাস পর ডিএনএ সেম্পলের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাদের গাফিলতিতে মেয়েকে হারালাম তাদের আজও বিচার হলো না। আমরা বিচার চাই।

ভবন ধসে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় তখন চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অবহেলার কারণে মৃত্যু উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ, ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় মামলা করে রাজউক। পাশাপাশি ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুটি মামলা করে দুদক। চারটি মামলার মধ্যে সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা নিষ্পত্তি হলেও দীর্ঘ এগারো বছরে বাকি তিনটি মামলা নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না।

এর মধ্যে হত্যা মামলা ও ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য শুরু হলেও, অন্য মামলায় রয়েছে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ। আসামিপক্ষ বলছে, মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচারহীনভাবে কারাগারে আটক রয়েছেন ভবন মালিক সোহেল রানা। অন্যদিকে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।


আরও খবর



তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা হিট অ্যালার্টের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা পাবনায় হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে একই সাথে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন সারা দেশেই একই অবস্থা দিনের বেলায় বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যথাসম্ভব ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রোক ছাড়াও নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে অবস্থায় বয়স্ক মানুষ, শিশু, গর্ভবতী মহিলা, খেলোয়াড় এবং যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রমের পেশার সঙ্গে জড়িত তারাই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার তাপ সতর্কতার মধ্যে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিএমডির সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই সময়ের মধ্যে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে এমতাবস্থায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে 

তাপপ্রবাহের এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা প্রয়োজন ছাড়া রোদে ঘর থেকে বের না হতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন। যশোরের বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটেখাওয়া মানুষ। যশোরের রাস্তার পিচ গলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে গতকাল। অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। শহরের রিকশাচালকরা বলছেন, রোদের দাপটে লোকজন বাইরে কম বের হচ্ছে। আয় রোজগার কমে গেছে। এতে সংসার খরচের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা আয় হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা শহরের হকার-ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমে লোকজন বাইরে বের হচ্ছে কম, তাই বেচা-বিক্রি বেশি একটা হচ্ছে না। এখানে গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৩৫ রোগী। যার মধ্যে ১৫ জনই শিশু রোগী।

এদিকে লাগাতার তাপদাহের কারণে রোদের মধ্যে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এই গরমে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথার রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তাদেরকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া যাবে না। বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। এদিকে পানির স্তরও নেমে গেছে, টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। যশোরের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত ১৩ দিন ধরে তাদের বাড়ির টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। কৃষিজমির স্যালোমেশিনের পানি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন তারা। কোথাও কোথাও স্যালোমেশিনেও কম পানি উঠছে। ছয় লিটার তেল ব্যয় করেও সাড়ে তিন বিঘা ধানের আবাদি জমি ভেজানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চাষিরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠার কারণে মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। যেসব গ্রামে গভীর নলকূপ (ভ্যাটিক্যালযুক্ত টিউবওয়েল) রয়েছে সেখানে পানি নেয়ার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।  

চুয়াডাঙ্গার অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ। অবস্থায় হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে জাকির হোসেন নামের এক কৃষকের। জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। তিনি পেশায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন। জাকির হোসেনের বাবা আমির হোসেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আমির হোসেন বলেন, ‘তীব্র গরমে মাঠের ধান মরার মতো অবস্থা। ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সকাল ৮টার দিকে মাঠে যায় জাকির। মাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পাই ছেলে স্ট্রোক করেছে। মাঠের অন্য কৃষকরা ছেলেকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথেই সে মারা যায়। তার মৃত্যুর সাত ঘণ্টা পরই মারা যান একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিমুদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৬০) কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বৈশাখের তাপমাত্রার পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এবার তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে জেলায়। শুক্রবারের তাপমাত্রা ছিল ৪১., বৃহস্পতিবার ৪০., বুধবার ৪০. মঙ্গলবার ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন বলেন, টানা তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার তাপমাত্রা আরও বেড়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পাবে। তা ছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে এমনিতেই জেলার গড় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। আপাতত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, টানা তাপপ্রবাহের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে অঞ্চলের জনপদ। সাধারণ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়ক-মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যান চলাচল অনেক কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার জনমানবশূন্য হয়ে পড়ছে সড়কগুলো। বৈরী আবহাওয়ায় কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। জমিতে পানি সেচের বাড়তি খরচ মেটাতে গিয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা। অন্যদিকে, তীব্র গরম থেকে নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে ঠাণ্ডা পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে

চলমান তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাবনা জেলাও। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জেলার ঈশ্বরদীতে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিন গতকাল জেলা শহরে হিট স্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। গতকাল ঈশ্বরদীতে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েক দিন ধরে পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রেকর্ড করা হয়েছে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বছর এত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে হিট স্ট্রোক করে মারা যান সুকুমার দাস নামে একব্যক্তি। তিনি শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিতে পারিনি


আরও খবর



আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্ধেকের বেশি আমানত কোটিপতিদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত টাকা জমা আছে, তার অর্ধেকের বেশি কোটিপতিদের অর্থ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় মোট আমানতের পরিমাণ ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৫ শতাংশের বেশি বা ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা কোটিপতিদের আমানত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব আমানতকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় এক কোটি থেকে শুরু করে দেড়শ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১০০ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন এ রকম আমানত হিসাব রয়েছে ছয়টি। এই ছয় হিসাবেই রয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি, বেসরকারি ও বিশেষায়িত মিলিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন তিনটি, বেসরকারি মালিকানাধীন ৩২টি ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাঁচটি। এই ৪০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গত ডিসেম্বর শেষে গ্রাহক বা আমানতকারীর হিসাব ছিল চার লাখ ৩১ হাজার ২২১টি। এসব হিসাবের মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত জমা আছে, এমন হিসাবের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৮৭। আর পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক কোটি টাকার কম আমানত রেখেছেন এমন আমানতকারীর হিসাব রয়েছে চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪টি।

পরিসংখ্যান বলছে, গত ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত আমানত ছিল, তার প্রায় ৫৫ শতাংশই রয়েছে মাত্র সোয়া এক শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে। আর পৌনে ৯৯ শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে ছিল মোট আমানতের সাড়ে ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪ জন আমানতকারী মিলে জমা রেখেছেন ১৯ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। তার বিপরীতে মাত্র পাঁচ হাজার ২৮৭ জন আমানতকারী জমা রেখেছেন ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, দেশে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। একশ্রেণির মানুষ রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে উঠছেন। তার বিপরীতে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তসহ বিপুল জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়ে টান পড়ছে। দেশে বৈষম্য এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটিকে চরম উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাই বৈষম্য কমাতে ধনীদের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব করে আসছেন তারা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় যে আমানত রয়েছে, তার মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির আমানত যেমন আছে, তেমনি রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও। ফলে কোটি টাকার বেশি আমানত যেসব হিসাবে রয়েছে, তার সবই ব্যক্তিশ্রেণির আমানত নয়, প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও রয়েছে এর মধ্যে।

সরকারি পরিসংখ্যানেও উঠে এসেছে দেশের প্রকট বৈষম্যের তথ্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশের সবচেয়ে বেশি ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতেই এখন দেশের মোট আয়ের ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয় দেশের মোট আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ তথ্য বিবিএসের খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এ উঠে এসেছে।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈষম্যের নির্দেশক জিনি সহগ সূচক বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৯৯ পয়েন্টে। কোনো দেশে এ সূচক দশমিক ৫০০ পয়েন্ট পেরোলেই সেই দেশকে উচ্চ বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ উচ্চ বৈষম্যের দেশের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।


আরও খবর



ইসরায়েলে লেবাননের রকেট হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। লেবানন থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে।এক বিবৃতিতে হামাসের লেবানন শাখা জানিয়েছে, কিরিয়াত শমোনা এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স। বলা হয়েছে, লেবানন থেকে ২০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, হামাসের ছোড়া অধিকাংশ রকেট আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। কিছু রকেট খোলা জায়গায় পড়েছে। তাছাড়া পাল্টা হামলা চালানো হচ্ছে বলেও জানায় ইসরায়েলি বাহিনী।

এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রায় প্রতিটি ভবন, স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে সাড়ে তিন কোটি টনের বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এক দুই বছরে এসব ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন এজেন্সি বলছে, এসব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিতে এক দশকের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।

গাজায় এখনো যুদ্ধবিরতি নিয়ে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। হামাস বা ইসরায়েলি বাহিনী এ বিষয়ে একমত হতে না পারায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধ শেষ হলে এসব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি নাগরিকের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করাটাই হয়ে উঠবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এরই মধ্যে সেখানে ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আল-জাজিরা


আরও খবর



৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম কালবৈশাখীর রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সারা দেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ জানান দিচ্ছে শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই। পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত চুলা। টানা ২৭ দিনের তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এর সঙ্গে ভাঙল কালবৈশাখীর রেকর্ড। এই দাবদাহে ৪৩ বছরের মধ্যে চলতি মাসে সবচেয়ে কম কালবৈশাখী হয়েছে।

গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল সাতটি। ২০২২ ও ২০২১ সালে হয় যথাক্রমে ৯টি ও আটটি। আর এ বছর মাত্র একটি।

এই এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল। গণমাধ্যমকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি। এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। এবার ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে গেল।

এই তাপপ্রবাহের মাসে বজ্রঝড় বা কালবৈশাখীর সংখ্যা গেছে কমে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি ১৯৮১ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের উপাত্ত তুলে ধরেছেন তার গবেষণায়। এই ৪৩ বছরে এপ্রিল মাসে ৩৬৫টি বড় বজ্রঝড় হয়। সবচেয়ে বেশি ঝড় হয়েছিল ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে, ১৪টি। আর ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে সবচেয়ে কম চারটি করে ঝড় হয় এপ্রিলে।

গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল সাতটি। ২০২২ ও ২০২১ সালে হয় যথাক্রমে নয়টি ও আটটি। আর এ বছর মাত্র একটি।

দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এর পর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র একটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটিও অস্বাভাবিক।

এপ্রিল মাসে ঝড় কমে যাওয়ায় অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহকেই কারণ মনে করেন বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক একেএম সাইফুল ইসলাম। তিনি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) সঙ্গে যুক্ত।

তিনি বলেন, তাপমাত্রা বৈশ্বিকভাবে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এ বছরের এপ্রিল ভারতে ১২২ বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে বেশি উষ্ণ। আমাদের যে বায়ুপ্রবাহ তার সঙ্গে সীমান্তসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উডিষ্যার সম্পর্ক আছে। এ সময় এসব অঞ্চলে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প বজ্র মেঘের সৃষ্টি করে। কিন্তু এবার ভারতের ওই সব অঞ্চলেও প্রচণ্ড গরম পড়েছে। আর্দ্রতাপূর্ণ জলীয় বাষ্প জড়ো হয়ে বজ্র মেঘ সৃষ্টি করেনি। তাতেই এ বিড়ম্বনা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এ অবস্থা দেখছি আমরা।


আরও খবর