Logo
শিরোনাম

ফিজিওথেরাপি বনাম ব্যথার ঔষধ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ব্যথার ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। দীর্ঘমেয়াদে এই ওষুধ খেলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান ব্যাথানাশক ওষুধ, বিশেষ করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে এমন ওষুধ গ্রহণের বিরোধী।

এখন চিকিৎসার উদ্দেশ্য কেবল রোগ ভালো করা নয়, একটি রোগ ভালো করতে গিয়ে যাতে শরীরের অন্য ক্ষতি না হয়ে যায় সে দিকেও খেয়াল রাখেন চিকিৎসকরা। যেমন শারীরিক ব্যথা; ব্যথাবিরোধী ওষুধগুলো আমাদের শরীরে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে থাকে, যা অনেক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

ব্যথায় ওষুধ খাবেন নাকি ফিজিওথেরাপি নেবেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন এক ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ।

শারীরিক ব্যথার ধরন: যেসব শারীরিক ব্যথা আমাদের বেশি ভোগায় তার মধ্যে ঘাড়, কোমর, হাঁটু, কাঁধ, হাতের কুনুই, পায়ের গোড়ালি এবং পিঠ ব্যথা অন্যতম। চল্লিশোর্ধ্ব নারী-পুরুষ সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকেন। যারা দীর্ঘ সময় অফিসে বসে কাজ করেন অথবা প্রতিদিন অফিসে যাতায়াতের জন্য যানবাহনে বসে থাকেন তাদের মধ্যে ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।

এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের ঘাড়, কোমর, হাঁটু ও কাঁধ ব্যথা বেশি হয়। তাছাড়াও যারা ভারি কাজ অথবা সংসারের কাজ যেমন কাপড়কাঁচা ঘরমোছা ইত্যাদি অত্যধিক পরিমাণে করে থাকেন তাদেরও ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।

ব্যথার ওষুধ কীভাবে কাজ করে: ব্যথার ওষুধ গ্রহণের ফলে এর উপাদান পাকস্থলি থেকে রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায় এবং কোষ থেকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটায় যা বিভিন্ন মেকানিজম (যেমন- পেইন গেট থিউরি)-এর মাধ্যমে ব্যথার স্থানের প্রদাহ কমাতে চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যথার ওষুধ পাকস্থলি ও কিডনির মাধ্যমে শরীরে ছড়ায় বলে তা পাকস্থলিতে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে অথবা আগে থেকেই পাকস্থলিতে ক্ষত বা আলসার থাকলে তা বাড়িয়ে দিতে পারে।

একইভাবে দীর্ঘদিন কিডনি দিয়ে ব্যথার ওষুধ নিঃসরণ হলে কিডনির স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া ব্যথার ওষুধ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন- ঘাড় ব্যথার জন্য কেউ ব্যথানাশক সেবন করল, তা কি শুধু ঘাড়েই ছড়াবে? না, এই ওষুধের উপাদানগুলো রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে পৌঁছে যাবে এবং শরীরের সুস্থ অংশে অনাকাক্সিক্ষত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। বিষয়টি মশা মারতে কামান দাগার মতোই অনভিপ্রেত। তাই দীর্ঘদিন ব্যথানাশক সেবন করলে তা শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবেই।

ফিজিওথেরাপি কীভাবে কাজ করে: ফিজিওথেরাপি স্থানীয় বা লোকাল চিকিৎসা। অর্থাৎ শরীরের যে অংশ ব্যথায় আক্রান্ত সাধারণত সেই অংশেই ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ করা হয়। শুধু ব্যথা নিরাময় ফিজিওথেরাপির উদ্দেশ্য নয়, ব্যথার কারণ নির্ণয় করে তা নির্মূল করাই এর লক্ষ্য। ধরুন, পিএলআইডি বা কোমরের কশেরুকার চাকতি সরে গিয়ে তা স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে কোমর ও পায়ে ব্যথা সৃষ্টি করল।

এ ক্ষেত্রে ব্যথার ওষুধের কাজ কি? ব্যথানাশক কেবল সাময়িকভাবে ব্যথা কমাতে পারবে কিন্তু স্নায়ুর ওপর যে চাপ সৃষ্টি হল তা সরানোর ক্ষমতা ব্যথার ওষুধের নেই। পক্ষান্তরে ইলেক্ট্রোথেরাপির মাধ্যমে সাময়িক ব্যথা নিয়ন্ত্রণ এবং ম্যানিপুলেটিভ থেরাপির মাধ্যমে স্নায়ুর চাপ সরানো সম্ভব। অর্থাৎ ফিজিওথেরাপি ব্যথা ও ব্যথার কারণ দুটোর উপরেই কাজ করে।

তাই এটি দ্রুত ও কার্যকরি এবং যেহেতু এটি কিডনি ও পাকস্থলির ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না, তাই এটি গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।

অন্যান্য রোগে ফিজিওথেরাপি: ব্যথা ছাড়াও স্ট্রোক পারালাইসিস, বেলস পালসি ইত্যাদিতেও ফিজিওথেরাপি বেশ কার্যকর। মুখ বেঁকে যাওয়া বা বেলস পালসিতে রোগীরা প্রদাহ ও ভাইরাসবিরোধী ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ফিজিওথেরাপি নেয়া শুরু করলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আর স্ট্রোক প্যারালাইসিস রোগীরা একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা নিলে স্ট্রোক নিরাময় হয়ে আবার কর্মক্ষমতা ও সচলতা ফিরে পেতে পারেন।

কোথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পাবেন: সঠিক ফিজিওথেরাপির প্রথম ধাপ হল সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়। ঠিক কি কারণে আপনার শরীরে ব্যথা হচ্ছে তা নির্ণয় করতে না পারলে কখনই ফিজিওথেরাপি ফলপ্রসূ হবে না। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়; হার্টের রোগ বা প্রেসার থেকে অনেক সময় ঘাড় কাঁধ বা বুক ব্যথা হতে পারে কিন্তু কারণ না জেনেই যদি এসব ক্ষেত্রেও ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ করা হয় তা কি কাজ করবে?

তাই প্রথমেই ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞকে রোগ নির্ণয় করার সুযোগ দিতে হবে। আবার অনেকেই ফিজিওথেরাপির নামে না জেনে বিভিন্ন ধরনের ম্যাসাজ বা মালিশ বা টানাটানি করে থাকেন। এটিও হিতে বিপরীত ফল আনতে পারে। তাই একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ফিজিওথেরাপি নিলেই তা সবচেয়ে ভালো ফল দেবে। যত্রতত্র গজিয়ে উঠা সেন্টারে ফিজিওথেরাপি না নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

ফিজিওথেরাপি একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। এ চিকিৎসা নিয়ে অবহেলার সুযোগ নেই। একজন রোগীর সুস্থ হওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ফিজিওথেরাপি নেয়া উচিত। অনেই মনে করেন সাময়িক আরাম পাওয়ার জন্যই ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়।

ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। সাময়িক ব্যথা মুক্তির জন্য আপনি ব্যথানাশক খেতে পারেন, কিন্তু ফিজিওর মূল্য উদ্দেশ্য হল রোগীকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যথা ও ব্যথার কারণ মুক্ত করা এবং প্যারালাইসিসসহ অন্যান্য অচল রোগীর সচলতা ফিরিয়ে দেয়া।


আরও খবর



বিশ্বের কুখ্যাত মানবপাচারকারী বারজান মাজিদ গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক ডিজিটাল ডেস্ক:



ইউরোপের কুখ্যাত একজন মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম বারজান মাজিদ।


 ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির করা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তাকে গত রোববার সকালে ইরাকের কুর্দিস্তান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির জ্যেষ্ঠ একজন সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন ।


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে মাজিদ ও তার দলের সদস্যরা ইংলিশ চ্যানেল জুড়ে নৌকা এবং লরি ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে মানুষ পাচার বাণিজ্য চালিয়ে আসছিল।


সম্প্রতি কুর্দিস্তানের সুলায়মানিয়া শহরে মাজিদের সন্ধান পায় বিবিসি, যেখান থেকে তিনি কয়েক হাজার অভিবাসীকে ইংলিশ চ্যানেল পার করিয়েছেন বলে জানান।


মাজিদ ‘স্করপিয়ন’ নামেও বেশ পরিচিত। “এক হাজারও হতে পারে, আবার ১০ হাজারও হতে পারে। সংখ্যাটা ঠিক জানি না, আমি কখনও গণনা করে দেখিনি,” বলেছিলেন মাজিদ।


কুর্দিস্তানের স্থানীয় সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, মানব-পাচারকারী চক্রের ওপর সম্প্রতি বিবিসি যে অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে, সেটির সূত্র ধরেই তারা মাজেদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন।


“আজ (রোববার) সকাল সাতটার দিকে তিনি (মাজেদ) নিজের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন। তখন আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। এক্ষেত্রে আমাদেরকে তেমন বড় কোনো ঝক্কি পোহাতে হয়নি,” বলেন ওই কর্মকর্তা।


তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। এরপর আমরা ইউরোপীয় পুলিশ এবং আইনজীবীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করবো, যারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।”


যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিও (এনসিএ) মাজেদের ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, “প্রতিবেদনের মাধ্যমে তার (মাজিদের) মানব পাচারের বিষয়টি প্রকাশ করার জন্য আমরা বিবিসি’র কাছে কৃতজ্ঞ।


এতে আরও বলা হয়েছে, “যুক্তরাজ্যে যারা মানুষদের পাচার করছেন, তারা যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, আইনের আওতায় এনে ওইসব চক্রকে নির্মূল করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং এক ব্যাপারে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”


২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের মধ্যে যত মানুষ পাচার হয়েছে, সেটির বেশিরভাগই ‘স্কর্পিয়নস’ এর চক্র নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।


দুই বছর ধরে অভিযান চালিয়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যরা চক্রটির অন্তত ২৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা পরবর্তীতে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।


কিন্তু চক্রটির মূল হোতামাজেদ, যাকে ‘স্করপিয়ন’ ডাকা হয়, তিনি নিজেই এতদিন গ্রেপ্তার এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। যদিও গ্রেপ্তারের আগেই বেলজিয়ামের একটি আদালতে তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ১২১টি মানব-পাচারের ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।


২০২২ সালের অক্টোবরে মাজেদকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। একই সঙ্গে, নয় লাখ ৬৮ হাজার ইউরো জরিমানাও করা হয়। কিন্তু বিবিসি খুঁজে বের করার আগ পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না।


গত এপ্রিলে লোহিত সাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মৃত্যু হয়। তখন একটি ফোনালাপকালে মাজেদ ডুবে যাওয়া ব্যক্তিদের প্রতি সামান্য সহানুভূতি দেখান বলে মনে হয়েছে।


“সৃষ্টিকর্তা (এটি নির্ধারণ করে রেখেছেন যে) কখন আপনার মৃত্যু হবে। তবে কখনও কখনও নিজেদের দোষেই আপনার মারা পড়েন,” ওই ফোনালাপে বলেন মাজিদ।


তিনি আরও বলেন, “সৃষ্টিকর্তা কখনও আপনাকে বলেননি যে, তুমি “নৌকায় যাও।”


খোঁজ পাওয়ার পর মাজিদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে বিবিসি। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর অবশেষে তিনি সুলায়মানিয়ার একটি শপিংমলে দেখা করতে রাজি হন।


তিনি যে একটি অপরাধমূলক সংগঠনের একজন শীর্ষ ব্যক্তি, সেটি তখন তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, অন্য চক্রের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন সময় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।


“গ্রেপ্তার হওয়া বেশ কয়েকজন লোক বলেছে যে, আমরা তার জন্য কাজ করছি। তারা কম সাজা পেতে চায়,” বলেন মাজেদ। এরপর তিনি রব লরি নামের সাবেক এক সৈনিককে সেখানে ডাকেন। লরি অবশ্য বিবিসি’র অনুসন্ধানী দলের হয়েই কাজ করছিলেন।


“কেউ তাদের জোর করেনি। তারাই এটি চেয়েছিল,” বলেছিলেন মাজিদ। তিনি আরও বলেন, “তারা নিজেরাই মানব-পাচারকারীদেরকে অনুরোধ বলেছিল যে, দয়া করে আমাদের জন্য এটি করুন।”


“কখনও কখনও চোরাকারবারিরা বলে, শুধু সৃষ্টিকর্তার কথা ভেবে আমি তাদের সাহায্য করবো।...না, এটি (জোর করে নেওয়ার অভিযোগ) সত্য নয়,” বলেন মাজিদ।


বেলজিয়াম সরকারের কৌসুলীর কার্যালয় থেকে মাজিদের গ্রেপ্তারের খবরকে স্বাগত জানানো হয়েছে।


বেলজিয়াম সরকারের কৌঁসুলীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা অ্যান লুকোভিয়াক বলেন,অবশেষে আমাদের এই মামলায় ন্যায়বিচার দেখার সুযোগ হয়েছে।


আরও খবর



মার্কিন ভিসানীতির পরোয়া করে না আ.লীগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনি নাই, তাদের এজেন্ডা আছে; তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কি করে তারাই ভালো জানে। আমরা মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেই না। মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ি-কাপড় আসবে, এ ছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই।

বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।

বিএনপির নেতারা এখন বলছে গরম কমলে আন্দোলন করবে। এভাবে তো ১৫ বছর পার হয়ে গেল, আর কত সময় নেবে বিএনপি। প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।

মেট্রোরেলের ভ্যাটের বিষয়ে কাদের বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ বাস্তব সম্মত না, যৌক্তিক না। দুনিয়ায় কোথাও এত ভ্যাট নাই। তবে ৫ শতাংশ ভ্যাটের নজির আছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে। এই কথাগুলো নেত্রীকে (শেখ হাসিনাকে) বলেছি। তিনি যৌক্তিক ভ্যাট আরোপের বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।


আরও খবর



ইসরায়েলকে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক :


দখলদার ইসরায়েলকে ১০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করতে চায় হোয়াইট হাউস। 


নতুন এই অস্ত্র সহায়তার মধ্যে ট্যাংকের গোলাবারুদ, মর্টার এবং কৌশলগত সাঁজোয়া যানসহ অন্যান্য আরও সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে। খবর বিবিসি।


ফিলিস্তিনের গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শেষ হয়ে আসা ইসরায়েলি অস্ত্রভাণ্ডার পূর্ণ করতে এসব অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। 



গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েল যদি গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের আগ্রাসন চালায় তাহলে তিনি অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেবেন। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন এই সিদ্ধান্ত এলো।


এরপর গত শুক্রবার গাজা আক্রমণে ইসরায়েল ‘কিছু ক্ষেত্রে’ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছে বাইডেন প্রশাসন। 


প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অস্ত্র দিতে চাচ্ছে তার মধ্যে ট্যাংক খাতে ৭০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে। ৫০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে কৌশলগত যানবাহনে এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে মর্টার শেলে।


এদিকে অস্ত্রের নতুন এই প্যাকেজের বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মূলত এই সহায়তা প্যাকেজ ইসরায়েলে পাঠানোর আগে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে কংগ্রেসের একজন সহকারী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করা হবে এবং এর দাম ১০০ কোটি ডলারের বেশি।


 সম্প্রতি প্রতিরক্ষা সহায়তা হিসেবে কংগ্রেসে যে ৯৫ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব পাস হয়, তা থেকেই এই অস্ত্র সরবরাহ করা হবে।


আরও খবর



স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে হজযাত্রীদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

হজযাত্রীদের টিকা গ্রহণের সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে। সরকার নির্বাচিত মেডিকেল সেন্টারগুলো থেকে টিকা নেওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট সাথে আনতে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউরিন আরএমই, আরবিএস, এক্সরে চেস্ট পিএ ভিউ, ইসিজি, সেরাম ক্রিয়াটিনিন, সিবিসি উইথ ইএসআর, ব্লাড গ্রুপিং এন্ড আরএইচ টাইপিং।

মোট ৮০টি স্বাস্থ্য সেবা ও টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন হজযাত্রীরা। সব জেলার সিভিল সার্জন অফিস ছাড়াও কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়ীয়া, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহম্মদ আলী হাসপাতাল ও দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল।

এ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য ১৬১৩৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।


আরও খবর



মুসলিম লিগের সভাপতির পদ ছাড়লেন শাহবাজ শরিফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বিডি টুডেস ডিজিটাল ডেস্ক:

পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতির পদ ছেড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গতকাল সোমবার তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। খবর জিও নিউজের।

পদ ছেড়ে দিয়ে শাহবাজ শরিফ বলেছেন, দলীয় প্রধান হিসেবে বড় ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঠিক অবস্থান বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে।

পিএমএল-এন সভাপতির পদ ছাড়ার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, দলের সভাপতি হিসেবে নওয়াজ শরিফকে তার যথাযথ জায়গায় ফেরার সময় এসেছে।

দলের একটি সূত্র জানায়, শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারি ব্যস্ততার কারণে দলীয় কাজে সময় দিতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দলটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হবে।

২০১৮ সালে কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় নওয়াজকে কারাদণ্ড দেন পাকিস্তানের আদালত। আদালতের রায়ে দলীয় প্রধানের পদও হারান তিনি। কারণ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) মিয়া সাকিব নিসারের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ দেশটির সংবিধানের ৬২ ও ৬৩ অনুচ্ছেদের অনুযায়ী রায় দেন, অযোগ্য ব্যক্তি একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে কাজ করতে পারবেন না। 

চার বছর স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকার পর গত অক্টোবরে দেশে ফেরেন নওয়াজ শরিফ। হাইকোর্টে সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর তিনি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন। 

চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের পর পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করে নওয়াজের দল। 



আরও খবর