Logo
শিরোনাম

'গদর ২', 'কাশ্মির ফাইলস' বলিউডের জন্য ক্ষতিকর : নাসিরুদ্দিন শাহ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বিনোদন ডেস্ক : যেকোনো বিষয়ে স্পষ্ট মতামত দেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। সময়ে সময়ে নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এবার তিনি মুখ খুলেছেন ‘গদর ২’, ‘দ্য কাশ্মির ফাইলস’, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র মতো ব্লকবাস্টার হিটের খ্যাতি পাওয়া সিনেমা নিয়ে। সিনেমাগুলোতে তিনি বলিউডের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন।

নাসিরুদ্দিনের দাবি, এসব ছবির বক্স অফিসে সাফল্য পাওয়া উদ্বেগজনক। ‘ম্যান উওম্যান ম্যান উওম্যান’র কারণে বর্তমানে খবরে রয়েছেন তিনি। যা দিয়ে প্রায় ১৭ বছর পর পরিচালনায় ফিরছেন। এ সিনেমায় দেখা যাবে নাসিরুদ্দিনের স্ত্রী রত্না পাঠককেও।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাসিরকে বলিউডের সিনেমা নির্মাণের ধারার যে পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তার জবাব, জনপ্রিয়তা এখন জিঙ্গোইজম দ্বারা চালিত। যা ক্ষতিকারক। নাসিরুদ্দিন বলেন, এখন আপনি যত বেশি জিঙ্গোইস্ট হবেন, তত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন। কারণ এ ভাবনাই এখন চলছে। দেশকে ভালোবাসা স্পষ্ট নয়, তা ঢাকঢোল পিটিয়ে বলতে হবে। লোকে বুঝতে পারে না যে, তারা যা করছে তা খুব ক্ষতিকারক। এই যেমন, ‘কেরালা স্টোরি’ এবং ‘গদর ২’-এর মতো ছবি, এ ধরনের ছবি এখন মানুষ দেখছে। আমি সেগুলো দেখিনি তবে আমি জানি সেগুলো কী।

তিনি বলেন, এটা বিরক্তিকর যে ‘কাশ্মির ফাইলস’র মতো চলচ্চিত্রগুলো এত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় যেখানে সুধীর মিশ্র, অনুভব সিনহা এবং হনসল মেহতা, যারা তাদের সময়ের সত্য ঘটনা চিত্রিত করার চেষ্টা করছেন, তাদের তৈরি করা চলচ্চিত্রগুলো লোক দেখে না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ যে এই চলচ্চিত্র নির্মাতারা সাহস না হারিয়ে গল্প বলা চালিয়ে যাবেন। ১০০ বছর পর লোক যখন ‘ভিড়’ দেখবে আর ‘গদর ২’ দেখবে, তখন বুঝতে পারবে কোন সিনেমাটি বর্তমান সময়ের সত্যি কথা আসলেই বলেছিল। কারণ সিনেমাই একমাত্র মাধ্যম, যা এটা করতে পারে। বর্তমানে যা ঘটছে তাকে রিগ্রেসিভ বললেও কম বলা হবে। কোনো কারণ ছাড়াই কোনো সম্প্রদায়কে ছোট করা একটা বিপজ্জনক প্রবণতা।

ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রবাদ-প্রতিম ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন শাহ। শেষবার তাকে দেখা গেছে ‘তাজ : রেইন অব রিভেঞ্জ’ সিরিজে।


আরও খবর



১৫ বছরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা চাঁদা নেন এনায়েত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকা ও এর উপকণ্ঠের সড়কে প্রতিদিন চলাচল করে প্রায় ১৫ হাজার বাস। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসব বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জোর করে সমিতির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। এরপর টানা ১৫ বছর দেশের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক ছিল তার দখলে। পরিচিত ছিলেন সড়কের একচ্ছত্র সম্রাট হিসেবে। তার অনুমতি ছাড়া সড়কে নতুন কোনো বাস নামতে পারত না


পরিবহন খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন বাস নামানোর অনুমোদনের নামে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। শুধু সড়কে চাঁদাবাজি করেই তিনি হাজার কোটি টাকার বেশি কামিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই টাকায় নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট কেনার পাশাপাশি ব্যাংকে জমান বড় অঙ্কের টাকা। বিদেশেও তার রয়েছে বিপুল সম্পদ। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়া লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কমিশনের উপপরিচালক নূরুল হুদা অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলেন, ঢাকা শহর ও শহরতলিতে চলাচলকারী প্রতিটি বাস থেকে সমিতির নামে প্রতিদিন ২০, টার্মিনাল সমিতির ৩০ এবং কমিউনিটি পুলিশের জন্য ১০ টাকাসহ মোট ৬০ টাকা আদায় করা যাবে। এর বেশি নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে খন্দকার এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের লোকজন নির্দিষ্ট এই পরিমাণের চেয়ে বাসপ্রতি দিনে কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করত। তার আমলে প্রভাব খাটিয়ে কত টাকা করে আদায় করা হয়েছে এবং সেসব টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তা এখন সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করলে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে শুধুমাত্র

সমিতির কয়েকজন নেতা বলেছেন, ঢাকার চারটি বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় আট হাজার বাস চলাচল করে। এর মধ্যে গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল থেকে ১ হাজার ৮০০, সায়েদাবাদ থেকে ১ হাজার ৫০০, মহাখালী থেকে এক হাজার এবং গাবতলী থেকে তিন-চার হাজার বাস চলাচল করে। এ ছাড়া ঢাকার আরও কয়েকটি জায়গা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে আরও কয়েকশ বাস চলাচল করে। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী, এসব বাস থেকে দিনে ৬০ টাকা করে ১৫ বছরে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হওয়ার কথা। কিন্তু এর থেকে অনেক বেশি টাকা আদায় করেছে এনায়েত উল্লাহ সিন্ডিকেট

দুদকে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়, রাজধানী ও এর উপকণ্ঠের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৫ হাজার বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা করে চাঁদা আদায় করত এনায়েত উল্লাহর সিন্ডিকেট। সে হিসেবে দিনে গড়ে ১ কোটি টাকা করে চাঁদা আদায় করা হলেও ১৫ বছরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে

সমিতির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসে। এর পরপরই এনায়েত উল্লাহ পরিবহন খাত দখল নেন। ওই সময়ে তিনি বিএনপির একজন সাবেক মন্ত্রীসহ কয়েকজন পরিবহন নেতার গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। প্রশাসনকে ব্যবহার করে অনেকের গাড়ি রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ করেন। কেউ নির্দেশ অমান্য করে বাস সড়কে নামালে তার পেটুয়া বাহিনী লাঠি হাতে সেই বাসের সামনে দাঁড়িয়ে যেত। ঢাকার চারটি টার্মিনাল থেকে অনেক পরিবহন নেতার বাস বের হতো। একসময় তারা সেসব বাস বিক্রি করে দিতে অথবা রঙ ও নাম পরিবর্তন করে অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে দিতে বাধ্য হন।

এ প্রসঙ্গে পরিবহন শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, এনায়েত উল্লাহ সড়কে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নামে নানা সময়ে সরকার থেকে বড় অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। কিন্তু শ্রমিকদের কল্যাণে কখনো কাজ করেননি। তার জন্য পরিবহন শ্রমিকরা নিয়োগপত্র পাননি। তার কাছে পুরো পরিবহন সেক্টর জিম্মি

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি জমা পড়ে কমিশনে। ওই অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর উপকণ্ঠের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৫ হাজার বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে এনায়েত উল্লাহর সিন্ডিকেট। তিনি নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট কেনার পাশাপাশি ব্যাংকে বড় অঙ্কের টাকা জমিয়েছেন। এ ছাড়া, দেশের বাইরে পাচার করেছেন শত শত কোটি টাকা। কমিশন অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নোয়াখালীতে 'মার্চ ফর জাস্টিস' অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ সিনান তালুকদার নোবিপ্রবি প্রতিনিধি;

আজ (১৫ ই আগস্ট) নোবিপ্রবিসহ নোয়াখালীর সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে  'মার্চ ফর জাস্টিস' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল ৯ টায় মাইজদী বাজার থেকে মিছিল শুরু হয়ে পৌর বাজার এলাকায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। হত্যার বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা ও বিগত ১৬ বছরে গুম, খুন ও দুর্নীতির বিচারের দাবিতে "বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন "নোয়াখালীর আহ্বানে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে সুবিচার নিশ্চিত সহ নানান স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।


পৌর বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নোয়াখালী জেলায় আওয়ামীলীগ কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যে বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম বলেন " দীর্ঘ ১৬ বছরের অপশাসনের পর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন‌ হয়েছে। চলমান আন্দোলনে আওয়ামী লীগে ও এর অঙ্গ সংগঠন গুলো যে পরিমাণ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তারপর তাদের আর কোনো অধিকার নেই রাজনীতি করার। ফলেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা নোয়াখালী জেলায় আওয়ামীলীগ কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে।"


বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার আশা ব্যক্ত করে নোবিপ্রবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান আরিফ  বলেন -" ৭১ সালে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ৩০ লক্ষ্য শহিদের বিনিময়ে ও আমরা একটা আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করতে পারিনি। কিন্তু ২৪ সালের গন আন্দোলন আমাদের আশা‌ দেখাচ্ছে। সকলে শ্রেণী- পেশার মানুষের জন্য সম অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমার সোনার বাংলাদেশ গড়বো।


আন্দোলন চলাকালীন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি করে নোয়াখালী সরকারি কলেজের অন্যতম সমন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম  বলেন " কোনো খুনি যেন ছাড় না পায়। প্রত্যেক অপরাধিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সুষ্ঠ বিচার সম্পন্ন করতে হবে।" আহতদের জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান এ শিক্ষার্থী।


অবস্থান চলাকালে বিভিন্ন স্লোগান ও গানে গানে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



বন্যাদুর্গত এলাকায় ৩৬ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বন্যাদুর্গত ১১টি জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ৩৬ লাখ ৪৬ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ২২ হাজার ৫৪৫টি এবং ইউনিসেফের সহায়তায় ৩ হাজার ৭৬৬টি জেরিকেন বিতরণ করা হয়েছে।



স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ হাজার ৫৪২ কিলোমিটার রাস্তা এবং ১ হাজার ৬৬টি ব্রিজ ও কালভার্ট। এ পর্যন্ত এলজিইডি ৩৪ কিলোমিটার রাস্তা এবং ৬৯টি ব্রিজ ও কালভার্ট মেরামত করেছে।



স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ৭৬ হাজার ৫৭৫ জনকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩৮ জন মানুষ এবং ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৭৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে ৮টি (ফেনী ৫টি, মৌলভীবাজার ১টি, নোয়াখালী ১টি, ও কুমিল্লা ১টি) মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট্রের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৩ লিটার নিরাপদ খাবার বিতরণ করেছে।  



এদিকে বন্যাদুর্গত এলাকায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ সকল দপ্তর, সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ত্বরিত মেরামতের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কুমিল্লায় ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ভূমি কর্মকর্তার মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

কুমিল্লা প্রতিনিধি এ.কে পলাশ :


কুমিল্লা মনোহরগঞ্জে ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে লালমাই কাপাসতলা এলাকায় ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ‍্যানে মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।


শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত  রাতে লালমাই উপজেলার কাপাসতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহত আনিসুর রহমান কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নামতলা গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার টেরিয়াইলের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা।


ঘটনা সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে আনিসুর গ্রামের পক্ষ থেকে এবং চুয়েটের একটি স্বেচ্ছাসেবী দলের সঙ্গে ট্রাক্টরে করে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিতে মনোহরগঞ্জে আসেন। সেখানে বড়কেশতলা ও লাল চাঁদপুর গ্রামে অন্তত দুই হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেন। রাতে  মনোহরগঞ্জ থেকে ফেরার পথে লালমাই উপজেলার কাপাসতলা এলাকায় পৌছলে আনিসুরের বহন করা ট্রাক্টরের সঙ্গে একটি কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ট্রাক্টরটি উল্টে গেলে গুরুতর আহত হন ট্রাক্টরের থাকা পাঁচ আরোহী। এর মধ্যে আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।


নিহত আনিসুর পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, আনিসুর সীতাকুণ্ড উপজেলার টেরিয়াইলে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য তার নিজ এলাকায় বারবার খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় তিনি এসে এলাকার স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে সমন্বয় করে মনোহরগঞ্জে যান। কিন্তু ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।



ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক শেখ মো: ফজলে রাব্বি জানান , তার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।



আরও খবর



দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ফারুকের

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
বুধবার, ২১ আগস্ট ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১


মোস্তফা কামাল: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নব-নির্বাচিত সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, দেশের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই প্রথম এবং প্রধান কাজ হবে। 
আজ বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হবার পর সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, ‘লক্ষ্য অনেক বড়। দেশের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের এক সাথে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। যেহেতু অনেক দিন ধরে এ কাজটি চলছে, তাই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের সেসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমরা একটি দেশ ও ক্রিকেট প্রিয় জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে চাই। কাজটি সহজ হবে যদি আমরা নিজেদেরকে একটি দল হিসেবে চিন্তা করি এবং আমরা যদি নির্দিষ্ট কাউকে বেশি অগ্রাধিকার না দিয়ে দলকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। আমরা যেন অন্য দিকে সরে না যাই।’
আজ জরুরি সভায় নাজমুল হাসান পাপন তার পদ থেকে সরে যাবার পর প্রথম সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক। 
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বোর্ডের আট পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। জালাল ইউনুস এবং আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির পরিবর্তে এনএসসির মনোনীত বিসিবির পরিচালক হন ফারুক আহমেদ এবং নাজমুল আবেদিন ফাহিম। 
সভাপতির পদ থেকে পাপন পদত্যাগ করায় বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ফারুককে সভাপতি নির্বাচিত করতে ভোট প্রদান করেন সভায় উপস্থিত পরিচালকরা। 
১৯৯৪ সালে আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফারুক। বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসাবে দু’বার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৩-২০০৭ সালে প্রথম মেয়াদে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের দলে সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় কান্ডারি হয়ে উঠেন তারা।
এরপর ২০১৩-২০১৬ সালে আবারও প্রধান নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ফারুক। কিন্তু তৎকালীন বিসিবি সভাপতি পাপন দুই স্তরের নির্বাচন প্যানেল তৈরি করলে পদত্যাগ করেন ফারুক। কারন নির্বাচক প্রক্রিয়ায় অযাচিত ক্ষমতা প্রয়োগ করেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। 
বোর্ডে অতীত তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে সকলকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে বদ্ধপরিকর ফারুক। পাশাপাশি তাদের কাজের জবাবদিহিতার সুযোগও থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 
ফারুক বলেন, ‘আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি কারো কাজে হস্তক্ষেপ করবো না। তবে প্রত্যেকের কাজই কঠোর তদারকিতে থাকবে। আমরা সবাইকে বড় সাফল্যের জন্য সময় দিবো। কিন্তু যদি সাফল্য না আসে তাহলে এজন্য আপনাকে দায়ী হতে হবে। সভাপতি হিসেবে আমি কিছু উপদেশ দিতে পারি তবে এমন নয় যে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে তা গুরুত্ব দিতে হবে।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুক ক্রিকেট দল। শুধুমাত্র ছোট-ছোট বিষয় নিয়ে আটকে থাকলে চলবে না। আমাদের আরও বড় লক্ষ্যের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। আমি রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করতে পারি না। এখানে কতক্ষণ থাকবো সেটিও জানি না। তবে ক্রিকেটই হবে সবকিছুর উর্ধ্বে।’
এমন একটি ব্যবস্থা ফারুক গড়ে তুলতে চান যাতে কোন দুর্নীতি করার সুযোগ না থাকে। 
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ প্রক্রিয়ার বিপক্ষে প্রতিবাদ করে আমি বিসিবি থেকে পদত্যাগ করেছি। দুর্নীতির পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। আমাদের একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, এমন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে যার মাধ্যমে কোন দুর্নীতি করার সুযোগ থাকবে না।’
আইসিসি র‌্যাংকিং অনুযায়ী বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কোথায় দেখতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক বলেন, ‘আগেই বলেছি, আমি ক্রিকেটকে সেরা জায়গায় দাঁড় করাতে চাই। হঠাৎ পাওয়া সাফল্যে আমি খুশি হয়ে যাবো, এমনটা নয়। আমরা যদি পাঁচটি প্রতিদ্বন্দিত্বাপূর্ণ ম্যাচ খেলার পর ষষ্ঠ এবং সপ্তম ম্যাচ জিততে পারি এটিকেই সাফল্য মনে করবো।’ 


আরও খবর