Logo
শিরোনাম

হামাস নির্মূলের ধারেকাছে নেই ইসরায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দুই মাস আগে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। পরে কাতারের মধ্যস্থতায় বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এরপর পৃথিবীর বুক থেকে হামাসকে নির্মূলের করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

তবে যুদ্ধের ৬০ দিন পেরিয়ে গেলেও হামাস নির্মূলের ইসরায়েলি সেনারা ধারে কাছেও যেতে পারেনি বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডসের ৩০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত যুদ্ধে ৫ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

পরিচয় গোপন রাখা ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট আরো জানিয়েছে, হামাস এখনো গাজার উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে। হামাসকে সরিয়ে দিতে গাজার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এখন ছোট্ট এ উপত্যকার দক্ষিণ দিকে আগ্রাসন চালাচ্ছে তারা।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গাজার বেশিরভাগ অঞ্চলকে বিমান হামলা চালিয়ে ধসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের স্থল সেনারা এখনো হামাসের শক্তিশালী কয়েকটি ঘাঁটিতে প্রবেশ করতে পারেনি।

হামাসকে নির্মূল করতে না পারলেও গাজার সাধারণ মানুষের ওপর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত গাজায় ১৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার শিশু। যারা নিহত হয়েছেন তাদের ৭০ শতাংশই হলেন নারী ও শিশু।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ যাত্রায় যুক্তরাজ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট।

রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ যাত্রায় অন্তর্বর্তী সরকার কী ধরনের সহায়তা চায়, সেই অনুযায়ী পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করার চেষ্টা করবে যুক্তরাজ্য।

রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করবেন আর সেটা উন্মোচিত হওয়ার আশা রাখছি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পৃথক কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি। তবে আমরা সরকারকে সমর্থন করতে চাই। কারণ, এখন একটা ক্রান্তিকাল চলছে।

এটা বাংলাদেশে আমার দ্বিতীয় সফর জানিয়ে ক্যাথরিন বলেন, গত ১১ বছর পর ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী হিসেবে এখানে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় এবং জাতীয় পুনর্মিলনকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এ বিষয়ে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সংকল্পকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এ দেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত দৃঢ় বন্ধুত্ব রয়েছে, তাই আমরা শক্তিশালী সম্পর্ক গড়তে চাই। আমরা অর্থনীতি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা, অভিবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তা নিয়ে কথা বলেছি।


আরও খবর



সফলতার বিচারে বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসাবে শেখ বসিরের নিয়োগ সর্বশ্রেষ্ঠ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গোলাম মাওলা রনি, 

ডঃ ইউনুস সরকার এযাবৎ কালে যতো নিয়োগ দিয়েছেন সবগুলোর মধ্যে যদি যোগ্যটা, অভিজ্ঞতা এবং  ! 

জনাব বসিরকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে । কেন হচ্ছে - কারা করছেন এসব নিয়ে আমি কিছু বলবো না । তবে বসির সম্পর্কে যা জানি তা যদি না বলি তবে নিজের প্রতি জুলুম করা হবে । তাঁর ভাইদের সবাই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং তাদের নিজেদের মধ্যে চমৎকার একটি পারিবারিক সমঝোতা এবং মিল মহব্বত রয়েছে যা বাংলাদেশে বিরল । 

মরহুম আকিজ উদ্দিনের এক ছেলে সংসদ সদস্য ছিলেন । আরেক ছেলে নাসিরের শ্বশুর এবং শ্যালকও এমপি ছিলেন । যশোর জেলায় এই পরিবারের যে জনপ্রিয়তা, এবং গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে সেক্ষেত্রে দেশের সব বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য  সব সময়ই আগ্রহী ছিল এবং এখনো আছে ! 

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়  - সাধারণত দুর্বল প্রার্থীরা দলের নমিনেশনের জন্য ফন্দি ফিকির, দলবাজি এবং দালালী করে । কিন্তু দল সব সময়ই  ভালো প্রার্থী খুঁজতে থাকে । সেই দিক থেকে শেখ বসির সব দলের জন্য কাঙ্ক্ষিত এমপি প্রার্থী ! তাঁর পক্ষে বিজয়ী হয়ে পূর্ণ মন্ত্রী হওয়া তেমন কোন সমস্যা ছিলো না ! কিন্তু তিনি সব সময়ই প্রত্যক্ষ রাজনীতি বিমুখ ছিলেন এবং নিজের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ! 

সুতরাং শেখ বসির কেন উপদেষ্টা হতে গেলেন তা আমার মাথায় ধুকছে না ! আমি যতোটুকু জানি তা হলো - বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের জন্য ডঃ ইউনুস একজন সৎ, দায়িত্বশীল এবং সফল ব্যবসায়ী খুঁজছিলেন ! অনেককে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন - সবাই দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ! অন্য দিকে দেশের কুখ্যাত কয়েকজন লুটেরা ঐ পদে নিয়োগ লাভের জন্য নানাভাবে তদবির করেছেন । কিন্তু ডঃ ইউনুস ওসবের নিকট মাথা নত করেননি ! 

শেখ বসিরকে পাট মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে । কেউ কেউ এটাকে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট বলার চেষ্টা করেছেন । কারন শেখ বসির এবং তাঁর পরিবার দেশের সবচেয়ে বড় এবং সফল পাটকল গুলোর মালিক । যারা সমালোচনা করছেন - তারা হয়তো দেশের পাট শিল্প, পাট মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি এবং পাটের বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ নন ।আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের সবচেয়ে দেউলিয়া এবং সমস্যা ভারাক্রান্ত মন্ত্রনালয়ের নাম পাট মন্ত্রণালয় এবং এই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীদেরকে সবাই করুণার দৃষ্টিতে দেখে এবং সুযোগ পেলে ঠাট্টা মশকরা করে ! 

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, দেশের কোন বাক্তিগত পাটকলের সঙ্গে এই মন্ত্রনালয়ের তেমন কোন সম্পর্ক নেই । বরং বাক্তিগত খাতে যারা সফল পাটকলের মালিক হয়েছেন তারা মন্ত্রনালয়ের বদদোয়া নিয়েই বেড়ে উঠেছেন । কারন - মন্ত্রনালয়ের সব কল বন্ধ , সীমাহীন দায়দেনা এবং চলতি ব্যয় মেটানোর জন্য তাদেরকে অর্থ মন্ত্রনালয়ের গালি খেতে হয় এবং খোটা শুনতে হয় - শেখ বসিররা যদি পারেন তবে তোমরা পারোনা কেন ! 

উল্লেখিত অবস্থায়, শেখ বসির যদি পাট মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন করতে না পারেন তবে বর্তমানে দ্বিতীয় কোন বাক্তি নেই যিনি এই মন্ত্রনালয়ের যন্ত্রণা দুর করতে পারেন । অন্যদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি যে ভালো কিছু করতে পারবেন তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই !


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




তেলের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট পালিয়ে গেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

তেলের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট পালিয়ে গেছে, তাই আপনারা প্রভাবটা সেভাবে টের পাচ্ছেন না। আর আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধংস করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করা হয়েছে টিসিবিকে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।

আজ মঙ্গলবার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘প্রাইজ গিভিং সিরিমনি অব ইআরএফ-প্রাণ ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘গত সরকার প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। পাচারের জন্য নিয়ামক হিসেবে তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) একটি। টিসিবির সারাদেশের অফিস ১৬টি, যেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারী মাত্র ১৪২ জন। এ ১৪২ জনের জন্য বরাদ্দ সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে সরকার ভর্তুকি দেয় চার হাজার কোটি টাকা।’

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যে ক্ষতিটা আমাদের হয়েছে তা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এটা আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শ্বেতপত্রের তথ্য উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতোমধ্যে শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এটি দেড় বছরের জাতীয় আয়কে একত্রিত করলে তার সমান হয়।’

শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘গুটিকয়েক মানুষ অর্থ চুরি করে নিয়ে গেছেন। এটা অবশ্যই নাগরিক হিসেবে আমাদের জন্য অসম্ভব চিন্তার বিষয়। এ ধরনের সাগর চুরি করতে গিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।’

ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাম মীরধার সভাপতিত্বে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, কার্যনির্বাহী সদস্যরা, অ্যাওয়ার্ডের বিচারক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের আমন্ত্রিত সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে পাঁচজন, অনলাইনে দুইজন এবং টেলিভিশন ক্যাটাগরি থেকে তিনজন পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার জিয়াদুল ইসলাম ও সময়ের আলো'র বিজনেস এডিটর আলমগীর হোসেন। এ ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের দুই বিশেষ প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন হারুন ও এফএইচএম হুমায়ূন কবির। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কালের কন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন জাগোনিউজ২৪.কম এর চিফ রিপোর্টার ইব্রাহিম হোসেন অভি এবং দ্বিতীয় হয়েছেন যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজানুর রহমান চৌধুরী। এছাড়া টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদ হোসেন পাপন এবং দ্বিতীয় হয়েছেন যৌথভাবে একুশে টিভির সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান এবং ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার হরিপদ সাহা।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সুফী একটি আত্মা বিষয়ক অধ্যায় । আত্মা সম্পর্কিত আলোচনা এর মুখ্য বিষয়। সুফিবাদের একমাত্র মূল বিষয়টি হল, আপন নফসের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া। জীবাত্মাকে পরমাত্মার অধীন করা। আল্লাহ পাক যে শয়তানটিকে
আমাদের পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়েছে তার সাথে জিহাদ করে তার থেকে মুক্ত হয়ে এ জড় জগত থেকে মুক্তি পাওয়া। আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনই হলো এই দর্শনের মর্মকথা। পরম সত্তা মহান আল্লাহ কে জানার


এবং আকাঙ্খা মানুষের চিরন্তন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আধ্যাতিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যামে জানার প্রচেষ্টাকে সূফী দর্শন বা সূফীবাদ বলা হয়

হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) এর মতে, আল্লাহর ব্যাতীত অপর মন্দ সবকিছু থেকে আত্মাকে প্রবিত্র করে সর্বদা আল্লাহর আরাধনায় নিমজ্জিত থাকা এবং সম্পূর্ন রূপে আল্লাহুতে নিমগ্ন হওয়ার নামই সূফী বাদ বলে

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহঃ


সুফীবাদ এক প্রকার রহস্যময় হৃদয়ভিত্তিক ও আত্মোপলব্ধিমূলক মতবাদ। একে রুহানী প্রশিক্ষণও বলা হয়। ব্যক্তির আত্মার পরিশুদ্ধি ও পরম সত্তার সন্ধানই এর লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য সুফীগণ কতগুলো মূলনীতি ও স্তর তৈরি করেছেন। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো

মূলনীতি সমুহঃ-


১. তাওবা : অন্যায় ও পাপের ওপর আন্তরিক অনুশোচনা, অন্যায়ের স্বীকৃতি ও বিষ্যতে এ কাজ না করার দীপ্ত শপথ। তাওবা হচ্ছে সুফী মতবাদের প্রথম মূলনীতি


২. তাওয়াক্কুল : সর্বাবস্থায় দয়াময় আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করাই তাওয়াক্কুল


৩. পরিবর্জন: এ প্রসঙ্গে নিজামুদ্দীন আওলীয়া বলেন : স্বল্প আহার, স্বল্প কথন, স্বল্প মেলামেশা, স্বল্প নিদ্রার

 মধ্যেই নিহিত আছে মানুষের পূর্ণতা।


৪. সবর : যে কোন অবস্থায় অস্থির না হয়ে আল্লাহর সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে মেনে নেয়াই সবরের একমাত্র দাবী


৫. আত্মসমর্পণ : গুরুও কাছে নিজ আত্মাকে সোপর্দ করে দিতে হবে


৬. ইখলাস : নিছক আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সব কাজ করতে হবে


৭. আল্লাহর প্রেম : অন্তরে পার্থিব জগতের কোনকিছুর প্রেম ও মোহ থাকতে পারে না। সর্বক্ষণ আল্লাহকে পাওয়ার চিন্তায় মগ্ন থাকতে হবে


৮. আল্লাহর যিকর : আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন ও অন্তরকে পরিশুদ্ধি করার জন্য সর্বদা আল্লাহর যিকর


৯: শুকুর : আল্লাহর অফুরন্ত নেয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান ও আনুগত্যকরণ শুকর বলা হয়

স্তরসমুহঃ 
১. ফানাফিস শায়েখ : এই স্তরে সাধক তার মোরশেদের সাথে বিলীন হয়ে যায় আর সে ওই ভাবেই চলে যেভাবে তার মোরশেদ চালায়। আর এই অবস্থায় স্থায়ী হলে মোরশেদ তাকে রাসুল (দ:) এর কাছে পৌছে দেন

২. ফানাফির রাসূল : এই স্তরে সাধক গন রাসুল (দ:) এর সাথে বিলীন হয়ে যায় আর সে ওই ভাবেই চলে যেভাবে রাসুল (দ:) চালায়। আর এই অবস্থায় স্থায়ী হলে রাসুল (দ:) তাকে এর মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে পৌছে দেন

৩. ফানাফিল্লাহ ও বাকাবিল্লাহ :


ফানা ফিল্লাহ এবং বাকাবিল্লাহ হচ্ছে সুফী সাধনার সর্বোচ্চ স্তর। এ স্তরে পৌঁছলে সুফী নিজের ব্যক্তিগত চেতনাকে মুছে দিয়ে ঐশী চেতনায় উন্নীত হন। ব্যক্তিগত চৈতন্য খোদার ধ্যান ও প্রেমে সমাহিত হয়। তাই আত্মচেতনার অবলুপ্তিকেই বলা হয় ফানা


ফানার শেষ পর্যায়ে শুরু হয় বাকার প্রাথমিক পর্যায়। এ স্তরে সুফী সাধক আল্লাহর চিরন্তন সত্তার অবস্থান করেন

প্রাপ্তি কাশফ : সুফীগণ যখন আধ্যাত্মিক সাধনার চরম পর্যায়ে উপনীত হন তখন তার অন্তদৃষ্টি খুলে যায় এবং তার সামনে গোপনীয় সকল রহস্যদ্বার খুলে যায়। এক পর্যায়ে তিনি আল্লাহর অসীমতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন

 


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, শীতের সবজির

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মৌসুমি বাহারি সব সবজিতে পরিপূর্ণ বাজার। তবে হাতের নাগালে নেই দাম। বাড়তি দরে পণ্য কিনতে কিনতে ত্রাহি দশা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৬০ থেকে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না।

রাজধানীর নয়াবাজার, রামপুরা বাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি বাজারে থরে থরে টাটকা নানা রকমের শীতকালীন সবজি সাজিয়ে রাখা আছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, সিম, বেগুনসহ নানা সবজি দেখা যায় খুচরা ও পাইকারি বাজারে। তবে তুলনামূলক তেমন কোনো ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় শিম, মুলা, বেগুনসহ বেশ কয়েকটি সবজির দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। শীত বেশি এলে আরও কমবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিক্রেতারা।

গত সপ্তাহের ১০০ টাকার শিম ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, ৬০ টাকার মুলা ৫০, শালগম ২০ টাকা কমে ১০০ থেকে ৮০ টাকা, আমদানি করা টমেটো ১০ টাকা কমে ১৫০, দেশি টমেটো ২০ টাকা কমে ২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০, কম ঝাঁজালো কাঁচামরিচ ১২০, গোল বেগুন ১০ টাকা কমে ১০০, লম্বা বেগুন ৮০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো পেঁপে ৫০, গাজর ১৫০, করলা ৮০ থেকে ১০০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০, মিষ্টি কুমড়া ও পটল ৬০ ও ৮০ টাকা, কচুরমুখী ২০ টাকা বেড়ে ১০০, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙা, ধুন্দল ও শশা প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেবুর হালি ১৫ থেকে ২৪ টাকা, পুঁইশাক ৩৫, পালং, লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রুকন বলেন, শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। ফলে শিম, বেগুন, কপি ও মুলার দাম কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে কচুরমুখীর দাম বেড়েছে। তবে আশা করা যায়, ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে সবজির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবে।

নিউমার্কেটে বাজার করতে আসা শাহরিয়ার বলেন, এক মাস ধরে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। ভেবেছিলাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে সব সবজি চলে আসবে; কিন্তু দু-একটি ছাড়া বেশিরভাগ নাগালের বাইরে।

দেশের ইলিশের বাজার এখন অস্থির। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সুস্বাদু এ রুপালি মাছ। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়। এ ছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩০০০ টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৯০০ টাকা হারে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারে অন্য মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

এদিকে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য মাংস ও ডিমের দাম। কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৭৫-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। রাজধানীর কারওয়ানবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী হাকিম বলেন, বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে দাম কমেছে। তবে ইতোমধ্যে বিয়ের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে; দাম কতদিন কম থাকবে বলা যাচ্ছে না। চাহিদা বাড়লে দামও বেড়ে যেতে পারে।

এদিকে শুল্ক ছাড়ের এক মাস পর কমতে শুরু করেছে চিনি ও ডিমের দাম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৯ কোটি ডিম আমদানির খবরে ৫ টাকা কমে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। প্রতি কেজি চিনি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ডিম আমদানির পর থেকে আড়ত মালিকরা কমদামে ডিম বিক্রি করতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে চিনির আমদানিতে শুল্ক কমানোয় মিলে চিনির দাম কমেছে। ফলে বাজারেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহজুড়ে ১৩০ টাকা কেজিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হলেও ৫ টাকা কমেছে এ পণ্যের দাম। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২৫ এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা। তবে নতুন আলু বাজারে এলেও দাম কমেনি এ পণ্যটির। আগের মতো পুরান আলু ৭৫-৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন পাইজাম ও আটাশ চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে না আসায় বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪