Logo
শিরোনাম

ইসলামে সুফি দর্শন ও এর প্রাসঙ্গিকতা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

সারাবিশ্বে অনুসারীদের দিক থেকে ইসলাম অন্যতম বড় ধর্ম। বিশ্বের সকল প্রান্তে এই ধর্মের অনুসারীগণ রয়েছেন। জাতি-গোষ্ঠী-নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্যের প্রায় সকল মানবগোষ্ঠীর মধ্যে এই ধর্মের অনুসারীদের দেখতে পাওয়া যায়। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরবের মক্কায় হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা:) জন্মগ্রহণ করেন। এই ধর্মের বিশ্বাসীদের মতে, আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে ঐশী প্রেরণায় তিনি মহান স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করেন এবং সর্বশেষ নবী ও রাসুল রূপে ইহজগত ত্যাগ করেন। ৫৭০ থেকে ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই পৃথিবীতে তিনি বেঁচেছিলেন। মাত্র ৬৩ বছরের জীবন ছিল তাঁর। ৪০ বছর বয়সে তিনি আধ্যাত্মিকতার সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত হয়ে ঐশী প্রেরণায় নবুয়ত লাভ করেন এবং সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে তাঁর ধর্মের প্রচার শুরু করেন। ধর্মশিক্ষার শুরু থেকে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে ধর্ম প্রচার করেন তিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রচারকাজ চালাতে হয় তাঁকে। আর এক পর্যায়ে অনুসারীদের নিয়ে বাধ্য হন মদিনায় হিজরত করতে। ঐতিহাসিকদের মতে, ১০ সহস্রাধিক অনুসারী নিয়ে ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা বিজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি ধর্মীয় প্রচারণার সর্বোচ্চ সাফল্য লাভ করেন।

মাত্র ২৩ বছর ছিল তাঁর ঐশী প্রেরণায় নবুয়তি জীবন। এর মধ্যে অনুসারীদের জন্য তিনি একটি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, ধর্মীয় জীবন তৈরি করেন। পৃথিবীর প্রায় সকল ঐতিহাসিক এবং গবেষকগণ এই বিষয়ে একমত যে, পুরো মানবজাতির ইতিহাসে এত অল্প সময়ের জীবনে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র এক কথায় সকল পর্যায়ে অনুসারীদের প্রভাবিত করার দ্বিতীয় নজির পাওয়া যায় না।

মরুময় আরব অঞ্চলকে তিনি সভ্যতার আলোয় আলোকিত করেন। তাঁর অনুপ্রেরণায় যাযাবর আরব গোষ্ঠী একটি সভ্য জাতিতে পরিণত হয়। মানবসভ্যতার বিকাশে এত বড় অঞ্চল ও এত অনুসারী আর কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় না। মাত্র ৬৩ বছরের জীবনে মানবসভ্যতার জন্য তিনি এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

তাঁর প্রদর্শিত পথ ধরেই পরবর্তীতে তাঁর ৪ জন অনুসারী– যাঁরা ইসলামে ৪ খলিফা হিসেবে পরিচিত– হজরত আবু বকর সিদ্দিক, হজরত উমর বিন খাত্তাব, হজরত উসমান ও হজরত আলী ইবনে তালিব প্রায় ৩০ বছর ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করেন। নানারকম মতবিরোধ থাকলেও অধিকাংশ মুসলমানের কাছে তাঁর এই ৪ খলিফা অশেষ শ্রদ্ধা ও সন্মানের পাত্র এবং তাঁদের দেওয়া ধর্মীয় পথনির্দেশও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়।

হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা:) জীবিত থাকার সময় তাঁর নির্দেশে অনুসারীদের অনেকে ধর্ম প্রচারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন। তাঁর মৃত্যুর অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই সারাবিশ্বের একটি বড় অংশ মুসলমানদের শাসনক্ষমতা বা রাজত্বের মধ্যে চলে আসে। পুরো আরব অঞ্চল, আফ্রিকা ও স্পেনের একটি বিশাল অংশ মুসলমানরা শাসন করেন। ভারতবর্ষেও মুসলমানগণ দীর্ঘদিন শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করেন। এক কথায়, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মাত্র ৬৩ বছরের জীবন ও ২৩ বছরের ঐশীবাণীর প্রেরণায় যে শিক্ষা মুসলমানরা পেয়েছেন, তাঁর প্রভাব সারাবিশ্বে আজও সমভাবে বিরাজমান।

এর কারণ, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মৃত্যুর পর তাঁর শিক্ষাদীক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে এক বিশাল সাম্রাজ্যের অধিকারী হয়েছিল মুসলমানেরা। এক পর্যায়ে এই সাম্রাজ্যের শাসকবর্গের মাঝে ভোগ-বিলাসিতাসহ নানাবিধও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা সংযুক্ত হয়। তাঁর মূল নৈতিক ধর্মীয় শিক্ষা– সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবন থেকে বিচ্যুতি ঘটে শাসকগোষ্ঠীর। ফলে এর প্রতিবাদ হিসেবে ইসলামে সুফি মতাদর্শের উদ্ভব হয় বলে অনেকে মনে করেন।

আবার ইসলামি তাত্ত্বিকদের একাংশের মতে, রাসুলের (সা:) জীবদ্দশাতেই তাঁর প্রতিষ্ঠিত মদিনার মসজিদে একদল সংসারবিবাগী সাহাবী ছিলেন যাঁরা ইসলামে সুফি মতাদর্শের উদগাতা। এই সাহাবীগণ মদিনার মসজিদে হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা:) কর্তৃক জ্ঞানলাভ করতেন ও ধর্মীয় উপদেশ গ্রহণ করতেন। তাঁরা সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতেন। তাদেরকে ‘আহলে আস-সুফফা’ বলে সম্বোধন করা হত।

হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) শিক্ষায় বৈরাগ্য বা সংসারবিমুখতার কোনো স্থান নেই। এ নিয়ে তাঁর অসংখ্য হাদিসও– যেগুলো আসলে তাঁর বক্তব্য ও উপদেশ– পাওয়া যায়। আর তাই ইসলামের সুফি দর্শনে আধ্যাত্মিকতা মূল হিসেবে কাজ করে। বৈরাগ্য সেখানে গৌণ বিষয়। নবী নিজে কখনও আদর্শ হিসেবে বৈরাগ্য গ্রহণ করেননি বা ঘোষণাও দেননি। সাংসারিক জীবনের মাঝে স্রষ্টার ইবাদত অর্থাৎ আদেশ-নির্দেশ পালনে তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন।

ইসলামী তাত্ত্বিকদের একটি বড় অংশের মতে, ইসলামে সুফি দর্শন এ ধর্মের মরমী শাখা। বলা হয়ে থাকে, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) দর্শন অনুযায়ী জ্ঞান দুপ্রকারের– জাহেরি ও বাতেনি। জাহেরি জ্ঞান সাধারণ মানুষের চর্চার বিষয়। বাতেনি জ্ঞান গুপ্ত বিষয়। স্রষ্টার নৈকট্য লাভের জন্য বিশেষভাবে ত্যাগ স্বীকার করা মানুষই বাতেনি বা গুপ্ত জ্ঞানের চর্চা করে থাকেন। বাতেনি জ্ঞানের চর্চার আরেক নাম মারেফতি শিক্ষা। সুফিরা মূলত বাতেনি জ্ঞানের চর্চা করে থাকেন। আর তাই সুফি সম্প্রদায় সবচেয়ে প্রাগ্রসর সম্প্রদায় হিসেবে ইসলামিক বিশ্বে মূল্যায়িত হয়ে থাকেন।

হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মূল শিক্ষা ধারণ করে বাতেনি বা গুপ্ত জ্ঞানের চর্চার মধ্য দিয়ে সুফিরা মহান সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের চেষ্টা চালান। আধ্যাত্মিক সাধনার মধ্য দিয়ে তাঁরা ব্যক্তিজীবন, আত্মিক জীবন ও ধর্মীয় জীবনের উন্নতি সাধন করেন এবং সেই শিক্ষা অনুসারীদের সাহায্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ইসলামে সুফি দর্শনের মূল বিষয় হল, আধ্যাত্মিক সাধনার সাহায্যে আত্মিক উন্নতির মাধ্যমে ইহজাগতিক ও পরজাগতিক কল্যাণ সাধন এবং লব্ধ জ্ঞান মানবজাতির কল্যাণে ব্যয়। এর মধ্য দিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক হিংসা-দ্বেষমুক্ত সমাজ তৈরি করা।

ইসলামের সুফি সাধকেরা সারা পৃথিবীতে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কাছে স্রষ্টার একত্ববাদ, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মানবতাবাদ ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বাণী প্রচার করে থাকেন। নানাবিধ পদ্ধতিতে তাঁরা আধ্যাত্মিক সাধনা চালিয়ে যান। একজন সুফি সাধকের সঙ্গে আরেকজনের আধ্যাত্মিক সাধনার ভিন্নতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। মূলত সৃষ্টিকর্তার নৈকট্যলাভের চেষ্টা ও নিজের মানসিক আত্মিক উন্নতির জন্যই তাঁরা নিজস্ব উদ্ভাবিত পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন এবং অনুসারীদের মধ্য দিয়ে পদ্ধতিগুলোর প্রয়োগ চালিয়ে যান।

ইসলামে সুফি দর্শনের তাত্ত্বিক বিষয়গুলো আস্তে আস্তে তৈরি ও বিকশিত হয়েছে। এ নিয়ে ইসলামি পণ্ডিতদের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে, রয়েছে বিতর্কও। অনেক গবেষক মনে করেন, হজরত আলী ইবনে তালিব (রা:), সাহাবী আবু জর গিফারি, সাহাবী সালমান ফার্সিসহ আরও কয়েকজন সাহাবী হলেন প্রথম সুফি সাধক। এঁদের মধ্যে হজরত আলী (রা:) অগ্রগণ্য। পাণ্ডিত্য, জ্ঞানের চর্চায় তিনি শীর্ষস্থানীয়। তাঁর বিভিন্ন বক্তব্য, উপদেশ সকল সুফি সাধক শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন ও ব্যবহার করেন। মূলত হজরত আলীকেই (রা:) তাত্ত্বিকতায় প্রথম সুফি সাধক হিসেবে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ে হজরত রাবেয়া বসরী, হাসান বসরী, ইবরাহিম ইবনে আদম, মনসুর হাল্লাজ, জুনায়েদ বাগদাদী, বায়েজিদ বোস্তামী, মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবীকে মূল্যায়ন করা হয়।

অনেক গবেষক মনে করেন, স্পেনের মার্সিয়ায় ১১৬৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণকারী ইবনুল আরাবি প্রথম ইসলামে সুফি দর্শনকে ‘ওয়াহদাতুল উযুদ’ বা ‘তাওহিদ-ই-উযুদ’ তত্বের মধ্য দিয়ে ব্যাখ্যা করেন। ইবনুল আরাবির এই তত্ত্ব সর্বেশ্বরবাদী তত্ত্ব হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। বিভিন্ন যুগে তাঁকে নিয়ে গবেষক ও দার্শনিকদের মধ্যে যে বিষয় কাজ করেছে সেটি হল, তিনি তাঁর রচনায় দার্শনিক তত্ত্ব, উপাত্ত, এর বিষয়বস্তু ও সেগুলোর অভ্যন্তরীন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ব্যবহার করেছেন। ইবনুল আরাবি বর্ণনা করেন:

“স্বর্গীয় গুণাবলী মানুষের জ্ঞানের বাইরে। সমগ্র বিশ্বব্রক্ষাণ্ড হল ঐশ্বরিক নির্যাসের বহিপ্রকাশ। তদুপরি এ সকল গুণাবলী কেবল স্রষ্টার সৃষ্টির মহত্ত্ব প্রকাশ করে অর্থাৎ একের মধ্য দিয়ে বহুর প্রকাশ ঘটে।”

আরাবির মূল আধ্যাত্মিক উপলব্ধি হল:

“বিশ্বজগতে বহুর মাঝে একক অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটে চলেছে। আর এটি হল ‘ফানা’র প্রকাশ যার মাধ্যমে ব্যক্তির নিজস্বতার বিলোপ সাধন বুঝায় এবং সে পরবর্তীতে নির্দিষ্ট ঐক্য তথা ‘বাকা’র দিকে ধাবিত হয়। ফলশ্রুতিতে একজন এ বিশ্বকে একক বা বহু– দুভাবেই দেখে, একইসঙ্গে আল্লাহকে স্রষ্টা এবং নিজেকে তাঁর সৃষ্টিরূপে দেখতে পায়।”

তৃতীয় পর্যায়ে, আবদুল কাদের জিলানী, মুহাম্মদ বাহাউদ্দিন নকশবন্দ, শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দী, মঈনুদ্দীন চিশতি, শেখ আহমদ ইবনে মুহাম্মদ তিজানি, ইমাম গাজ্জালি, জালালুদ্দিন রুমী, আবদুল করিম ইবরাহিম আল জীলী প্রমুখ সুফি সাধকের উল্লেখ করা হয়।

ভারতবর্ষে ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণকারী সৈয়দ আহমদ সিরহিন্দকে মুসলিম সাধকদের মধ্যে সুফি দর্শনের জন্য গবেষকগণ উচ্চ মর্যাদা প্রদান করেন। তাঁর অবস্থান ছিল মোঘল সম্রাট আকবর ও জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে। ইসলামের সুফি দর্শনের ক্ষেত্রে সিরহিন্দের উল্লেখযোগ্য অবদান হল ইবনুল আরাবির সর্বেশ্বরবাদী ‘ওয়াহিদুল উযুদ’ তত্ত্বের বাইরে ‘ওয়াহাদাতুশ শুহুদ’ তত্ত্ব প্রদান। সৈয়দ আহমদ সিরহিন্দ তাঁর তত্ত্বের মাধ্যমে বলার চেষ্টা করেছেন, আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যে ঐক্য সেটি সম্পূর্ণ আত্মগত বা সুনির্দিষ্ট বিষয়কেন্দ্রিক। এটি শুধুমাত্র বিশ্বাসীর অন্তরে অনুভূত হয়, যার বস্তুগত উপস্থিতি নেই। বিশ্বাসী যখন ফানা-ফিল্লাহর স্তরে উপনীত হয় তখন সে এটি অনুভব করতে পারে।

আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্যলাভ এবং একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ তৈরির লক্ষ্যেই ইসলামে সুফি দর্শনের তত্ত্বসমূহ তৈরি হয়েছে। প্রায়োগিকভাবেও মুসলিম সুফি সাধকেরা পৃথিবীর সকল প্রান্তে তাদের অনুসারীদের হজরত মুহাম্মদ মুস্তফার (সা:) অসাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা, সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবনযাপনের নির্দেশ দান করেছেন। আর তাই সকল স্থানে মৌলবাদী কট্টর সাম্প্রদায়িক জঙ্গি গোষ্ঠীর আক্রমণ ও হামলার শিকার হয়েছেন তাঁরা। অন্যান্য সকল ধর্মের সুফিদের মতোই মৌলবাদীদের হাতে যুগে যুগে শহীদ হয়েছেন অসংখ্য মুসলিম সুফি সাধক ও তাদের অনুসারীরা। আমরা কিছুদিন আগেই ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশে সুফি সাধকদের মাজারে জঙ্গিগোষ্ঠীর আক্রমণের সংবাদ দেখেছি। প্রতিনিয়ত দেখছি মুসলিম মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীর সহিংস আক্রমণে হাজার হাজার নিরীহ সাধারণ জনগণের মৃত্যুর সংবাদ।

আজ সারাবিশ্বে ইসলাস ধর্মের অপব্যখ্যা প্রদান করে যে জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্ম দেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়তে পারে ইসলাম ধর্মের সুফি দর্শন। এই দর্শনের মধ্য দিয়ে ইসলাম ধর্মের নৈতিকতা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও অসহিষ্ণুতার প্রায়োগিক প্রয়োগ ঘটতে পারে।


আরও খবর



হামাস নির্মূল হবে না, বললেন ব্লিঙ্কেন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী পূর্ণ মাত্রার স্থল অভিযান চালালেও হামাসকে নির্মূল করা সম্ভব হবে না। বরং তা হামাসকে একত্রিত হতে ও পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির মিট দ্য প্রেস শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েল এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যা হামাসের বাকি সদস্যদের পুনঃসংঠিত হতে সাহায্য করবে। আবার ইসরায়েলি বাহিনী যদি রাফা শহর ছেড়ে চলে যায়, তাহলে হামাস আবারও এই এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে। আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের ফেস দ্য নেশন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে ইসরায়েলকে এখন গাজা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার।

আমরা দেখেছি, ইসরায়েল উত্তর গাজায় পূর্ণ মাত্রার স্থল অভিযান চালানোর পরও হামাস সেখানে ফিরে এসেছে। এমনকি, খান ইউনিসেও সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সদস্যরা একত্রিত হচ্ছেন। সুতরাং ইসরায়েল রাফায় তাদের সর্বাত্মক শক্তি কাজে লাগালেও হামাসকে নির্মূল করা অসম্ভব। দেখা যাবে, হাজার হাজার সশস্ত্র হামাস সদস্য বাকি রয়ে গেছেন।

ব্লিঙ্কেন বলেন, গাজায় হামলা চালাতে ইসরায়েল যে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে। ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজার হাজার হাজার নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ইসরায়েল সম্ভবত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, রাফায় হামলা চালানোর পরিবর্তে, ইসরায়েলের উচিত একটি বিশ্বাসযোগ্য যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা উপস্থাপন করা।

আমরা ইসরায়েলের বিরোধিতা করছি না; বরং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দীর্ঘস্থায়ী ও করার দেশটিকে সুরক্ষার আরও ভালো উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোববার (১২ মে) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে ফোনকলে কথা বলার সময় রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছি।


আরও খবর

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন

বুধবার ১৫ মে ২০২৪




দুই সিনেমার আসছেন নিশো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

জিটাল ডেস্ক :নির্মাতা রায়হান রাফীর ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেছেন অভিনেতা আফরান নিশোর। 

বেশকিছুদিন বিরতির পর এবার পরপর দুই সিনেমা নিয়ে পর্দায় ফিরছেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। দুটি সিনেমাই তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায়। 

সম্প্রতি সিনেমা দুটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানিয়েছে।

এদিকে গণমাধ্যম অনুযায়ী জানা যায়, আফরান নিশো নতুন দুটি সিনেমা পরিচালনা করছে রায়হান রাফি ও ভিকি জাহেদ। রাফি পরিচালিত নতুন এই সিনেমার নাম ‘অসিয়ত’; যেটি ২০২৫ সালের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে। দ্রুতই সিনেমাটির শুট শুরু হতে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, ভিকি জাহেদ যে সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সিনেমাটির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে ছোট পর্দার আলোচিত এই নির্মাতার। 

নতুন দুই সিনেমা প্রসঙ্গে আফরান নিশোর ভাষ্য, ‘যে কোনো সৃষ্টিশীল কাজের সাফল্যের জন্য সময় খুবই প্রয়োজন। সিনেমার অপরিহার্য বিষয় হচ্ছে সব ক্ষেত্রের সঠিক সমন্বয়। 

সমন্বয় যত ভালো হবে, সিনেমা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা তত বেড়ে যায়। সময় দেওয়া আর নেওয়ার মাঝেই ভালো সিনেমা। হারিয়ে থাকা যেমন নিখোঁজ সংবাদের আভাস দেয়, তেমনি খুঁজে পাওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে। 

অনেক নিখোঁজের মাঝে আমি খোঁজ পেয়েছি এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্টের। তারা আমার সঙ্গে দুটি সিনেমার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। তারা আমাকে ও আমি তাদেরকে খুঁজে পেয়েছি, আমি আনন্দিত।’

এ ব্যাপারে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘আফরান নিশোর বড়পর্দায় ফিরে আসা নিশ্চয়ই এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের জন্য রোমাঞ্চকর একটি অধ্যায়ের সূচনা করেছে। 

আমাদের পরবর্তী সিনেমাগুলোয় অভিনয়ে যে কারিশমা দেখাবেন তিনি, সেসব দর্শকের জন্য উন্মোচনের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।


আরও খবর

বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




রাণীনগরের মাধাইমুড়ি গ্রামে ঐতিহ্যবাহী চরক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

গত বৃহস্পতিবার নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মাধাইমুড়ি গ্রামে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী চরক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়।  চড়ক পূজা ও মেলাকে কেন্দ্র করে শিবের মাধাইমুড়ী সহ আশপাশের গ্রামের মানুষের মধ্যে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা শুরু হয়েছিল। প্রতিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আতœীয়-স্বজনে ভরে যায়।  পূজা উদ্যাপন ও মেলা পরিচালনা কমিটি সমন্বয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চরক পূজার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত মেলা শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই চড়ক উৎসব এই অঞ্চলের হিন্দুদের বেশ আনন্দ উৎসবের খোড়াক হিসেবে প্রতি বছরই নারা দেয়। লোহার শিক দিয়ে তৈরি বরশী পিঠে ফুটিয়ে প্রায় ৩০ ফুট উচুতে শূন্যে ঘুড়ছে । চারে দিকে আগত উৎসক দর্শনার্থী আর ভক্তদের হাত তালি এবং হৈ-হুল্লর করে উৎসাহ যোগায় চড়ক খেলাকারীদের। শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী শিবের মেলা উপজেলার মাথাইমুড়ি গ্রামে গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় মেলার প্রধান আকর্ষন চড়ক খেলা । আর এ খেলার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত করা হয় চার দিনের শিবের মেলা। 

জানা গেছে, শতবর্ষী এ মেলাকে ঘিরে এলাকা ভরপুর হয়ে উঠে আতœীয় স্বজনের কোলাহলে। মেলার শেষ দিনে দুপুরের পর থেকেই দলে দলে আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা, মহিলা-পুরুষ মাধাইমুড়ি শিব ও কালী মন্দীর প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে শুরু হয় চড়ক খেলার প্রস্ততি পর্ব। ৩০ ফুট উঁচুএকটি শিশু গাছের মাথায় বাঁশ দিয়ে চরকী তৈরি করে তার এক মাথায় নওগাঁর রাণীনগরে চার দিন ব্যাপী চড়ক পূজা সম্পূর্ণপূজারীর পিঠে বরশী ফুটিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। একই বাঁশের অপর মাথায় দড়ি বেঁধে সে দড়ি গাছের নীচের দিকে আর একটি বাঁশ বেঁধে তার মাথায় বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর ৭-৮ জন লোক মিলে নিচের বাঁশ ধরে সজরে ঘোরাতে থাকেন। তার পিঠে ও পায়ে বরশী ফুটিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া লোকটি চড়ক গাছে ঘুরতে ঘুরতে বাতাশা (চিনির তৈরী মিষ্টি) ছিটাতে থাকেন। কথিত আছে, ভক্তরা সে বাতাশা বিভিন্ন মানত ও অসুখ-বিসুখের সুস্থ্যতার আশায় খুটে খুটে খান। 

চড়ক খেলাকারী নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার দুমদুমা গ্রামের ভোলা (৪৫)। তিনি এ বছর এমনিতেই মাধাইমুড়ি গ্রামে চরক গাছে ঘুরতে এসেছেন। তার শিক্ষাগুরু নাটোর জেলার সিংড়া থানার হাতিন্দা গ্রামের বাবুল চন্দ্র সরকার (সন্নাসী) জানান, সখ করে সে আমার কাছ খেকে এ কাজ শিখেছেন। আমার শিক্ষাগুরু ছিলেন,নাটোর জেলার ভুজনগাছী গ্রামে সুশিল চন্দ্র মহন্ত। তিনার পিছনে সাত বছর ঘুরে আমাকে এ শিক্ষা দেন। 

 মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন জানান, প্রতি বছরের চেয়ে এই বছর পূর্ণার্থীদের ব্যাপক আগমন ঘটেছে। মেলার পরিবেশ ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ভাল থাকায় এবছর যাকজমকপূর্ণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার চড়ক পূজার মধ্য দিয়ে চার দিন ব্যাপী শিবের মাধাইমুড়ী মেলা শেষ হয়।


আরও খবর



ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন জানিয়েছে, দ্রুতই নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ইউক্রেনকে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এজন্য প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। তবে এ প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি থাকবে না।

প্রতিটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির (পূর্ণাঙ্গ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম) দাম প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আর প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় চল্লিশ লাখ ডলার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা মোকাবিলায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি প্রয়োজন যা এখনই জীবন রক্ষা করতে পারে ও করা উচিত

বিবিসিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেছেন তারই অংশ হিসেবে এই ছয় বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনকে।

শিগগিরই আরও এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে।

অস্টিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সবচেয়ে বৃহৎ নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং খুব শিগগিরই এগুলো ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হবে।

এর মধ্যে আছে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম এবং গোলাবারুদ (তবে প্যাট্রিয়ট নয়)।

এটা এমন নয় যে শুধু প্যাট্রিয়ট তাদের (ইউক্রেনের) দরকার। তাদের অন্য ধরনের সিস্টেম ও ইন্টারসেপ্টর (ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা বা আকাশেই ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়), বলছিলেন অস্টিন। আমি প্যাট্রিয়ট তৈরির বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক করবো

তিনি জানান, আরও ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভকে শিগগিরই দেওয়া হবে এবং এ নিয়ে ইউরোপীয় অন্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

ইউএস জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল চার্লস ব্রাউন বলেছেন, রণাঙ্গনে গোলার যথাযথ ব্যবহারের যে প্রয়োজনীয়তা ইউক্রেনের সেটি মেটাতে পারবে এবারের এই সহায়তা।

তবে এবারের যে সহায়তা প্যাকেজ তার কিছু অংশ ব্যবহার হবে ইউক্রেনের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প তৈরির জন্য যাতে তারা নিজেরাই প্রয়োজনমতো গোলাবারুদ উৎপাদন করতে পারে।

অস্টিন আরও বলেছেন, রাশিয়া ইতোমধ্যেই তাদের গোলাবারুদ ও অন্য অস্ত্রের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে তারা ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সরবরাহ সহায়তাও পাচ্ছে।


আরও খবর

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন

বুধবার ১৫ মে ২০২৪




সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ডিস্টিংগুইশ প্রফেসর ড. হাসান আব্বাস।  ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ প্রশংসা করেন।

এর আগে নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ৪৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে অংশগ্রহণ করেন। দলটির নেতৃত্ব দেন ড. হাসান আব্বাস। প্রতিনিধিদলে ওয়াশিংটন ডিসিতে নেসা সেন্টার আয়োজিত একটি সেমিনারে ২৮টি দেশের অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

ড. আব্বাস ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বক্তৃতার সময় সন্ত্রাস, সহিংস চরমপন্থা ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের দ্বারা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠান নেসার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কামনা করে এবং আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চায়।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দূতাবাসে নেসা সেন্টারের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান ও অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল বক্তব্যে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং দেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন তিনি।

এ সময় রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা সংকট ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য এবং গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স ফান্ড (জিসিইআরএফ)-এ দেশের অগ্রগতির ওপরও আলোকপাত করেন। সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য সকল দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে তা মোকাবিলা সম্ভব নয়।

রাষ্ট্রদূত ইমরান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যদি সমস্যাটি আরও দীর্ঘায়িত হয় তাহলে তা সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। একইসঙ্গে উন্নয়ন উদ্যোগকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।


আরও খবর