Logo
শিরোনাম

ইতিবাচক ধারায় বিশ্ব অর্থনীতি

প্রকাশিত:বুধবার ০২ আগস্ট 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ - কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বৈশ্বিক সংকট। ধারণা করা হচ্ছিল, বড় রকমের আর্থিক মন্দার মুখে পড়বে বিশ্ব; দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষ এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে কোটি কোটি মানুষ। তবে বর্তমানে সব শঙ্কা ছাপিয়ে ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমান্বয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ভালোর দিকে যাচ্ছে। যুদ্ধ চলমান থাকলেও এর প্রভাব কমে আসছে। এছাড়া এরই মধ্যে মহামারি কাটিয়ে ওঠেছে বিশ্ব। এসবের বাইরে সরবরাহ ব্যবস্থায় যে সমস্যা ছিল, তাও ধীরে ধীরে করোনা পূর্ববর্তী সময়ের স্বাভাবিক রূপে ফিরে এসেছে।

চলতি বছরের শুরুর প্রথম চার মাসেই বোঝা যাচ্ছিলো যতটা শঙ্কা করা হয়েছে ২০২৩ সাল নিয়ে, তার সিকিভাগও সত্যি হচ্ছে না। দুর্ভিক্ষের ভয় থাকলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের দামের পাশাপাশি কমেছে জ্বালানির দাম। বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমতে যতটা সময় লাগবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, তার থেকেও কম সময়ে মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক রূপ ধারণ করতে শুরু করেছে।

আইএমএফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ সবের বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ে এক রকমের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে সেটি কমে এসেছে। এ ব্যাপারে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জোরালো ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করে আইএমএফ।

তবে আইএমএফ বলছে, ভয় কেটে গেলেও উদযাপন করার মতো কিছু এখনো ঘটেনি। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুকের তথ্য থেকে জানা যায়, গত বছর বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৭ শতাংশ, যা চলতি বছর কমে ৬.৮ শতাংশে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ২০২৪ সালে এ মূল্যস্ফীতি আরও কমে হবে ৫.২ শতাংশ।

ইউরোপের মূল্যস্ফীতি নিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোক্তা পণ্যের মূল্যস্ফীতি (সিপিআই) এখন থেকেই কমতে শুরু করেছে। গত জুনে এ মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ, যা জুলাইতে আরও কমতে পারে। যদিও আইএমএফ বলছে, মূল্যস্ফীতি কমলেও প্রবৃদ্ধির হার আশানুরূপ বাড়বে না। গত বছর প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৩ শতাংশ হলেও, চলতি বছর এবং আগামী বছর তা কমে ৩ শতাংশ হবে। তবে ইউরোপের চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ইউরোর মূল্যমান বাড়াটা বলছে সব ঠিক থাকলে চলতি বছর প্রবৃদ্ধিও বাড়তে পারে।

বেরেনবার্গের প্রধান অর্থনীতিবিদ হোলগার শিমেডিং বলেন, ইউরোপ থেকে পুতিনের কুছায়া সরে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি সহনশীল হচ্ছে, বাড়ছে চাকরির হার এবং বেতনের প্রবৃদ্ধি। আগামী কয়েক মাসে অবস্থা আরও উন্নতির দিকে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আইএমএফ বলছে, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি হ্রাস প্রমাণ করে বিশ্ব অর্থনীতি ঠিক পথে হাঁটছে। তবে এতকিছুর মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমাতে ব্যাংকগুলো যে কঠিন নীতি অনুসরণ করছে সেটি চলতে থাকলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত এবং সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণী বিপদের মুখে পড়বে। এছাড়া সামষ্টিক মূল্যস্ফীতি কমলেও এর বাইরের কেন্দ্রীয় মূল্যস্ফীতি (জ্বালানি ও খাবারের দাম) কমছে অপেক্ষাকৃত ধীরে। এতে করে দিনশেষে শঙ্কা না থাকলেও কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়।

এদিকে, বৈশ্বিক চাকরির বাজার নিয়ে আইএমএফ বলছে, দিনকে দিন বেকারত্বের হার কমে এসেছে। করোনার সময়ে যে বেকারত্বের হার বিশ্বকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল সেটি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। শুধু চাকরি না, বেড়েছে বেতনও, তবে বাজারে পণ্যের দামের সঙ্গে এখনো বেতনের সামঞ্জস্য হতে সময় লাগবে। তবে অর্থনীতির দিক দিয়ে বিবেচনা করলে, শ্রমমূল্য কম থাকায় পণ্য উৎপাদনে খরচ কম হবে। এতে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এভাবে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করলে বেতন ও পণ্যের দামের ব্যবধান অনেকটাই কমে আসবে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।

চলতি বছর মার্চে ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে এত সমস্যা থাকার পরেও শেয়ারবাজারে এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম পড়েছে। বিশেষ করে টেক কোম্পানিগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার কোম্পানিগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে এবং এতে করে বেড়েছে এ সংশ্লিষ্ট শেয়ারের দাম। উন্নয়নশীল এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে ডলার নিয়ে যে হাহাকার দেখা দিয়েছিল তাও আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সাল থেকে মূল্যস্ফীতির একটি বড় ঝাপটা আঘাত হেনেছিল বিশ্ব অর্থনীতিতে। সেসময় মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কঠোর মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছে, যা এখনো বিদ্যমান। জুলাইয়ের ২৭ তারিখ ফেডারেল রিজার্ভ সবশেষ তাদের সুদহার বাড়িয়েছে যা ভেঙেছে গত ২২ বছরের রেকর্ড। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ বারের মতো সুদহার বাড়াল মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। শূন্য দশমিক ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ। আগে যা ছিল ৫.২৫ শতাংশ।

ফেডারেল রিজার্ভ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ১৭ মাসে ১১ বারের মতো নীতি সুদের হার বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে সুদের হার আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে মুদ্রানীতি নিয়ে নানা ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ফেড।

তবে আইএমএফ বলছে, মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে ভেবে মুদ্রানীতি সরল করে দিলে হবে না। হঠাৎ করে মুদ্রানীতি নিয়ে অবহেলা শুরু করলে, সুদ হার কমিয়ে ফেললে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ অবস্থায় অর্থনীতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সুদহার ঠিক করা ও মুদ্রানীতি প্রণয়ন করার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।

এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে নিজেদের অর্থনীতি এবং মুদ্রানীতি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করে সেদিকেও জোর দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, ভর্তুকির ব্যাপারে এসব দেশকে সাবধান করে দিয়েছে আইএমএফ। বিশ্বে জ্বালানির দাম কমতে শুরু করায়, মূল দামের সঙ্গে এর সামঞ্জস্য রেখে ধীরে ধীরে ভর্তুকি থেকে বের হয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া জলবায়ু এবং বিশ্ব মেরুকরণের মতো বিষয়ে সামষ্টিক সমাধানের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।


আরও খবর



শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় চীন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় পড়েছে চীন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন ভয়াবহ বন্যা প্রতি একশ বছরে মাত্র একবারই দেখা যায়। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পূর্ব সতর্কতা জারি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে গুয়াংদং প্রদেশে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে চুচিয়াং নদীর জলপথগুলোর পানি উপচে পড়ছে। গুয়াংদং চীনের উৎপাদন শিল্পের সবচেয়ে বড় অঞ্চল। এই প্রদেশে আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে কাল সোমবার পর্যন্ত ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত একটি ড্রোন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু শহরের কাছাকাছি চলে এসেছে বন্যার পানি। এতে নিচু ভবনগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়া জলে নিমজ্জ একটি প্যাগোডাও দেখা যাচ্ছে।

প্রাদেশিক জলবিদ্যা ব্যুরোর বরাতে সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে বেঈ রিভার নদীর আশপাশের তিনটি অঞ্চলে একশ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় ৫০ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

চুচিয়াং নদীর ব-দ্বীপ অববাহিকা চীনের সবচেয়ে জনবহুল একটি অঞ্চল। এখানে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ বসবাস করেন। তবে ওই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর শোনা যায়নি। এছাড়া সাধারণ মানুষকে গণহারে সরিয়ে নেওয়ার কোনো প্রক্রিয়াও চোখে পড়েনি।

গুয়াংদংয়ের পাশের প্রদেশ জিয়াংজি এবং ফুজিয়ানেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে।

চীনে প্রায়ই এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে ভয়াবহ বন্যা, খরা এবং তীব্র দাবদাহ দেখা যাচ্ছে।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর



দশমিনায় সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন ,দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীতে আইএফডিসি ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ফিট দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এক্টিভিটি এর উদ্যোগে সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী নিজ হাওলা গ্রামে প্রায় আর্ধশতাধিক কৃষক-কৃষানীর অংশ গ্রহনে সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। সুর্যমুখি চাষি মো. মকবুল হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাফর আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন-আইএফডিসি প্রকল্পের ফিল্ট সুপার ভাইজার মো. নাজমুল হক, সিএফডিসও মো. হাবিবুর রহমান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রবি ফয়সাল ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় গন্যমান্যব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রাতভর টেকনাফ সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারও গোলাগুলি মর্টার শেলের আওয়াজ ভেসে আসছে এতে আতঙ্কে আছেন টেকনাফের হোয়াইক্যং হ্নীলা ইউনিয়ন সীমান্তের লোকজন

টেকনাফের কয়েকটি পয়েন্টে সীমান্তে ভারী মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্কে রাত কাটে স্থানীয়দের

স্থানীয়দের দাবি, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা, মোলভী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে

হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, ঈদের দিন থেকে টানা ২দিন ধরে থেমে থেমে মর্টার শেল গুলির শব্দ ভেসে আসছে এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, মর্টার শেল গুলির শব্দে কাপছে সীমান্ত এলাকা। বজ্রপাতের মতো শব্দ হয়। এতে মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে


আরও খবর



চলতি বছরই উৎপাদনে আসছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি বছরই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার আগেই নিরাপত্তার দিকসহ সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসবে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-এর প্রতিনিধি দল। পারমাণবিক শক্তিতে অগ্রগামী রাশিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে রূপপুরের প্রযুক্তি কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা টেকসই সেই তথ্যই জানার চেষ্টা চলছে।

গত ৬ দশক ধরে রাশিয়ার সভারডলভস্ক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগানে অন্যতম নির্ভরতা বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট। কেন্দ্রটির প্রথম দুটি ইউনিট প্রথম প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি এএমবি রিঅ্যাকটরের, আর তৃতীয়টিতে বিএন ৬০০ ও ২০১৫ সালে উৎপাদনে আসা চতুর্থ ইউনিটে বসেছে বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টর।

আর এই বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টরকে মনে করা হয় থ্রি প্লাস জেনারেশন প্রযুক্তির,আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরও সমমানের প্রযুক্তির।বাংলাদেশে যে রুশ প্রতিষ্ঠানটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, রাশিয়ার বুলেয়াস্ক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনাতেও যুক্ত সে একই প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন আসে নিরাপত্তার দিক নিয়ে।রাশিয়ার বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টকে উদাহরণ হিসেবে নিলে বলা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয়েছিল যে ধরনের প্রযুক্তি দিয়ে, সেটির তুলনায় বেশি অগ্রগামী সংস্করণ রূপপুরের পরমাণু চুল্লি। রাশিয়ার প্রকৌশলীরাও মনে করেন, বেশ নিরাপদেই এগোচ্ছে রূপপুর।

রাশিয়ার বিএনপিপির ফার্স্ট ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়া ফিলিন বলেন, রাশিয়ার পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল বার্তা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে মানুষের কল্যাণে, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব। আর রোসাটম এই দর্শনেরই সফল প্রয়োগ করছে। বাংলাদেশ, মিশর, ভারত ও হাঙ্গেরির প্রকল্পগুলো তারই উদাহরণ।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পর্শকাতর নিরাপত্তার বিষয়গুলো কতটা অনুসরণ করছে বাংলাদেশ? ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদন সামনে রেখে সে সব বিষয় সরেজমিনে দেখতে রূপপুরে আসছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানড. মো. শৌকত আকবর বলেন, আমাদের জনবলই এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। পরমাণু শক্তি কমিশন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। এর জন্য যত ধরনের প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাগ্রহণের প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার আলোচনায় সবসময় উচ্চারিত চেরনোবিল কিংবা ফুকুশিয়ার মতো দুর্ঘটনার কথা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রযুক্তিগত কারণে সে ধরনের কোনো শঙ্কা নেই রূপপুরে। তবে অন্য সব ঝুঁকি এড়াতেও সর্বোচ্চ সতর্কতার বিকল্প নেই। বলছেন পরমাণু গবেষক অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি ধারণ করতে হবে। একে চর্চার মধ্যে আনতে হবে। নয়তো যেকোনো প্রযুক্তিগত বা মানুষের ত্রুটি থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, রূপপুরের নিরাপদ পরিচালনায় দেশীয় জনবল প্রশিক্ষিত করতে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে রোসাটমের বিশেষ কর্মসূচি।


আরও খবর



নওগাঁয় ৬ টি ইটভাটা মালিকের ৯ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নিয়ম না মেনে সারা দেশের মতো নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ ইট ভাটা। যে ইট ভাটা গুলো দীর্ঘদিন যাবত সরকারের বিধি নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধ্যভাবে ইট উৎপাদন (তৈরি) করে আসছে। ফলে দিন যতই যাচ্ছে ততই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নওগাঁ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন অবৈধ্য ইট ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। অভিযানে আর্থিক দন্ড প্রদানের পাশাপাশি ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে অবৈধ্য ইট ভাটাগুলো।

পরিবেশ অধিদফতর এর কোনো ছাড়পত্র না থাকা, গাছ পোড়ানো ও সঠিক পদ্ধতিতে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা না করার অপরাধে নওগাঁয় ৬টি ইটভাটার মালিককে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার নওগাঁ জেলার পত্নীতলা ও বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন পরিবেশ অধিদফতর এর মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী। 

অভিযানে বদলগাছী উপজেলার বুড়িগঞ্জ পাহাড়পুর বাজার এলাকায় ৩টি ইটভাটা ভেঙ্গে দিয়ে ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ পরিবেশ অধিদফতর এর সহকারী পরিচালক মলিন মিয়া, পরিদর্শক উত্তম কুমার, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এর সদস্যরা এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন। 

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা জানান, যতগুলো অবৈধ্য ইটভাটা রয়েছে পর্যায়ক্রমে সেগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। সরকারের নিয়ম-নীতি মেনে ইটভাটা পরিচালনা করতে কোন বাধা নেই। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে ইটের প্রয়োজন আছে। কিন্তু নিয়ম না মেনে পরিবেশের ক্ষতি করে নিজেদের ইচ্ছে মাফিক ইট ভাটা তৈরি করে কার্যক্রম পরিচালনা করার কোন সুযোগ নেই। তাই এই ধরণের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে যা আগামীতেও অব্যাহত রাখা হবে।


আরও খবর