Logo
শিরোনাম

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

অবশেষে ১০০০ কোটির মাইলফলকে পৌঁছল শাহরুখ খান অভিনীত জওয়ান সিনেমা। আর এ রেকর্ড গড়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের সেরা ইতিহাস গড়লেন বলিউড বাদশাহ।

রোমান্টিক অ্যাকশন সিনেমা জওয়ান গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাওয়ার পর দর্শক হৃদয়ে ঝড় তোলে। সেই ঝড় এখনো থামেনি। ভাঙছে পুরোনো সব রেকর্ড। রেকর্ড ভাঙার দৌঁড়ে মাত্র কয়েক দিন আগেই নিজের অতীতের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন শাহরুখ। রাজকীয় কায়দায় আবারও নিজের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন কিং খান।

মুক্তির মাত্র ১৭ দিনেই ভারতীয় বাজারে পাঠান সিনেমাকে হারিয়ে দিয়ে শীর্ষের তালিকায় এগিয়ে যায় জওয়ান সিনেমা। ওই রেকর্ড ভাঙার পর আবারও নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙার দৌঁড়ে সাফল্য পেয়েছেন অভিনেতা। বক্স অফিসের রিপোর্ট বলছে, সম্প্রতি জওয়ান সিনেমা ১০০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, মুক্তির মাত্র ১৮ দিনেই দর্শকদের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা ঘরে তুলতে পারায় পাঠান সিনেমার আরেকটি রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে জওয়ান সিনেমাটি।

সমীক্ষা বলছে, পাঠান সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ২৭ দিনে হাজার কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছিল। অন্যদিকে জওয়ান সিনেমা তা মাত্র ১৮ দিনেই করে দেখিয়েছে। ১৮ দিন শেষে সিনেমাটির কালেকশন ১ হাজার ৪ কোটি রুপি। তাই সবচেয়ে কম সময়ে ১ হাজার কোটি কালেকশন করা হিন্দি সিনেমার তালিকায় এখন শীর্ষে অবস্থান করছে জওয়ান


আরও খবর



প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশে বিপুল পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে চলতি মাসের ২৪ দিনেই এসেছে প্রায় ২৭৫ কোটি ডলার প্রবাসী আয়। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো মাসের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চলতি মার্চের ২৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) আসে গত ডিসেম্বরে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)।

এদিকে, গত ২৪ মার্চ একদিনেই দেশে এসেছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে দেশে স্বজনদের কাছে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে বাড়ছে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াতে পারে।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছিলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা দেয়া হোক বা অর্থপাচার বন্ধের কারণেই হোক; রেমিট্যান্স আসছে, এটিই আশার কথা। চলতি মাসে ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার হতে পারে। এ বছর ৩০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ও ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।

আর সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ও ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।


আরও খবর



২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কর ফাঁকির কারণে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ হারিয়েছে করপোরেট কর ফাঁকির কারণে। ২০২৩ সালে আনুমানিক করপোরেট কর ফাঁকির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে কর ফাঁকির পরিমাণ বেড়েছে, ২০১২ সালে ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালে তা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকায় পৌঁছায়। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্স অ্যাসোসিয়েট তামিম আহমেদ।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক অবস্থার মতো বাংলাদেশেও করপোরেট কর কমতির দিকে। পোশাক, আইসিটিসহ অনেক খাত কর সুবিধা পেয়ে থাকে। ২ লাখ ৮৮ হাজার কোম্পানি রেজিস্ট্রার্ড, কিন্তু ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিশন করেছে মাত্র ৯ শতাংশ কোম্পানি বা ২৪ হাজার ৩৮১ কোম্পানি। এটা একটা বড় বৈষম্য। যারা কর দিচ্ছে তাদের ওপর করের বোঝা বাড়ছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আগামী দিনে সরকার যদি উচ্চমাত্রায় রাজস্ব না পান তাহলে ভর্তুকি, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, দক্ষ জনবল তৈরি করা সরকারের পক্ষে সহজ হবে না। প্রত্যক্ষ কর, অপ্রত্যক্ষ কর ও কর বহির্ভূত আয় এই তিন উৎস থেকে মূল রাজস্ব আদায় করি। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসে করপোরেট খাত থেকে। প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব এখান থেকে আসে। আর ভ্যাট থেকে আসে ৪০ শতাংশ রাজস্ব। এই দুই উৎস থেকে প্রায় ৬০ ভাগ রাজস্ব প্রতিবছর আসছে। এ জন্য করপোরেট কর ও ভ্যাটের সংস্কার নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই।

তিনি বলেন, প্রতিবছর বাজটে আসলে প্রেশারগ্রুপ সরকারের উপর চাপ দিতে থাকেন তার কর হার কমানোর জন্য। এর ফলে কর নিয়ে সরকারের যে লক্ষ্য তা প্রায়শই বিচ্যুত হয়, এটা খোলস আকারে থেকে যায়। যার পরিণতি ভালো হয়না। কর জিডিপির বাড়ানোর লক্ষ্যে আগামী দিনে একটি কাঠামো প্রণোয়ন করা প্রয়োজন।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখতে পেয়েছি, ২০২৩ সালে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি কর ফাঁকি হয়েছে। এনবিআর কি পরিমাণ প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করছে। শুধু যে কর ফাঁকি তা নয়, করজালের বাইরেও অনেক খাত ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাদেরকে করজালের মধ্যে আনা যায়নি। এই বিপুল পরিমাণ ফাঁকি রোধ করতে পারলেও বড় পরিমাণ অর্থ বা রাজস্ব আদায় সম্ভব।

তিনি বলেন, ডিজিটালইজেশন কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। ব্যবসায়ী ও এনবিআরের স্বার্থে এটা করা জরুরি। অথচ এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের এক ধরনের অনীহা রয়েছে। বাংলাদেশে যে কোনো লেনদেন একক ডিজিটাল সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যাতে করে যে কোনো লেনদেন ট্রেস ও ট্র্যাক করা যায়। সেটার আলোকে দাখিলকৃত রিটার্নকে ভেরিভাই করা যায়।

ক্রিশ্চিয়ান এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জাবিন বলেন, বেশিরভাগে নিম্ন আয়ের দেশ প্রত্যক্ষ করের ওপর নির্ভরশীল। এটা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যখন এলডিসি গ্রাজুয়েশন করছি প্রত্যক্ষ করের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।

সিপিডি বাংলাদেশের ক্রমাগত কর ফাঁকি সমস্যার পেছনে বেশ কয়েকটি মূল কারণ চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ করের হার, দুর্বল প্রয়োগ, জটিল আইনি কাঠামো এবং কর ব্যবস্থার মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি।

সিপিডি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, কর ন্যায়বিচারের দৃষ্টিকোণ থেকে, উচ্চ মাত্রার কর ফাঁকি সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে এবং যারা আইন অনুসরণ করে তাদের ওপর বোঝা বাড়িয়ে দেয়।


আরও খবর



ল্যাপটপের যত্ন নিবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ল্যাপটপের সঠিক যত্ন নিলে তা অনেক দিন ভালো থাকে। তবে আমরা অনেকেই কাজের পর ল্যাপটপ বন্ধ করি না, একগাদা অ্যাপ্লিকেশন খোলা রাখি, কিংবা বিছানায় রেখে কাজ করি। এসব কারণে ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে যায় এবং এর আয়ু কমে যায়। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে আপনার ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ভালো থাকতে পারে।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ল্যাপটপের যত্ন নেবেন।

নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন: ল্যাপটপে অতিরিক্ত ধুলা জমলে তা গরম হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত ল্যাপটপ পরিষ্কার রাখুন এবং ময়লা জমতে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সতর্কতার সাথে পরিষ্কার করুন: নরম সুতির কাপড় দিয়ে ল্যাপটপ মুছুন। কিবোর্ড পরিষ্কার করতে ব্রাশ ব্যবহার করুন, কিন্তু কখনো পানি বা গ্লাস ক্লিনার দিয়ে ল্যাপটপ পরিষ্কার করবেন না।

উষ্ণ জায়গা থেকে দূরে রাখুন: গরম জায়গা, হিটার, রান্নাঘরের কাছে ল্যাপটপ রাখা উচিত নয়। গাড়িতে ল্যাপটপ ফেলে রাখা ও বিছানায় ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করবেন না। এতে ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে যেতে পারে এবং ক্ষতি হতে পারে।

তরল পদার্থ থেকে সাবধান থাকুন: চা, কফি বা ঠান্ডা পানীয় ল্যাপটপের কাছে রাখবেন না। তরল পদার্থ পড়ে গেলে যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে।

সঠিকভাবে সরান: ল্যাপটপ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিসপ্লে ধরবেন না। ল্যাপটপের নিচের অংশ ধরে সাবধানে সরান। ডিসপ্লে ধরে নিলে জয়েন্ট আলগা হয়ে যেতে পারে।

ল্যাপটপ কভার ব্যবহার করুন: ল্যাপটপ কভার ও উপযুক্ত ল্যাপটপ ব্যাগ ব্যবহার করুন। এতে ধুলা, ময়লা ও আঘাত থেকে ল্যাপটপ নিরাপদ থাকবে।

বার্ষিক সার্ভিসিং করুন: প্রতি বছর একটি নির্ভরযোগ্য সার্ভিস সেন্টারে ল্যাপটপ সার্ভিসিং করিয়ে নিন। এতে ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।


আরও খবর



মোদি-ইউনূস বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়াও বৈঠকে সীমান্তে হত্যা, তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ০৪ এপ্রিল দুপুরে দুই প্রতিবেশি নেতার মধ্যে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তুলে ধরা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অত্যন্ত গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।’

প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং ভারতে বসে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, এসব বিষয় বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে হত্যা, তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হলো। এই বৈঠককে বাংলাদেশে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর থেকে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসাবে দেখা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ, সিএ-এর প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিমসহ অন্যান্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলন ২ থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এতে অংশ নিয়েছেন ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের সরকার প্রধানরা। এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা, যাতে একসঙ্গে নিরাপত্তা এবং উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিমসটেক বিপুল সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে যদি সদস্য-রাষ্ট্রগুলি সংকীর্ণ রাজনীতি এবং অভ্যন্তরীণ লক্ষ্যগুলি বাদ দিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

২০০০ সালে ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৩ সালে আন্তঃবিমসটেক বাণিজ্য বেড়ে ৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর জনসংখ্যা ১৬৭ কোটি। মোট জিডিপি ২.৮৮ ট্রিলিয়ন ডলার।


আরও খবর



দর্শক সিনেমা হলে যাবে এটাই হবে উপহার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সিয়াম আহমেদ। বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক। গতকাল ছিল তার জন্মদিন। আবার সামনে ঈদ। এই ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা জংলি। তাই তিনি জন্মদিন উদযাপন করবেন একবারে ঈদে! আর দর্শক-ভক্তদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে চান- হলে গিয়ে ঈদের সিনেমাগুলো দেখা। সিয়াম বলেন, যারা সিনেমাকে ভালোবাসেন, হলে গিয়ে সিনেম দেখেন তারাই আমাদের কাছে বিশেষ মানুষ। এই বিশেষ মানুষগুলো যদি হলে গিয়ে ঈদের বিশেষ সিনেমাগুলো দেখেন, সেটাই হবে আমার জন্মদিন আর ঈদের উপহার।

সিয়াম আহমেদ অভিনীত পোড়ামন টু, দহন, মৃধা বনাম মৃধা, ফাগুন হাওয়ায় সিনেমাগুলো দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। তিনি সিনেমার প্রচারণায় বরাবরই সময় দেন। স্বাভাবিকভাবেই জংলি সিনেমার প্রচারণার জন্য ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সিয়াম বলেন, নতুন সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। খুব ব্যস্ত সময় পার করছি। এখন প্রচারণার জন্য কাজ করছি। এই নায়ক আরও বলেন, আমার দর্শক ও ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তাদের ভালোবাসায় আমি সিয়াম। তাদের জন্য ভালোবাসা। আশা করছি জংলি সিনেমা তাদের ভালোবাসায় সিক্ত হবে।

অনেক আগে থেকেই একটি কথা সিয়াম বলে আসছেন। জংলির জন্য তিনি অন্যসব সিনেমার থেকে অনেক বেশি পরিশ্রম করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বলেন, অভিনয় ভালোবাসি। এটাকে কষ্ট হিসেবে দেখি না। কাজ হিসেবে দেখি। ভালোবাসা হিসেবে দেখি। এর জন্যই আমি। স্বীকার করছি জংলিতে অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। কিন্তু এটা তো সিনেমার জন্যই করেছি। আমার বেশকিছু সিনেমা দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। আমার নিজের অভিনীত সবগুলো সিনেমাকে যেন ছাড়িয়ে যেতে পারে জংলি। সবার কাছে এটাই আমার চাওয়া। আমার করা অতীতের সিনেমাগুলোর রেকর্ড ভাঙুক জংলি। তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে।

জংলি সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, জংলি সিনেমার জন্য যখন স্ক্রিপ্ট লেখা হয়, তখন থেকেই আমি জড়িত ছিলাম। সাধারণত স্ক্রিপ্ট তৈরি হওয়ার পর আমরা যুক্ত হই। কিন্তু এখানে শুরু থেকেই যুক্ত ছিলাম। এই সিনেমার জন্য অনেক সময় দিয়েছি। অনেক যত্ন নিয়ে কাজটি হয়েছে। সহশিল্পীরা অনেক শ্রম ও ভালোবাসা দিয়েছেন। সবাইকে সব শিল্পী সম্মান করেছেন কাজটি করার সময়। নানা কারণে জংলি আমার কাছে অনেক কিছু। এটি আমার কাছে স্পেশাল সিনেমা। সিনেমার গল্পটা অনেক শক্তিশালী। দর্শকরা হলে গেলেই বুঝতে পারবেন। এটা আমাদের নিজেদের গল্প। আমাদের দেশের গল্প। আশপাশে ঘটে যাওয়া গল্প।

এবারের ঈদে সিয়াম অভিনীত জংলি সিনেমা ছাড়াও আফরান নিশোর দাগি, শাকিব খানের বরবাদ, মোশাররফ করিমের চক্কর ৩০২, সজলের জ্বীন থ্রি মুক্তি পাচ্ছে। অন্যদের সিনেমাকে প্রতিযোগিতার চোখে দেখেন কি না, জানতে চাইলে সিয়াম বলেন, না। সবার সিনেমার জন্য ভালোবাসা। আমি ভালোবাসার চোখে দেখি। সবাই আমার সহকর্মী। তিনি আরও বলেন, ঈদের সব সিনেমা দেখব। সবার সিনেমা দেখব। পুরো টিম নিয়ে অন্যদের সিনেমা দেখব।

অন্য নায়কদের প্রতিযোগী মনে করেন কি না, জানতে চাইলে সিয়াম বলেন, না। আমরা একই পরিবার এবং শিল্পী। কাউকে প্রতিযোগী মনে করি না। সিয়াম যে অন্য নায়কদের প্রতিযোগী মনে করেন না, তার প্রমাণ সম্প্রতি পাওয়া গেছে তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছিল শাকিবের বরবাদ সিনেমার মুক্তির অনিশ্চয়তা বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য এটি মুক্তি পাচ্ছে। তবে তার আগেই সিয়াম লিখেছেন, একটা সিনেমা আটকে দেওয়া মানে, কতগুলো স্বপ্নকে আটকে দেওয়া। বরবাদ আমি, আমরা সিনেমা হলে দেখতে চাই।

তিনি আরও লিখেছেন, এই ঈদে দর্শক জংলি, বরবাদ, দাগি, চক্কর ৩০২, জ্বিন-৩ দেখতে সিনেমা হলে ভিড় করুক। সিদ্ধান্ত নিতে যারা বসে আছেন, তাদের কাছে আমার একটাই দাবি, হয় সব সিনেমা মুক্তি দিন, না হলে কোনোটাই দেওয়ার দরকার নেই। চলচ্চিত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিন।


আরও খবর