Logo
শিরোনাম

জয়ের দেখা পাননি ২৪টি দলের কোনো প্রার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। তার মধ্যে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ২৯৮টি আসনের ফলাফল বিশ্লেষক করে দেখা গেছে, মাত্র চারটি দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বাকি ২৪টি দলের কোনো প্রার্থী জয়ের দেখা পাননি।

যে দলগুলোর প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, সেগুলো হলো আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও কল্যাণ পার্টি।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ২৮টি দলের মধ্যে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি আসনে, ইসলামী ঐক্যজোট ৪২টি আসনে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩০টি আসনে, গণফোরাম ৯টি আসনে, গণফ্রন্ট ২১টি আসনে, জাকের পার্টি ২১টি আসনে, জাতীয় পার্টি ২৬৫টি আসনে, জাতীয় পার্টি-জেপি ১৩টি আসনে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ৬৬টি আসনে, তৃণমূল বিএনপি ১৩৫টি আসনে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ১২২টি আসনে, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১০টি আসনে, আওয়ামী লীগ ২৬৬টি আসনে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি আসনে, বাংলাদেশ কংগ্রেস ৯৬টি আসনে, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৬টি আসনে, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১১টি আসনে, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ৫টি আসনে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৫৬টি আসনে, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৩৮টি আসনে, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ৫টি আসনে, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট ৪৫টি আসনে, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ৪টি আসনে, সুপ্রিম পার্টি ৭৯টি আসনে, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৬৩টি আসনে, ওয়ার্কার্স পার্টি ২৬টি আসনে, সাম্যবাদী দল ৪টি আসনে ও গণতন্ত্রী পার্টি ১০টি আসনে প্রার্থী দেয়। আর স্বতন্ত্র ৪৩৬ জনসহ নির্বাচনে ১৯৭১ জন প্রার্থী অংশ নেয়।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ২২৩ জন, জাতীয় পার্টি লাঙ্গলের ১১ জন, জাসদের মশালের একজন, কল্যাণ পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র ৬২ জন জয়লাভ করেন। সেই হিসাবে ২৯৮টি আসনের ফলাফলে ২৪টি দলের দলীয় প্রতীকের কোনো প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেননি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি কেন্দ্রে অনিয়ম হওয়ায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ভোটের ফল ঘোষণা স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।


আরও খবর



রাজশাহীতে বিভাগীয় দলিল লেখক সমিতির প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী::


বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজশাহী মহানগরীর নগরীর নওদাপাড়া থ্রি স্টার হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

রাজশাহী জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এস এম আয়নাল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির মহাসচিব আলহাজ্ব এম এ রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক ও বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কে এস হোসেন টমাস, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিক ও রুহুল আমিন খান, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ আলম। 

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি বলেন, যারা জাল সার্টিফিকেটে  কাজ করছেন, তারা অতি দ্রুত এ কাজ বাদ দিন। অবৈধ জাল দলিল থেকে বিরত থাকুন। এমনিতেই অনেক দুর্নাম হয়েছে আর নয়। সরকার ও ক্রেতা-বিক্রেতাকে ঠকানো থেকে বিরত থাকুন। অবৈধ কাজ বাদ দিলেও আপনাদের ডাল-ভাতের রোজগার হয়ে যাবে। তাই অবৈধ জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ করুন। অন্যায় কাজের পরিণাম ভাল হয় না। কয়েকদিন আগেই তার প্রমাণ পেয়েছেন। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কাজ বন্ধ করার আহবান জানান তিনি।


এছাড়াও সভায় উপস্থিত থাকেন নাটোর বনপাড়া দলিল লেকক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন পবা রাজশাহীর দলিল লেখক লুৎফার রহমান তারেক, পুঠিয়া রাজশাহীর দলিল লেখক আফজাল হোসেন, বেলকুচি সিরাজগঞ্জের মতিয়ার রহমান লাভলু, সদর নাটোরের আরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সদর বগুড়ার জহুরুল ইসলাম টুকু, পত্নীতলা নওগাঁর দেওয়ান আকরাম হোসেন, আটঘরিয়া পাবনার গোলাম মোস্তফা সহ বিভিন্ন জেলার দলিল লেখকরা।

আরও খবর



এমপক্স: পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের ?

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মো. মামুন হাসান, পিআইডি :


২০২০ সালে হয়ে যাওয়া করোনা মহামারীর রেশ এখনও পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ববাসী তার মধ্যেই নতুন ভাইরাস দেখা গেল সারা বিশ্বে উঁকি দিতে শুরু করেছে নয়া বিপদ, যার নাম এমপক্স বা মাঙ্কিপক্স ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই মাঙ্কিপক্সের দাপট বেশ কয়েকটি দেশে দ্রুত ছড়াচ্ছে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরও এক মহামারীর জন্য দিন গুনছে পৃথিবী? স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টিকে ঘিরে বাড়তে শুরু করেছে উদ্বেগমাঙ্কিপক্স পশুবাহিত রোগ তাই মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশিকঙ্গোয় দাবানলের মতো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই মাঙ্কি পক্স নিয়ে ২০২৪ সালের ১৪ই আগস্ট বিশ্বে জরুরি অবস্থা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল হু২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এটি আফ্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু ২০২৪ সালের ১৫ই আগস্ট প্রথম আফ্রিকার বাইরে সুইডেনে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল এক ব্যক্তির হাত ধরে


কী এই এমপক্স ?

এমপক্স একটি ভাইরাল রোগ, যা অর্থোপক্সভাইরাস গণের একটি প্রজাতি। বিজ্ঞানীরা ১৯৫৮ সালে প্রথমবার এই ভাইরাসটি শনাক্ত করেন। বানরের মধ্যেই সবার প্রথম এই 'পক্স-জাতীয়' রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সেখান থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ে মানবশরীরে। অনেকটা গুটিবসন্তের সমগোত্রীয় এই ভাইরাস। পরবর্তীতে এই সংক্রামক রোগ ছড়িয়েছে মানুষ থেকে মানুষেও। বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের সাথে একের পর এক আলোচনার পর, হু একটি নতুন পছন্দের শব্দ "এমপক্স" (Mpox) ব্যবহার করা শুরু করেছে "মাঙ্কিপক্স" (monkeypox) -এর প্রতিশব্দ হিসেবে

আশির দশকে প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মেলে। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে (রেইন ফরেস্ট )

এমপক্স ভাইরাসের ধরণ : এই ভাইরাসের দুটি ধরণ রয়েছে সাধারণত, প্রথমটি ক্লেড ভাইরাস। যার প্রাদুর্ভাব গত কয়েক দশক ধরেই কঙ্গোতে বিক্ষিপ্তভাবে ছিল। যেখানে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। ক্লেড ধরনটি এর থেকে কম গুরুতর। তবে গত বছরে সংক্রামিত অনেকের তুলনামূলকভাবে নতুন আরও গুরুতর ধরনের এমপক্স ক্লেড ১বি-তে আক্রান্ত হয়েছেন। যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, “২০২৪ সালের শুরু থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে আর এতে ৪৫০ এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে ১৯ শতাংশ বেশি।২০২২ সালে এমপক্সের মৃদু ধরন ক্লেড এর কারণে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। এশিয়া এবং আফ্রিকার মতো যে দেশগুলোতে সাধারণত এই ভাইরাস দেখা যায় না এমন প্রায় ১০০টি দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ে