Logo
শিরোনাম

লাইসেন্সবিহীন চালক প্রায় ২১ লাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

মুজাহিদ সরকার: দেশে প্রায় ২১ লাখ লাইসেন্সবিহীন চালক রয়েছেন বলে জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

সোমবার (২৮ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, সারাদেশে সব মিলিয়ে ২০ ধরনের ৫১ লাখ ১০ হাজার ৭৮৬টি সড়কযানের বিপরীতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৭০০। গত ৮ মাসে আরও দুই লাখ চালককে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই সংখ্যা হবে ৩০ লাখ ২৫ হাজার। সেই হিসেবে দেশে এখন প্রায় ২১ লাখ লাইসেন্সবিহীন চালক রয়েছেন।

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাতায়াত ও বিদ্যমান সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত ওই সভায় আশীষ কুমার দে আরও বলেন, লাগামহীন দুর্ঘটনা, নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনাসহ নানা কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই নাজুক। ঈদযাত্রা ও ফিরতিযাত্রায় দুর্ঘটনা যেমন নিত্যসঙ্গী, তেমনি এ সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যাও বেড়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের প্রত্যাশায় আমার কিছু সুপারিশ দিয়ে থাকি। এবার ঈদের আগেই আলোচনা করছি যাতে সরকার সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

আলোচনা সভায় ঈদে ঘরমুখী মানুষের যে সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয় সেগুলো হলো—সড়কে লাগামহীন দুর্ঘটনা, এক শ্রেণির যানবাহনে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ট্রাক ও পিক-আপে যাত্রী বহন, টিকিট কালোবাজারি, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াসহ বিভিন্ন ফেরিঘাটে অব্যবস্থাপনা এবং বিভিন্ন স্থানে পরিবহনে চাঁদাবাজি।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রমিক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, কেউ যদি মনে করে সড়ক দুর্ঘটনা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে, এটা অলৌকিক চিন্তা। পৃথিবীর কোনো দেশে কি একেবারেই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে না? তবে দুর্ঘটনা হ্রাস করা যেতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার কমিটি গঠন করেছে এবং সুপারিশ দিয়েছে। এ সরকারের আমলে আমার নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছিল সেখানে এক শ ১১টি সুপারিশ করা হয়েছিল। টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে সেসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে।

দুর্ঘটনায় জন্য চালক দায়ী নয় উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, যে সব দুর্ঘটনা ঘটে তার জন্য শুধুমাত্র চালককে দায়ী করা হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই চালকেরা দায়ী নয়। দুর্ঘটনা ঘটলেই পুলিশ চালকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের নামে মামলা দিচ্ছে। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, আসল কারণ দেখে দুর্ঘটনায় জন্য যে দায়ী তাকে শাস্তি দেওয়া উচিত। এমন হতে পারে দুর্ঘটনায় জন্য পথচারী, সড়ক ব্যবস্থা, বিআরটিএ, পরিবহন মালিক—যে কেউ দায়ী হতে পারে।

সড়কে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে শ্রমিক নেতা শাজাহান খান বলেন, সড়কে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ সেটি প্রায় ৮৫ ভাগ কমাতে পেরেছি। আগের মতো সড়কে শ্রমিক-মালিকদের নামে চাঁদাবাজি এখন হয় না।


আরও খবর



রাজাপুরে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, কলেজছাত্র কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুরে সহপাঠীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে কাজী ফাহাদ (১৮) নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

রবিবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা রাজাপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ ফাহাদকে গ্রেপ্তার করে।

পরে সোমবার (১০ মার্চ) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার ফাহাদ এবং ভুক্তভোগী তরুণী রাজাপুরের বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বর্তমানে ভুক্তভোগী ছাত্রী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মামলার এজাহারে ছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, সহপাঠী হওয়ার সুবাদে তার মেয়ে ও ফাহাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ফাহাদ কৌশলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এতে তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি বিস্তারিত ঘটনা জানতে পারেন এবং আইনের আশ্রয় নেন।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বিয়ের প্রলোভনে সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলার চার ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আরও খবর



বুধবার থেকে ৬৪ জেলায় ট্রাকে মিলবে টিসিবির পণ্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করতে বুধবার (৫ মার্চ) থেকে ৬৪ জেলায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

ইতোমধ্যে এ কার্যক্রম ছয় জেলায় চলমান আছে। নতুন করে ৫৬ জেলায় কার্যক্রম যুক্ত হবে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এক কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে চায় সরকার। সে ক্ষেত্রে প্রকৃত উপকারভোগী বাছাইয়ে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা রাখতে হবে। আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে সব উপকারভোগীকে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ৫৭ লাখ উপকারভোগী স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য পাবে। যাদের এখনো স্মার্টকার্ডের কার্যক্রম শেষ হয়নি, কিন্তু তালিকায় নাম আছে তারাও পণ্য পাবে। এছাড়া ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মাঝে আগামী ৫ মার্চ থেকে পণ্য বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, রমজানে কেউ যেন মজুতদারি করতে না পারে জেলা প্রশাসকদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একই সঙ্গে ভোক্তারা যেন পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে না করে সে বিষয়েও অনুপ্রাণিত করতে হবে। পুরো মাস বা সাতদিনের পণ্য একসঙ্গে কিনলে সরবারহ সংকটে কেউ কেউ দাম বাড়িয়ে নেয়।

তিনি বলেন, আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কারো প্রতি জুলুম করা হবে না, তবে কেউ জুলুম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এ সময় অন্যায় প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সর্বশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একদম প্রাথমিক ধাপ টিসিবির মতো সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপকারভোগী নির্বাচন করা। এটি নিশ্চিত করতে পারলে মানুষের মধ্যে আপনাদের (জেলা প্রশাসকদের) গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। মানুষ আপনাদের সম্মান দেবে।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান, টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক

ঈদযাত্রায় গলার কাঁটা হতে পারে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। প্রতিবছর ঈদে এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন, যা বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। যার কারণে এ মহাসড়কে যানবাহনের চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে, মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার চার লেনের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হওয়ায় গত বারের মতো এবারও ঈদযাত্রা ঘরমুখো মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

এদিকে, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে ও স্বস্তিদায়ক করতে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ও যমুনা সেতু সাইট অফিসের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঈদে মহাসড়ককে ৪টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মহাসড়কটিতে সাড়ে ৭০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশের পাশাপাশি টাঙ্গাইল শ্রমিক ফেডারেশন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে।

পরিবহন চালকরা বলছেন, ঈদ এলেই মহাসড়কে তড়িঘড়ি কাজ শুরু হয়। এতে গাড়ির গতি ঠিক থাকে না এবং দেবে যাওয়া রাস্তায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর মহাসড়কের চার লেনের কাজ শেষ হয়েছে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ৪ লেনের কাজ করছে। এর ফলে মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যমুনা সেতুতে টোল আদায়ের সফটওয়ারে সমস্যার কারণে টোল আদায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধ এবং সেতুর উপর দীর্ঘ সময় গাড়ি আটকা থাকলে যানজটের সৃষ্টি হয়। যমুনা সেতু পশ্চিম প্রান্তে সিরাজগঞ্জ অংশে যদি গাড়ি ঠিক মতো পাস না হয় তাহলে যানজটের শঙ্কা রয়েই যায়। গত কয়েক ঈদেও সিরাজগঞ্জের প্রান্তের গাড়ি ঠিক মতো পাস হওয়ার কারণে যমুনা সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকে। ফলে টাঙ্গাইলের অংশে দীর্ঘ যানজট হয়। ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর উপর দুর্ঘটনা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে ১৯টি পদক্ষেপ নিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, এলেঙ্গার পর থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গগামী লেনে পুরোদমে কাজ চলছে। বিশেষ করে ব্রিজের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।

আনালিয়াবাড়ী এলাকায় ব্রিজের কাজ করা শ্রমিক সেলিম মিয়া বলেন, ঈদের আগে ব্রিজের কাজ শেষ করার তাগিদ রয়েছে। আমরা আটজন শ্রমিক মিলে এখানে সার্বক্ষণিক কাজ করছি। আশা করছি যথা সময়ে কাজ শেষ করতে পারবো। আমরা যতটা সম্ভব দ্রুত কাজ করছি।

নীলফামারীর তয়েজ এন্টারপ্রাইজের চালক ইকবাল হোসেন বলেন, মহাসড়কে পুলিশের সঠিক তদারকি প্রয়োজন। এছাড়া এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত কাজ করছে। কাজ শেষ না হলে এবারও মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করছি। গতবছরও এ মহাসড়কে যানজট হয়েছিল। প্রতিবছরই আমাদের যানজটের কবলে পড়তে হয়।

এ প্রসঙ্গে চার লেন বাস্তবায়ন প্রকল্পের আবদুল মোনেম লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেঞ্জার রবিউল আওয়াল জানান, এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত মহাসড়কের সাড়ে ১৩ কিলোমিটারের ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে ঈদের আগেই মহাসড়কের এই অংশের উত্তরঙ্গগামী পুরো চারলেন চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘœ ও স্বস্তিদায়ক করতে ১৯টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যমুনা সেতু দিয়ে সার্বক্ষণিক টোল চালু রাখার চেষ্টা করা হবে। এবার সেতু পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে। এর মধ্যে ৪টি করে উভয় প্রান্তে ৮টি বুথে ফাস্ট ট্রাক লেন এবং মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে আলাদা ৪টি বুথ থাকবে।

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। যানজট নিরসনে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জেলা পুলিশের সাড়ে ৭’শ সদস্য দায়িত্ব পালন করাসহ মোবাইল টিম ও প্রিকেট টিম কাজ করবেন।

তিনি আরও জানান, আগামী ২৫ মার্চ থেকে পুলিশ মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। ঈদের পরেও যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আশা করেন এবার মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হবে না।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ১৪'ই মার্চ মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মিরকাদিম পৌরসভার দরগাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত সানাই কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরাম এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইফতার ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মুন্সীগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী মুশফিক শিহাবের সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়ার মাহফিলের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল (প্রকৌশলী)।

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলায় কর্তব্যরত প্রায় ৭০টি সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের প্রায় পাঁচশতাধিক নেতৃবৃন্দ।


এসময় বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটিকে  ফুল দিয়ে বরণ করেন বিডি ক্লিন বাংলাদেশ মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখা ও বিক্রমপুর রক্তদান সংস্থার সভাপতি মানবিক নেতা এড. মাহামুদ হাসান। এছাড়াও বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মাননা স্মারক দিয়ে মানবিক কাজে একাত্মতা প্রকাশ করেন স্বপ্নপূরণ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি রুবেল মাদবর

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি প্রকৌশলী সাইফুল বিন বারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ আব্দুল বারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজন হায়দার জনি, মুন্সীগঞ্জ জেলা সংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জাহাঙ্গীর ঢালী, ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক শফিউল্লাহ্ শিকদার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রদল নেতা সাইদুল ইসলাম শাওন শিকদার, মুন্সীগঞ্জ রক্তদান সংস্থার সভাপতি রায়হান রাব্বি, জাতীয় নাগরিক পার্টির গজারিয়া উপজেলার শাখার সংগঠক প্রকৌশলী নূর আলম হোসেন।

ইফতার পূর্বে মুসলিম উম্মাহ্ শান্তির কামনায় দোয়া করেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের মুন্সীগঞ্জ জেলার শাখার সভাপতি আবু সাঈদ ভূঁইয়া।

এছাড়াও অনান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরাম মুন্সীগঞ্জ জেলার শাখার সাধারন সম্পাদক ফয়সাল আহাম্মেদ পরাগ সহ কেন্দ্রীয় ও তৃনমূল কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।


আরও খবর



৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বললেন, ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের মামলার বিচার সম্পন্ন করতে হবে।

রোববার (৯ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এটি করতে হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা মাগুরায় আছিয়ার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকার নারী নির্যাতন আইন পরিবর্তন করছে। গত কয়েকদিনে যেসব মব জাস্টিস এবং মোরাল পুলিশিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সব ঘটনা সরকারের পর্যবেক্ষণে আছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, কোনো অপরাধী বিচারের বাইরে থাকবে না।

উপদেষ্টা আরও বলেন, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দমনে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সব ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি কল্পে মামলাগুলো নিয়মিত পর্যালোচনায় আনছে। রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করতে পুলিশ দ্রুত আলাদা হটলাইন চালু করবে।


আরও খবর