Logo
শিরোনাম

মা-বাবা-বোন মারা গেলেও বেঁচে আছে সেই শিশুটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির সামনের সড়কে জমে থাকা পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিবারের সবাই প্রাণ হারালেও বেঁচে গেছে হোসাইন নামে সাত মাসের শিশু।

এদিন রাতে ওই রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন মিজান (৩০) ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫)। সঙ্গে ছিল মেয়ে লিমা (৭) ও ছেলে হোসাইন। হঠাৎ করে তারা পড়ে গেলে তাদের তুলতে এগিয়ে আসেন অনিক নামে একজন অটোরিকশাচালক। হোসাইনকে তিনি পানি থেকে তুলে দিতে পারলেও লিমাকে তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারও মৃত্যু হয়।

এদিকে মর্মান্তিক ঘটনায় সাত মাসের শিশু হোসাইনের বাবা, মা, বোন ও তাকে বাঁচাতে আসা অনিক নিহত হয়। স্থানীয়রা বলছেন, অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় শিশু হোসাইন। মায়ের কোলে থেকে ছিটকে পড়ে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় শিশু হোসাইন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশু হোসাইনকে নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় আসেন আমেনা বেগম নামে এক নারী। সেখানে একটি গণমাধ্যমকে শিশু হোসাইনের বেঁচে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা করেন তিনি।

আমেনা বেগম বলেন, হোসাইনের মা যখন পানিতে পড়ে যায় তখন, হোসাইন মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে যায় পানিতে। এ সময় অনিক সঙ্গে সঙ্গে এসে হোসাইনকে পানি থেকে তুলে আমার কোলে দেয়। পরে আমি তাকে আমার বাসায় নিয়ে প্রথমে শরীরে গরম তেল দেই। এরপর তাকে নিয়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে হোসাইনকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। রাতে তাকে সেখানে নেওয়া হয়।

চিকিৎসক জানায়, হোসাইন এখন সুস্থ। পরে আমি জানতে পারি হোসাইনের দাদা ও নানা মিরপুর মডেল থানায় আছে, তখন আমি এখানে আসি।

মিজানের স্বজন ও স্থানীয়দের সূত্র জানায়, মিজানের গ্রামের বাড়ি বরিশালের ঝালকাঠিতে। গত কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। মিরপুর এলাকায় ভাসমান দোকানে শরবত বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন মিজান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঝিলপাড় বস্তিতে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে তাদের মৃত্যু হয়।


আরও খবর

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫




ত্বক ভালো রাখতে ঘুমানোর আগে কী কী করবেন?

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং বাতাস আপনার ত্বকে বিশেষ করে কঠোর হতে পারে। শীতের এই সময়ে আপনার ত্বককে নরম এবং কোমল রাখার জন্য এখানে কিছু সহজ টিপস রয়েছে। বিউটি এক্সপার্টরা বলছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করলেই উপকার মিলবে ত্বকের। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই পাঁচ মিনিটে কী কী করবেন?

প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

তারপর ত্বকের ধরন বুঝে মেখে ফেলুন টোনার।

ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং, অর্থাৎ সিটিএম-এর নিয়ম মেনে সবশেষে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হয়। রূপচর্চা শিল্পীরা বলেছেন, এই পর্যায়ে ময়েশ্চারাইজারের বদলে মাখতে পারেন নারকেল তেল।

নারকেল তেল দিয়ে মিনিট দুয়েক মুখে ম্যাসাজ করুন। ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তাহলে সারারাত ওইভাবে মুখে তেল রেখে দিতে পারেন।

ত্বক তৈলাক্ত ভাব হলে ম্যাসাজ করার পর ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন।

নারকেল তেলের মধ্যে কী এমন আছে?

নারকেল তেল সাধারণত চুলেই মাখা হয়। তবে এর মধ্যে যে পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ফলে বলিরেখা তো পড়েই না, উল্টে মুখের টান টান ভাব বজায় থাকে। এ ছাড়া ত্বকের প্রয়োজনীয় নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে নারকেল তেলে। এগুলো নিষ্প্রাণ ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে দিতে পারে।

মুখে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে কী হবে?

ত্বকের জেল্লা বজায় রাখবে নারকেল তেল। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সঠিক পদ্ধতিতে মুখে এই তেল ম্যাসাজ করতে পারলে জেল্লা বৃদ্ধি পাবে। লিম্ফ্যাটিক নিষ্কাশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুখের জমে থাকা ফ্লুইড বের করে দেওয়া যায়।

যেহেতু নারকেল তেলে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। ত্বকের যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি পূরণ হয় রাতে। তাই হালকা গরম তেল মুখে ম্যাসাজ করলে উপকার মিলবে।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে নারকেল তেলে, যার মাধ্যমে ত্বকে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায়। ওপেন পোরসের সমস্যাও ধীরে ধীরে কমে আসে।


আরও খবর



ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ওএসডি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) করা হয়েছে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলামকে। একই আদেশে দেশের আরো ২৮ জন সিভিল সার্জনকে ওএসডি করা হয়েছে।

রোববার (২ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সনজীদা শরমিন এতে স্বাক্ষর করেছেন।

ঝালকাঠিতে ২১ তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঝালকাঠি ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে তত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

এদিকে,  ওএসডি করা ২৯ সিভিল সার্জনকে আগামী ৬ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ মান্য না করলে ৯ মার্চ তারা স্টান্ডরিলিজ হয়ে যাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন জেদনী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আত্মপ্রকাশের একদিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সংগঠক শ্যামলী সুলতানা জেদনী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে এ তথ্য জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে জেদনী বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির ‘সংগঠক’ পদ থেকে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে পদত্যাগ করলাম।

তিনি আরো বলেন, ‘গত ৭/৮ মাস ছিল আমার জীবনের অন্যতম অভিজ্ঞতার সময়। পুরো সময়জুড়ে অনেক কিছু বুঝেছি, জেনেছি, শিখেছি। নানা রকম চিন্তাভাবনার মানুষের সঙ্গে মিশতে পারা এবং তাদের সঙ্গে গল্প করতে পারা নিঃসন্দেহে আমার জীবনের অন্যতম অধ্যায়। জুলাই/আগস্টের পর আর সবার মতো আমার মনেও নানা আশা-আকাঙ্ক্ষার উদয় হয়েছে যার পুরোটা জুড়ে ছিল দেশের মানুষের জন্য কিছু করা এবং গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তন। কাজেই গণঅভ্যূত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে এর ভীতকে মজবুত করার জন্য দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছি। যখন মনে হয়েছে, হাতে সময় কম তবে কাজ অনেক; ঠিক তখনই সেমিস্টার ড্রপ দিয়ে এই জায়গাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। চলমান সেমিস্টারেও বেশিরভাগ ক্লাস করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে বিশেষ কারণে সবকিছু থেকে আজ ইস্তফা দিতে হচ্ছে।’

গত ৬ মাসে বোধহয় ১২০ দিনও বাসায় থাকতে পারিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মায়ের হাতের রান্না খেতে পারিনি। কারণ দেশের নানা প্রান্তের মানুষকে পড়ার জন্য, বোঝার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছি। আমাদের সমাজে মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন এখনও আসেনি। কাজেই যখন রাত ২/৩টায় বাসায় ফিরতাম, গলির মোড়ের দোকানদার থেকে শুরু করে অনেকে আড়চোখে তাকাতো। এইসব উপেক্ষা করে চলার দারুণ ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা অবশ্য আমাকে দিয়েছে। পড়াশোনা/নিজের শখ/যত্ন বিসর্জন দেওয়া বা কারো কোনো ভাবনা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই কিংবা কোনো অনুশোচনা কাজ করছে না। তবে আজ খারাপ লাগছে এই ভেবে যে, গত ৬ মাস আমার মাকে আমি ঠিকঠাক সময় দিতে পারি নি বরং বেশিরভাগ সময় উপেক্ষা করে গেছি।’

জেদনী বলেন, ‘আমার এইটুকু জার্নিতে আমার মা সবচেয়ে বেশি সাপোর্টিভ ছিল, কি কি করেছে আমার জন্য সেগুলো বলা এখানে মুখ্য বিষয়ও নয় অবশ্য। সবকিছু বাদ দিয়ে এই জায়গাকে আপন করে নেওয়ার ফলে যা কিছু হারিয়েছি, তা নিয়ে মা মাঝেমধ্যে বকা দিলেও আজ যখন আমি এখান থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি; ঠিক তখনই আমার মায়ের চোখেও পানি দেখেছি!’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জন্য শুভকামনা রইল। ৫৪ বছরের কুৎসিত ছাত্র রাজনীতির অবসান এই প্লাটফর্মের হাত ধরে হোক, এই প্রত্যাশা! আপনারা সুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা করুন, স্বজনপ্রীতির অবসান ঘটিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করার দিকে অগ্রসর হোন। যোগ্য নেতৃত্বকে প্রাধান্য দেয়া এবং মানুষকে মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠুন, মানুষের অধিকারের কথা বলুন।’

তিনি বলেন, ‘যাদের সঙ্গে এতদিন কাজ করেছি কিংবা গল্প করেছি, তাদের জন্যও শুভকামনা রইল। আপনারা এগিয়ে যান, সাংগঠনিকভাবে আপনাদের সঙ্গে না থাকলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রতিবাদে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব, অনিয়মের বিরুদ্ধে আমার লড়াই আজীবন চলবে। আজকের সিদ্ধান্ত আমার জীবনের অন্যতম কঠিন এবং কষ্টের সিদ্ধান্ত। তবে আবুল মনসুর আহমেদের একটা লাইনকে আমি ধারণ করি বলি- এখানে থাকা আমার পক্ষে আর সম্ভব হয়ে উঠছে না।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশীদ পদত্যাগ করেন। ইতোমধ্যে তিনি পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছেন।


আরও খবর



নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণসহ ১০ বিষয়ে ইশতেহার ঘোষণা এনপিসির

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতের মধ্য দিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর পরদিন ১ মার্চ গভীর রাতে ২১৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে দলটির দর্শন, ইশতেহার, গঠনতন্ত্র সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা পাওয়া যায়নি। শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, চলতি মাসের মধ্যেই সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।

এনসিপি সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে নতুন দেশ গড়তে মোটাদাগে ১০ বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে। যেখানে থাকবে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিকভাবে দেশকে তারা কীভাবে গড়ে তুলতে চান, সেসব বিষয়। থাকবে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের পথরেখা। পারিবারিক পরিচয় নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে যেন তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে উঠে আসতে পারে—এমন বিষয় প্রাধান্য পাবে দলের গঠনতন্ত্রে। এনসিপির ইশতেহারে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে সেকেন্ড রিপাবলিক, গণপরিষদ নির্বাচন এবং নতুন সংবিধানকে। সেকেন্ডে রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা ও গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সংবিধান রচনার সংকল্প তুলে ধরবেন তারা। যেটি তাদের ঘোষণাপত্রেও উল্লেখ করতে দেখা যায়। এ ছাড়া পরিবারতন্ত্রের অবসান, সিন্ডিকেট ও গোষ্ঠীস্বার্থ নির্মূল, ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্নির্মাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতি, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, জাতীয় অর্থনীতির পুনর্গঠন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় অন্তর্ভুক্তি করাকে প্রাধান্য দিচ্ছে দলটি।

এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল, তা আসলে প্রথম ব্যর্থ হয়েছে মুজিববাদী সংবিধানের মাধ্যমে। তাই সেকেন্ড রিপাবলিক গঠনের মাধ্যমে মুজিববাদী সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে ব্যক্তিতান্ত্রিক ও পরিবারতন্ত্রবিহীন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির জন্যে কাজ করবে এনসিপি।

তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধান এবং রাষ্ট্রব্যবস্থাতে সংবিধানে যেভাবে এক ব্যক্তির কাছে সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকে তাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও হয় একক ব্যক্তির দাস। যেভাবে মুজিব পরিবারকে দেবতার আসনে বসানো হয়েছিল, ভবিষ্যতেও যেন এরকম কোনো কাল্ট গড়ে না ওঠে এবং প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র গড়ে ওঠে, সে লক্ষ্যে এনসিপির অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে।

পরিবারতন্ত্র বিলোপের কথা জানিয়ে এনসিপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, পরিবারতন্ত্র ও গোষ্ঠীতন্ত্রের মাধ্যমে যে ফ্যাসিবাদ তা পূর্ণাঙ্গ বিলোপের লক্ষ্যে প্রচেষ্টার পাশাপাশি একুশ শতকের সময়োপযোগী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গুরুত্বারোপের মাধ্যমে আধুনিক জাতি গঠনের লড়াইয়ে এনসিপি থাকবে। বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতি, পাশাপাশি বহিঃশত্রুর মোকাবিলায় নিজস্ব প্রতিরক্ষার ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার লিডিংয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়া হবে অন্যতম প্রধান কাজ। বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তথা পাহাড়ি, তপশিলি এবং চা বাগান শ্রমিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করবে এনসিপি।

আরেক যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে (ইমিডিয়েট) ১০টি লক্ষ্য ঠিক করেছি। গত সাত মাসের কার্যকলাপে আমরা দেখেছি এখানে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিদ্যমান যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, এগুলো অটুট রেখে আমরা বড় ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাব না। এরই প্রেক্ষাপটে আমাদের রাজনৈতিক দল তৈরি করা। এখন আমাদের প্রধান কাজ হলো গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান রচনা করা। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সেটি আছে। এ ছাড়া স্বাভাবিকভাবে আমরা পরিবারতন্ত্রের অবসান চাই। স্বাধীনতার পর থেকেই এই দেশ একটি গোষ্ঠীর কাছে বন্দি হয়ে আছে। তারাই পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। আমরা এর পরিবর্তন চাই। এ ছাড়া বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্নির্মাণ করাই আমাদের লক্ষ্য।

এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া বলেন, আমরা কেন বলছি নতুন সংবিধান প্রয়োজন এবং তার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন। বিএনপির ক্ষেত্রে যদি দেখেন তারা সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রায় ৬২ জায়গায় সংস্কার চায়। সংবিধানে আছেই ১৫৪টি আর্টিকেল, তার মধ্যে তারা ৬২ জায়গায় সংস্কার চায়। তার মানে বিএনপিও চায় সংবিধানের বড় একটি অংশ পরিবর্তন হোক। জামায়াতও ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় সংবিধান সংস্কার চায়। জাতীয় নাগরিক কমিটির যে সংবিধান প্রস্তাবনা দিয়েছে, সেখানে তারা ৭০ জায়গায় সংস্কার চেয়েছে। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনগুলো বিদ্যমান সংবিধানের কোনো একটি ধারার সংশোধন চায় না, তারা বৃহৎ পরিবর্তন চায়। তাই আমরা বলছি এই পরিবর্তন যেহেতু পার্লামেন্ট করতে পারে না, যে কারণে পার্লামেন্টের সদস্যরাই প্রথম একটা নির্দিষ্ট সময় তারা গণপরিষদ হিসেবে কাজ করবে এবং সংবিধানটা প্রণয়ন করবে।

নতুন সংবিধানের কথা উল্লেখ করে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা বিশ্বাস করি, নতুন একটি সংবিধানের বাস্তবতা রয়েছে। এর ভিত্তিতে আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি। একই সঙ্গে সেই গণপরিষদ নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তারা সংসদ সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন এমন প্রস্তাবও আমাদের আছে।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বারবার দীর্ঘায়িত করা হয়েছে জানিয়ে এমসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পুরোনো সংবিধান এবং পুরোনো শাসনকাঠামো রেখে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। কেবল সরকার পরিবর্তন করেই জনগণের কল্যাণ ও প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা বলছি, চব্বিশের যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে—তাতে কেবল সরকার পরিবর্তন নয়, বরং শাসনকাঠামো ও সাংবিধানিক পরিবর্তন করে নতুন একটি বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই, যেখানে প্রকৃত গণতন্ত্র, ইনসাফ ও সাম্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।


আরও খবর



মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার বিচার হবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেছেন। এছাড়া অপরাধের সাথে জড়িত হাসিনার পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদেরও বিচার হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

মূলত হাসিনা সরকারপ্রধান থাকাকালীন জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদারকি করার পাশাপাশি গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন। বুধবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি।

স্কাই নিউজের সাথে কথা বলার সময় প্রফেসর ইউনূস বলেছেন: “বিচার হবে। শুধু তার (হাসিনা) নয়, তার সাথে জড়িত সকল লোক — তার পরিবারের সদস্য, তার ক্লায়েন্ট বা সহযোগীদেরও।”

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি ভারতেই নির্বাসনে রয়েছেন। নাটকীয় এই পটপরিবর্তনের পর একে একে বের হয়ে আসছে সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ নানা চিত্র।

হাসিনার বিরুদ্ধে গোপন আটক কেন্দ্রগুলোর একটি নেটওয়ার্কের তদারকি করার অভিযোগ রয়েছে। এসব গোপন আটক কেন্দ্রে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো, নির্যাতনও করা হতো এবং কয়েকজনকে হত্যাও করা হয়েছিল — আর এই সবই করা হয়েছিল “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের” ব্যানারে।

মানবতাবিরোধী অপরাধ ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশ। অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, (হাসিনাকে ফেরত চেয়ে) তারা “আনুষ্ঠানিক চিঠি” পাঠিয়েছেন কিন্তু নয়াদিল্লি থেকে এখনও “কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া” পাওয়া যায়নি।

তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেছেন, হাসিনা অবশ্যই আদালতের মুখোমুখি হবেন, আর সেটা সশরীরে বাংলাদেশে উপস্থিত থেকে হোক বা অনুপস্থিতিতে, ভারতে থেকেই হোক।

প্রফেসর ইউনূস সম্প্রতি “হাউস অব মিররস: বা আযনাঘর নামে পরিচিত একটি কুখ্যাত গোপন কারাগার পরিদর্শন করেছেন। “দরিদ্রের ব্যাংকার” হিসেবে পরিচিত অর্থনীতির এই অধ্যাপক বলেছেন, সেখানে তিনি যা দেখেছেন তাতে তিনি হতবাক।

ড. ইউনূস বলেন, এটিই সবচেয়ে কুৎসিত জিনিস যা আপনি দেখতে পারেন, আপনি অনুভব করতে পারেন বা আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

হাসিনার বিরুদ্ধে তার নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশকে ব্যবহার করে শত শত নেতাকর্মীকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার তদারকি করার অভিযোগ রয়েছে। হাসিনা, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং প্রায় ৮০০ গোপন কারাগারের নেটওয়ার্ক তদারকি করার দায়ে অভিযুক্তদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অভিযুক্ত অপরাধের সাথে জড়িত লোকের সংখ্যা এবং পরিসর (বেশি হওয়ায়) কাজ করতে “সময় লাগছে”। তিনি বলেন, সবাই এই অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। পুরো সরকার এর সাথে জড়িত ছিল। সুতরাং এটা বের করা কঠিন যে— কারা সত্যিই এবং উৎসাহের সাথে এই অপরাধগুলো করছিল, আর কারা উচ্চপদস্থদের আদেশের অধীনে এসব কাজ করেছিল এবং কারা পুরোপুরি এসব অপরাধের সমর্থনকারী না হলেও এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছিল।

হাসিনা, নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশকে গত বছরের জুলাই এবং আগস্টে বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমন-পীড়নের জন্যও অভিযুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘ অনুমান করছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনগুলোতে প্রায় সরকারের সহিংস দমন-পীড়নে ১৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন।

প্রফেসর ইউনূস ভুক্তভোগীদের পরিবার কত দ্রুত ন্যায়বিচার দেখতে পাবে এবং তার চোখের সামনে সেই বিচার হবে কিনা তা নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করে চলেছেন। এমন অবস্থায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে নতুন নির্বাচন হতে পারে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কিছু অপরাধী শাস্তি পাবে, কিছু তখনও প্রক্রিয়াধীন থাকবে, কিছু তখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও দেশ ছেড়ে পলায়নের পর তার পরিবারের সদস্যসহ অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ বের হয়ে আসছে এবং দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত চলছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে তাদের একজন ব্রিটিশ লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি শেখ হাসিনার ভাগ্নী।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলাটি খুবই গুরুতর। দেশে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এবং সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে।

মূলত বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে নাম আসার পর গত জানুয়ারি মাসে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

এছাড়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমন অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই দেশটির দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধির পর মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু মুসলিমদের সংখ্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য তারা এখন একটি “নিরাপদ অঞ্চলের” সম্ভাবনা নিয়ে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে আলোচনা করছেন।

তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজারে বড় সমস্যার কথাও স্বীকার করেছেন। এখানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির রয়েছে এবং সেখানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা আনুমানিক ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে এবং সহিংসতা, মাদক এবং আধাসামরিক কার্যকলাপ ব্যাপকভাবে ছড়িযে পড়েছে। প্রফেসর ইউনূস বলেন, এই উত্তেজনা “হারিয়ে যাবে না।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫