Logo
শিরোনাম

মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থান আইন সংশোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :মালয়েশিয়া এমপ্লয়মেন্ট (কর্মসংস্থান) আইন সংশোধন করেছে। যা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনের ৬০ ধারা সংশোধন করে লেবারের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছ থেকে পূর্বানুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এজন্য নিয়োগকর্তা বা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু বাধ্যতামূলক শর্ত রয়েছে; যেমন—এমপ্লয়মেন্ট আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো ইস্যু পেন্ডিং থাকা যাবে না; এমপ্লয়মেন্ট আইনের অধীনে প্রদত্ত কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ বা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা; সকসো, মিনিমাম বেতন এবং মিনিমাম আবাসনের শর্ত প্রতিপালন না করার কারণে নিয়োগ কর্তাকে কোনো দণ্ড আরোপ করলে এবং সে মোতাবেক অবস্থার উন্নয়ন না করলে; মানবপাচার ও জবরদস্তিমূলক শ্রমের জন্য নিয়োগকর্তা শাস্তি পেলে নিয়োগের অনুমতি পাবে না।

বর্তমান আইন অনুযায়ী বিদেশিকর্মী নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিয়োগকর্তাদের এবং অবশ্যই কোন পদে বা কোন কাজের জন্য নিয়োগ করবে তা স্পষ্ট উল্লেখ করা; কর্মরত স্থানীয় কর্মীর সংখ্যা; কর্মরত বিদেশি কর্মীর সংখ্যা, কোম্পানির নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, কোম্পানির ঠিকানা ও অবস্থান; কোম্পানির যোগাযোগের তথ্যাদি; সেক্টর; কোম্পানি বা ব্যবসা শুরুর তারিখ; কোম্পানির বর্তমান অবস্থা; সকসো নম্বর তথ্য দিতে হবে।

জি-টু-জি প্লাসের নিয়োগের সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম উইং ডিমান্ড এটেস্টেশন করার পূর্বে সরেজমিন নিয়োগকর্তা বা কোম্পানির উপযুক্ততা নির্ণয়ের জন্য যেসব বিষয়াদি যাচাই করেছিল ঠিক সে বিষয়গুলো মালয়েশিয়া সংশোধিত এমপ্লয়মেন্ট আইনের অধীনে এনেছে।

হাইকমিশনের শক্ত অবস্থানের কারণে জি-টু-জি প্লাসের সময় তুলনামূলক ভালো এবং শতভাগ কর্মসংস্থান হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মালয়েশিয়ার সংসদেও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। সিন্ডিকেট এবং অতিরিক্ত অভিবাসন খরচের ইস্যুর ভিড়ে ভালো কর্মসংস্থানের ইস্যুটি চাপা রয়ে গেছে।

এমন কি কোম্পানির পরিচালকের সাক্ষাৎ এবং লিখিত ঘোষণাও নিয়েছিল যেন বাংলাদেশি কর্মীরা ভালো থাকে। উপযুক্ততা না থাকায় অনেক কোম্পানির এটেস্টেশন করেনি এবং পদ্ধতি অনুসরণ না করায় মালয়েশিয়ার বিমান বন্দরে আগত কর্মীকে নিয়োগকর্তা নিজ খরচে ফেরত পাঠিয়ে এবং পুনরায় যথা নিয়মে মালয়েশিয়ায় আনয়ন করেছিল।

সে সময়ের লেবার কাউন্সিলর সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের কর্মীদের যৌক্তিক এবং নিরাপদ মাইগ্রেশন অর্থাৎ সঠিক কোম্পানিতে কাজ পাওয়া এবং ভালোভাবে থাকার বিষয়টি ছিল চ্যালেঞ্জের এবং অত্যাধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল। ফলে অনেক চাপ ও বিরোধিতা এবং নেতিবাচক প্রপাগান্ডা সত্ত্বেও আমরা নিয়োগকর্তার ও কোম্পানির অবস্থা যাচাই না করে এটেস্টেশন করিনি। এতে দীর্ঘদিনের কাজ না পাওয়া, অমানবিক অবস্থার শিকার হওয়ার যে দুর্নাম ছিল সেখান থেকে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব হয়েছে।

করোনার আগে মালয়েশিয়ায় আগমনে বিদেশি কর্মীদের উচ্চ অভিবাসন খরচ এবং কর্মীদের মানহীন আবাসনের কারণে আমেরিকা ও ইউরোপ মালয়েশিয়ায় উৎপাদিত পণ্য গ্রহণ না করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

আন্তর্জাতিকভাবে এ দুটিকে মানবপাচার এবং জবরদস্তিমূলক শ্রম অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ দুটি অভিযোগ মালয়েশিয়ার উন্নত দেশের স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য মালয়েশিয়া সরকার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং দেশীয় এনজিওদের সঙ্গে কাজ করছে।

এরই মধ্যে মালয়েশিয়া সরকার আইএলও কনভেনশনে সই করেছে। বর্তমান সরকার বিদেশি কর্মী নিয়োজন প্রক্রিয়া বেশি সহজ ও সংক্ষিপ্ত করার কাজ করছে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় গৃহবধূর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একটি চাউল কল (ধান চাতালের) ঘর থেকে লাইলী বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূ (নারী শ্রমিকের) গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূ লাইলী বেগম এর স্বামী আমজাদ হোসেন পলাতক রয়েছে। নিহত গৃহবধূ লাইলী বেগম নওগাঁর মান্দা উপজেলার কসব ( শিয়াটা) গ্রামের মৃত মজিবর রহমান প্রাং এর মেয়ে।

লাইলী বেগম এর বড় ভাই আঃ সামাদ ও সম্পর্কে মামা মোকছেদ আলী সরকার জানান, লাইলী প্রথম পক্ষের স্বামীর সাথে ঘর সংসার করাকালে তাদের এক মেয়ে সন্তান হয়। এরিমাঝে লাইলী বেগম এর প্রথম স্বামী মারা যায় এবং লাইলী বেগম এর মেয়েকে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলাতে বিয়ে দেওয়া হয়। বছর ৩-৪ পূর্বে লাইলী বেগম জানান, সে আমজাদ হোসেন নামে এক জনকে বিয়ে করেছেন।  বিয়ের পরই তারা স্বামী-স্ত্রী ধান-চাতালে কাজ করতেন। আজ রবিবার ৩ ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে জানানো হয়, লাইলী কে হত্যা করা হয়েছে, এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। এসেই শুনি লাইলীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।

অপরদিকে স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত লাইলী বেগম মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার চকগৌরী ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার মের্সাস উজ্জল চাউল কল এর ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী আঃ রহমান এর ধান চাতালে শ্রমিকের কাজ করতেন। কাজ করাকালে মাঝের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রী'র মাঝে বিবাদ হতো। এরিমাঝে শনিবার ২ ডিসেম্বর দিনগত রাতে অপর নারী-পুরুষ শ্রমিকের মতো তারা স্বামী-স্ত্রীও রাতের খাবার খেয়ে তাদের ঘরে ঘুমাতে যায়। রবিবার সকালে বেলা হওয়ার পরও তারা স্বামী-স্ত্রী কেউ ঘর থেকে বের না হওয়ায় এবং বাহির থেকে ঘরের দরজায় তালা ঝুলানো অবস্থায় দেখে অপর নারী শ্রমিকদের মাঝে

সন্দেহ দেখা দেয় এবং প্রথমে ঘরের ভেতর গলাকাটা অবস্থায় লাইলী বেগম কে দু'জন নারী শ্রমিক দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দেয়। মহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হলে শত শত লোকজন এক নজর দেখার জন্য ঘটনাস্থলে ভীড় জমান। এক পর্যায়ে স্থানিয়রা ঘটনাটি নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ কে জানালে সাথে সাথে 

নওহাটা ফাঁড়ি পুলিশের এসআই  জিয়াউর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে পৌছান এবং ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানান। খবর পেয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন এবং ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে পৌছানোর পর প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে রবিবার দুপুর দেরটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন পুলিশ।

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা হয় এবং ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য, নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তিনি স্থানিয়দের বরাত দিয়ে বলেন,

প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রী'র মাঝে বিবাদ (দ্বন্দ্বের) কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার পর থেকে লাইলী বেগম এর স্বামী আমজাদ হোসেন পলাতক রয়েছেন। তবে পুলিশ তৎপর রয়েছে, পলাতক স্বামী আমজাদ হোসেনকে  পেলে এহত্যা কাণ্ডের মূল রহস্য জানা যাবে। সংবাদ সংগ্রহকালে রবিবার বিকেল সারে ৪টা পর্যন্ত এবিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে টেলিটকের কারিগরি সহায়তায় ডিজিটাল অনলাইন লটারির মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। বোতাম টিপে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই ফল প্রকাশ করেন।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম হাবিবুর রহমানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, টেলিটক ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফলাফল ওয়েবসাইট এবং টেলিটক মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এসএসএসের মাধ্যমে জানার জন্য মোবাইলে GSA লিখে স্পেস দিয়ে Result লিখে স্পেস দিয়ে User ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে।

জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৬৫৮টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৮৮ টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয় গত ২৪ অক্টোবর। এই প্রক্রিয়া চলমান ছিল ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

এ প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী ৩ হাজার ৮৪৬ টি বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৯ টি শূন্য আসনের চাহিদা পাওয়া যায়। শূন্য আসনের বিপরীতে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২ টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বন্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

প্রসঙ্গত, লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা, পোষ্য কোটা, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সকল কোটা বিবেচনা করা হয়েছে।

শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়।

মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর সরাসরি তত্বাবধানে উক্ত ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রমে শতভাগ সঠিকতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

 


আরও খবর



মাভাবিপ্রবির ৫টি বহুতল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি ) নবনির্মিত পাঁচটি বহুতল ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নবনির্মিত ভবন গুলোর উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় মাভাবিপ্রবি থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ। উদ্বোধনকৃত ভবনে গুলোর মধ্যে রয়েছে, ১২ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, ১০ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, ৬ তলা বিশিষ্ট শেখ রাসেল হল, ৫ তলা বিশিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা কোয়ার্টার।

২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর ৩৪৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শক্তিশালীকরণ মেগা প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।

১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৯ সালে আবারও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়।


আরও খবর



বাদ পড়লেন আ.লীগের শতাধিক এমপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দলের বর্তমান সংসদ সদস্যদের (এমপি) মধ্যে অনেকেই বাদ পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতার ফলে কিছু আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের বাদ পড়তে হবে।

২৩ নভেম্বর থেকে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়েছে। সংসদীয় বোর্ডের এই সভায় দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, দলের মধ্যে এমন আলোচনা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন না দলের নেতাদের অনেকেই।

তাদের মতে, আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে মনোনয়নে একটা বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা ছিল। বিএনপির নির্বাচনে আাসার সম্ভাবনা এখন আর নেই। কিন্তু তারপরও যে দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে, সে সব দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার একটা বিষয় রয়েছে। এর পাশাপাশি অতি বিতর্কিত কিছু এমপি বাদ পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপিসহ কিছু দল নির্বাচনে না আসায় ২০১৮ সালের তুলনায় এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জোট বা জোটের বাইরে থাকা দলগুলোর জন্য একটু বেশি আসন ছাড় দিতে হবে। কারণ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে কিছু দল ও জোটকে নির্বাচনে আনার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এই দলগুলোকে কিছু আসন ছাড় দিতে হবে। এই সব দলের সাংগঠনিক অবস্থা বিবেচনায় আওয়ামী লীগের দুর্বল প্রার্থীর সঙ্গেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।

আর তাছাড়া আসন সমঝোতার নিশ্চয়তার ভিত্তিতেই এই দলগুলো নির্বাচনে আসবে। এতে এমন কিছু আসনে ছাড় দিতে হবে, যেখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগেরই এমপি আছেন। বর্তমানে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির যে আসনগুলোতে এমপি রয়েছে, গত নির্বাচনের মতো এবারও ওই আসনগুলোতে ছাড় দিতে হবে। এর বাইরে আরও কিছু আসন তারা দাবি করতে পারে। অর্থাৎ নতুন করে জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোকে যে সব আসন ছাড়তে হবে সেগুলোতে বর্তমানে আওয়ামী লীগেরই এমপি রয়েছেন। এর ফলে দলের কিছু এমপি মনোনয়ন থেকে বাদ পড়বেন।

এছাড়া কিছু আসনে এমনিতেই দলীয় প্রর্থীর পরিবর্তন আসতে পারে। গত ৫ বছরে যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন, যা দল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোত দলের সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন, জনপ্রিয়তা হারিয়েছেনএরকম কিছু এমপি এবার মনোনয়ন পাবেন না। তবে সেই সংখ্যাটা খুব বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৪০টির মতো আসন হতে পারে, যেখান থেকে বর্তমান এমপিরা বাদ পড়বেন। তবে দলীয় মনোনয়ন ৩০০ আসনেই চূড়ান্ত করা হবে। এর পর জোট ও জোটের বাইরের দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দলের প্রার্থীদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হবে যাতে সমঝোতা হলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে কোনো জটিলতা তৈরি না হয়।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৩৩৬২টি। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে প্রতিটিতে গড়ে ১১ জন করে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে দলীয় প্রার্থী মনোয়নের কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মোট্ট ৭২টি আসনেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আগামী ২৫ নভেম্বর ৩০০ আসনেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর তালিকা ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানান।

তবে বাদ পড়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের ইঙ্গিত দিলেও কত জন বাদ পড়েছেন, সেটা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, কয়জন বাদ পড়ছেন এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না, তবে বাদ পড়েছেন।

এ অবস্থায় কত আসনে পরিবর্তন এসেছে, কারা বাদ পড়েছেন বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সংসদীয় বোর্ডের একজন সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা বলতে চাননি। তিনি বলেন, আমাদের এ বিষয়ে কথা বলা নিষেধ। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাই আমি কিছু বলতে পারছি না।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




শেখ মুনিরকেখুলনা-৪ আসনে মনোনয়ন দেয়ার দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

 নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিশিষ্ট প্রকৌশলী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সমাজ সেবক শেখ মুনির আহমেদ কে খুলনা ৪ আসনে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। এই দাবিতে সভা সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমসম্পক, সাবেক দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ নজির আহমেদ এর পুত্র,  কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার শিলার ছোট ভাই  ও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেলের পরিচালক শেখ মুনির আহমেদ। তিনি দিঘলিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আলহাজ্ব সারোয়ার খান কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।

শেখ মুনির আহমেদ একজন সৎ, পরোপকারী ও প্রচার বিমুখ মানুষ। তাই এলাকার সুশীল সমাজের দাবি খুলনা ৪ আসনে শেখ মুনির  আহমেদ কে মনোনয়ন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার সুযোগ দেয়া হোক।


আরও খবর