Logo
শিরোনাম

মানিকগঞ্জে বিসিএস ক্যাডার হলেন আপন দুই বোন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার)

মানিকগঞ্জে আপন দুই বোন বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।তাদের বাড়ি সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে।আশা মনি ও উম্মে সুলতানা উষা ওই গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন-রহিমা আক্তার দম্পত্তির কন্যা।এক সঙ্গে দুই বোন বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় পরিবারে খুশির জোয়ার বইছে।খুশি এলাকাবাসীও।

৪১ তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশ হয়।দুই বোন শিক্ষা ক্যাডারের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

পরিবারিক সূত্রে জানাগেছে,বড় আশা মনি ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি অধ্যায় শেষ করে উপজেলার জয়মন্টপ উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এর পর সাভার রেডিও কলোনী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৮ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১০ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৯০ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন।

এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ১৮তম ব্যাচের ছাত্রী হিসেবে সম্মান ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। বতর্মানে তিনি কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

অপর বোন উম্মে সুলতানা ঊষা জায়গীর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি অধ্যায় শেষ করেন।এর পর ২০১১ সালে সাভার রেডিও কলোনি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৫০ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৩ সাল সাভার মডেল কলেজে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেন। সবশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ছাত্রী হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন।

তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় দুই বোন আশামনি ও উম্মে সুলতানা উষা জানান, বিসিএস তাদের একটি স্বপ্ন ছিলো।সেই স্বপ্ন পুরণ হওয়ায় তারা অনেক খুশি।ভবিষৎতে মা-বাবার সম্মান যাতে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন এজন্য সবার নিটক দেয়া চেয়েছেন।

বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা রহিমা আক্তার বলেন,‘আমাদের সন্তানরা আল্লাহর রহমতে আমাদেরসহ আত্মীয়স্বজন ও এলাকার মুখ উজ্জ্বল করেছে।ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সবার নিকট দোয়া কামনা করছি।


আরও খবর



দর্শক সিনেমা হলে যাবে এটাই হবে উপহার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সিয়াম আহমেদ। বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক। গতকাল ছিল তার জন্মদিন। আবার সামনে ঈদ। এই ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা জংলি। তাই তিনি জন্মদিন উদযাপন করবেন একবারে ঈদে! আর দর্শক-ভক্তদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে চান- হলে গিয়ে ঈদের সিনেমাগুলো দেখা। সিয়াম বলেন, যারা সিনেমাকে ভালোবাসেন, হলে গিয়ে সিনেম দেখেন তারাই আমাদের কাছে বিশেষ মানুষ। এই বিশেষ মানুষগুলো যদি হলে গিয়ে ঈদের বিশেষ সিনেমাগুলো দেখেন, সেটাই হবে আমার জন্মদিন আর ঈদের উপহার।

সিয়াম আহমেদ অভিনীত পোড়ামন টু, দহন, মৃধা বনাম মৃধা, ফাগুন হাওয়ায় সিনেমাগুলো দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। তিনি সিনেমার প্রচারণায় বরাবরই সময় দেন। স্বাভাবিকভাবেই জংলি সিনেমার প্রচারণার জন্য ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সিয়াম বলেন, নতুন সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। খুব ব্যস্ত সময় পার করছি। এখন প্রচারণার জন্য কাজ করছি। এই নায়ক আরও বলেন, আমার দর্শক ও ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তাদের ভালোবাসায় আমি সিয়াম। তাদের জন্য ভালোবাসা। আশা করছি জংলি সিনেমা তাদের ভালোবাসায় সিক্ত হবে।

অনেক আগে থেকেই একটি কথা সিয়াম বলে আসছেন। জংলির জন্য তিনি অন্যসব সিনেমার থেকে অনেক বেশি পরিশ্রম করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বলেন, অভিনয় ভালোবাসি। এটাকে কষ্ট হিসেবে দেখি না। কাজ হিসেবে দেখি। ভালোবাসা হিসেবে দেখি। এর জন্যই আমি। স্বীকার করছি জংলিতে অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। কিন্তু এটা তো সিনেমার জন্যই করেছি। আমার বেশকিছু সিনেমা দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। আমার নিজের অভিনীত সবগুলো সিনেমাকে যেন ছাড়িয়ে যেতে পারে জংলি। সবার কাছে এটাই আমার চাওয়া। আমার করা অতীতের সিনেমাগুলোর রেকর্ড ভাঙুক জংলি। তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে।

জংলি সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, জংলি সিনেমার জন্য যখন স্ক্রিপ্ট লেখা হয়, তখন থেকেই আমি জড়িত ছিলাম। সাধারণত স্ক্রিপ্ট তৈরি হওয়ার পর আমরা যুক্ত হই। কিন্তু এখানে শুরু থেকেই যুক্ত ছিলাম। এই সিনেমার জন্য অনেক সময় দিয়েছি। অনেক যত্ন নিয়ে কাজটি হয়েছে। সহশিল্পীরা অনেক শ্রম ও ভালোবাসা দিয়েছেন। সবাইকে সব শিল্পী সম্মান করেছেন কাজটি করার সময়। নানা কারণে জংলি আমার কাছে অনেক কিছু। এটি আমার কাছে স্পেশাল সিনেমা। সিনেমার গল্পটা অনেক শক্তিশালী। দর্শকরা হলে গেলেই বুঝতে পারবেন। এটা আমাদের নিজেদের গল্প। আমাদের দেশের গল্প। আশপাশে ঘটে যাওয়া গল্প।

এবারের ঈদে সিয়াম অভিনীত জংলি সিনেমা ছাড়াও আফরান নিশোর দাগি, শাকিব খানের বরবাদ, মোশাররফ করিমের চক্কর ৩০২, সজলের জ্বীন থ্রি মুক্তি পাচ্ছে। অন্যদের সিনেমাকে প্রতিযোগিতার চোখে দেখেন কি না, জানতে চাইলে সিয়াম বলেন, না। সবার সিনেমার জন্য ভালোবাসা। আমি ভালোবাসার চোখে দেখি। সবাই আমার সহকর্মী। তিনি আরও বলেন, ঈদের সব সিনেমা দেখব। সবার সিনেমা দেখব। পুরো টিম নিয়ে অন্যদের সিনেমা দেখব।

অন্য নায়কদের প্রতিযোগী মনে করেন কি না, জানতে চাইলে সিয়াম বলেন, না। আমরা একই পরিবার এবং শিল্পী। কাউকে প্রতিযোগী মনে করি না। সিয়াম যে অন্য নায়কদের প্রতিযোগী মনে করেন না, তার প্রমাণ সম্প্রতি পাওয়া গেছে তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছিল শাকিবের বরবাদ সিনেমার মুক্তির অনিশ্চয়তা বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য এটি মুক্তি পাচ্ছে। তবে তার আগেই সিয়াম লিখেছেন, একটা সিনেমা আটকে দেওয়া মানে, কতগুলো স্বপ্নকে আটকে দেওয়া। বরবাদ আমি, আমরা সিনেমা হলে দেখতে চাই।

তিনি আরও লিখেছেন, এই ঈদে দর্শক জংলি, বরবাদ, দাগি, চক্কর ৩০২, জ্বিন-৩ দেখতে সিনেমা হলে ভিড় করুক। সিদ্ধান্ত নিতে যারা বসে আছেন, তাদের কাছে আমার একটাই দাবি, হয় সব সিনেমা মুক্তি দিন, না হলে কোনোটাই দেওয়ার দরকার নেই। চলচ্চিত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিন।


আরও খবর



হাসনাতের পোস্ট ‘রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি : সেনাসদর

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

রিফাইন্ড (সংশোধিত) আওয়ামী লীগ গঠনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন, তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনাবাহিনী সদরদপ্তর।

সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের গতকাল শনিবারের এক প্রতিবেদনে এ প্রতিক্রিয়া জানানোর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সেনাসদরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়। এর আগে গত শুক্রবার হাসনাত আবদুল্লাহ এক পোস্টে লেখেন, ১১ই মার্চ, সময় দুপুর ২:৩০।

কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

আমিসহ আরও দুজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০এ। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়, ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে-তারা শর্ত সাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা নাকি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুই দিন মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল নেত্র নিউজকে দেওয়া সেনাসদরের এক বিবৃতিতে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে সেনানিবাসে খোদ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গেই ১১ মার্চ বৈঠকটি হয়েছিল। তবে হাসনাত আবদুল্লাহকে ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং হাসনাত আবদুল্লাহ ও তার দলের আরেক মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের আগ্রহেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে নেত্র নিউজ যোগাযোগ করলে একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে বক্তব্য দেয় সেনাসদর। হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্টকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয় বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সেনাসদরের বিবৃতিতে। এ ছাড়া ২৭ বছর বয়সী এই ছাত্রনেতার বক্তব্যকে অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে আগস্টে যে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল, তার সূচনা ঘটেছিল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালে আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মাধ্যমে। পরবর্তী সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠিত হলে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গঠিত নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় ওই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত তিনজন ছাত্রনেতা দায়িত্ব পালন করেন। তাদেরই একজন নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি নামের একটি নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই দলে দুই আঞ্চলিক মুখ্য সমন্বয়কের পদ পান হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।

নেত্রর প্রতিবেদনে বলা হয়, তার (হাসনাত আবদুল্লাহ) পোস্টের পর ওই রাতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে নেত্র নিউজের একজন প্রতিবেদক হাসনাত আবদুল্লাহকে প্রশ্ন করেন, সেনানিবাসে তিনি যে বৈঠকটির কথা বলছেন, তা কি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে হয়েছিল কি না। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি সরাসরি জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান।

হাসনাত বলেন, আমি তো সেখানে ক্যান্টনমেন্ট উল্লেখ করেছি, আপনারা কথা বলতে পারেন সেখানে। আরেকজন সাংবাদিক তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, কার উদ্যোগে বৈঠকটি হয়েছিল। জবাবে হাসনাত বলেন, সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ও বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল। এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদেরকে আহ্বান জানানো হয়েছিল।”’

সংবাদ সম্মেলনের পর নেত্র নিউজের একজন প্রতিবেদক আবারও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বাইনারি বা হ্যাঁ-না জবাব দিতে রাজি হননি।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাদের কাছে পাঠানো বিবৃতিতে সেনাসদর নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে সেনাপ্রধানের সঙ্গেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল, তবে ওই বৈঠক ছাত্রনেতাদের আগ্রহেই হয়েছিল বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।

সেনাসদরের বিবৃতি উল্লেখ করে নেত্রর প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম দীর্ঘদিন যাবৎ সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ইচ্ছা পোষণ করছিলেন। পরবর্তীতে সারজিস আলম ১১ই মার্চ ২০২৫ তারিখে সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইজারকে ফোন দিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিলিটারি এডভাইজার তাদেরকে সেনাসদরে আসার জন্য বলেন। অতঃপর ১১ই মার্চ দুপুরে সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহ সেনাসদরে না এসে সরাসরি সেনাভবনে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেন। পরবর্তীতে সেনাপ্রধান অফিস কার্যক্রম শেষ করে সেনা ভবনে এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেন।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদেন বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা নেত্র নিউজ স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিটের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পৃথকভাবে নেত্র নিউজকে বলেছেন যে ছাত্রনেতাদের আগ্রহ ও উদ্যোগেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল।

নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সেনাবাহিনী ও এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল। ঐতিহাসিকভাবেই দেশটিতে এখনো রাজনীতি ও বিভিন্ন বেসামরিক কার্যক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর প্রভাব লক্ষ্যণীয়। তবে শেখ হাসিনার পতনপরবর্তী সময়ে বারবার কোনো ধরনের সেনা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বা আগ্রহ উড়িয়ে দিয়েছেন সেনাবাহিনীতে মৃদুভাষী হিসেবে পরিচিত জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। কিন্তু তারপরও সেনাবাহিনীর অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান অস্বস্তি চাপা দিয়ে রাখা যায়নি।

তবে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের ওই বৈঠক তাদের ব্যক্তিগত কারণে নাকি জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে পুর্বানোমোদিত ছিল সেটি স্পষ্ট হওয়া যায়নি। শনিবার সিলেটে এক ইফতার মাহফিলে জাতীয় নাগরিক পার্টির আরেক নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী হাসনাতের ওই ফেসবুক পোস্টকে শিষ্টাচার বর্জিত হিসেবে উল্লেখ করেন।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঈদুল ফিতরের নয়দিনের ছুটিতে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে এবার রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন না অনেকে। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করলেও বাস টার্মিনালে যাত্রীচাপ কম দেখা গেছে। তবে ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছে।

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির হিসাব অনুযায়ী, এবার ঈদে বৃহত্তর ঢাকা থেকে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ সড়কপথে এবং বাকি ৪০ শতাংশ নৌ ও রেলপথে যাতায়াত করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে যাত্রীচাপ অনেক কম। বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ভিড় নেই, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহনও দেখা যায়নি। তবে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, প্রতি ঈদের আগের চারদিনে গড়ে ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ে। কিন্তু এবার সে চিত্র ভিন্ন। শ্যামলী, কল্যাণপুর ও মহাখালী বাস কাউন্টারে যাত্রীদের উপস্থিতি কম। কল্যাণপুরে শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার নাসিম জানান, এবার যাত্রীর চাপ নেই। সড়কের অবস্থাও ভালো, গাড়ি সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভিড় ছাড়াই মানুষ যেতে পারছে।

অনেকে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ঢাকা ছাড়তে চাইছেন না। গাবতলী বাস টার্মিনালে আবুল বাশার নামে এক যাত্রী জানান, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুরবস্থার কারণে ফাঁকা বাসা রেখে গেলে ফিরে কিছু পাওয়া যাবে না। তাই স্ত্রী-সন্তানদের ঢাকায় রেখে একাই রংপুর যাচ্ছি। একইভাবে, মোশাররফ হোসেন নামে এক বেসরকারি কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। পাশের বাসায় চুরি হয়েছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ার পরিস্থিতি নেই।

ডিএমপি জানিয়েছে, ঈদের সময় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের বাজারে কড়া নজরদারি থাকবে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, থানা-পুলিশ, পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ মিলে ১৫ হাজার পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। আবাসিক এলাকায় টহল বাড়ানো হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হবে।

 


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব পালনে পার্বত্য অঞ্চলে ছুটি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, চৈত্র সংক্রান্তিতে এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ আমরা পাহাড়িরা ছুটি পেয়েছি। চৈত্র সংক্রান্তিতে উৎসব উদযাপনের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য ছুটি ঘোষণা করায় বর্তমান সরকারকে পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

আজ রাজধানীর বেইলি রোডে বিসিএস ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রেস উইং আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কর্তৃক নববর্ষ উৎসব সংক্রান্ত প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এ অনুভূতি জানান। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বিজু উৎসব চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব।

তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান সর্বত্র বিজু মেলা চলছে। গিলা খেলা, বলি খেলা ও বিভিন্ন ধরনের আনন্দদায়ক খেলা চলছে সেখানে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজু উপলক্ষে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমরা তিন জেলায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল খাদ্যশষ্য, ৪৫০ মে.টন গম খাদ্য ইতোমধ্যে দিয়েছি।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বিজু উৎসব সম্পর্কে বলেন, বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এইদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে পড়ে ফুল সংগ্রহের জন্য। সংগ্রহিত ফুলের একভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্যভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মূল বিজু। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পাহাড়ে বসবাসকারী জনপদগুলো এই দিনে মেতে ওঠে ভিন্ন এক আনন্দে। নিজস্ব সংস্কৃতির অনুষ্ঠান ফুল বিজু সকলের মনকে আনন্দে রাঙ্গিয়ে দিবে এবারের এ আসর।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি আমরা সবাই ভাই ভাই হিসেবে কাজ করতে চাই। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আমাদের এক করে দিয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ঢাকা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে।

প্রেস কনফারেন্সে এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঈদের ছুটিতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। ফলে এখন অনেকটাই জনশূন্য রাজধানী শহরটি। তবে এত মানুষের চলাচল কমে গেলেও বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে চার নম্বরে। বায়ুমানের স্কোর ১৫৩, যা অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান বিষয় ওয়েবসাইট আইকিউএয়ারে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে নেপালের কাঠমান্ডু (স্কোর ২৫৬)। অর্থাৎ সেখানকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এই শহরটির দূষণ স্কোর ১৯২ অর্থাৎ এই শহরের বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় তালিকায় রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়ান মাই (স্কোর ১৬৪) যা অস্বাস্থ্যকর। তালিকায় পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৫১), চীনের উহান (১৪৭)।

একটি শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, তার লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক জানিয়ে থাকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। প্রতিষ্ঠানটির মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়।

আর ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫