Logo
শিরোনাম

মেডিক্যাল বর্জ্য , হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

রিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য মেডিক্যাল বর্জ্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। পরিবেশগত ইস্যুগুলো স্বাস্থ্যখাতে জনসচেতনতা লাভ করা সত্তে¡ও, হাসপাতালগুলোতে এগুলোর যথাযথ সুরাহা করা হচ্ছে না। এসব বিষয়ের মধ্যে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থপনা (এমডাব্লিওএম) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ মেডিকেল বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার সংক্রমণের ফলে বেড়েছে মাস্ক, গ্লাভস, পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই), স্যানিটাইজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবহার। কিন্তু, নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় ব্যবহারের পর এসব সুরক্ষা সামগ্রী যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে করোনা বর্জ্যের ফলে দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশ দূষণ বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসা বর্জ্যের মাত্র ৬.৬ ভাগের সঠিক ব্যবস্থাপনা হয়। বাকি ৯৩.৪ ভাগ বর্জ্যই সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় নেই। ব্র্যাক জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি পরিচালিত কোভিড-১৯ মহামারিকালে কার্যকর মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে মেডিকেল বর্জ্য এখন বড় সমস্যা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। করোনাকালে এই সমস্যা আরো প্রকটভাবে দৃশ্যমান হয়েছে। জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে মেডিকেল বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা ২০০৮ এর বিধিবিধান পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়নের জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আদালত। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) জুন মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২৫০ টন মেডিকেল বর্জ্য সংগৃহীত হয়েছে। আর করোনাকালে তা হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ টন।

দেশে প্রতিদিন উৎপন্ন মেডিকেল বর্জ্যের পরিমাণের সঠিক হিসাব নেই। তবে মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৬৫৪টি সরকারি হাসপাতাল ও ৫ হাজার ৫৫টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট শয্যার সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৯০৩টি। প্রতিটি শয্যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১ দশমিক ৬৩ থেকে ১ দশমিক ৯৯ কেজি মেডিকেল বর্জ্য উৎপন্ন হয়। কোভিড ছড়িয়ে পড়ার পর এটা আরো বাড়তে পারে। সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও বিভিন্ন গবেষণা সূত্র বলছে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর মেডিকেল বর্জ্যরে অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় ৫২ লাখ মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৪০ লাখই শিশু।

৮ মার্চের পরে এসব মেডিকেল সরঞ্জামাদির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। মেডিকেল বর্জ্যগুলো অটোক্লেভ মেশিনের মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করে উচ্চ তাপমাত্রায় পুড়িয়ে ফেলার বিধান থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি হাসপাতাল তা মেনে চলছে। তাছাড়া, বেশিরভাগ মানুষই এইসব মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার জীবাণুমুক্ত না করে যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছে। এই মেডিকেল বর্জ্যগুলো একদিকে যেমন সংক্রমণের ব্যাধি ছড়ানোর মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে আবার পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়েও দাঁড়াচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে এই বর্জ্যগুলো বৃষ্টির পানির সাথে মিশে বিভিন্ন খাল, ডোবা, নদ-নদীর পানিতে যায়। ফলে পানি দূষিত হয়। আবার মেডিকেল বর্জ্যগুলোর জীবাণু বাতাসে মিশে বায়ু দূষিত করে।

গবেষণায় আরও উঠে আসে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী থেকে প্রতিদিন ২৮২.৪৫ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার পুরোটাই গৃহস্থালি বর্জ্যের সঙ্গে অপসারণ করা হয়। মাস্কসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করেন ৭১ ভাগ মানুষ, যার সিংহভাগই শহুরে। যারা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করেন সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে তাদের ১০০ ভাগই গৃহস্থালি বর্জ্যের সঙ্গে তা অপসারণ করেন। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও জানিয়েছেন তারা প্রায় সব বাড়ি থেকেই গৃহস্থালি বর্জ্যের সঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্যের বর্জ্য পান। যদিও ৮১.৪ ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন এসব বর্জ্য থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা আছে এবং ৯০.৬ ভাগ মানুষ মনে করেন এসব বর্জ্য স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

মেডিকেল বর্জ্যসহ আমরা যে প্রতিনিয়ত চা, কফি, জুস, মুদির দোকানের পলিথিন ব্যবহার করছি তা ৫০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকে। ফলে দূষিত হচ্ছে মাটি। পরিবেশের তিনটি উপাদান মাটি, পানি, বায়ু দূষিত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে আমাদের জীববৈচিত্র্যের উপর, জলবায়ুর উপর। জলবায়ু পরিবর্তনে বিভিন্ন প্রাণীর জটিল রোগ দেখা যাচ্ছে যেমন- শ্বাসকষ্ট, হার্ট অ্যাটাক, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি। বেড়ে যাচ্ছে অনাকাক্সিক্ষত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। মেডিকেল বর্জ্যসহ প্রতিনিয়ত আমাদের ব্যবহৃত এসব বর্জ্য ভ‚মি ক্ষয় করে। জমির উর্বরতা কমে গেলে ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে খাদ্যসঙ্কট। যা আমাদের অর্থনীতে চরম প্রভাব ফেলবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বেঁচে থাকার জন্য জীববৈচিত্র্য রক্ষা প্রয়োজন।

একটি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চিকিৎসা বর্জ্যের যথাযথ ব্যবস্থাপনা কৌশল ও কার্যকর বাস্তবায়ন এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, হাসপাতাল ডিজাইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মেডিকেল বর্জ্যের নিরাপদ নিষ্কাশন ব্যবস্থা। অথচ বাংলাদেশে মেডিকেল বর্জের নিরাপদ নিষ্কাশনের কার্যকর ব্যবস্থা এখনো গড়ে উঠেনি। মেডিকেল বর্জ্যের নিরাপদ নিষ্কাশনের মানদন্ডে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব বাড়ানো দরকার। ২০০৮ সালে মেডিকেল বর্জ্যের নিরাপদ নিষ্কাশন নিয়ে আইন হলেও তা খুবই দুর্বল কিংবা যুগোপযোগী নয়। তাই আইনটি সংশোধনের দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত কলেবরে বেড়েছে, ডিসপোজিবল বা একবার ব্যবহারযোগ্য চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবহারও উল্ল্যেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মেডিকেল বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এই বর্জ্যের বেশির ভাগই সংক্রামক, এগুলোর মাধ্যমে রোগের সংক্রমণ বাড়তে পারে। চিকিৎসা বর্জ্যকে অবশ্যই জনস্বাস্থ্যসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে। তা না হলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যকরী হবে না, বর্তমান নাগরিক ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করত পারবে না। ২০০৮ সালের মেডিকেল বর্জ্য নিষ্কাশন সংক্রান্ত আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। কেননা কার্যকারিতা কম হওয়ায়, হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য এখন জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য হাসপাতালগুলোতে মেডিকেল বর্জ্যসমূহ নির্দেশনা মেনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। আর আমরা যারা সাধারণ মানুষ মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করি, তারা এগুলো যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে উচ্চ তাপমাত্রায় পুড়িয়ে ফেলব। একই সাথে জনগণকে সচেতন করা দরকার। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ এক করে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।
মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থপনার জন্য কালার কোড অনুযায়ী ময়লা উৎপাদনস্থল আলাদা করতে হবে। পরিবহন বর্জ্য খোলা অবস্থায় পরিবহন করা যাবে না এবং হাসপাতালের নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশনে জমা করতে হবে। বর্জ্যের শ্রেণিভেদ অনুযায়ী এগুলো ব্যবস্থপনা করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় কিছু মুনাফালোভী অসাধু চক্রডিসপোজাল আইটেম যেমন, সিরিঞ্জ, স্যালাইন সেট, গাউন এগুলো ডাম্পিং স্টেশন থেকে চুরি করে আবার বাজারে ছেড়ে দেয় এটি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়। সাধারণ বর্জ্যগুলো শুধুমাত্র সঠিকভাবে প্যাকেজিং করে আলাদাভাবে ডাম্পিং করতে হবে। হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে না করা গেলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে এবং আমরা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ব। এজন্য স্ব স্ব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আইসোলেশন সেন্টারগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থপনা চালু করা দরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে চলা অপরিহার্য। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করে, সংক্রমণ কমানো উচিত। এভাবে আমরা বিপজ্জনক বর্জ্য থেকে নিজেদের ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে পারব।


আরও খবর



আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল সংঘাত চলছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর। শিগগিরই দেশটিতে চলমান এ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও।

জাতীয় সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসেই মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়তে পারে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের অনুপ্রবেশের ঘটনাও বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হয়েছে। ফলে সন্ত্রাসী দল বা গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে। মিয়ানমারের পাশাপাশি আরাকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে। সেইসঙ্গে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান পণ্যের সরবরাহ আরও বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে আরও কয়েকটি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর লড়াই চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে পর্যুদস্ত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিপির পাঁচ শতাধিক সদস্য। এর মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্যকে জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর সবশেষ গত ২৫ এপ্রিল নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যকে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মোট ৯ লাখ ৯ হাজার ২০৭ জন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালি বর্ধিত ক্যাম্পে রয়েছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৬ জন। অন্যান্য ক্যাম্পে রয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৪ জন রোহিঙ্গা। এর বাইরে ৬ হাজার ৮২৭ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে হোস্ট কমিউনিটি তথা কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশি সমাজের সঙ্গে।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীকে আরও সচেতন ও সতর্ক থেকে কাজ করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কঠোরভাবে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

ডোলান্ড লু'র দুইদিনের এই সফরে মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক হতে পারে। মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। যেখানে আলোচনা হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়।

এছাড়া মঙ্গলবার রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। পরদিন বুধবার (১৫ মে) সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

এর আগে ডোনাল্ড লুর সফর সম্পর্কে গত ৯ মের এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ডোনাল্ড লু ১০-১৫ মে ভারত, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ সফর করবেন। তার সফর এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে এবং মুক্ত-উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের কথা তুলে ধরবে।

এতে আরও বলা হয়, প্রথমে ভারতের চেন্নাই সফর করবেন লু। সেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে কনস্যুলেট কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব আরো গভীর করতে শ্রীলংকা সফর করবেন। সেখানে তিনি শ্রীলংকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের পাশাপাশি একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে ডোনাল্ড লু সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সফরে তিনি মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। তার আগে গত বছর ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন লু। ওই সফরে সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।


আরও খবর



ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস রূপক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস  রহমান রূপক। তিনি উপজেলর সর্বস্তরের মানুষের  নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

তিনি সাংবাদিক  পেশায় দীর্ঘ দিন যাবত মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন এবং গরীব দুঃখী ও মেহনতী মানুষের পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।

শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ০৭ টি ইউনিয়ন  ও ১টি পৌরসভার প্রবাসীসহ  সকল শ্রেনী পেশার নাগরিক ও সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের নিকট দোয়া, আশীর্বাদ কামনা করে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ফেরদৌস রহমান রূপক। উপজেলার জনগণকে সাথে নিয়েই নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তরুন এ সাংবাদিক ফেরদৌস রহমান রূপক।

ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ফেরদৌস রহমান রূপক বেস্ট কেন্ডিডেট। তার ভদ্রতা, আচার ব্যাবহার ভোটারদের মন জয় করেছে। ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন মহলে ভালো মানুষ হিসেবে রূপকের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমন ভদ্রলোককেই উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।

বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফেরদৌস রহমান রূপক বলেন, আমি জনগনের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ে ও ভোটারদের আগ্রহ ও সমর্থন দেখে আমি নিশ্চিত বিজয়ের স্বপ্ন দেখছি। আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে সাধারণ মানুষের হয়ে উন্নয়নে অংশীদার হবো, জনসাধারণের পাশে দাঁড়াবো এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সচল রাখতে সুদ, ঘুষ,  মাদক ও দূর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ডামুড্যা উপজেলা বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার নিয়ে আমার এই পথচলা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। 

তিনি আরও বলেন, “তরুণরাই গড়বে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ” আমি এরই অংশ হিসেবে ডামুড্যা উপজেলাকে একটি আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে চাই। সাংবাদিক  পেশার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পেলে সাধারণ মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে আমি সদা প্রস্তুত। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে আমি আরও গভীরভাবে সাধারণ মানুষ ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সংস্পর্শে থাকবো। 

বহুগুণে গুণাবলীর অধিকারী ফেরদৌস রহমান রূপক  ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির অন্যতম সদস্য, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয়  যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক , শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক।

তিনি বলেন, আধুনিক শরীয়পুররের রূপকার ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত জননেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের সুযোগ্য সন্তান জননেতা আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক এমপির উন্নয়নে শরীক হয়ে উপজেলাবাসীর কল্যাণে নিজেকে জনতার কাছে সমর্পণ করতে চাই। আমার জন্মভূমি ডামুড্যা উপজেলাকে “স্মার্ট উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত করতে জনগণের ভালবাসা ও সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার দলীয় প্রতীক রাখেন নি।নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন নেত্রী।  আমি মনে করি নির্বাচন করার অধিকার সবারই রয়েছে। আমার পদে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন তাদের জন্যও শুভকামনা রইলো।

দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেন ফেরদৌস রহমান রূপক।


আরও খবর



নেত্রকোনায় নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনে মোবাইল কোর্টের জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

নেত্রকোনায় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। তিন প্রার্থীর সমর্থকদের ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। 

এছাড়াও দেয়ালে সাঁটানো পোস্টার অপসারণ করা হয়। 

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় জেলা শহরের মোক্তারপাড়া মগড়া নদীর ব্রিজ থেকে নাগড়া জেলা পরিষদ পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টা ব্যাপি এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

আদালতে নেতৃত্ব দেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকলিমা আক্তার।


এসময় নাগড়া এলাকায় আনারস প্রতীকের এক সমর্থক মো. ওয়াফিজ ও মো. সমেদ মিয়া পোস্টার অপসারণে বাধা প্রদান করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সাথে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পরবর্তীতে মো. ওয়াফিজকে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে সতর্কতা মূলক ১০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 


পরবর্তীতে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।  


এছাড়াও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে কাপ পিরিচের প্রার্থীর সমর্থক মো. শফিকুল ইসলামকে ৩ হাজার টাকা ও হেলিকপ্টার প্রার্থীর সমর্থক মো হায়দার আলীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। 


উল্লেখ্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নেত্রকোনা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  


নেত্রকোনা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকলিমা আক্তার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আচরণ বিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে। প্রার্থীদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে দেয়ালে পোস্টার না লাগানো হয়।  আচরণ বিধি মেনেই তাদের প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। এছাড়া প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্রের তালিকা প্রদান করতে বলা হয়েছে


আরও খবর



৫১ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ এ বছর পাসের হার বেড়েছে।

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই এবার পাস করেনি।

সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৬১টি। এর মধ্যে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি।

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার (২০২৩ সালে) পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮১.৫৭ শতাংশ, ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.৪৭। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৭৭ শতাংশ।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং কারিগরিতে পাসের হার ৮১.৩৮ শতাংশ।

রোববার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০২৪ সালের এসএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন ১১টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।


আরও খবর