Logo
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ৪৫ হাজার ৫৯৩ জন শিশু শিক্ষার্থীকে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম এপি কালিকাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন খান ও প্রধান শিক্ষক মমতাজ খানম এ সময় উপিস্থিত ছিলেন।

ডা. শর্মী রায় বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ৩০টি দল আজ থেকে কাজ শুরু করেছে। ৩২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু রয়েছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল টিম গিয়ে আগামি ২৭ অক্টোবরের মধ্যে সাড়ে ৪৫ হাজার শিশুকে প্রথম রাউন্ডের টিকাদান নিশ্চিত করবে 


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




প্রিয়নবী (দ.)'র পবিত্র মে'রাজ যাত্রা সৃষ্টিকুলের জন্য আনন্দ ও গৌরবের

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান, সাজ্জাদানশীন-এ দরবারে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী বলেছেন, ‘পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখ এমনই এক মহিমান্বিত রজনী, যে রজনীতে মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা তার প্রিয়তম হাবিব (দ.) কে আরশে আজিমে পরম সম্মানিত অতিথি হিসেবে সাদর আমন্ত্রণ করে অভ্যর্থনা জানিয়ে স্বীয় সাক্ষাতে ধন্য করেছেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (দ.) মহান আল্লাহ্ তা'য়ালার এমন নিকটবর্তী হলেন যে, তাদের মাঝে কোন পর্দা বা পার্থক্যই ছিল না। মহান আল্লাহ্, হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা মুহাম্মদ মুস্তফা (দ.)'র নিকট সৃষ্টিকুলের সকল রহস্য উম্মোচন করেন। যাত্রাপথে তিনি সম্মানিত নবী-রাসুল (আঃ)গণের সাথেও সাক্ষাত করেন।’ বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘পবিত্র শব-ই-মিরাজেই মহানবী (দ) উম্মতের জন্য উপহার হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে আসেন। তিনি প্রায় ২৭ বছর সফর করলেন, অথচ পৃথিবীর হিসেবে তা কয়েক সেকেন্ড মাত্র।’ সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, ‘আধুনিক বিজ্ঞানের আপেক্ষিকতা সূত্রও এ অলৌকিক যাত্রাকে বিজ্ঞানসম্মত বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। পবিত্র শব-ই-মিরাজ থেকে আমাদের কাছে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, মহামহিম, সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তা'য়ালার মর্যাদার পরেই সর্বোচ্চ সম্মানে যিনি সম্মানিত, যার মর্যাদা বর্ণনার অসাধ্য তিনি হলেন দোজাহানের বাদশাহ্, আমাদের প্রিয় নবিজী (দ.)।’ মহান আল্লাহ্ ও প্রিয় নবিজী (দ)'র এ মহিমান্বিত সাক্ষাৎ মু'মিনদের জন্য মহা আনন্দের জানিয়ে বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপরদিকে পবিত্র কুরআন হাদীসে এ রাত্রির উচ্চ মর্যাদা বর্ণিত হওয়ার পরেও একশ্রেণীর মুনাফিকরা এ তাৎপর্যময় রজনীর মহত্ত্বকে খর্ব করার বৃথা চেষ্টা করছে। তিনি মুনাফিক চক্রের অপতৎপরতাকে উপেক্ষা করে এ বরকতময় রজনীতে কুরআন তিলাওয়াত, নফল সালাত, তাহাজ্জুদ আদায়, দরুদ-সালাম পাঠ, দান সাদকাহ্, পরদিন নফল রোজা পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য মুসলিম উম্মাহর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।’

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া পূর্ব খুরুশিয়া হাজী আহমদ মিয়া জামে মসজিদ ময়দানে খুরুশিয়া হিলফুল ফুযুল পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ৮তম বার্ষিক হুসাইনি কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙ্গুনিয়া রাহাতিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ ওবায়দুল মোস্তফা নঈমী, চট্টগ্রাম টপ স্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবছার হোসেন তালুকদার। মাওলানা আব্দুল হালিম আল কাদেরীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে মাওলানা আব্দুল হামিদ নঈমীর সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন নূরী। এ ছাড়াও আরও বহু ওলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী।


আরও খবর



নতুন বাংলাদেশে গণ্ডগোল সৃষ্টিকারীদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে, সারা দেশের জন্য এটা খুব জরুরি। কতো ঘটনা ঘটে গেলো, সামনে আরও বহু ঘটনা ঘটবে। যাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা সহজে মেনে নেবে না। তারা না মানলে আমরা মানাবো। নতুন বাংলাদেশের ভেতরে যারা গণ্ডগোল সৃষ্টি করতে পারে তাদেরও নিশ্চিহ্ন করবো আমরা। নিজেদের দলে নিয়ে আসবো, না হলে আইনের কাছে সোপর্দ করে দেবো। এটা হলে আমরা তাড়াতাড়ি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারবো বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ২১টি জুলাই শহীদ পরিবার ও সাত জন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আজ নতুন বাংলাদেশ বলতে পারছি, তাদের জন্য দেশ কী করতে পারে, তাতে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের জনগণের যে জবাবদিহি, আরেকটা পরিবর্তন, সেটা কোনও নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না। আপনার ছেলে, সন্তান, ভাই ইতিহাসের স্রষ্টা। ইতিহাসের স্রষ্টাকে সাধারণ মাপকাঠি দিয়ে, টাকা-পয়সা দিয়ে মাপা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘যে বাংলাদেশকে আমরা নতুন বাংলাদেশ হিসেবে তৈরি করলাম, এটা যাতে সেভাবে রাখতে পারি। এটাকে হেলায় ফেলে দিলে হবে না। সে ক্ষেত্রে আমাদের সার্বক্ষণিক সাবধান থাকতে হবে, নজর রাখতে হবে। সেই দায়িত্ব আমাদের সবাইকে মিলে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের সন্তান হারালো তাদের শোকের পরিবর্তে কী আসবে সেটি আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সরকারের পক্ষ থেকে। এখানে দুটো বিষয়– একটি প্রাতিষ্ঠানিক, আরেকটি ব্যাক্তিগতভাবে। ব্যক্তির সঙ্গে আমরা কীভাবে সংযোগ স্থাপন করে দিয়ে যাবো সেটা করা। আজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আপনারা সরকারের অংশ হয়ে গেলেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কারণে মুক্তিযোদ্ধারা সব এক হয়ে গেছে, কেউ আর মুছতে পারবে না। আপনারা আজ এই মন্ত্রণালয়ের অংশ হয়ে গেলেন। জুলাই স্মৃতি পরিদফতর সৃষ্টি হয়েছে, আপনারা সরকারের কাঠামোর ভেতর ঢুকে গেছেন। যত কথা বলার, দাবি করার, সরকারের ভেতরে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটা করে দেওয়া হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ‘সরকারিভাবে যা কিছুই করা হোক এটা কেউ মুছতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধারা অত ভাগ্যবান ছিলেন না। বহু বছর লেগেছে তাদের জন্য কিছু করতে, এটা দেয় তো ওইটা দেয় না, আস্তে আস্তে দিতে দিতে বহু বছর চলে গেছে। আমরা খুশি যে প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন করতে পেরেছি। সবকিছু না করতে পারলেও একটা জায়গা তো পাওয়া গেলো।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘একটা বিষয় ক্ষোভের মধ্যে এসে যায়। আমরা এবং আপনারা যদি দুইভাবে কথা বলি, এটা ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না। আমরা এক। আপনাদের ত্যাগের কারণে আমরা এক হয়ে গেছি। যদি এই অভ্যুত্থান না হতো আপনার-আমার সাক্ষাৎ হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। কীভাবে আপনাদের স্বীকৃতি দেওয়া দরকার সেই হিসেবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আজকে ‘‘আমরা’’ আর ‘‘আপনারা’’ হয়ে গেলে এই নতুন বাংলাদেশ হবে না, বিভেদ হয়ে গেলো। এই বিভাজন ভালো না।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার কী বিতাড়িত করা গেছে? তাদের ভয়ে থাকার জন্য কি এই বাংলাদেশ গড়লাম আমরা? তাদের জয় করতে হবে, সোজা রাস্তায় আনতে হবে। এই দেশে চলতে হলে এভাবে করতে হবে, মারপিট করে হবে না। সে আমাকে পিটাবে, আমি তাকে পেটাবো, এই পিটাপিটি আর শেষ হবে না। তাদের বোঝাতে হবে তোমাদের রাস্তা ভুল। তোমরা মাফ চাও, বিচারের কাজ তো চলছেই। অনেকেই তাৎক্ষণিক বিচার চায়, এখানে মুশকিল হলো তাৎক্ষণিক এই জিনিস হয় না। তাৎক্ষণিক হতে হলে অবিচার হয়ে যায়। মূল বিষয় হল সুবিচার হতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারের কাজ চলতে থাকুক, যারা অপরাধী পুলিশের কাছে দিয়ে দাও। যথেষ্ট সাক্ষী-প্রমাণসহ তুলে দিতে হবে, অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই সংগ্রাম হয়েছে। আমরা যদি নিজেরা অবিচারে নেমে যাই তাহলে তফাৎ থাকলো কী। আমরা অবিচারে নামবো না। যারা অপরাধী তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করবো। যারা অপরাধী নয় পুলিশের হাতে দেওয়ার মতো, তাদের মানুষ করবো। আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাবো। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয় তাদের সৎপথে নিয়ে আসতে হবে এ দেশে থাকার জন্য, একতার জন্য। আমরা যারা এখানে বসে আছি তারা যেন আলাদা না হয়ে যাই। দুঃখের কথা বলবো, কিন্তু বিবাদ সৃষ্টি যেন না হয়।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




কোন বিশেষ দল যেনো ক্ষমতার প্রভাব দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন বিষয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার প্রতিটি নাগরিকেরই আছে। তাদের মতাদর্শ তুলে ধরে জনগণের রায় চাইবেন, এটাতে আপত্তির কিছু নেই। নতুন প্রজন্মের যে তরণরা রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাচ্ছে, তাদের আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তারা সামনে এগিয়ে যাক, দেশ ও জাতি তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু পাবে, এটাই আমার প্রত্যাশা। 


আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন। 


এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠন এবং ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এটা দেশের জনগণ আর গ্রহণ করতে রাজি নন। এজন্যই নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ ব্যবস্থা, তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দরকার হয়। 


বর্তমান সরকারের বক্তব্যে এটা পরিস্কার যে, ছাত্র সমন্বয়কদের মনোনয়নে এ সরকার গঠিত হয়েছে। ছাত্রদের দল গঠনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমর্থন আছে একথাও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। 


ফলে, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বা দল গঠনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখবেন শুধুমাত্র সেসকল ব্যক্তিবর্গ সরকার ত্যাগ করলেই, সে দল সরকারী আনুকূল্য পাবে না, এটা কতটুকু বিশ^াসযোগ্য? 


একারণে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারবে, এমন দাবী করতে পারেন না বলে মনে করি। 


বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেদের নিরপেক্ষ দাবী করলেও রাজনৈতিক দলসমূহ ও জনগণের কাছে সেটা কতটুকু বিশ^াসযোগ্য হবে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। 


দেশের মানুষ চায় নির্বাচনের সময় যেনো লেভেল প্লেয়িং ফ্লিড থাকে, সবার জন্য সমান সুযোগ থাকে; কোন বিশেষ দল যেনো সরকারী অর্থ ও সরকারের ক্ষমতার প্রভাব দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে, এ নিশ্চয়তা। 


এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, দফতর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জালাল উদ্দিন খান, আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী অপু চৌধুরী, কাজল আহমেদ, শিবলী খায়ের, আফরোজ আফগান তালুকদার, তৌহিদুল ইসলাম, প্রভাষক এসএম লুৎফর রহমান, গাজী মোঃ মিজবাহ উদ্দিন, শাহজাহান তালুকদার, আব্দুস সালাম মেম্বর, সোহেল আহমেদ রানা, ওস্তার মিয়া তালুকদার, এমএম হেলাল প্রমুখ। 


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কারসাজির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সিন্ডিকেট সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। দেশে বিভিন্ন পণ্যের মজুদ ও সরবরাহের ওপর সরকারের নজরদারি রয়েছে। এই মুহূর্তে ভোজ্যতেলের বাজারে যে অস্থিরতা রয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বাংলাদেশ পাটকল কর্পো‌রেশনের খুলনার দৌলতপুর জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে কুড়িগ্রামে বন্ধ থাকা সরকারি টেক্সটাইল মিল বেসরকারি খাতে লিজের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লিজ গ্রহীতা হিসেবে ব্যবসায়ীরা সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এ সপ্তাহে ৩টি পাটকল লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাটকল চালুর ক্ষেত্রে কেবল হাজার কোটি টাকা লোকসান ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ কিছুই হয়নি। তাই সরকারের মালিকানায় থাকা জুট ও টেক্সটাইল মিলগুলো ব্যক্তিগতখাতে ছেড়ে দেওয়ায় পরিকল্পনা রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে বিদ্যমান সব পাটকল চালু রাখতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন পাটের প্রয়োজন। কিন্তু দেশে পাটের উৎপাদন কেবল ১২ লাখ মেট্রিক টন। সারাবিশ্বে বার্ষিক পাটের উৎপাদন মাত্র ২৫ লাখ মেট্রিক টন। সেক্ষেত্রে কেবল পাট দিয়ে এতোগুলো প্রতিষ্ঠান চালু রাখা বাস্তবসম্মত নয়। তাই পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে লিজ প্রদানের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করে পাটভিত্তিক শিল্পের পাশাপাশি অন্য শিল্প কারখানা স্থাপনের সুযোগ রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, খুলনার দৌলতপুর জুট মিলটি বেসরকারি উদ্যোগে চালু হওয়ায় প্রায় ৭০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে এখানে আরো ৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ধরনের সফল উদ্যোগ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে। মিলটিতে বেসরকারি উদ্যোগে পাটপণ্য এবং জুতার উৎপাদন একসঙ্গে চালু রেখে ইতিবাচক ও লাভজনক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সরকারিভাবে বাস্তবায়ন ততটা ফলপ্রসূ হয় না।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ল

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার দেশে জরুরি অবস্থা আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাতে সেনা অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির ঠিক একদিন আগে এই ঘোষণা এলো। খবর রয়টার্সের।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জান্তা বাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে দেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বার বার বৃদ্ধি করে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রেখেছে জান্তা বাহিনী।

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে সেনাবাহিনী উৎখাত করায় মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। জান্তা সরকার এই বছর একটি নির্বাচন আয়োজেনর করার পরিকল্পনা করছে। যদিও সমালোচকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন জেনারেলরা প্রক্সির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচনের নামে প্রহসন করছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজ তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলেছে, সফলভাবে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি এখনো প্রয়োজন।


আরও খবর