Logo
শিরোনাম

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা) :

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চাঞ্চল্যকর কাঠমিস্ত্রি রমজান হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসানকে (২২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১৪।

শনিবার (১ এপ্রিল) ভোররাতে নরসিংদী জেলা সদরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব—১৪, ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার) মো আনোয়ার হোসেনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য। 

গ্রেফতারকৃত মাহমুদুল কেন্দুয়া উপজেলার হারাবকান্দি গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।   

বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার হারাবকান্দি গ্রামের কাঠমিস্ত্রি রমাজান মিয়ার (৩০) একটি স্যালো মেশিন মাহামুদুল হাসান তিন বছর ভাড়ায় চালিয়ে তেলের ট্যাংক ছাড়াই ফেরত দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক—বিতর্ক বাধে এবং ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। 

পরে স্থানীয়রা বিরোধ মিটাতে গত ২৬ মার্চ বিকালে একতা বাজারে দরবারে বসেন।  

কিন্তু দরবারের সিদ্ধান্তকে মেনে না নিয়ে উত্তেজিত হয়ে মাহমুদুল হাসান ধারালো কিরিচ দিয়ে রমজানকে জখম করে।

পরবতীর্তে দ্বিতীয় দফায় লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালালে রমজান গুরুতর আহত হন। 

স্থানীয়রা আহত রমজানকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। 

পরদিন ২৭ মার্চ রমাজান চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহে মারা যায়।

এ ঘটনায় ৩১ মার্চ রমজানের মা মিনা আক্তার বাদী হয়ে কেন্দ্রয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের চৌকস দল নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন দাসপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার মূলহোতা মাহমুদুল হাসানকে গ্রেফতার করে।

র‌্যাব আরও জানায় গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে কেন্দুয়া থানায় ধৃত মাহমুদুলকে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান র‌্যাবের এই উর্ধতন কর্মকর্তা। 


আরও খবর



রাজধানীসহ সারাদেশে বাড়চ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


চোখ রাঙাচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। বছরের শুরুর চার মাস ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত থাকলেও আস্তে আস্তে তা বাড়তে শুরু করেছে। 


এরই মধ্যে গত একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন।



বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।


এ নিয়ে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৪৫ জনে। মে মাসে ১৫ দিনে মারা গেছেন ৮ জন। 


এ ছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩২ জন মারা যাওয়ার খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন। এ নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৬৪ জন।



আক্রান্ত ২১ জনের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ১১ জন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশালে, ৫ জন।


চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই হাজার ৫৪৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ৮৫১ জন। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৩৭৭ জন।


প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।


 এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার আটজন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন।


 গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মানুষ মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।


এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। 


ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।


আরও খবর



ট্রেন দুর্ঘটনায় ইমেজ সংকট

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

ট্রেন দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ভুল সিগন্যালে পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনা এবং এর জেরে টানা কয়েক দিন ধরে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে রীতিমতো ইমেজ সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নিরাপদ বাহন হিসেবে রেলের সুনাম মুছতে শুরু করেছে। হারানো এই ইমেজ দ্রুত ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। সাম্প্রতিক ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে গতকাল দুপুরে রেলভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে রেলমন্ত্রীর পাশাপাশি রেলসচিব ড. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, বারবার ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে যেন ভীতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন রেলমন্ত্রী। ট্রেন চলে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলকিং সিস্টেমের (সিআইবিএস) ভিত্তিতে। কিন্তু অনেক স্টেশন এখনো চলছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এসব স্টেশনকে দ্রুতই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আনার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

সূত্র আরও জানায়, নির্মাণকাজ চলাকালে অনেক স্থানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। এমন স্থানেই সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার খবর এসেছে। পয়েন্টসম্যান ও স্টেশনমাস্টারের ভুলে এমনটি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব স্থানে দ্রুত তদারকি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ার করেছেন রেলমন্ত্রী।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী জানান, বৈঠক হয়েছে দুর্ঘটনা নিয়ে। সেখানে নিরাপদ বাহন হিসাবে ট্রেনের ইমেজ ধরে রাখতে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, প্রচলিত আইনকানুন অনুসারে ট্রেন পরিচালনার বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয় গতকালের বৈঠকে। টিএলআর তথা অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের দায়বদ্ধতা কম। অনেক ক্ষেত্রে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের দিয়ে অপারেশনাল কাজ চালাতে হয়। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ঘাটতি যেমন রয়েছে, তেমনি অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্র্মচারীও বর্তমানে মাঠপর্যায়ে কর্মরত। তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানোয় জোর দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালাতে এমন নির্মাণাধীন রেলপথে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজার ও জয়দেবপুরে সিগন্যালের ভুলে ট্রেন দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসে রেল। এর পর বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম স্টেশনে মৈত্রী ও ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মধ্যে দুর্ঘটনার যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল, তাতেও ছিল প্রায় একই রকম ভুল। রেলকর্মীদের এমন ভুলের খেসারত দিচ্ছেন যাত্রীরা। দুর্ঘটনায় হতাহত এবং ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ভোগান্তি নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় রেল থেকে যাত্রীরা যেন মুখ ফিরিয়ে না নেয়, তেমন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, নন-ইন্টারলকিং বা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালনায় চলে পেপার লাইন ক্লিয়ার বা পিএলসি। একটি চলন্ত ট্রেন সামনের স্টেশন অতিক্রম করবে কিনা, অথবা ট্রেনটিকে ক্রসিংয়ের জন্য কোথায় থামতে হবে, অথবা ট্রেনটির অনির্ধারিত স্টপেজ কোন স্টেশনে দেওয়া হয়েছে- এসব বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা একটি কাগজে লেখেন স্টেশনমাস্টার। এরপর ওই কাগজটি নিয়ে স্টেশনের রেললাইনের পাশে উঁচু করে ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন স্টেশনমাস্টার। চলন্ত ট্রেনটি স্টেশন অতিক্রম করার সময় ইঞ্জিনে থাকা লোকোমাস্টার নেন সেটি। সেখান থেকে সামনের স্টেশন সম্পর্কে ধারণা মেলে। আর পয়েন্ট তৈরির কাজটি করেন পয়েন্টসম্যান। তাদের ভুলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এখানে বড় সমস্যা জনবল সংকট। ২০২২ সালের আগ পর্যন্ত দীর্ঘদিন জনবল নিয়োগ বন্ধ ছিল। সহকারী স্টেশনমাস্টার ও পয়েন্টসম্যানসহ অপারেশনাল কাজে নিয়োজিতরা প্রশিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারেননি। দক্ষতা অর্জনের অভাবে ভুল করছেন কর্মক্ষেত্রে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে- অনেকে অবসরে চলে যাওয়ার পর প্রকল্পের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি করছেন। তাদের জবাবদিহিতা ওই অর্থে রেলের কাছে নেই। পুরনো সংকেত (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে দক্ষ নয়, নতুন নিয়োগ পাওয়া জনবল। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ঠিকাদারের সরবরাহ করা পয়েন্টসম্যান রেলের বিশেষায়িত কাজ জানে না। এসব কারণে ভুল হচ্ছে।

দেশে মোট যাত্রীর ৮ শতাংশ রেলের। অথচ স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে এ হার ছিল ৩০ শতাংশ। একই সঙ্গে মোট পণ্য পরিবহনে রেলের অবদান ২৮ থেকে নেমে এসেছে ১৬ শতাংশে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় ছিল ৫৬১ কোটি টাকা। যাত্রী ও মালপত্র পরিবহন করে এই আয় করেছে রেল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছে ১৭৮৩ কোটি টাকা। আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচালন ব্যয়ও বেড়েছে। বিপুল অর্থ খরচ করে তৈরি করা রেলপথে ট্রেনের সংখ্যা তুলনামূলক কম। সময়মতো ট্রেন চালনা রেলের অন্যতম কাজ। এ কাজে গুরুত্ব কম। বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন আসা-যাওয়ায় বিলম্বের ঘটনা বেড়েছে। যাত্রাবিলম্ব ঘটে নানা কারণে। ইঞ্জিন ফেইলিওর, রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতি, কোচের ত্রুটি, চালকের দুর্বলতাসহ নানা কারণ রেলসেবায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।


আরও খবর



সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে ‘একটা ভালো মেমোরিস’ দিতে চান শান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image



স্পোর্টস রিপোর্টার:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৯তম দল হিসেবে গত পরশু দিন নিজেদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। এই দল নিয়েই গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন টাইগাররা।

তবে তার আগে বুধবার শান্তবাহিনী সকালে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক অনুশীলন করেন। সেখান থেকে ড্রেসিং রুমে গিয়ে প্রস্তুত হয়ে বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে যাওয়ার আগে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন টাইগাররা।

সেখানে প্রথমে স্কোয়াডের ১৫ ক্রিকেটার পরবর্তীকালে কোচ ও বোর্ড সভাপতির সঙ্গে ফটোসেশন করা হয়। এরপর দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয় তরুণ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সেখানেই আসন্ন বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে কথা বলেন। এ সময় এ বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে স্কোয়াডে থাকা দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ভালো স্মৃতি দেওয়ারও প্রত্যাশা করেন শান্ত।


সবশেষ ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগার স্কোয়াডে শান্তকে যুক্ত করার পর বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। কারণ সে সময় ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ছিলেন না তিনি।

তবে পরবর্তীকালে আসরটিতে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। পাঁচ ম্যাচে দুই ফিফটির ইনিংসের মধ্য দিয়ে ১৮০ করেন তিনি। সেখান থেকেই শান্তর ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। এরপর ২০২৩ সালটা তো কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। যদিও সম্প্রতি ব্যাট হাতে খুব বেশি একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই শান্ত।

তবে বিশ্বকাপে দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন বলেই মনে করেন টাইগার তরুণ এ অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশ্যই আমার শেষ বিশ্বকাপটায় ভালো স্মৃতি রয়েছে। আমার মনে হয় সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। আশা করবে... এবার আমি বলব যে ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছি, তা না, আমার যেই কঠোর পরিশ্রম করা কিংবা আমার যে জায়গায় উন্নতি করার দরকার, ঐ জিনিসগুলো আমি অনুশীলনে করছি, তো আমি আশা করছি এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ভালোভাবেই আবার ফিরে আসব।’

বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। তার পরই রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সব শেষ এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পেলে তিনিও সাকিবের পাশেই থাকতেন।

ধারণা করা হচ্ছে এই দুই ক্রিকেটারের এটাই এই ফরম্যাটে শেষ বিশ্বকাপ। কেননা তারা তাদের ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে রয়েছেন। সাকিবের বর্তমান বয়স ৩৭ বছর এবং মাহমুদউল্লাহর ৩৮। আর এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে এবারের আসরে বিশেষ কিছু উপহার দিতে চান তরুণ টাইগার অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখনো জানি না, এটা তাদের শেষ বিশ্বকাপ কি না, এটা একটা ধারণা। তবে তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে আমরা যারা আছি, অবশ্যই চাইব যে ওনারা এত লম্বা সময় ধরে খেলছেন, তাদেরকে একটা ভালো মেমোরিস দেওয়ার।


যে ভালো একটা বিশ্বকাপ শেষ করে তাদের উপহার দিলাম, অবশ্যই এটা আমাদের দায়িত্ব, সবার মধ্যেই অবশ্য তা থাকে। পাশাপাশি সাকিব ভাই রিয়াদ ভাইয়ের কাছে বাড়তি অতিরিক্ত কিছু চাই না। ওনারা যেভাবে পারফর্ম করছেন, যার যে রোল, সেটা যদি ঠিকভাবে পালন করতে পারেন, তাহলে দল অবশ্যই লাভবান হবে।

যে জিনিসটা চাইব, তাদের যেই অভিজ্ঞতাটা আছে সেটা যদি প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেন, তাহলে আমাদের দলে যে ছোটো ছোটো জায়গাগুলোতে উন্নতির দরকার রয়েছে, সেগুলোতে খুব ভালো অবস্থানে থাকব।’

সাধারণত বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছিল, কোনো বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। করা হয় অনেক ক্রিকেটার ও নির্বাচককে নিয়ে সমালোচনাও। তবে এবার তেমনটি দেখা না গেলেও খানিকটা আলোচনার জন্ম দিয়েছে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া নিয়ে। দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে, সাইফুদ্দিন তাদের চাওয়া পূরণ করতে পারেনি, তাই প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও শেষ মুহূর্তে কাটা পড়েছে এই পেস অলরাউন্ডারের নাম।

আর সেখানেই সুযোগ পেয়েছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তাই স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ককেও মুখোমুখি হতে হয় সাইফুদ্দিনের বাদ পড়া আর সাকিবের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে।

এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘সাকিব আমার মনে হয়, এখন যে অবস্থানে আছে, ওর বলের পেসটা স্বাভাবিকভাবে সাইফুদ্দিনের থেকে একটু বেশি। এছাড়া সাইফুদ্দিনের কাছ থেকে আমরা যেই রকম আশা করছিলাম, ঐ অনুযায়ী সব মিলিয়ে একটু কমবেশি ছিল।


পুরো বিস্তারিত আমি বলতে চাই না। তবে দুই জনই খুব কাছাকাছি ছিল। তো আমাদের কাছে সাইফুদ্দিনের বিষয়টায় সাকিবের ওপর আত্মবিশ্বাস বেশি মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে কিংবা সেখানকার (বিশ্বকাপ) কন্ডিশন যদি চিন্তা করি, আমাদের মনে হয়েছে সাকিব বেটার অপশন হবে।’

ভিন্ন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক আরও বলেন, ‘যে জিনিসটা হয়েছে, সাইফুদ্দিন-সাকিব দুই জনই খুবই কাছাকাছি ছিল। আমরা কাকে নেব, শেষ সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই জনই সমান ম্যাচ খেলেছে, জিনিসটা এমন না যে কে আট উইকেট নিয়েছে কিংবা কে নেয়নি, সেটা চিন্তা করে এক জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে এক জনকে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টা হলো সব মিলিয়ে দলের কেমন প্রয়োজন টিমের জন্য...থাকে না বিশ্বাসের একটা ব্যাপার কারো ওপর হয়তো একটু বেশি ছিল কিংবা কারো ওপর একটু কম ছিল। আমাদের সবার কাছে মনে হয়েছে সাকিব ব্যাটার কিছু ডেলিভারি করতে পারবে দলের কম্বিনেশন অনুসারে।’

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিনটি প্রস্তুতিমূলক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ২১, ২৩ ও ২৫ মে। এরপর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে টাইগাররা।


আরও খবর



৪ বিভাগে আরও ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের চার বিভাগে আরও ৪৮ ঘণ্টার জন্য হিট আলার্ট ঘোষণা করা হয়েছে। 


শুক্রবার সন্ধ্যায় এ অ্যালার্ট ঘোষণা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চল, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পে আধিক্যের কারণে গরমের অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে।


আরও খবর



আসছেন কাতারের আমির, সই হবে ১১ চুক্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। তার এ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি চুক্তি ও ছয়টি এমওইই। এ ছাড়া আলোচনায় প্রাধান্য পাবে মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও রোহিঙ্গা সমস্যায় স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি।

এছাড়া শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বাংলাদেশে আসছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তার এই সফরের বিস্তারিত গতকাল রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।

সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে। এই সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ কাতার হচ্ছে পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত কাতার। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে। পাশাপাশি এই সফর একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

স্বাধীনতার পর থেকেই কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক দিনের। কাতার বঙ্গবন্ধুকালীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। ২০২৩ সালে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আবারও সুদৃঢ় হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের মহা মুহিম আমির বাংলাদেশ সফর করবেন।

সম্প্রতি কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কাতারের আমিরের সফরে বাংলাদেশে ইকোনোমিক জোন করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমাদের সিরামিক আছে, আমাদের গার্মেন্ট প্রোডাক্ট আছে, আমাদের আরো অনেক এক্সপোর্ট আইটেম আছে, এগুলো রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বলব। এছাড়া আমাদের ওষুধ আছে। এগুলো এখনো রপ্তানি হয়, এগুলো ভলিয়মটা আরো বাড়ানোর জন্য বলব। বাংলাদেশে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয়, বিশেষ করে আমাদের ইকোনোমিক জোনে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয় সেটাও আলোচনা করব। আমরা বিনিয়োগ চাইব, কাতার তো নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে, অর্থনৈতিক সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারে।


আরও খবর