গত
বৃহস্পতিবারের ছয় ঘণ্টার বৃষ্টিতে পানির বাড়তি চাপ ও ময়লা-আবর্জনায় সুয়ারেজের
ড্রেন বন্ধ হয়ে রাতেই নিউমার্কেটের প্রায় ৫০০ দোকানের ভেতরে পানি ঢোকে। মার্কেটের
মূল কাঠামো সড়কের তুলনায় নিচু অংশে হওয়ায় পরদিন (শুক্রবার) আশপাশের পানিও এসে
জমা হয় এখানে। ফলে পানিতে বিভিন্ন কাপড়, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, কুশন, বালিশ,
লাগেজ, ক্রোকারিজসহ নানান ধরনের ব্যবহার্য
সামগ্রী নষ্ট হয়ে ১০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
নিউমার্কেট
ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন।বলেন, যে সময় বৃষ্টি এসেছে তখন অধিকাংশ দোকানই
বন্ধ করে সবাই বাড়ি চলে গিয়েছেন। এত বৃষ্টি হবে বা এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে সেটি
কেউ ভাবেননি। আবার নিউমার্কেট অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ার কারণে আশপাশের পানিও এখানে
জমা হয়েছে। আশপাশের অন্যান্য মার্কেটগুলোর ভেতরেও পানি প্রবেশ করেছিল। আমাদের
ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আনুমানিক প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য দোকানের
ডেকোরেশন নষ্ট হয়েছে। এগুলো কাটিয়ে উঠতে যথেষ্ট সময়ও লাগবে।
এ ধরনের সমস্যার রোধে এখন কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া
হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে পানি যখন সরানো যাচ্ছিল না তখন মেয়র
মহোদয়ের নির্দেশে সিটি কর্পোরেশনের সাকশন মেশিন এনে পানি অপসারণ করা হয়েছে। একই
সঙ্গে ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। এখনো মার্কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ
চলছে। পাশাপাশি আমরা দোকানিদের সতর্ক করেছি যেন কোনোক্রমে ড্রেনে পলিথিন, ময়লা আবর্জনা না ফেলেন।
নিষেধাজ্ঞা
অমান্য করে কেউ ড্রেনে ময়লা ফেললে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে
জানিয়ে তিনি আরও বলেন,
যে সকল দোকান থেকে ময়লা আবর্জনা পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য
মার্কেটের ড্রেন এবং চলাচলের রাস্তায় ফেলা হবে, তাদের
বিরুদ্ধে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিজ দোকানের ময়লা আবর্জনা
ফেলার জন্য দোকানের সামনে বাস্কেট রাখতে হবে। আর মার্কেটের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা
বাস্কেট থেকে আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করে দেবেন।
সবমিলিয়ে
নিউমার্কেটের ভেতরের ড্রেনগুলো সচল রাখলে ভবিষ্যতে আর এমন ঝামেলায় পড়তে হবে না
বলেও জানান তিনি।