Logo
শিরোনাম

নওগাঁ-৬,আত্রাই-রাণীনগর আসনে ১২জনের মনোনয়ন জমা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁ-৬,(আত্রাই-রাণীনগর) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দলীয় প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ১২জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রার্থীরা জেলা-উপজেলা নির্বাচন রিটাার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসব মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনিত প্রার্থী,বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি ও সম্মিলিত মহাজোটের কো-চেয়ারম্যান এবং এনপিপির যুগ্ন-মহাসচিব রয়েছেন। 

রাণীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর সুত্রে জানাগেছে,তফশীল ঘোষনার পর থেকে এই আসনে মোট ১৪জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছিলেন। এর মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী বর্তমান এমপি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল,বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি ও সম্মিলিত মহাজোটের কো- চেয়ারম্যান সরদার মো: আব্দুস সাত্তার,ন্যাশনাল পিপলস্ পাটির (এনপিপি) যুগ্ন মহাসচিব ইন্তেখাব আলম,আত্রাই উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য আবু বেলাল হোসেন (জুয়েল),নওগাঁ জেলা জাকের পার্টির প্রচার সম্পাদক রবি রায়হান,তৃনমুল বিএনপির পি.কে আব্দুর রব মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাজশাহী মহানগর আওয়ামলীগের সহ-সভাপতি নওশের আলী,নওগাঁ জেলা আওয়ামলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক সুমন,আত্রাই উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নাহিদ ইসলাম,বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ সমর্থক প্রকৌশলী জাহিদুল, শাহজালাল উদ্দীন ও এম.এ রতন মনোনয়নপত্র জমা দাখিল করেছেন। 

জানাগেছে,নওশের আলী,ওমর ফারুক সুমন,নাহিদ ইসলাম এবং জাহিদুল ইসলাম আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করে জমা দেন। 


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




সিংড়ায় চেকপোস্ট পরিচালনা করে ৩৭ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী ৩জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image


 


সিংড়া,নাটোর,প্রতিনিধি:


  র‌্যাব-৫ সিপিএসসি রাজশাহী ও র‌্যাব -৫ সিপিসি-২ নাটোর  ক্যাম্পের যৌথ অভিযানিক দল  গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে  গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে  নাটোর জেলার  সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের নিংগুইন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে  ৩৭ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ ০৩ জন মাদকব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। 


শুক্রবার দিবাগত রাত ১২.৪০ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদ এর ভিক্তিতে  তাদের আটক করা হয়।


আটককৃত আসামিরা হলেন,

১।মোঃ ফারুক মিয়া (৩০) পিতা মোঃ সুরমান আলী,

২। মোঃ আকাশ আলী  (২২) পিতা মোঃ সুজন মিয়া, উভয়ের সাং শ্রীফলতলা, থানা শাহাজাদ পুর, জেলা সিরাজগঞ্জ, 

৩। মোঃ রানা মিয়া (২৫)পিতা মৃত হাসেম আলী,সাং ফুলগাছ,

থানা ও জেলা লালমনিরহাট। 


এসময় তাদের কাছ হতে ৩৭ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা,

 ০১ টি কার্ভাড ভ্যান, ০৫টি মোবাইল, ০৮ টি সিম কার্ড ও নগদ ৫২ হাজার ১৭০ টাকাসহ তাদের আটক করা হয়। 


র‌্যাব জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে,

তারা জব্দকৃত আলামত গাঁজা সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্য নিজেদের হেফাজতে রেখে পরিবহন করছে বলে সাক্ষীদের সম্মুখে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ক্রয়বিক্রয় করে আসতেছিলো, তাহারা পেশাদার মাদকব্যবসায়ী। ১৯ অক্টোবর শনিবার  সকালে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব।


উপরোক্ত ঘটনায় নাটোর জেলার সিংড়া থানায় আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।


সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ আসমাউল হক বলেন,আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে নওগাঁর কুজাইল বাজারে দু' দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

একেকটা নৌকায় একেক রকমের সাজানো। ঢাক-ঢোল আর সাউন্ড বক্স ও মাইকের সাউন্ডে মুখরিত চারেদিক। সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়ে, শিশু, কিশোর, কিশোরী, যুবক-যুবতী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের নাচানাচি। আর সেই দৃশ্য উপভোগ করতে নদীর দু’পারে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। এমনই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ফুটে উঠেছে নওগাঁর রাণীনগরে লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ছোট যমুনা নদীতে শত শত নৌকার নৌবহরে। এ পূজা উপলক্ষে শুক্রবার উপজেলার কুজাইল বাজারে বসে গ্রামীণ মেলা। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ এ মেলা এখনো ধরে রেখেছে ঐতিহ্য।

লক্ষ্মী মানে শ্রী সুরুচি। লক্ষ্মীকে ধন সম্পদ আর সৌন্দর্যের দেবী বলে মনে করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাই লক্ষ্মী পূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। শারদীয় দুর্গোৎসবের কয়েক দিন পর পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী পূজার আরাধনা করা হয়। নারী-পুরুষ উভয়েই এ পূজায় অংশ গ্রহণ নেয়। বুধবার লক্ষ্মীপূজা শুরু হয়। এরপর শুক্রবার ছোট যমুনা নদীতে লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার সমাপ্তি হয়।

স্থানীয়রা তাদের শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিমা বিসর্জনের দিন থেকে লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে কুজাইল বাজারে দু' দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলার আয়োজন করে থাকেন। মেলায় বসে হরেক রকমের দোকানপাট। মেলার প্রথম দিন শুক্রবার মূল আর্কষণ নৌবহর। দ্বিতীয় দিন হয় বউ মেলা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানীণগর উপজেলার কাশিমপুর রাজবাড়ির রাজবাহাদুর শ্রী. অন্নদা প্রসন্ন লাহিড়ীর রাজত্ব পরিচালনার আগে থেকে লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রায় দুই’শ বছর থেকে লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জনের দিন থেকে এ মেলা শুরু হয়। ঐতিহ্যবাহী এ মেলার বিশেষ আর্কষণ লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে ছোট যমুনা নদীতে নৌবহর। ঐদিন দুপুরের পর থেকে রাণীনগর, আত্রাই, মান্দা, নওগাঁ সদরসহ কয়েকটি উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় চড়ে আসতে থাকে। পাশাপাশি মেলা ও নৌবহর উপভোগ করার জন্য নৌকায় ঘুরে বেড়ান অন্যান্য ধর্মের মানুষও। সাউন্ড বক্স, মাইক আর ঢাকের তালে তালে নৌকায় বিনোদন প্রেমীদের নৃত্যে মুখরিত হয়ে উঠে ছোট যমুনা নদী। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মিলনমেলায় পরিণত হয় নদীর দু’পার। শুক্রবার প্রায় তিন শতাধিক নৌকা নদীতে নৌবহরে মেতে উঠে। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এরপর নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

স্থানীয় মেম্বার ও মেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শত শত বছরের এই মেলায় আমরা হিন্দু মুসলিম একে অপরকে সহযোগিতা করি। এই মেলায় অনেক দুর থেকে নৌকা নিয়ে এসে নৌ-বহরে যুক্ত হয়। যা হাজার হাজার নারী পুরুষ উপভোগ করে। এছাড়া এই মেলায় প্রায় দুই শত দোকান বসে যেখানে অর্ধকোটির বেশি বেচাকেনাও হয়ে থাকে।


আরও খবর



শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ঘৃণা করতেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

আতোয়ার রহমান মনির :

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) আহ্বায়ক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ঘৃণা করতেন। সে কারণে মানুষের মনেও তার জন্য এতো ঘৃণা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, যার ডাকে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তার মেয়ে পালিয়ে গেছে। কেন পালিয়ে গেছে? সে যা করেছে না পালালে তাকে ধরে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে তারপর ওই ছাই বিক্রি হতো। এক চিমটি ছাই কেনা হতো লাখ লাখ টাকা দিয়ে। শেখ হাসিনার মৃত্যুর ছাই স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতো সবাই। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে রোজ গার্ডেন চাইনিজ রেস্তোরাঁয় জেলা যুগ্ম আহবায়ক ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ১৭ বছর দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছিল। গুম খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এজন্য বাংলার বীর জনতা তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। এই লুটপাট আর গুম খুনের  রাজত্ব চিরদিনের জন্য বন্ধ করে জনগনের জন্য কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এবিপার্টি। ওইদিন জেলা সদস্য সচিব চৌধুরী এম এ সাকিব এর সঞ্চালনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে এবি পার্টিতে জেলায় বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার  শতাধিক লোকের এবিপার্টিতে যোগদান করেন। এ সময়  বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্জিনিয়ার শাহ আলম বাদল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, জেলা যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: ইমরান হোসেন রাকিব, রামগতি উপজেলা সমন্বয়ক মাওলানা সোহেল। সদর উপজেলা সিনিয়র নেতা মো: জাহিদ হাসান।


আরও খবর



সব হত্যার বিচার চান জামায়াত আমির

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মারা থেকে শুরু করে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত হত্যার ঘটনা ঘটেছে সব হত্যার বিচার দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তবে সবার আগে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ১৯ বছর পর প্রকাশ্যে জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে

জামায়াত আমির তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগকে চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাদের চেয়ে বড় সন্ত্রাসী আর কেউ ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি

জামায়াতের আমির বলেন, ছাত্রলীগ নামে হাতুড়ি-হেলমেট বাহিনী তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ। ওবায়দুল কাদেররা অহংকার ও অন্যায় নিয়ে গর্ব করতেন। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। আজ উনারা কোথায় গেলেন। প্রতিটি অপকর্মের ফল তাদের পেতে হবে

জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেবে না, তবে জুলুমের শিকার প্রতিটি মানুষকে ন্যায়বিচার দেবে বলে জানান দলটির আমির

বিপ্লবের পর জামায়াত কর্মীরা চাঁদাবাজি কিংবা দখল করেনি, বরং মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে

প্রায় ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত জামায়াতের এই রুকন সম্মেলনে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও মহানগরীর ১০ হাজারেরও বেশি সদস্য উপস্থিত রয়েছেন


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




গেইমিং পিসি বানাতে যা করবেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

হারুন অর রশিদ:

গেমিং পিসি এবং সাধারণ পিসির মধ‍্যে একটি বড় ধরনের পার্থক্য হচ্ছে হার্ডওয়‍্যারের প্যারফর্ম্যান্স। একটি সাধারণ পিসিতে যেসব হার্ডওয়‍্যার থাকে সেগুলো একটি গেমিং পিসিতেও থাকে। তবে এগুলো অনেক বেশি শক্তিশালী এবং কার্যক্ষম হয়ে থাকে। তবে যদি একটি ভালো মানের গেমিং পিসি কেনার ইচ্ছে থাকে তাহলে ডেস্কটপ পিসিতে ঠিক কি ধরনের হার্ডওয়‍্যার ব‍্যবহৃত হয় সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। গেমিং পিসিতে যেসব হার্ডওয়‍্যারগুলো ব‍্যবহৃত হয় সেগুলো জেনে নিলে সহজেই গেমিং পিসি নির্বাচন করতে সাহায্য করবে।

গেমিং পিসি তৈরি করতে যেসব উপকরণ প্রয়োজন হবে :

গেমিং পিসি তৈরি করতে লিস্টে রাখুন নিচের এই হার্ডওয়‍্যার গুলো:

প্রসেসর :

বাজারে সাধারণত দুই ধরনের গেমিং প্রসেসর পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে ইন্টেল এবং অপরটি হচ্ছে এএমডি (এডভান্সড মাইক্রো ডিভাইস)। বর্তমানে বাংলাদেশে দুই ধরনের প্রসেসর ডেস্কটপ পিসি তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। তবে প্রসেসর কেনার আগে তার প্রসেসর এর ক্লক স্পিড, ইন্টারফেস, কোর, ক‍্যাশ, হাইপার থ্রেড ইত্যাদি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে

মাদারবোর্ড :

মাদারবোর্ড বলতে মূলত একটি প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডকে বোঝায় যেখানে প্রসেসর, মেমরি ও এক্সপানশন হার্ডওয়‍্যার সংযুক্ত করা হয়। এর সাথে এক্সটার্নাল ডিভাইসের সাথে কানেক্ট করার জন্য বিভিন্নরকমের পোর্ট ও সকেট থাকে। ভালো মানের মাদারবোর্ড নির্বাচন করতে হবে যাতে পরবর্তিতে প্রসেসর আপগ্রেড করা যায়। অন্যথায় প্রসেসর আপগ্রেড করতে হলে মাদারবোর্ড আপগ্রেড করা সম্ভব হবে না। মাদারবোর্ডের সাথে সিপিইউ ইন্টারফেস বা সকেট, চিপসেট, বায়োস এগুলো ঠিকভাবে কাজ করে কিনা তা চেক করে দেখতে হবে

গ্রাফিক্স কার্ড :

কম্পিউটারকে শক্তিশালী ও জটিল কাজ করতে গ্রাফিক্স কার্ড বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গ্রাফিক্স কার্ডের প্রধান এবং অন‍্যতম কাজ হচ্ছে দ্রুত ইমেজ জেনারেট করা এবং তা ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করা। বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্রাফিক্স কার্ড পাওয়া যায় এর মধ্যে জনপ্রিয় কিছু ব্র্যান্ড হচ্ছে এমএসআই, ইন্টেল, গিগাবাইট, এনভিডিয়া ও এটিআই। গ্রাফিক্স কার্ড নির্বাচন করার সময় এর চিপসেট, মেমরি টাইপ, মেমরির পরিমাণ, ক্লক স্পিড ও আউটপুট ফিচার দেখে নিতে হবে। মেমোরী

মেমরী প্রত্যেক কম্পিউটারের জন্য প্রাইমারী কম্পোনেন্ট হিসেবে ধরা হয়। সাধারণত পিসিতে দুই ধরনের মেমরীর ব্যবহার হয়ে থাকে র‍্যাম ও হার্ডডিস্ক। তাই গেমিং পিসির জন্য এর বিকল্প নয় তবে এই ধরনের পিসির জন্য র‍্যাম ১৬ জিবি ও স্টোরেজ এর জন্য এসএসডি বা সাটা নির্বাচন করা। যদি ফাইলের পরিমান বেশি হয় তাহলে বেশি স্টোরেজ এর প্রয়োজন হবে এর জন্য আলাদাভাবে এক্সটার্নাল ড্রাইভ ব্যবহার করা ভালো

মনিটর :

ভালো মানের একটি পিসি তৈরিতে ভালো মানের একটি মনিটর নির্বাচন করা জরুরী। গেমিং পিসির ‍জন্য বিদ‍্যুৎশক্তি কম খরচ, পাতলা বা বেজেললেস, হাই রেজ্যুলিউশন এর মনিটর নির্বাচন করতে হবে। ফুল এইচডি বা ৪কে রেজ্যুলিউশন এর মনিটর ব্যবহার করলে চোখের উপরে প্রভাব কম পরে এবং ভিজ্যুয়াল বস্তুকে বাস্তব সম্মত দেখায়। ফলে এই ধরনের মনিটরগুলো গেমারদের জন‍্যে বেস্ট চয়েজ হতে পারে। অপটিক‍্যাল ড্রাইভ

অপটিক‍্যাল ড্রাইভ বলতে সিডি, ডিভিডি, ব্লু-রে এর ড্রাইভকে বোঝানো হয়। এই ড্রাইভগুলো সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে- ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল। গেইম ডিভিডি রাইট করে রাখার জন‍্যে গেমারদের জন‍্যে অবশ্যই ডিভিডি রাইট থাকা জরুরি। তবে ভবিষ্যতের কথা খেয়াল রেখে ব্লু-রে ড্রাইভ কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে

মাউস ও কীবোর্ড :

গেমিং কম্পিউটার বা পিসির জন‍্যে ভালো মানের মাউস এবং কী-বোর্ড কেনা জরুরি। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা গেমার মাউস এবং কীবোর্ড নিয়ে বেশি কাজ করেন তাই এই কম্পোনেন্টগুলো ভালো কোয়ালিটির হতে হয়। সাধারণ পিসির চেয়ে গেমিং পিসির মাউস ও কী-বোর্ড এর দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি হয়

ক‍্যাসিং :

কেসিং এর কাজ হচ্ছে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশগুলোকে সুরক্ষা প্রদান করা। ক্যাসিংয়ের মধ্যে মাদারবোর্ড স্থাপন করে অন্যান্য হার্ডওয়্যারগুলকে সেট-আপ করতে হয়। ক্যাসিংয়ের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে মাদারবোর্ড সাপোর্ট, সিপিইউ এর উচ্চতা, পূর্বে ইনস্টল করা পাখার সংখ্যা ও প্যানেল এর ব‍্যাপারে

মন্তব্য :

গেমিং পিসি দিয়ে শুধু গেমিং করার জন্য ব্যবহার করা হয় না বরং অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও ইডিটিং, এনিমেশন ভিডিও তৈরি, থ্রি-ডি আর্কিটেকচার এরমতো আরো অনেক কাজে ব্যবহার হয়। তাই সকল বিষয় মাথায় রেখে কাজের ভিত্তিতে ডেস্কটপ পিসি বিল্ড করতে হবে


আরও খবর

৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ইমো

সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪

সফটওয়্যারের কৃত্রিম পরিবেশনা

সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪