Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা কৃষি ঋণ পেল কৃষকরা

প্রকাশিত:সোমবার ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ  


নওগাঁয় ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা কৃষি ঋণ পেল ৩শ' কৃষক।

নওগাঁর পত্নীতলায় সোমবার ১২ ডিসেস্বর সকাল ১১ টায় কৃষি ঋণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

পত্নীতলা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একৃষি ঋণ মেলায় কৃষকদের মধ্যে ঋণ বিতরণের মধ্যদিয়ে এক  দিনব্যাপী কৃষি ঋণ মেলার উদ্বোধন করা হয়।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ এর সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধন করেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার এমপি।  এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গাফ্ফার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবির, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার , মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ,  অগ্রণী ব্যাংক পত্নীতলা শাখার ব্যবস্থাপক মাহামুদুন্নবী, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক  নাজিম উদ্দিন, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক স্বপন হোসেন, পত্নীতলা থানার  ওসি পলাশ চন্দ্র দেব, বিআরডিবি অফিসার প্রহ্লাদ কুমার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বিলাশ সহ বিভিন্ন দপ্তরের অফিস প্রধান কর্মকতা ও কর্মচারীসহ সুধিজনরা। পত্নীতলা উপজেলার  অগ্রণী, কৃষি, জনতা, সোনালী,  ইসলামী, মার্কেন্টাইল, সাউথ বাংলা, পল্লী সঞ্চয় কর্মসংস্থান,  বিআরডিবি  সহ মোট  ১০ টি স্টল খুলে মেলায় অংশ গ্রহণ করেন। এসব ব্যাংকের  আওতায় কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উৎসাহ দিতে উপজেলার প্রায় ৩ শ' জন কৃষকের মাঝে সরাসরি সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে নগদ ও চেকের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়। 


আরও খবর



যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সেই সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সেই ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সেই বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, তেমন তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও আমরা অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। এই কঠিনটা যাতে সহজতর হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্যি, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। এই অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এই কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়েও বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুততম সময়ে সংসদে পাশ করার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও আইনকানুন নেই। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। তবে আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতা যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। এবং আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে। আমরা (সরকার) মনে করি, গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কারণ যেসব সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটি তারা দেখিয়ে দেন এবং আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখবো না। এই ধরনের সেনসেটিভ অ্যান্ড সিক্রেট ইনফরমেশন প্রটেকশনের আইন সবদেশে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে যেগুলো মানুষের জানার অধিকার আছে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখবে। কাজেই একটি সিস্টেম করতে হবে যাতে সব তথ্য তারা অবহিত করতে পারে, আবার সংবেদনশীল তথ্য প্রটেকশনটাও রাখা জরুরি। আমরা এটি ঘেটে দেখছি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট করে। সাংবাদিকদের এক্সেস কতটুকু আছে? আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার মধ্যে আমরা সবকিছু রাখার চেষ্টা করবো।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ এসোসিয়েশন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদ উদ্যোগে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তায় হেল্পডেস্ক ও  তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন বিতরণ করা হ‌য়ে‌ছে।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল ) সকাল থে‌কে  মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যয় একাত্তরের সামনে  ক‌্যাম্প স্থাপন ক‌রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আগত শিক্ষার্থীদের এই সেবা প্রদান করেন মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের শিক্ষার্থীরা।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ রিয়াজ হোসেন আর সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন নেতৃ‌ত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যয় একাত্তরের  সামনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন পান করা  এবং তথ্য সহায়তা ও সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের সাংগঠিন সম্পাদক  শাহ্- পরান শুভ  বলেন,

প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার সময় নারায়নগঞ্জ -মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদ  (মাভাবিপ্রবি) সর্বাত্মক চেষ্টা করে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের হেল্প করার।তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এবার ভিন্ন কিছু আয়োজন করার চেষ্টা করছি।

তীব্র গরমে দুপুরে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন পান করানোর মতো মহৎ কাজ আর কি হতে পারে!

 তাই এডমিশন যুদ্ধে ছুটে আসা শিক্ষার্থী,গার্ডিয়ান সেই সাথে  মহান পেশায় জড়িত রিক্সা চালক মামা, কর্তব্যরত পুলিশ, বিএনসিসি মেম্বার, আনসার ও সেচ্ছাসেবী  সবাইকে পানীয় বিতরণ করেছি।আলহামদুলিল্লাহ আমরা আল্লাহর রহমতে ১৬০০+ গ্লাস শরবত, পানি ও স্যালাইন এর আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি।

 এ ছাড়াও এই এরপাশাশি  আমরা হেল্প ডেস্ক ও ছাউনী ব্যবস্থা করতে পেরেছি।


আরও খবর



বেড়েছে ঋণ পরিশোধের চাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। গত মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের ৯ মাসে শুধু ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদই ব্যয় বেড়েছে ১১৭ শতাংশ। সরকারের দেয়া উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে ঋণ নেয়ার প্রবণতাও। অর্থনীতিবিদদের মতে, ঋণ ব্যয়ে দূরদর্শিতা দেখাতে না পারলে সুদের জালে আটকে যাবে দেশের উন্নয়ন।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ খরচ ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার। গত রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ-এ ৯ মাসে বাংলাদেশকে কেবল সুদ বাবদ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করতে হয়েছে ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। গত অর্থবছর এ সুদ বাবদ গুনতে হয়েছে ৪৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

স্বাভাবিকভাবেই বছর ব্যবধানে বেড়ে গেছে সুদাসলে ঋণ শোধ বাবদ ব্যয়। ইআরডির তথ্য, গত নমাসে সব মিলিয়ে ২৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার সুদ ও আসল গুনতে হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ আগের বছরের ‍তুলনায় বেড়েছে ৮৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে বিভিন্ন ঋণের আসল পরিশোধ করা হয়েছে ১৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

তবে এ সময়ে ঋণ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতিও অনেক বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৭২৪ কোটি ২১ লাখ ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। গত বছরের তুলনায় যা ১৩৫ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩০৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তৃপ্তির ঢেকুর না তুলে, তা যেন ব্যয় করা হয় লাভজনক প্রকল্পে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে অর্থব্যয়ে স্বচ্ছতা।

অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যাবে না। তাই যতটুকু ঋণ পাওয়া যাবে তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে। না হলে সুদের জালে আটকে যেতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়ন।

যে সব প্রকল্প দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে সহায়তা করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এমন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ নেয়ার তাগিদ দেন অর্থনীতিবিদরা।


আরও খবর



ইসরায়েলে দুই শতাধিক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

অবশেষে ইসরায়েলে হামলা শুরু করেছে ইরান। দেশটি প্রথমে ড্রোন হামলা চালায়। পরে ছুড়ে ক্রুজ ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইতোমধ্যে ইরান দুই শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। খবর বিবিসির।

মুখপাত্র দাবি করেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং এ অঞ্চলে থাকা মিত্ররা ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই আটকে দিয়েছে। ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বাইরে সেগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি তার।

ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, এ পর্যন্ত একজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে পড়ার পর একটি সামরিক স্থাপনা হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামরিক স্থাপনাটির বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কিছু বলেননি তিনি।

এর আগে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, আরাদ অঞ্চলের বেদুইন এলাকায় পড়ন্ত ধ্বংসাবশেষের টুকরোর আঘাতে আহত ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে সিরিয়ায় তেহরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধে অপারেশন ট্রু প্রমিজ পরিচালনার কথা জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস-আইআরজিসি। গভীর রাতে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় শোনা যায় সতর্কতামূলক সাইরেন। ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ডের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সে দেশের গণমাধ্যম।

ইরানের এ হামলার পরপরই লেবানন, জর্ডান ও ইরাক তাদের আকাশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলও সামরিক উড়োজাহাজ বাদে বাকি সব উড়োজাহাজের জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন নিক্ষেপের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি। আর সেটা আত্মরক্ষা ও আক্রমণ-উভয় দিক দিয়েই। ইসরায়েল রাষ্ট্র শক্তিশালী। আইডিএফ শক্তিশালী। দেশের জনগণ শক্তিশালী।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে ইসরায়েল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন জেনারেলসহ ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাতজন সদস্য রয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে ইসরায়েলে হামলা চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল ইরান। দেশটি প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে সরাসরি হামলা করল।


আরও খবর



পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমাগ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে নিহতদের একজনের নাম পাওয়া গেছে, তিনি আলম মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গুটমা বাজারের নিকট আহাদ মিয়ার একটি ভবনে কাজ করতেন তারা। রোববার সকালে নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচা খুলতে ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা তিনজন। পরে তাদের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা দেখতে পান ভেতরে সবাই মারা গেছেন।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার হিমাংশু রঞ্জন সিংহ বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বিভিন্ন গ্যাসের কারণে এমন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা।

তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা পরবর্তীতে বলা যাবে।


আরও খবর