Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় মহিলা দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বর্ণাঢ্য বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নওগাঁর মহাদেবপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

শনিবার বিকেলে এ উপলক্ষে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এশিয়া ব্যাংক প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ব্যান্ড পার্টির মিউজিকের তালে তালে চালুন সাজিয়ে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে কয়েকশ’ নারী বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। 

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন, মহাদেবপুর উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী কাজী রওশন জাহান, সহ-সভানেত্রী রেহেনা পারভীন, সাধারণ সম্পাদিকা নার্গিস পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্ণা খাতুন, সহ-দপ্তর সম্পাদক রোজিনা পারভীন প্রমুখ।

পরে এশিয়া ব্যাংকের নিচে আয়োজিত সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মন্ডল প্রধান অতিথি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, এস, এম, হান্নান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও জেলা মহিল দলের সহ-সভানেত্রী কাজী রওশন জাহান এতে সভাপতিত্ব করেন।

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য কাজী সামছুজ্জোহা মিলনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আব্দুস সোবহান, শাহাদৎ হোসেন শান্ত, সদস্য চঞ্চল রহমান, খাইরুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাস্টার হাফিজুর রহমান জিল্লুর, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ, ১নং সদস্য আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ। 

এসময় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সফাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আলম বাচ্চু, প্রচার সম্পাদক আমিন ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ফেরদৌস আলম, হাতুড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর গফুর মাস্টার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান তাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব বাচ্চু, রাইগাঁ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর রহমান মঞ্জু, এনায়েতপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মমতাজ হোসেন, চাঁন্দাশ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজাউদৌলা বাচ্চু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম ইয়াজদানী শাম্মি, সাজেদুল ইসলাম সাজ্জু, ইখতিয়ার উদ্দিন দুরন্ত, এরশাদ আলী, সোহাগ হোসেন বাবু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইউপি সদস্য শিহাব রায়হান, জাহাঙ্গীর আলম স্বপন, হাতেম আলী, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাপি কুমার মন্ডল রনি, গোলাম কিবরিয়া, হিরণ আহমেদ, মেহেরাব হোসেন জিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল সংঘাত চলছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর। শিগগিরই দেশটিতে চলমান এ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও।

জাতীয় সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসেই মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়তে পারে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের অনুপ্রবেশের ঘটনাও বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হয়েছে। ফলে সন্ত্রাসী দল বা গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে। মিয়ানমারের পাশাপাশি আরাকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে। সেইসঙ্গে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান পণ্যের সরবরাহ আরও বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে আরও কয়েকটি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর লড়াই চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে পর্যুদস্ত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিপির পাঁচ শতাধিক সদস্য। এর মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্যকে জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর সবশেষ গত ২৫ এপ্রিল নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যকে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মোট ৯ লাখ ৯ হাজার ২০৭ জন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালি বর্ধিত ক্যাম্পে রয়েছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৬ জন। অন্যান্য ক্যাম্পে রয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৪ জন রোহিঙ্গা। এর বাইরে ৬ হাজার ৮২৭ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে হোস্ট কমিউনিটি তথা কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশি সমাজের সঙ্গে।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীকে আরও সচেতন ও সতর্ক থেকে কাজ করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কঠোরভাবে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।


আরও খবর



‘ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না’ কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



 ডিজিটাল রিপোর্ট:


রাজধানীতে ব্যাটারি বা যন্ত্রচালিত কোনো রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভায় এই নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।


সভায় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এটা আগে কার্যকর করুন। 


এ ছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন করুন। ঢাকা সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা যাতে না চলে, সেই বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যাতে না পারে, সেটার ব্যবস্থা করুন। 


সারা দেশে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপ (ধ্বংস) করতে হবে।


উচ্চ হর্ন নিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ১০ বছর আগেই তার প্রোটেকশন গাড়িতে হুটার বাজে না। হুটার বাজানো বন্ধ করা দরকার। জরুরি সেবা ছাড়া হুটার বাজানো যাবে না।


এর আগে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র শহরের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।


সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার, যখন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালায়। 


অনেক প্রতিবন্ধী আছেন, যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন, তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।


ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।


সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নওগাঁয় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নওগাঁয় দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক শিশুর মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। এসড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ৬ মে দুপুরে নওগাঁ টু রাজশাহী মহা-সড়কের মহাদেবপুর থানাধীন (নওহাটামোড়) চৌমাশিয়া বাজারে। নিহত শিশু হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার গোটগাড়ী খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামের শামিম হোসেন এর ছেলে বাধন হোসেন (১০)। স্থানিয় লোকজন ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, নওহাটামোড় বাজারের কফিল চাউল মিলে লেবার হিসেবে শিশুর বাবা শামিম হোসেন ও তার মা একই চাতালে নারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার সময় শিশু বাধন চাতালের সামনে সড়ক পারাপার হওয়ার সময় রাজশাহী থেকে নওগাঁ অভিমুখি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী একটি বাস শিশুটিকে চাপাদিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু বাধন হোসেন এর মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে স্থানিয় নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছান। শিশু নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে দূর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ফাঁড়ি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে   বাসটি সনাক্ত করনের কাজ চলছে একই সাথে আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয়।


আরও খবর



নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জমজমাট গবেষণা মেলা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনধি:

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের উদ্বোধনের মাধ্যমে ৮ মে দুই দিনব্যাপী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জমজমাট গবেষণা মেলা শুরু হয়েছে।

শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এই মটোকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বারের মতো দুই দিনব্যাপী গবেষণা মেলা-২০২৪ শুরু হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টায় মেলা শুরু হয়। মেলা শুরু হলে সময়ের সাথে সাথে ছাত্র-শিক্ষক-গবেষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। গবেষণাপ্রেমীদের জমজমাট পদচারণায় গবেষণা মেলায় যেন- প্রস্তরের বুক চিরে গবেষণার ফুল ফুটেছে।

বিকাল ৫টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত গবেষণা মেলায় তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন-এটি আমাদের মটো। আমাদের মটো শুধু শব্দমাত্র নয়, বরং এটি একটি ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা সকলে মুক্তবিহঙ্গের ন্যায় আলস্য পরিত্যাগ করে প্রত্যয় বাস্তবায়নে জন্য কাজ করে যাচ্ছে।


গবেষণা মেলার গুরুত্ব ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে

তিনি আরও বলেন, গবেষণা যে শুধু পদোন্নতির জন্য নয়, ব্যক্তিগত নথিতে আটকে রাখার বিষয় নয় সেই ধারণাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। গবেষণা মেলার মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষকদের গবেষণাগুলোকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করছি। গবেষণা মেলার জন্য শিক্ষকদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়েছে।

ভবিষ্যতে ভালো ও উন্নতমানের গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষকদের প্রণোদনার পাশাপাশি তাদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃতও করা হবে উপাচার্য ঘোষণা দেন।

তিনি আরও বলেন, গবেষণা কার্যক্রমকে প্রকাশের জন্য নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে উচ্চ মানসম্পন্ন গবেষণা জার্নাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশ করা হবে।’

তরুণ গবেষকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘আসুন আমরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি, গবেষণা মনস্কতা তৈরি করি যাতে উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অভিযাত্রায় শামিল হই।

গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মার্জিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা। সঞ্চালনা করেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদুর রহমান।

এসময় বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিটিআই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। মেলার উদ্বোধন করে উপাচার্যসহ অন্যরা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি বিভাগ, আইকিউসি ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র অংশ গ্রহণ করেছে। লটারির মাধ্যমে তাদেরকে তাদের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সকাল থেকেই সেসব স্টলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণাকেন্দ্রের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রকাশিত প্রবন্ধ, গ্রন্থ, জার্নাল, গবেষণা প্রকল্প, উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি স্টলে তাদের বিভাগের শিক্ষার্থী, গবেষকরা তাদের উপস্থাপনা দিয়ে আগত দর্শনার্থীদের নানা ধরনের কৌতূহল মিটিয়ে দিচ্ছেন।

মেলার দ্বিতীয় দিন (৯ মে) প্রথম পর্ব শুরু হবে বেলা ১১ টায়। এসময় মেলায় অংশগ্রহণকারী ১৪টি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট তাদের কার্যক্রম নিয়ে ১০ মিনিট করে ও দ্বিতীয় পর্বে তথা বেলা আড়াইটা থেকে আরও ১৩ টি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট ১০ মিনিট করে একটি ব্রিফিংয়ের সুযোগ পাবেন। যাতে করে মেলায় আসা দর্শনার্থীসহ অংশগ্রহণকারী অন্যরা সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। গবেষণা মেলার সমাপনী আয়োজনে অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট গবেষক ও বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, বুয়েট।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




কঠিন হয়ে পড়ছে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ডলার সংকটের কারণে গত বছর জটিলতায় পড়ে যান বিদেশগামী অনেক শিক্ষার্থী। ওই সময় অনেক ব্যাংক বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি পরিশোধের জন্য স্টুডেন্ট ফাইল খুলতে গড়িমসি করে। ডলারের সে সংকট এখনো কাটেনি। এর মধ্যে নতুন করে ডলারের বিপরীতে টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকে আরো কঠিন করে ‍তুলেছে।

শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু বিদেশে নয়, টাকা অবমূল্যায়নের কারণে যে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে, তার প্রভাবে দেশেও শিক্ষার ব্যয় আরো বেড়ে যেতে পারে। 

ইউনেসকোর হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালে উচ্চ শিক্ষায় বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার ৭৯৯ জন। কয়েক বছর ধরে এ সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে ২০২১-এর তুলনায় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৬০ শতাংশ। সাধারণত দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ আনুষঙ্গিক খরচ ডলারে পরিশোধ করতে হয়। 

বিদেশে উচ্চ শিক্ষাপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে খরচ পাঠান। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিশেষ ব্যাংক হিসাবের (স্টুডেন্ট ফাইল) মাধ্যমে বিদেশে এ অর্থ পাঠান। এছাড়া কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে দেখাতে হয়। ফলে কোনো দেশের মুদ্রার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বাড়লে ওই দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়ে যায়।

গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে ডলারের নতুন বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বর্তমানে প্রতি ডলারের দর ১১৭ টাকা। এর আগে মুদ্রাটির বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা। এছাড়া জানুয়ারি ২০২০ থেকে চলতি মাস পর্যন্ত টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে প্রায় ৩৮ শতাংশ। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বাবদ গত তিন অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেনের পরিমাণ ১৩০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে লেনদেন হয় ৪১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। পরের অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫১ কোটি ৯৯ লাখ (প্রক্ষেপিত) ডলারে। আর চলতি অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে ৩৭ কোটি ৩ লাখ ডলার।

শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোই বেশি চাপে পড়বে। ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান ও এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বেড়ে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যয়ও বেড়ে যাবে। ফলে মধ্যবিত্ত যেসব পরিবারের সন্তান বিদেশে লেখাপড়া করছে তাদের ওপর বেশি চাপ তৈরি হবে। তবে শুধু বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই নয়, ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়ে দেশেও শিক্ষায় খরচ বেড়ে যেতে পারে।

উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যেসব দেশ বেছে নিচ্ছেন তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান ওপেন ডোরস রিপোর্ট ২০২২-২৩-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। দেশটিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৬৩। এর আগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন ১০ হাজার ৫৯৭ জন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন আতিকুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমেরিকান একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পেয়েছি। ওই সময়ের হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি, টিউশন ফিসহ সব মিলিয়ে যে টাকা ছিল এখন সে তুলনায় প্রায় দেড় লাখ টাকা বেশি প্রয়োজন হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘‌আমাদের দেশে বেশির ভাগ পরিবার মধ্যবিত্ত এবং এখন অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কষ্ট করে হলেও বিদেশে পড়ালেখা করতে পাঠাচ্ছে। ডলারের এ মূল্যবৃদ্ধির জন্য এমন পরিবারগুলো সমস্যায় পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ হাজার ৬৮৩, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারির তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেশটিতে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রাইজিং স্টার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দ্য আউটলুক ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট মবিলিটি: অ্যামিড আ চেঞ্জিং ম্যাক্রোইকোনমিক ল্যান্ডস্কেপ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে জিডিপি বৃদ্ধির সঙ্গে বিদেশগামী শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির সম্পর্কও তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সঙ্গে ভর্তি ফি, টিউশন ফিসহ অর্থনৈতিক বিষয়গুলো জড়িত থাকায় যেসব দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার এবং অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলক ভালো সেসব দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের প্রবণতাও বেশি। প্রতিবেদনটিতে বিদেশে শিক্ষার্থী প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সার্বিক ব্যয় বেড়ে গেছে বলে জানান অস্ট্রেলিয়াগামী শিক্ষার্থী ফাহিম উল্লাস। তিনি বলেন, ‘‌আমি মাত্র এক সপ্তাহ আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি প্রদান করেছি, নয়তো অতিরিক্ত ৯০ হাজার টাকা দিতে হতো। তবে ফি জমা দিলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় দেশ ত্যাগের ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক খরচ বেশ বেড়ে যাবে। এছাড়া যদি ডলারের বিনিময় হার না কমে তাহলে ডিগ্রি অর্জন পর্যন্ত ব্যয়ও কয়েক লাখ টাকা বেড়ে যাবে। সব মিলিয়ে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি আমাদের মতো বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের প্রতি বেশ নেতিবাচক একটি প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে।

ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমানও। তিনি বলেন, ‘‌ডলার সংকটের কারণে বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে সমস্যা হচ্ছিল। অনেকে কার্ব মার্কেট থেকে ডলার কিনে কিংবা অন্য মাধ্যমে ডলার সংগ্রহ করে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এমন অবস্থায় ডলারের মূল্যবৃদ্ধি শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

তিনি বলেন, ‘‌এতদিন ডলারের ঘোষিত মূল্য ১১০ টাকা থাকলেও শিক্ষার্থীদের ১১৫-১৭ টাকায়ই ডলার কিনতে হতো। ব্যাংক যদি এখন এটা নিশ্চিত করতে পারে যে শিক্ষার্থীরা ১১৭ টাকায়ই ডলার কিনেতে পারবে, তাহলে হয়তো চাপটা তুলনামূলক কম বাড়বে। তবে ডলারের বাজার যদি অস্থিতিশীলই থাকে তাহলে সংকট আরো তীব্র হয়ে উঠবে। আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে।

বিদেশে উচ্চ শিক্ষা কঠিন হওয়া প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক সদস্য এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘‌ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় বাড়বে। বিষয়টি শিক্ষার্থীর ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেটি নির্ভর করবে তার বা তার পরিবারের আর্থিক অবস্থার ওপর। তবে আমাদের এখন উচিত দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের বিষয়ে উৎসাহিত করা। দেশে অনেক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বেশ সুনামও কুড়িয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের আরো সচেষ্ট হতে হবে।

 


আরও খবর