অনুপ সিংহ, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে দেড় মাসেও কলেজ ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস রিন্তি উদ্ধার না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেন প্রবাসী পিতা।
শনিবার দুপুরে সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রিন্তির প্রবাসী পিতা দেওটি ইউনিয়নের নবগ্রামের নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদের লিখিত
বক্তব্যে বলেন,সোনাইমুড়ীর নান্দিয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস রিন্তি। সে কলেজে আশা যাওয়ার পথে প্রায় কলেজের কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী ও সোনাইমুড়ী পৌরসভার শিমুলিয়া গ্রামের ফয়সাল আহমেদ উত্যক্ত করত। এই নিয়ে একাধিকবার তাকে বাঁধা দিলেও কোনো প্রতিকার পায়নি রিন্তির পরিবার। গত ২৫ অক্টোবর সকালে প্রতিদিনের ন্যায় প্রাইভেট পড়তে নান্দিয়াপাড়া বাজারে যায়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তিনি জানতে পারেন, ফয়সাল আহমেদ ও তার সঙ্গপাঙ্গরা মাইক্রোবাস যুগে মুখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় রিন্তিকে।
তিনি আরো জানান,বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক সোনাইমুড়ী থানায় অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা করতে গেলে অদৃশ্য ইশারায় মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করে পুলিশ। জিডি নং- ১৩২৬। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাইমুড়ী থানার এস.আই জামাল উদ্দিন তার কাছ থেকে বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে অপহরণকারীদের সাথে আঁতাত করে রিন্তিকে উদ্ধার করতে গড়িমসি করে।
কলেজ ছাত্রীর পিতা নিরুপায় হয়ে গত ১ডিসেম্বার ২০২২ইং তারিখে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলামের কাছে গিয়ে তার মেয়েকে উদ্ধারের সহযোগিতা চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। যার স্মারক নং- ৫১৫১/২য়।
পুলিশ সুপার স্বাক্ষর করে বেগমগঞ্জ সার্কেলকে(এএসপি) ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
ছাত্রীর প্রবাসী পিতা কান্না জাড়িত কণ্ঠে জানান,আমার মেয়ে কোথায় আছে? জীবিত আছে না মারা গেছে তা তিনি জানেন না।
কলেজ ছাত্রী উদ্ধারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রশাসনের সহযোগিতা ও থানা পুলিশের অবহেলায় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন ছাত্রীর পিতা নাসির উদ্দীন, মাতা ফাতেমা বেগম ও ফুফাতো বোন আয়শা জামান।