Logo
শিরোনাম

অস্থির ডলারের বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ ধরে আবারো অস্থিরতা ডলারের বাজারে। প্রণোদনাসহ সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা দরে প্রবাসী আয় কেনার নির্দেশনা থাকলেও অনেক ব্যাংক এমনকি ১২৪ টাকা দরেও ডলার কিনেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

যদিও আমদানিতে এসব ডলার বিক্রির কথা ১১১ টাকা দরে। এছাড়া খোলাবাজারেও ডলারের দাম ১২৭ টাকা পর্যন্ত উঠতে দেখা গেছে। কেন এমন পরিস্থিতি?

ঢাকার একজন খাদ্য আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন। আমদানির জন্য বিভিন্ন সময় ব্যাংকে এলসি খুলতে হয় তাকে।

তিনি জানাচ্ছেন, সম্প্রতি একটি ব্যাংকে এলসি খুলতে গেলে তার কাছে সরকারি রেট ১১১ টাকার বদলে ডলারের দাম ধরা হয় ১২৫ টাকা।

আনোয়ার হোসেন বলছিলেন, এই বাড়তি দামের কোনো কারণ জানাতে পারেনি ব্যাংক।

আমি আপনাকে ব্যাংকের নাম বলতে পারব না। কারণ তাহলে যেটুকু এলসি পাচ্ছি, সেটাও আমি পাবো না। কিন্তু তারা ১২৫ টাকা করে আমার কাছে জমা রেখেছে।

আমি বললাম, এক সপ্তাহ আগেই আপনারা আমার কাছ থেকে ডলার প্রতি ১১৫ টাকা করে জমা রেখেছেন। এখন কেন ১২৫ টাকা রাখবেন? সরকার তো ডলারের মূল্য বৃদ্ধি করে নাই। তখন ওরা বললো যে আপনাকে ১২৫ টাকা করেই দিতে হবে। না হলে এলসি করা যাবে না।

এই আমদানিকারক ব্যাংকে ডলারের বাড়তি দাম নিয়ে যে অবস্থায় পড়েছেন, সেটাই যেন এখন ডলার মার্কেটের বাস্তবতা। কিন্তু ডলারের খোলা বাজারের অবস্থা কী?

খোলাবাজারে যা দেখা গেল


খোলা বাজারের পরিস্থিতি বুঝতে গত সোমবার ঢাকায় কালোবাজারে ডলার বিক্রির একটা পরিচিত স্পটে যান বিবিসির এই সংবাদদাতা। পরিচয় গোপন করে ডলার কেনার চেষ্টা করা হয়।

সংবাদদাতা প্রথমেই যে মানি এক্সচেঞ্জে যান, সেখান থেকে জানানো হলো ডলার নেই। কোন এনডোর্স করা যাবে না।

কিন্তু যখন শুধু ডলার কিনতে চান তিনি, তখন পাশেই থাকা একজন বললেন, ডলার প্রতি ১২৭ টাকা করে দিতে হবে। এর কমে বিক্রি করতে রাজি হননি তিনি।

শেষ পর্যন্ত ১২৭ টাকা দরেই ডলার কিনতে হলো। এরপর রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জে গিয়ে দেখা গেল, ডলারের রেট অনেকটা একইরকম - ১২৫ থেকে ১২৭ টাকা চাওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ কেউই নির্ধারিত দামে ডলার বিক্রি করছেন না।

এর কারণ জানতে চাইলে সামাদ (ছদ্মনাম) নামে একজন বললেন, বাজারে ডলার নেই। ব্যাংকগুলোই বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। সুতরাং খোলাবাজারে তারা বেশি দামে ডলার না কিনলে ডলার পাবেন না। ফলে বেশি দামে কিনে আরো বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, মানি এক্সচেঞ্জগুলো ডলার বিক্রি করতে পারবে সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা দরে। সেক্ষেত্রে এর চেয়ে কম দামে তাদের ডলার কিনতে হবে। কিন্তু মানি চেঞ্জারগুলো এ দর মানছে না - এমন অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশ ব্যাংক নজরদারি বৃদ্ধি করে।

কিন্তু যেসব মানি এক্সচেঞ্জ নির্ধারিত দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করছেন, তারা বলছেন, তাদের কাছে কেউ সেভাবে ডলার বিক্রি করতেই আসছেন না।

ঢাকার পল্টনে মেক্সিমকো মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মোশাররফ হোসেন বলছেন, যারা বিদেশ থেকে আসার সময় ডলার নিয়ে আসেন, তাদের কাছ থেকেই তারা ডলার কিনে থাকেন। এটাই তাদের মূল উৎস। কিন্তু যেহেতু কালোবাজারে ডলারের দাম বেশি, সেহেতু বেশিরভাগ প্রবাসী সেখানেই ডলার বিক্রি করে দিচ্ছেন।

গভর্নমেন্ট রেট তো কম, সুতরাং প্রবাসীরা কেন আমাদের কাছে ডলার বেচবে? তাছাড়া এখন সরকারি নজরদারি অনেক কড়া।

কেউ যদি ডলারের বৈধ কাগজ দেখাতে না পারে, আমরা সেটা কিনতে পারব না। কিনলে প্রশাসন ধরবে। ফলে এই ডলারগুলোও আমরা পাচ্ছি না। এগুলোও ব্ল্যাক মার্কেটে চলে যাচ্ছে, বলেন মোশাররফ হোসেন।

তার মতে, এসব কারণেই যারা শিক্ষা, চিকিৎসা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশ যাবেন তারা চাহিদা মতো ডলার পাচ্ছেন না। কারণ মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলারের ঘাটতি আছে।

বাধ্য হয়ে এসব লোক যখন ব্ল্যাক মার্কেটে যাচ্ছে, তখন চাহিদা বেড়ে ডলারের দামও সেখানে বাড়ছে, জানান তিনি।

পরিস্থিতি কেন এমন হলো?


বাংলাদেশে ডলারের দাম বাড়তে থাকে ২০২১ সালের ২২ অগাস্ট থেকে। তখন ডলারের দাম ৮৪ টাকা থেকে ৮৫ তে উঠে আসে। দুই বছরের ব্যবধানে সেটা হয়ে যায় ১০৯ টাকায়। বর্তমানে যেটা ১১১ টাকা।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এই দাম খোলাবাজারে কার্যকর হয়নি। দুই বছর আগে একবার দাম বৃদ্ধি শুরুর পর বর্তমানে সেটা ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায় ওঠা-নামা করছে।

এসময় ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার দাবি উঠলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এর দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স এবিবিকে।

কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাফেদা-এবিবির নির্ধারণ করা রেটও খোলাবাজারে কার্যকর থাকেনি।

বেশ কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিদেশী রেমিটেন্স হাউস থেকে ডলার কিনে সেটা আরো বেশি দামে গ্রাহকদের কাছে দিয়েছে।

জানতে চাইলে এবিবির সাবেক সভাপতি ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বিবিসিকে বলেন, এরকম ঘটনা তারাও শুনেছেন এবং এটাই বাস্তবতা যে ব্যাংকগুলো বেশি দামে ক্রয়-বিক্রয় করছে।

কিন্তু কেন এ এরকম হচ্ছে? মাহবুবুর রহমান জানান, ব্যবসায়ীদের কাছে ডলারের রেট গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং এলসি খুলে ব্যবসা করার ওপর ব্যবসায়ীরা জোর দিচ্ছেন। সেজন্য ব্যবসায়ীদের চাহিদা মেটাতেই ব্যাংকগুলোকে বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে ,যেহেতু ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার নেই।

আমার কাছে গ্রাহক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমি যদি ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী এলসি দিতে না পারি, তাহলে সে ক্লায়েন্ট অন্য ব্যাংকে চলে যাবে। এখন কোনো ব্যাংক তো এভাবে নিজেকে ক্ষতির মুখে ফেলবে না। সে বেশি দাম দিয়ে হলেও ডলার কিনে ব্যবসা এবং ক্লায়েন্ট ধরে রাখবে, বলেন তিনি।

বাফেদা-এবিবি বলছে, ১১১ টাকায় এলসি সেটেলমেন্ট করতে। এ দামে ডলার বিক্রি করতে হলে এর চেয়ে কম দামে ডলার ক্রয় করতে হবে। কিন্তু সে দাম দিয়ে ডলার ক্রয় করা যাচ্ছে না বলে ব্যাংকাররা জানান। তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকও তার রিজার্ভ থেকে এতো ডলার বিক্রি করে চাহিদা মেটাতে পারবে না।

মাহবুবুর রহমান প্রশ্ন তোলেন, যেসব ব্যাংক ১১৮ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দামে বিদেশী রেমিটেন্স হাউস থেকে ডলার কিনে ব্যবসায়ীদের এলসি দিচ্ছে, সে কিভাবে ১১১ টাকা দরে এটা দেবে?

দিনশেষে ব্যাংক তো একটা কমার্শিয়াল অরগানাইজেশন। এখানে তো কেউ চ্যারিটি করতে বসেনি, বলছিলেন মোশাররফ হোসেন।

অর্থনীতিবিদদের মতে, ডলারের বাজারে আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে হুন্ডি। যারা বিদেশে ডলার নিয়ে যাচ্ছেন, তারা বেশি দাম দিয়ে হলেও ডলার কিনতে চান। এটা বাজারে চাহিদা তৈরি করছে। ফলে বিদেশী রেমিটিং হাউসগুলো তাদের কাছে বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে।

কিন্তু বাজারে এমন অবস্থা কেন হলো? এজন্য ঘুরে-ফিরে একই প্রসঙ্গ বার বার সামনে আসছে। সেটি হচ্ছে- বাংলাদেশের নিম্নমুখী রফতানি আয় এবং প্রবাসী আয়ের কারণে ডলার সঙ্কটের কথা।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন দায়ী করছেন, সঙ্কটের মধ্যেও ডলারকে বাজারমুখী না করে একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকে।

এখানে ডলারের দাম নির্ধারণের যে মডেল, সেটা দিয়ে ডলার বাজার স্বাভাবিক রাখা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক একেক সময় একেক পলিসি নিচ্ছে। ফলে যারা কারসাজি করে, তারাও এটার সুযোগ নিচ্ছে। বাজারদর অনুযায়ী দাম নির্ধারণ না হলে এটার সঙ্কট মিটবে না,  বলেন মোশাররফ হোসেন।

বাংলাদেশে নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এই সময়ের মধ্যে সরকারের মূদ্রানীতি কিংবা ডলার বাজার নিয়ে নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তনের সম্ভাবনাও দেখছেন না অনেকেই।

ফলে ডলারের যে উর্ধ্বমুখী দাম, সেটা নির্বাচনে আগে কতটা স্থিতিশীল হবে তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে যেখানে আমাদের যোগানের অভাব আছে সেখানে আগামীতে ডলারের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নাই। কারণ এটাতো বাজারের ওপর নির্ভর করছে না। এটাকে সেভাবে রাখা হয়নি, বলেন মোশাররফ হোসেন।

কিন্তু এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কী ভাবছে? জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

যদিও ব্যাংকসূত্র জানিয়েছে, ডলারের বাজারে কারসাজি রোধ করতে ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ তারা নিয়েছেন, যার প্রভাবে হয়তো 'শিগগিরই বাজারে দাম কমে' আসবে।

কিন্তু বাংলাদেশে যখন গত দুই বছর ধরেই ডলারের প্রধান দুই উৎস রেমিটেন্স ও রফতানি আয় নিম্নমুখী, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক কতটা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে সেটা এক বড় প্রশ্ন।

সূত্র : বিবিসি

 


আরও খবর



আবারও রেকর্ড গড়লো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম। ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা।

শনিবার (৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ মার্চ সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা। যা ২২ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

এদিকে, বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। প্রতিবেদন লেখার সময় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছে ২ হাজার ৩২৯ দশমিক ২০ ডলারে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম একদিনে ৩৮ দশমিক ৫০ ডলার বা ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে বিশ্ববাজারে কেনাবেচা চলছে।


আরও খবর



বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এই আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।

৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি। শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।-বলেন প্রধানমন্ত্রী।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যেসব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানা মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন। মাত্র নয় মাসের তিনি আমাদের একটি সংবিধান দেন। সংবিধানের ১৩ অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা কী? সেটা কিন্তু স্পষ্ট বলা আছে। সেখানে যেমন সরকারি প্রতিষ্ঠার থাকবে, সমবায় হবে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকবে। অর্থনীতিকে বহুমুখী করে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষের জীবনমান উন্নত করার এটাই ছিল জাতির পিতা লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করেছেন।

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, আন্দোলনের নামে বাস ট্রাকে আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপি।

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত করলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হলেও ছাড় নেই বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।


আরও খবর



গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ'র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

ভর্তুকি কমাতে আবারও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মিশন।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোনোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ সুপারিশ করেছে। এর আগের সফরেও একই সুপারিশ করে আসছিল সংস্থাটি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ। এতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্রভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ মিশন। তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্যও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে প্রতিনিধিদল।

এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে পৃথক এক বৈঠকে সরকার যে ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে মিশন। তবে একীভূতকরণের পর ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা যেনো খারাপ না হয়ে যায়, এতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এজন্য তাড়াহুড়া না করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে একীভূকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন প্রতিনিধিদলের কর্মকর্তারা।

এছাড়া ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে বিশেষ ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রস্তুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংকখাতে সার্বিকভাবে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছে মিশন।


আরও খবর



রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি):

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে দুপুর পর্যন্ত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম।

তবে এই নিবার্চনে দলীয় প্রতীক না থাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আরও দুইজন প্রার্থী সহ মোট ৩ জন চেয়ারম্যান পদে লড়বেন। এছাড়াও ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী পেয়েছেন আনারস প্রতীক, রামগড় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো.আবদুল কাদের পেয়েছেন দোয়াত কলম এছাড়াও কংজঅং মারমা ঘোড়া প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে লড়বেন।


এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার ফারুক পুনরায় টিয়া প্রতীক পেয়েছেন, মো.শামছুউদ্দিন মিলন তালা প্রতীক, মো.ওমর ফারুক মাইক প্রতীক, মোবারক হোসেন বাদশা চশমা প্রতীক, মো.নুরুল আমিন টিউবওয়েল প্রতীক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম কলস প্রতীক ও নাছিমা আহসান নীলা প্রজাপ্রতি প্রতীকে নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রামগড় উপজেলা নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ই মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে একটি পৌরসভা ও দুইটি ইউনিয়নের ৪১ হাজার দুইশত ৬১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।


আরও খবর



রাণীনগরে হিট স্ট্রোকে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  : 

নওগাঁর রাণীনগরে শনিবার দুপুরে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে রেজাউল ইসলাম (৪৬) নামে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের বড়গাছা গ্রামের সোলাকুরা মাঠে। নিহত রেজাউল ইসলাম উপজেলার রঞ্জনিয়া গ্রামের কছির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বড়গাছা গ্রামের সোলাকুরা মাঠে রেজাউলসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিকরা এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটছিলেন। ধানকাটার পর জমি থেকে ধান বহনের সময় দুপুরের দিকে রেজাউল ধানের ভার বাধছিল। এসময় তীব্র গরমে রেজাউল ইসলাম হিট স্ট্রোক করে মাটিতে পড়ে যায়। সেখানেই ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান ।

রাণীনগর থানার ওসি মো. আবু ওবায়েদ বলেন, ধান কাটার শ্রমিক রেজাউলের মৃত্যুর খবর লোকমুখে শুনেছি। তবে থানায় কেউ কিছু জানায়নি।  


আরও খবর