Logo
শিরোনাম

অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু গত কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৭ নম্বরে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৬২ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কার ২০৯। আর ১৯৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের শহর দিল্লি, ১৮৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের স্কোর ১৭২।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



এইচএমপিভি ভাইরাসে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

করোনার পর বিশ্বের বহু দেশেই নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি। সম্প্রতি চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, ভারত সহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। দুশ্চিন্তা বেড়েছে বাংলাদেশেও।একজনের শরীরে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি শনাক্ত হয়েছে।

তবে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, এই ভাইরাস বহু আগেই দেশে শনাক্ত হয়েছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে থাকতে হবে সতর্ক। যেমন- সর্দি, কাশি, জ্বর যদি হয় মাস্ক ব্যবহার করা, অন্যদের থেকে নিজেকে দূরে রাখা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির গবেষণা বলছে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া হতে পারে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তুষার মাহমুদ বলেন, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণকারী এই ভাইরাস শিশু, বয়স্ক আর গর্ভবতীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে বেশি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যেন নিউমোনিয়া না হয়ে যায় সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচএমপিভিতে মৃত্যু ঝুঁকি নেই বললেই চলে। তাই কোভিডের সময়কার মতোই স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ তাদের।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




প্রথম ধাপের ইজতেমা তুরাগ তীরে জনসমুদ্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসরের প্রথম পর্ব। বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আমবয়ানের মাধ্যমে এই পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে জড়ো হয়েছেন লাখো মুসল্লি।

এ বিষয়ে তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, বিগত বছরগুলোয় শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমা শুরু হলেও এবার মাগরিবের নামাজের পর আম বয়ান হয়েছে। নামাজের পরে ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে এবারের টঙ্গীর ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বয়ানের তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। সকাল ১০টায় বিভিন্ন খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হবে। আর দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। এ নামাজ পড়াবেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।


আরও খবর



বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি শেষ, প্রথম পর্ব শুরু শুক্রবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব সফল করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাবলিগ জামাতের সাথীরা। স্বেচ্ছাশ্রমে ইজতেমার ময়দান প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ইজতেমা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি মাগরিবের নামাজের পর এবং শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।

ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করে স্থানীয় মুসল্লি ও স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠ তৈরির কাজে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। কেউ শামিয়ানা টানাচ্ছেন, কেউ বিদ্যুতের কাজ করছেন, কেউ বাথরুম পরিষ্কার করছেন, কেউ আবার ময়দান পরিষ্কার করছেন। আল্লাহর মেহমানদের জন্য সবকিছু সুন্দরভাবে প্রস্তুত করতে এভাবেই দিনরাত কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমার ময়দানের ৯৪ শতাংশ প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ময়দান প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। কোনো সমস্যা ছাড়াই এবার ইজতেমা সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। এবারের ইজতেমায় দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মুসল্লির সমাগম হবে বলে আমাদের ধারণা।

তিনি আরও জানান, ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রথম পর্বে আখেরি মোনাজাত হবে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি মাগরিবের পর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।

ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে আসা আব্দুর রকিব বলেন, আমরা ৭০ জনের একটি দল নিয়ে এখানে এসেছি। আল্লাহর মেহমানদের ইবাদতের জন্য সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা মাঠের কাতার সোজা করার কাজ করছি। আল্লাহকে রাজি খুশি করার উদ্দেশ্যে আমরা এই কাজ করছি।

ময়দানের জিম্মায় থাকা সিহাব উদ্দিন জানান, আমি মূল মঞ্চের দায়িত্বে আছি। আমার সঙ্গে থাকা সাথীরা মাঠের বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ করছেন। আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই কাজ করছি।

বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমা ময়দানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় এনে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নজরদারি করা হবে। মুসল্লিদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি।

অন্যদিকে, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইজতেমা আয়োজন করতে পারেন বলে জানা গেছে।

তাদের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের ইজতেমা ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন ১৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করার একটি বার্তা পেয়েছি। বিষয়টি আমরা যাচাই করছি।

ধর্মীয় এই বিশাল সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যকার বিভাজন মিটিয়ে সমঝোতা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।


আরও খবর

প্রথম ধাপের ইজতেমা তুরাগ তীরে জনসমুদ্র

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁর শিরন্টি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার শিরন্টি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৪ শে জানুয়ারী বিকেলে খন্জনপুর বালিকা বিদ্যালয় মাঠে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জাতীয়তাবাদী কৃষকদল শিরন্টি ইউনিয়ন শাখার  সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্ট কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাস ব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাপাহার উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল  মজিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য আব্দুল্লাহ আনসারী, শিরন্টি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আক্কাস আলী, যুগ্ন আহবায়ক বাবুল আকতার, ইসমাইল হোসেন, মোশারফ হোসেন,  ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সামেদুল ইসলাম, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম সরকার, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক হারেস আলী, যুবদল সভাপতি ডাঃ নিয়ামত আলী, সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব, ছাত্রদল নেতা হাসান আলি প্রমূখ। এসময় উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে । এতে খরচ বাড়লো মোবাইলফোনে কথা বলা, হোটেল-রেস্তোরাঁ সেবা, ইন্টারনেট সেবা, কোমলপানীয়, সিগারেটসহ শতাধিক পণ্য ও সেবায়।

মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।

এই দুটি অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। ফলে এই অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।

এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আরও যুক্ত হবে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্য। এর আগে ফ্রিজ, এসি ও মোটরসাইকেলেন করপোরেট কর বাড়ানোর পর শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ায় সরকার।

যেসব পণ্য ও সেবার খরচ বাড়বে

আগে মোবাইলফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের ওপর ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ হতো। এটি বাড়িয়ে এখন ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বাড়বে। ব্র্যান্ডের দোকান ও বিপণিবিতানের তৈরি পোশাকের আউটলেটের বিলের ওপর ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের রেস্তোরাঁর ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

শুল্ক-কর বৃদ্ধির তালিকায় আরও আছে টিস্যু, সিগারেট, বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, ফলের রস, যে কোনো ধরনের তাজা ফল, রং, ডিটারজেন্ট, রং, মদের বিল, পটেটো ফ্লেক্স, চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি। এছাড়া ভ্রমণকরও বাড়ানো হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজের আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশের জন্য এই শুল্ক বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। এশিয়া মহাদেশের দেশে (সার্কভুক্ত দেশ বাদে) ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা করা হয়েছে। আর এসবের বাইরে অন্যান্য দেশে ৩০০০ টাকার আবগারি শুল্ক ৪০০০ টাকা করা হয়েছে।

নিম্ন, মধ্য, উচ্চ ও অতিউচ্চ সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। আগে যা ছিল যথাক্রমে ৬০, ৬৫.৫, ৬৫.৫ ও ৬৫.৫ শতাংশ।

স্থানীয় ব্যবসায় ভ্যাটের হার ৫ থেকে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ওষুধ ব্যবসার ক্ষেত্রে এ হার ২.৪ থেকে ৩ শতাংশ করা হয়েছে।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক (প্রেক্ষাগৃহ), চলচ্চিত্র পরিবেশক, মেরামত ও সার্ভিসং, স্বয়ংক্রিয় ও যন্ত্রচালিত করাতকল, খেলাধুলার আয়োজক, পরিবহন ঠিকাদার, টেইলার্স, ভবন রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা, খেলাধুলার ক্লাব, বোর্ড সভায় যোগদানকারী, মোটর গ্যারেজ, ডকইয়ার্ড, ছাপাখানা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ইলেকট্রিক পোলের ভ্যাট ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

নন-এসি হোটেলে, কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, জোগানদার, সানগ্ল্যাস (প্লাস্টিক, মেটাল ফ্রেম) ফ্যাশন হাউজের ভ্যাট ৭.৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

রেস্তোরাঁ, ইভেন্টিং সংস্থার ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের ট্র‍্যান্সফরমার, নারকেল ছোবড়ার ম্যাট্রেস, চশমার ফ্রেম ও রিডিং গ্লাস (প্ল্যাস্টিক ও মেটাল), আম, আনারস, কলা, পেয়ারা ও তেঁতুলের পেস্ট বিআরটিএ থেকে সরবরাহ করা লেমেনেটেড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। চাটনি কেচাপ, হাতে তৈরি বিস্কুট, কেক, আচারের ভ্যাট হার একইভাবে বাড়ানো হয়েছে।

বার ও বারযুক্ত হোটেল মোটেলে সেবায় ভ্যাট হার ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া এলপি গ্যাসে ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা (আইএসপি) তে ১০ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে।

ফলের রসে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। কার্বোনেটেড ও নন কার্বোনেটেড পানীয়তে যথাক্রমে ৩০ ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। বিভিন্ন ফল ও বাদামে ভ্যাট ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।

ডিটারজেন্ট ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ, সাবানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ, পেইন্টস ও ভার্নিসে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫