Logo
শিরোনাম

প্রাথমিকে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এনে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরের নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নতুন এই রূপরেখায় প্রাথমিকে সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে দুদিন।

সোমবার (৩০ মে) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) যৌথ সভায় এই রূপরেখার অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকছে না। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়তে হবে আটটি বই। তবে সব শ্রেণিতেই শিখনকালীন মূল্যায়নেই বেশি জোর দেয়া হয়েছে। বর্তমান পদ্ধতিতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা থাকছে না। এছাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি থাকবে।

২০২৩ সাল থেকে নতুন এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। তবে ইতোমধ্যে মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়নও শুরু হয়ে গেছে।

অন্যদিকে নতুন এই রূপরেখায় মাধ্যমিক পর্যন্ত থাকছে না কোনো বিভাগ বিভাজন। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সবাইকে পড়তে হবে ১০টি বিষয়। দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপরই অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভাগ পছন্দ করতে হবে। একাদশ শ্রেণি এবং দ্বাদশ শ্রেণি শেষে আলাদা পাবলিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এ দুই পরীক্ষার ফলাফলের সমন্বয়ে তৈরি হবে এইচএসসির ফল।

জানা গেছে, ২০২৩ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণি এ শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণি যুক্ত হবে। ২০২৬ সালে একাদশ ও ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণি যুক্ত হবে। এ শিক্ষাক্রম অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন ।



আরও খবর



সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান। গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে গতকাল মধ্যরাতে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিবস। এদিনে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সব দল বাতিল করে চরম কর্তৃত্ববাদী একদলীয় বাকশাল কায়েম করে তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র রেখে গোটা জাতিকে নির্বাক করে দিয়েছিলো। ফলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদ কর্মী বেকার হয়ে পড়েছিলো। তাদের রুজিরোজগার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ চরম নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়া হয়।

বাণীতে বলা হয়, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল বাংলাদেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। চিরায়ত গণতন্ত্রে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয় এবং যার মূল শর্ত হচ্ছে বাক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকায় রাষ্ট্র ও সমাজ জবাবদিহিতার আওতায় আসে এবং দেশের সরকার গঠনে নাগরিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীনরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে স্তব্ধ করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে।

বাণীতে আরও বলা হয়, পরবর্তীকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ দেশের কাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন।

বাকশাল সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কালাকানুন বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ মূলত চিন্তা ও বিবেককে বন্দী রাখা। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার মেয়ে শেখ হাসিনাও একই পথ ধরে তাদের প্রকৃত দর্শন একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করেছিল নতুন আঙ্গিকে। নানা কালাকানুন প্রণয়ন করে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালিয়েছে তারা। বাংলাদেশে গণমাধ্যমেরস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল।

সত্য উচ্চারণ করলেই নেমে আসত নির্যাতনের খড়গ। বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীসহ সকল পর্যায়ের মানুষকে সার্বক্ষণিক শঙ্কিত থাকতে হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো একের পর এক ড্রাকোনিয়ান আইন প্রণয়ন করে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়াল দুর্গে বন্দী করা হয়েছিল।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা স্বাধীনতা ভোগ করলেও এখনও ফ্যাসিবাদ শক্তির হাত থেকে গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান। গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, বলেন তারেক রহমান।


আরও খবর



প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল, বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপা‌ত এবং উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারো প্লাবিত হতে শুরু করেছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশের দেশ ভারতের আসাম এবং মেঘালয়েও হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত। ফলে পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রায় সব নদ-নদীতে বাড়ছে পানি।

ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছেন নগরবাসীও। অনেক এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সিলেট অঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সিলেট অঞ্চলে গত বৃহস্পতিবার থেকেই থেমে থেমে ঝরছিল বৃষ্টি। গতকাল শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের পর থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরীর জিন্দাবাজার চৌহাট্টা এলাকা।

এছাড়াও রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, সাপ্লাই, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল সড়ক, বাগবাড়ী, মিরাবাজার, মহাজনপট্টি, কালিঘাট, কাষ্টঘর, উপশহর-সুবহানীঘাট সংলগ্ন এলাকা, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুর এলাকার রাস্তাঘাটগুলো পানির নিচের তলিয়ে যায়। পরে বৃষ্টি ধারা কিছুটা কমলে জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে পানি নেমে গেলেও অন্যান্য এলাকায় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আজ শনিবার রাতে জেলার প্রায় সবগুলোর নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি বইছে। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে আকস্মিক বন্যার আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ দৈনিক আমাদের সময়কে জানান, জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই পানি ঢল হয়ে নামলে আকস্মিক বন্যার শংকা রয়েছে। এছাড়া সিলেটে আরও অন্তত দুইদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাাঞ্চলে দ্রুত পানি বাড়ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও বিছনাকান্দি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর দুর্ভোগের বিষয় জানতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য ইতোমধ্যে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। যেকোনো জরুরী পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরের (+৮৮০১৭১১৯০৬৬৪৭) নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




আমেরিকায় করোনার চেয়ে ভয়াবহ ছত্রাক পাঠাল চীন!

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

করোনা নামের ভাইরাস ছারখার করে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। মৃত্যু হয়েছে লাখ লাখ মানুষের। সেই আতঙ্ক এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই আমেরিকায় নতুন আশঙ্কার মেঘ। জৈবিক ছত্রাক ফুসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম নিয়ে শুরু হলো উদ্বেগ। এটি করোনা প্রথম শনাক্ত হওয়া চীন থেকে আমেরিকায় পাচার করা হয়েছে! মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ বলছে, চীন বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ গর্ডন চ্যাং দাবি করছেন, এই ছত্রাকের কারণে কোভিডের চেয়ে ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে আমেরিকায়।

প্রায় দুই দশক ধরে চীন ও হংকংয়ে কর্মরত গর্ডন। চায়না ইজ গোয়িং টু ওয়ার বইটির লেখক তিনি। আমেরিকা নিয়ে চীনের গতিবিধির বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন এই গর্ডন সম্প্রতি আমেরিকায় দুই চীনা গবেষক গ্রেপ্তার ইস্যুতে নতুন ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কা করছেন। বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের দায়ে সম্প্রতি আমেরিকায় গ্রেপ্তার করা হয় চীনের দুজনকে। তাদের কাছ থেকে যে ছত্রাক পাওয়া গেছে, তা চাষের খেতে প্রয়োগ করা হলে বিপুল মাত্রায় ফসলের ক্ষতি হয়।

 বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি বায়োলজিকাল ওয়েপন, যার প্রয়োগে রীতিমতো খাদ্যসংকটের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করা সম্ভব। জানা যায়, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চীনা নাগরিক ইউনকিং জিয়া এবং তাঁর প্রেমিক জুনইয়ং লিউয়ের কাছ পাওয়া যায় এই ছত্রাক। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে ছত্রাক নিয়ে কথা হচ্ছে, তা আসলে বায়োলজিক্যাল প্যাথোজেন। এই ছত্রাকের কারণে গম, বার্লি, ধান, ভুট্টার মতো ফসল নষ্ট হয়ে যায়। একটি দেশকে ভাতে মারার জন্য এই ছত্রাককে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাতে পারে শত্রু দেশ।

 এ নিয়ে চীন বিষয়ক আমেরিকান বিশেষজ্ঞ গর্ডন চ্যাং ফক্স নিউজকে বলেন, এটি বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো চীনের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করা। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমরা সত্যিই কঠোরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। কেবল কোভিডের জন্য নয়, কেবল ফেন্টানাইলের জন্য নয়। সম্ভবত আরও খারাপ কিছুর জন্য। গর্ডন ওই সাক্ষাৎকারে আরও উল্লেখ করেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সর্বদা যুদ্ধে যাওয়ার কথা ভাবেন। তিনি সমস্ত চীনা নাগরিক সমাজকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য একত্রিত করেন। গর্ডনের ভাষ্যমতে, আমাদের দেশের (আমেরিকা) ক্ষতি হতে পারে। আমরা অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র হলেও সম্ভবত প্রয়োজনীয় শক্তি এবং দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে নিজেদেরকে রক্ষা করছি না।


আরও খবর



ইসরায়েলি হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে : তেহরান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইরানজুড়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ইরানের আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি ও দুই পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।হামলার পর তেহরানে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলের আকাশসীমা।

এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যতক্ষণ প্রয়োজন হবে ততক্ষণ এই হামলা অব্যাহত থাকবে। হামলার খবর প্রকাশের পর ইরানি কর্তৃপক্ষ তেহরানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় জড়িত নয়, তিনি ইরানকে এই অঞ্চলে আমেরিকান ঘাঁটিতে হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরপরই ইরানে এই হামলা চালানো হয়েছে।


আরও খবর



অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের অঙ্গীকার নরওয়ের

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি স্তিনে রেনাতে হোহেইম। মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রতি নরওয়ের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সাক্ষাতকালে নরওয়েজীয় স্টেট সেক্রেটারি প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্তোরের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে নরওয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, আপনি নরওয়েতে খুব পরিচিত একজন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই আপনার প্রশংসা করেন। আপনাদের সম্পর্ক বহুদিনের।

অধ্যাপক ইউনূস দুই দেশের গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নরওয়ে সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল। আমাদের উন্নয়ন যাত্রায় আপনাদের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই।

হোহেইম বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি নরওয়ের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রুপান্তর প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানাতে আমরা এখানে এসেছি। আপনার কাঁধে অনেক বড় দায়িত্ব এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাও অনেক।

অধ্যাপক ইউনূস সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে অনেক প্রাণ ঝরে গেছে, আমাদের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগের সরকারের সময়ে প্রতি বছর প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। ব্যাংকের ঋণকে উপহার হিসেবে বিবেচনা করা হতো, আর আমরা বিশাল পরিমাণ বকেয়া বিলের বোঝা পেয়েছি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এখন এই কঠিন সময় অতিক্রম করা সত্ত্বেও বিশ্বের আস্থা বাংলাদেশের প্রতি ক্রমেই বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিডা সম্মেলনে নরওয়ের কিছু প্রতিষ্ঠানসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অনেক কোম্পানি —আমাদের পরিস্থিতি সরাসরি দেখার জন্য এসেছিল। তারা কেবল দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে নয়, বরং কৌতূহল ও বিশ্বাস থেকেই এসেছিল, এখানে সম্ভাবনা রয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টা মানবিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রতি নরওয়ের সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এরাও মানুষ যারা স্বপ্ন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। রোহিঙ্গা তরুণদের আশা দেখাতে হবে। তরুণদের অনেকে সাত বা ১০ বছর বয়সে এসেছিল, এখন তারা কিশোর। তারা ক্যাম্পেই বেড়ে উঠেছে। প্রতিদিন আরও শিশু জন্ম নিচ্ছে—একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে। তারা বাড়ি ফিরতে চায়, কিন্তু এখন এক অস্থিরতায় আটকে আছে। আমরা তাদের ভুলে যেতে পারি না।’

হোহেইম এই মানবিক সংকটের ভয়াবহতা স্বীকার করেন এবং নরওয়ের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে এই সংকট মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিয়েছে, তা আমরা গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি। আমরা উন্নয়ন সহযোগিতার বাইরেও সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত এবং গতিশীল অংশীদারিত্বে রূপান্তর করতে চাই।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫