সঞ্জয় ব্যানার্জীঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধা আর ভালবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালী গ্রামের জাতির জনক শেখ মজিবুর রহমানের ভক্ত দরিদ্র কৃষক এইচ.এম জাকির হোসেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে রাতে ঘুমের ঘরে তিনবার স্বপ্নে দেখে শতবর্ষকে স্বরণীয় করে রাখতে ভালবাসার নিদর্শন স্বরূপ ৪শতাংশ জমিতে বীজ ধান রোপণ করে সে জমিতে শতবর্ষ, দলিয় প্রতীক নৌকাসহ প্রধানমন্ত্রীর নাম লিখে সৃষ্টিকর্মটি ফুটিয়ে তুলেছেন।
অভাব অনটন ও দারিদ্রতা হার মানাতে পারেনি তিন সন্তানের জনক এ কৃষক এইচ.এম জাকির হোসেন। তার এ দৃষ্টিনন্দনস তৈরিতে সহায়তা করেছেন তার কলেজ পড়–য়া বড় মেয়ে তামান্নসহ পরিবারের অনান্য সদস্যরাও। উপজেলায় ফসলের মাঠে এ চিত্রকর্মটি নতুন হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সারা পেলে তা দেখতে প্রতিদিন ভীড় করছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
জানা যায়, ক্ষুদ্র কৃষক জাকির হোসেন ছোটবেলা থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নীতি আদর্শ লালন করেন মনে প্রাণে। তিনি সে নীতি আদর্শের ছাপ রেখেছেন নিজের হাতে চাষ করা এক টুকরো জমির বুকে। তিনি বোরো ধানের চারা দিয়ে খেতে শিল্পীর মতো নিপুণ হাতে তৈরি করেছেন অনবদ্য সৃষ্টি।ধানের চারা দিয়ে এঁকেছেন নৌকার প্রতিকৃতি। তার ওপরে লিখেছেন ‘মুজিব শতবর্ষ’। নিচে লিখেছেন ‘শেখ হাসিনা’।
মুজিব আদর্শ অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে অন্যদেরও। তিনি চলতি বছরের ২৯জানুয়ারি তিনি ধানের বীজ বপণ করেন। এ কাজে নাম লেখা ও নৌকা আঁকায় তার মেয়ে তামান্না সহায়তা করেন। চার শতাংশ জমিতে তিনি তার এ ভালোবাসা ফুটিয়ে তুলেছেন। জাকির চেষ্টা চালাচ্ছেন অগ্নিঝড়া মার্চ মাস পর্যন্ত তার এ চিত্রকর্মটি আগলে রাখতে। বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ কী ভাবে আরও মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া যায়, এনিয়ে সামনের দিকে ভাবনা চিন্তা করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার নিদর্শন স্বরূপ তার এ চিত্রকর্মের কথা শুনে কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম শাহজাদা সাজু এমপি, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সন্তোষ কুমার দে, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিয়োদ্ধা গোলাম মস্তোফা টিকুসহ আরও অনেকে।
কৃষক এইচ.এম জাকির হোসেন বলেন, ‘গত ২৯ জানুয়ারি চার শতাংশ জমি তিন মাসের জন্য ৬শ’ টাকায় কিনে আমার ভালোবাসা প্রকাশ করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে আমি তিন বার প্রধানমন্ত্রীকে স্বপ্ন দেখেছি। আমি ভাবলাম তিনি আমার কাছে হয়তো কিছু চায়। আমি তো গরীরব কৃষক। আমার দেওয়ার মতো তো আর কিছুই নাই। তাই পিতা মুজিব আর প্রধানমন্ত্রীকে আমার মতো করেই আমার ভালোবাসা প্রকাশ করলাম। এছাড়া স্বাধীনতা দিবসে আমার এ কাজ আমার ও আমার পরিবারের সবাইকে আত্মতৃপ্তি দেবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃষক জাকিরের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশের খবর পেয়েছি। একজন কৃষক শৈল্পিক কাজের মধ্য দিয়ে সবার নজর কেড়েছে। কৃষককে কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।
বিডি/টুডেইস/নিউজ