মইনুল ইসলাম মিতুল ঃ
যক্ষা রোগীর চিকিৎসা ও শনাক্তের পরিধি বাড়াতে প্রান্তিক পর্যায়ে পরীক্ষাগার তৈরীর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের ভালো মানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টিবিতে (যক্ষ্মা) আমাদের যে বাজেট বরাদ্দ রয়েছে, প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ৯ম যৌথ মনিটরিং কর্মশালায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ৩ লাখের বেশি মানুষ যক্ষ্মায় নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে মারা যাওয়ার হার কমেছে। আগে যেখানে ৭০ হাজার ছিল, বর্তমানে সেটি ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। আমাদের মৃত্যু বেশি, কারণ আমাদের জনসংখ্যাও বেশি।
জাহিদ মালেক বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হয়েছে, শনাক্তকরণ (স্ক্রিনিং) কার্যক্রম বেড়েছে। আমাদের সকল হাসপাতালে পরীক্ষার যন্ত্রপাতি রয়েছে। যক্ষ্মা নিয়ে মানুষের মাঝে এখনো ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, তবে পরিবর্তন আসছে, মানুষ চিকিৎসা কেন্দ্রে যাচ্ছে। বর্তমানে আক্রান্তদের ৮৫ থেকে ৯০ ভাগই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছে। আমরা চাই মানুষ চিকিৎসা নিতে আসুক। এজন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এগিয়ে আসায় তাদের ধন্যবাদ।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। এ সময় আমাদের স্বাস্থ্যখাত চাপে পড়েছিল। হাসপাতালের বেশিরভাগ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য দিয়ে দিতে হয়েছিল। নতুন নতুন হাসপাতাল করতে হয়েছে, শয্যা ও সুযোগ সুবিধা যুক্ত করতে হয়েছে। এ সময় টিবিসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। তবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করে খুব দ্রুতই আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছি। বাংলাদেশে ৯০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছে। অথচ সারাবিশ্বে ৭০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।