
সরকারি ছুটির দিনে বিনোদনের জন্য পর্যটকরা বেছে নিয়েছেন সাগরকন্যা কুয়াকাটাকে। পর্যটকদের ভিড়ে ব্যস্ততা বেড়েছে হোটেল-মোটেল রেস্টুরেন্টে। আর দীর্ঘ গাড়ি পার্কিংয়ের সারি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রা। গাড়িতেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। দু-এক ঘণ্টা পরে সমুদ্রে ফিরলেও গাড়ি পার্কিং নিয়ে বিপাকে পড়ছেন তারা।
স্থানীয় অটো বাইক ভ্যান একবার পর্যটন এলাকায় ঢুকলে আর বের হতে পারছে না। ছোট ছোট ভাড়ায় যাচ্ছেন তারা। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে মহিপুর বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়কের পাশে রাখা হয়েছে সহস্রাধিক বাস ও মাইক্রোবাস। এসব গাড়িতে বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে কুয়াকাটায়। কোনো উপলক্ষ ছাড়াই প্রায় লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন হয়েছে সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটায়। এমনটিই মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
১০ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে প্রতিনিয়ত ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। ছুটির দিনে তিল ধারণের ঠাঁই পাওয়া যায় না। আগে যেখানে ছুটির দিন ছাড়া তেমন একটা পর্যটকদের আগমন ছিল না। সেখানে এখন প্রতিনিয়ত পর্যটক থাকছে। আর এতে খুশি পর্যটকনির্ভর ব্যবসায়ীরা। আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি খাবার হোটেল, বার্মিজ মার্কেট, শুঁটকি মার্কেট, ফিশ ফ্রাই মার্কেট সব জায়গায়ই ভিড় দেখা গেছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বেড়েছে পর্যটকদের বাড়তি চাপ। আগত পর্যটকরা কেউ সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে দুলছেন আবার কেউ সমুদ্রের বালিয়াড়িতে নেচে-গেয়ে সময় কাটাচ্ছেন। শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সি মানুষ সমুদ্রসৈকতে আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন। অনেকে আবার বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যটন স্পটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। অনেকেই ঘুরে দেখছেন কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন, আমরা এর আগেও কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি। তখন পদ্মা সেতু চালু ছিল না। তবে এবার পর্যটকদের খুব চাপ বেশি। থাকাণ্ডখাওয়া সবকিছুতেই কষ্ট হচ্ছে। তবু ভালো লাগছে। আগে এই রকম সৌন্দর্য কুয়াকাটায় দেখিনি। সামনে সুযোগ পেলে আবারও আসব।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক বলেন, কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আগতদের নিরাপত্তায় আমরা বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাড়তি পুলিশ মোতয়ানে করেছি। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশসহ থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।