Logo
শিরোনাম

পু‌লিশ আসার সংবা‌দে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল পন্ড, দুই নেতা আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

‌কু‌মিল্লা ব্যুরো ঃ

জামায়াতে ইসলামির আমির শফিকুর রহমানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কু‌মিল্লা নগ‌রের  মহানগর জামায়াত শি‌বি‌রের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ত‌বে পু‌লিশ আসার সংবা‌দে গ্রেপ্তার এড়া‌তে নি‌জেরাই ছত্রভঙ্গ হ‌য়ে যায়।                                  মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে নগরীর টমছমব্রিজ এলাকা থে‌কে জামায়াত শি‌বি‌রের ঝ‌টিকা বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল বের হ‌য়ে একই সড়‌কের কা‌শেমুল উলুম মাদ্রাসার সাম‌নে পুলিশের উপ‌স্থি‌তির খবর পেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।এসময় মি‌ছিলকা‌রি‌দের ধাওয়া ক‌রে দুই নেতাকে আটক করে পুলিশ। 

আটককৃতরা হলেন— কু‌মিল্লা  আদর্শ সদর উপজেলার রঘুরামপুর এলাকার নূর আহম্ম‌দের ছে‌লে মো. রবিউল ইসলাম ( ৩২) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার আকসিনা গ্রামের আবদু‌ল গফু‌রের ছে‌লে মো. নুরুল আমিন (৩৩)।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ  বলেন, বি‌কে‌লে এক‌টি জ‌ঙ্গি মি‌ছিল বের ক‌রে নগ‌রের  সড়‌কে নাশকতা করার কা‌লে মহানগর জামায়াত শি‌বি‌রের দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে। জামায়েত শিবিরের মিছিল বের করে‌ছে সংবা‌দ পে‌য়ে পু‌লিশ যাওয়ার আগেই জামায়াত শি‌বি‌রের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে  সেখান থে‌কে ধাওয়া ক‌রে দুজনকে আটক করে পু‌লিশ। এ ব‌্যাপা‌রে কু‌মিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়ার্ধ‌ীন র‌য়েছে।


আরও খবর



অর্থনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ডলার সংকট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

ডলারের কবজায় এখন দেশ আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়), রাজস্ব আয়সবই নিয়ন্ত্রণ করছে এই ডলার সরকার কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক কোনোভাবেই একে বাগে আনতে পারছে না সব নীতি-কৌশল আর কড়াকড়ি সত্ত্বেও বাড়ছে ডলার খরচ, কমছে এর মজুত আইএমএফের কঠিন শর্তে উচ্চ সুদের ঋণ নেওয়া থেকে শুরু করে অর্থনীতির অনেক খাতের প্রসার সংকুচিত করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না সরকার ডলারের কারণেই অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে জনজীবনও অনেকটা বিপর্যস্ত এই সুযোগে রাজনীতিও উত্তপ্ত

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ডলার সংকট এখন আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সীমাবদ্ধ নেই; বরং বস্তি থেকে ওপরতলার হেঁশেল, চায়ের টেবিল থেকে মন্ত্রিপাড়াসবখানেই উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে তাদের মতে, ডলারের মজুত না বাড়ালে আর আমদানি দায় শোধ করার সক্ষমতা না বাড়লে, সরকার-উদ্যোক্তা কেউই হাত খুলে খরচ করতে পারবে না ফলে বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানের স্থবিরতা কাটবে না

অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের মতে, আমদানিনির্ভর অর্থনীতির অন্যতম শক্তিশালী চালক রিজার্ভ দেশে বৈদেশিক মুদ্রার নেতৃত্বে আছে ডলার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সহনীয় হয়ে আসার পর বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থায় টান পড়লে দাম বাড়তে থাকে মার্কিন ডলারের এরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আগুনে ঘি ঢালে বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করায় ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়তে থাকে অর্থনীতিতে কম পণ্য আমদানি করেও বেশি ডলার খরচ করতে হয় ওই সময় থেকেই মজুত ভেঙে দায় শোধ করতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক একই সময়ে রপ্তানি আর প্রবাসী আয়ে ভর করে যেভাবে ডলারের মজুত স্থিতিশীল রাখার কথা, সেটা ধরে রাখা যায়নি সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করেছে, কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করেছে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে ডলারের বাজারে নৈরাজ্য ঠেকাতে অভিযানও চালানো হয়

একের পর এক পদক্ষেপ নিতে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই সময়ে মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও ফল হয় উল্টো এতে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের দরে বড় পার্থক্য রয়ে যায় প্রবাসীরা বৈধ পথে ডলার পাঠানোর বদলে হুন্ডির দিকে ঝোঁকেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমতে কমতে এখন সরকারি হিসাবেই ৩৪ বিলিয়ন ডলার  আইএমএফের হিসাবে ২৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান বলেন, ডলার একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা। এর সংকট স্বীকার করেই আমাদের চলতে হবে। এটিকে একেবারে বাদ দিয়ে চলতে পারব না। সহজ কথা হলো, ডলার সাশ্রয় করতে হবে, আয়ও করতে হবে। আয় করার জন্য রপ্তানি বাড়াতে হবে। রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। আরও প্রণোদনা দিয়ে আয়টা বাড়ানো সম্ভব। ডলার আমরা ছাপতে পারব না। তা কামাই করেই আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমদানিনির্ভরতার কারণে আমাদের ডলার প্রয়োজন। আমরা যদি স্থানীয়ভাবে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ নিজেরা উৎপাদন করতে পারি, তাহলে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমবে।

ডলারের জন্য ব্যাংকগুলোতে হাহাকার চলছে। জানা গেছে, অন্তত ২০টি ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় আমদানি ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। এতে প্রভাব পড়েছে আমদানিতে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানিও কমছে। ডলারের উচ্চ মূল্যের সঙ্গে ঘাটতির কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল যন্ত্রপাতির আমদানি। এলএনজি আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি তেল আমদানিতেও সংকট। সরকার প্রায় দ্বিগুণ দাম বাড়িয়েও আমদানির ঋণপত্র খোলার প্রয়োজনীয় ডলার পাচ্ছে না। জ্বালানি তেল গ্যাস আমদানি সীমিত হওয়ায় এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে পণ্য উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য রপ্তানিতে। জ্বালানি সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ২৫-৩০ শতাংশ

উদ্যোক্তাদের লোকসান বাড়ছে। তারা এখন বেশি দাম দিতে রাজি থাকলেও এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। 
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, জ্বালানি সংকট চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক মানুষ কাজ হারাবে। গত সপ্তাহে মেইড ইন বাংলাদেশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান জ্বালানি সংকটে পোশাকশিল্পের চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন

বিশ্বমন্দার কারণে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারেও প্রভাব পড়েছে। রপ্তানির আদেশ কমে যাওয়ায় আয়ও কমেছে। দেশে ডলারের দরের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা এবং ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে দর বেশি হওয়ায় প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। গুজবের কারণে প্রবাসীরা চলতি মাসেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করলেও আস্থা ফেরেনি

মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবর দেখে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। কাতারপ্রবাসী ব্যবসায়ী ফরহাদ আহমেদ মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার জানান, ব্যাংকে টাকা পাঠালে তা ঠিকমতো পাওয়া যাবে কি না, নিয়ে অনেক প্রবাসীই উদ্বিগ্ন। সরকারের ঘোষণার পর কেউ কেউ কিছুটা মনোবল পেলেও অনেকেই পুরো আস্থা ফিরে পাননি। যদিও তাঁরা নিজেরা ব্যাংকিং চ্যানেলেই টাকা পাঠান বলে জানিয়েছেন

জানা যায়, হুন্ডির মাধ্যমে না পাঠিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে বিবৃতি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কেমন সাড়া পাওয়া যাবে, সেটা মাস শেষে জানা যাবে। এরই মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৩০টি অ্যাকাউন্টে লেনদেন স্থগিত করেছে। তাদের পরিবার মুচলেকা দিলে ওই সব হিসাব চালু করার শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ডলার সংকটে ব্যয় বাড়লেও পণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আয়ে। আমদানি থেকে আহরিত শুল্ক আয়ে প্রায় ধস নেমেছে। আমদানি কমে যাওয়ায় শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানের আয় কমছে। আয়কর, ভ্যাট দেওয়ার হারও কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই প্রায় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঘাটতি আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান

ডলার সংকটে কৃচ্ছ্রসাধনের পদক্ষেপের প্রভাবে ব্যক্তি খাতের উদ্যোগের প্রবৃদ্ধিতেও ধাক্কা লাগছে। কাঁচামালে টান পড়েছে। উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এটা পণ্য উৎপাদন সেবায় কতটা ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করছে, তার চিত্রও সামনে স্পষ্ট হবে

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ডলার সংকট দীর্ঘায়িত হলে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হবে, রপ্তানি কমে যাবে। পরিণামে তা ডলার সংকটকে আরও কঠিন করে তুলবে। জন্য তিনি রেমিট্যান্স আহরণ বাড়াতে সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপ আশা করেন

ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পর্ষদ পরিচালক অর্থনীতিবিদ . জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডলার সব সময়ই বিশ্বে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সংকটের সময় এটা বেশি মাত্রায় দেখা যায়। বাংলাদেশ ক্রমে এর রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে। সংকট কাটাতে ডলারের প্রবাহ বাড়াতে হবে। জন্য রেমিট্যান্সে জোর দিতে হবে। প্রথম কাজ হলো এমএফএসগুলোকে কাজে লাগানো। এর জন্য প্রবাসী-অধ্যুষিত দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে হবে। তিন আরও বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি চক্র বিদেশে বসে কারসাজি করে। বিদেশি মিশনের গোয়েন্দাদের কাজে লাগিয়ে এদের রোধ করতে হবে


আরও খবর



মেসি নৈপুণ্যে স্বস্তির জয় পেল মায়ামি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

সময়টা ভালো যাচ্ছিলো না ইন্টার মায়ামির। শেষ পাঁচ ম্যাচের একটাতেও জিততে পারেনি তারা। শেষ ম্যাচে গোল করেও মেসি জেতাতে পারেননি দলকে। তবে আজ আর ভুল করেননি, গোল করে, করিয়ে মায়ামির ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে দিলেন তিনি।

রোববার সকালে মেজর সকার লিগে কানসাস সিটির বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি। দারুণ লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। এ জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে মায়ামি। ৯ ম্যাচে পয়েন্ট ১৫।


চোটের কারণে টানা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। মন্তেরির বিপক্ষে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচ দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরলেও সেদিন পুরোপুরি ছন্দে দেখা যায়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। তবে আজ ম্যাচের শুরু থেকেই মেসি ছিলেন উজ্জ্বল। তাতে আলোর মুখ দেখে মায়ামিও।

তবে কানসাসের মাঠে প্রায় ৭৩ হাজার দর্শকের সামনে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে মেসির মায়ামি। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই বাঁ প্রান্ত দিয়ে এরিক টমির গোলে এগিয়ে যায় এসকেসি। অবশ্য সমতায় ফিরতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি মায়ামিকে। মেসির সুবাদে দ্রুত ফেরে সমতায়।

ম্যাচের ১৮তম মিনিটে মেসির অসাধারণ অ্যাসিস্টে দলকে সমতায় ফেরান গোমেজ। এরপর আরো বেশকিছু আক্রমণ করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মায়ামি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ না হওয়ায় সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুদল।

 

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। ৫১ মিনিটে গোলের দেখা পান বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। ডেভিড রুইজের কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে চোখ ধাঁধানো শটে বল জালে জড়ান তিনি। চলতি মৌসুমে মায়ামির হয়ে ৫ ম্যাচে যা মেসির পঞ্চম গোল, সাথে আছে পাঁচ অ্যাসিস্টও।

এগিয়ে যাওয়ার আনন্দটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি মায়ামির। ৫৮ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলে কানসাসকে সমতায় ফেরান টমি। ২-২ সমতায় খেলা তখন জমে ক্ষীর। জয়সূচক গোলের জন্যে দুই দলই চালাতে থাকে একের পর এক আক্রমণ।

তবে সব সংশয় উড়িয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ। ৭১ মিনিটে অবশ্য কানসাস সমর্থকদের উল্লাস থামিয়ে মায়ামিকে আবার এগিয়ে দেন


আরও খবর



২ মে পর্যন্ত সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমের কারণে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



নওগাঁয় ধর্ষণের শিকার শিশু,অভিযুক্ত আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোটার :

নওগাঁয় মাত্র ৫ বছর বয়সি এক শিশুকে খাওয়ানোর প্রলোভন (লোভ) দেখিয়ে বাড়ির ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে স্থানিয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান শিশুর স্বজনরা। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউপির গাড়ীক্ষেত্র গ্রাম এলাকার আতাউর রহমান ওরফে চেকু (৫৫)।  

ভিকটিম শিশুটির মা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যার আগে আমি বাড়িতে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এ সময় প্রতিবেশী সহপাঠি শিশুদের সাথে আমার মেয়েও খেলা করছিলো। খেলা করাকালে সেখান থেকে খাওয়ানোর লোভ (প্রলোভন) দিয়ে প্রতিবেশি আতাউর রহমান চেকু আমার অবুঝ মেয়ে শিশুকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।

শিশুটির মা আরো জানান, ঘটনার সময় অভিযুক্ত আতাউর রহমান চেকু'র বাড়িতে কেউ ছিল না। এ সুযোগেই সে আমার শিশু মেয়েকে তার বাড়ির ভেতর নিয়ে (খারাপ কাজ) ধর্ষণ করার পর আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমার শিশু মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে ঘটনাটি জানায় ও অসুস্থতা বোধ করায় মেয়েকে স্থানিয় মান্দা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেই। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমান ওরফে চেকু সংবাদ কর্মীদের কাছে ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল ও অন্যায় হয়েছে। আমাকে মাফ করে দেন। এঘটনায় ভিকটিম শিশুটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা দায়ের করার পরই থানা পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার এর সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ

মোজাম্মেল হক কাজী জানান, ভিকটিম শিশুর মা মামলা করেছেন। মামলার পরই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমান কে গ্রেফতার করেন।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে দিনমজুর পরিবারকে হত্যার উদ্যোশে গভীর রাতে বসতঘরে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদারের বসতঘরে গভীর রাতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নিকটস্ত ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

  অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদার প্রতিদিনের ন্যায় স্ত্রী নাজমা বেগমসহ শিশুদের নিয়ে রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে দিকে ঘরের মধ্যে ধোয়ায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি হইলে আমার সন্তানেরা কাশি দিতে থাকে তখন স্ত্রীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। পিছনের দিকে আগুন জ্বলতে দেখে ডাৎকচিকার দিলে আমিসহ পিতা ও স্থানীয়রা ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে নেয়। কাঠের বেড়া কেটে ১ ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে রের হই।  

দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদার বাদি হয়ে মো. আলমগীর গাজী, মো. রবিউর খানকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদার ও স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, প্রতিবেশী মো. আলমঙ্গীর গাজীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ, থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আলমঙ্গীর গাজীকে বিবাদী করে অভিযোগ দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করার পায়তারা করে আসছে। আমার স্বামীকে বিভিন্ন সময়ে মারধরও করেছে। তারই জের ধরে গভীর রাতে হত্যার উদ্যেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দিনমজুর পরিবারের দাবি।  

এ বিষয়ে আলমঙ্গীর হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

   এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, শাহীন হাওলাদার ও আলমঙ্গীর গাজীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বসতঘরে আগুনের বিষয়টি শুনেছেন এবং সরেজমিনে গিয়েছিলেন।  

   এ বিষয়ে সন্ন্যাসী ফাঁড়ির এএসআই মাসুদুল আলম বলেন, টহলরত অবস্থায় ওই রাতেই শুনেছি বসতঘরে আগুন লাগার খবর। ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি কেরোসিনের বোতল উদ্ধার করেছি। 


আরও খবর