Logo
শিরোনাম

রাজনীতিতে জোটের গুরুত্ব বাড়ছে

প্রকাশিত:সোমবার ২১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

আগামী বছরে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। চলতি বছরটি তাই নির্বাচনের প্রস্তুতির। এরই মধ্যে জোট গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোতে শুরু হয়েছে নীরব প্রতিযোগিতা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক চাঙা করতে বৈঠক করেছে। আবার সংসদ নির্বাচনের পর নিষ্ক্রিয় বিএনপিও ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। এছাড়া জাতীয় পার্টি সমমনাদের পাশাপাশি ইসলামি দল নিয়েও জোটের কথা ভাবছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাম প্রগতিশীল দলগুলোও। ফলে রাজনীতি এখন ঘুরছে ভোটকেন্দ্রিক জোটের আবর্তে।

আওয়ামী লীগ : টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় থাকা দলটি নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। গত মঙ্গলবার শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। বৈঠকে রাজনীতির মাঠের কর্মকৌশল নির্ধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৪ দল। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতারা ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে বিএনপি-জামায়াতসহ উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী চক্র স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথা ছাড়া দিতে পারে। এ বিষয় মাথায় রেখে জোটকে রণকৌশল ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জোটপ্রধান শেখ হাসিনা। এ সময় রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু আগামী নির্বাচনের রূপরেখা ও জোটগতভাবে হবে কি না এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। জবাবে শেখ হাসিনা ১৪ দলকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেন। জোটের শরিকদের সক্ষমতা বাড়াতে নির্দেশ দেন।

জানতে চাইলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, বৈঠকে চলমান সমসাময়িক সব বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। বিশেষ করে নির্বাচনের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। ১৪ দলকে জোটগতভাবে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সবাই নির্বাচনের বিষয়ে নেত্রীর কাছে দিকনির্দেশনার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। নেত্রী নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিএনপি : এবার নতুন মিত্রের সন্ধানে নেমেছে দলটি। জোরদার করা হয়েছে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক তৎপরতা। পুরোনো মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক চাঙা করার চেষ্টাও করছে দলটি। সমমনা সব দল ও মতকে নিয়ে একটি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার তৎপরতাও চালাচ্ছে। তাতে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মতো পুরোনো জোট কাঠামো নাও থাকতে পারে। আসতে পারে চমক। লক্ষ্য আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সরকার পতন আন্দোলন। তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি সমমনা বাম, ডান ও ইসলামপন্থি কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি। দলগুলোর কয়েকটি জোটে যোগ দিতে আগ্রহও দেখিয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শেষ সময়ে রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতি ও হিসাব-নিকাশ চলছে। কিন্তু কোনো দলই এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। আলাপকালে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বিএনপির নেতারা বলছেন, নতুন জোট গঠন ও আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে বিএনপি। প্রাথমিকভাবে অনেক দল স্ব স্ব দলীয় ব্যানারে আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়েও একমত হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হতে আরো কিছু সময় লাগবে। চলতি মাসের শেষ দিকে বা এপ্রিল মাসের শুরুতে আসতে পারে বৃহৎ জোটের ঘোষণা। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের লক্ষ্য, সমমনা ডান-বামসহ সব রাজনৈতিক দল ও মতকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করে একটি প্ল্যাটফরমে নিয়ে আসা। তারপর সরকার পতনের আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটনা। রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা।

জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, বিএনপি এ মুহূর্তে সেভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করছে না। জামায়াতে ইসলামীও কোনো কর্মসূচি পালন করছে না। যে কারণে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। বিএনপির পক্ষ থেকে টুকটাক কর্মসূচি হচ্ছে। এসব কর্মসূচিতে যাদের আসার তারা আসছেন। বড় ধরনের জনসভা বা সে রকম কর্মসূচি এখন হচ্ছে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ এবং তাদের শরিক ছাড়া বাকি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। যুগপৎ আন্দোলনে সবাই শরিক থাকবে। সবাই যার যার অবস্থান থেকে কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবে।

জাতীয় পার্টি : জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সবকিছুই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংসদের এই প্রধান বিরোধী দলটি। সরকার ও বিরোধীদের দুই শিবিরেই সঙ্গে সমান তালে যোগাযোগ রাখছে। পাশাপাশি ইসলামি দলগুলো নিয়ে জোটের কথা ভাবছে।

বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল : বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি প্রায় ৩ ঘণ্টা বৈঠকও হয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহসভাপতি তানিয়া রব, সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণফোরামের আরেক অংশের কেন্দ্রীয় নেতা মোশতাক আহমেদ বৈঠকে ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

জানা গেছে, বাসদের সদস্য সমাপ্ত কংগ্রেসের পর অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের নৈশভোজের নামে মিলনমেলা হয়ে ওঠে বাম ঘরানার দলগুলোর বৃহত্তর ঐক্য গড়ার আলোচনার কেন্দ্র।

গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে বাম দলগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়র চেষ্টা চলছে। আমরা আর আওয়ামী লীগণ্ডবিএনপির ফাঁদে পা দিতে চাই না। আমরা চাই বিকল্প শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে। ধরে নিতে পারেন, এই বৈঠক সেই প্রক্রিয়ারই অংশ। আমরা চাই একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সব দলের অংশগ্রহণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এই দাবিতে বাম প্রগতিশীলদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি।

এদিকে বিগত নির্বাচনে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও আশানুরূপ সফলতা পায়নি। বিএনপির সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর ঐক্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা ক্ষুব্ধ। বিভিন্ন সময় তারা এই ক্ষোভ দেখিয়েছেন। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগণ্ডবিএনপির বাইরে বাম দলগুলো বৃহত্তর ঐক্যের মধ্য দিয়ে বিকল্প শক্তি হিসাবে রাজনীতির মাঠে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করছে। এই চেষ্টার অংশ হিসাবে অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং ৯টি বাম রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে জাতীয় ঐক্য এখন সময়ের দাবি। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করেছেন বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ভোট এলেই জোট বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এ জোট হওয়ার পেছনে আদর্শের কোনো প্রেরণা কাজ করে না। ছোট দলগুলো বড় দলের আশপাশে, বিশেষ করে যাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করে।



আরও খবর



সুন্দরবনে খালে ভাসছে বাঘের দেহ !

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: সাধারণত উল্টো খবরটিই বেশি পাওয়া যায়। সুন্দরবন এলাকায় বাঘের আক্রমণে মৃ্ত্যু হয়েছে সাধারণ মানুষের বা মধু সংগ্রহের সময়ে বাঘের অতর্কিত আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে স্থানীয় মানুষের। কিন্তু বাঘের মৃত্যু? সেই খবরই মিলল এবার। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় সুন্দরবনের জোংড়া আর মরাপশুর খালের মাঝামাঝি এলাকা জোংড়া খালের অন্তর্গত আন্ধারিয়া খালের মুখ থেকে ভাসমান অবস্থায় মিলল এক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃত দেহ। মৃত দেহটি উদ্ধারে গেছেন বনরক্ষীরা।

সুন্দরবনের কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (সিএফ) মিহির কুমার দো বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, খবর পাওয়ার পর বনরক্ষীরা গেছেন। বাঘটিকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বেশ কয়েক দিন আগে মারা গেছে বাঘটি। 

তিনি আরো বলেন,বাঘটির মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি, মৃত্যুর কারণ জানার জন্য বাঘটির বয়স-সহ অন্যান্য বিষয়গুলিও বন বিভাগ অনুসন্ধান করবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ফরিদপুরে বাস-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকের ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ জনে।

দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুইজনের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। অন্য ১১ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

এর আগে ১১ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন ফরিদপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজ। তিনি বলেন, সকাল আটটার দিকে কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত ব্যক্তিদের নামপরিচয় জানাতে পারেননি এসআই মিরাজ। তিনি বলেন, নিহতরা পিকআপের যাত্রী ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তারা পিকআপে চড়ে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।


আরও খবর



ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

দেশের বাজারে সোনার দামের অস্থিরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত চার দিনের মধ্যে তিন দিনই দামি এই ধাতুর দর পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে গতকাল শনিবার প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৪০ টাকা কমেছিল। আজ রোববার ভরিপ্রতি সোনার দাম বেড়েছে ৬৩০ টাকা। এর ফলে ২২ ক্যারেট সোনার দাম আবার ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায় পৌঁছে গেছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি রোববার বেলা সাড়ে তিনটায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে সোনার দাম বাড়ানোর পেছনে তারা যুক্তি দিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিউর গোল্ড) দাম বেড়েছে নতুন দাম  বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে

জুয়েলার্স সমিতির তথ্যানুযায়ী, হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার ভরি বেড়ে হয়েছে লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা। একইভাবে ২১ ক্যারেট সোনার ভরি লাখ ১৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা। আজ থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ৬৩০ টাকা, ২১ ক্যারেটে ৬০৭, ১৮ ক্যারেট ৫১৩ এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় বাড়ছে ৪২০ টাকা


আরও খবর



ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরলো ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image

এবারের ঈদে গতবারের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। ঈদে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এ তথ্য উঠে এসেছে।

একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, পাঁচজন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

আর বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭. দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে। দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুৰ্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত, ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রায়।

এ সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৭ জন চালক, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪০ জন পথচারী, ৭৫ জন নারী, ৪৭ জন শিশু, ২৭ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, চারজন শিক্ষক, একজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুজন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।


আরও খবর



শনিবার শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুত মাভাবিপ্রবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল)। এ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।

জানা যায়, এবছর বিজ্ঞান এ ইউনিটে প্রায় ১২ হাজার আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিবে ১ লাখ ৬৪ হাজার শিক্ষার্থী। ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দেবে ৪৫৬০ জন শিক্ষার্থী। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত মাভাবিপ্রবি ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ জানান মাভাবিপ্রবি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিটে ৪৫৬০ জন, বি ইউনিটে ২১২৯ জন ও সি ইউনিটে ৬০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। এছাড়াও আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায়  ৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোতে সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাভাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

উল্লেখ্য মাভাবিপ্রবি জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিস সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে টাঙ্গাইল শহরের দুই প্রবেশদ্বার (আশেকপুর বাইপাস ও রাবনা বাইপাস) থেকে বাস ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। 

এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবির পরিবহন পরিচালক ড. মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম লিটন জানান, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ২৭ এপ্রিল, ৩ মে ও ১০ মে তারিখে নগর জলফৈ বাইপাস থেকে একটি বাস এবং রাবনা বাইপাস থেকে একটি বাস ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে আসবে। ছাত্র-ছাত্রীদের নির্ধারিত দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ট্রিপ বন্ধ থাকবে। উল্লিখিত সময় ব্যতীত ছাত্র-ছাত্রীদের সব ট্রিপ পূর্বের ন্যায় অপরিবর্তিত থাকবে


আরও খবর